আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ। সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।
এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, বাকিদের অনেকে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউব দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাঁদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারা দেশে দায়ের হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।
এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচার গুলি ও মানুষ হত্যার ঘটনা বাহিনীর ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলপ্রয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি নানা মহল থেকে ওঠে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক কর্মকর্তার অভিযোগ, অনেককে বিপাকে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া হয়। ব্যাচমেট ছাড়াও পুলিশের কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। কেউ আবার বাদীপক্ষকে নাম ঢোকাতে প্রলুব্ধ করেছেন—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাঁদের ভাষ্য, প্রকৃত দোষীদের বাইরে নিরাপদ কাউকে আসামি করা হলে মামলার গুরুত্ব নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন ভুক্তভোগী।
আইজিপি বাহারুল আলম গত ২১ ডিসেম্বর সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৫ বছর দলীয় স্বার্থে পুলিশ হেন অন্যায় নেই করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকা উচিত নয়। এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতে নিরাপত্তাবোধ ও স্বচ্ছতার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ। সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।
এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, বাকিদের অনেকে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউব দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাঁদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারা দেশে দায়ের হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।
এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচার গুলি ও মানুষ হত্যার ঘটনা বাহিনীর ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলপ্রয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি নানা মহল থেকে ওঠে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক কর্মকর্তার অভিযোগ, অনেককে বিপাকে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া হয়। ব্যাচমেট ছাড়াও পুলিশের কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। কেউ আবার বাদীপক্ষকে নাম ঢোকাতে প্রলুব্ধ করেছেন—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাঁদের ভাষ্য, প্রকৃত দোষীদের বাইরে নিরাপদ কাউকে আসামি করা হলে মামলার গুরুত্ব নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন ভুক্তভোগী।
আইজিপি বাহারুল আলম গত ২১ ডিসেম্বর সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৫ বছর দলীয় স্বার্থে পুলিশ হেন অন্যায় নেই করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকা উচিত নয়। এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতে নিরাপত্তাবোধ ও স্বচ্ছতার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ। সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।
এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, বাকিদের অনেকে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউব দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাঁদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারা দেশে দায়ের হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।
এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচার গুলি ও মানুষ হত্যার ঘটনা বাহিনীর ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলপ্রয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি নানা মহল থেকে ওঠে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক কর্মকর্তার অভিযোগ, অনেককে বিপাকে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া হয়। ব্যাচমেট ছাড়াও পুলিশের কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। কেউ আবার বাদীপক্ষকে নাম ঢোকাতে প্রলুব্ধ করেছেন—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাঁদের ভাষ্য, প্রকৃত দোষীদের বাইরে নিরাপদ কাউকে আসামি করা হলে মামলার গুরুত্ব নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন ভুক্তভোগী।
আইজিপি বাহারুল আলম গত ২১ ডিসেম্বর সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৫ বছর দলীয় স্বার্থে পুলিশ হেন অন্যায় নেই করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকা উচিত নয়। এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতে নিরাপত্তাবোধ ও স্বচ্ছতার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ। সারা দেশে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৭১টি। বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার নামে মামলা রয়েছে ১৫৫টি।
এত মামলা মাথায় নিয়ে হারুনের বিরুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নিজে থেকে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক পুলিশপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রায় ৫০ দিনের বেশি রিমান্ডে থাকার পর তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া বেশি মামলা হওয়ার তালিকায় রয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ১২৫টি, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি এবং অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসানের নামে ৩১টি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ৯৫২ জনকে আসামি করা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮ জন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, বাকিদের অনেকে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, কেউব দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার এজাহারে তাঁদের পলাতক দেখানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারা দেশে দায়ের হওয়া পুলিশের বিরুদ্ধে এসব মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আসামির তালিকায় রয়েছেন ছয়জন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক, সাবেক ৩৬ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ৫ জন অতিরিক্ত আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপপরিদর্শক, কনস্টেবল ছাড়াও বিভিন্ন পদ-পদবির সদস্য।
এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। মামলা নিয়ে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচার গুলি ও মানুষ হত্যার ঘটনা বাহিনীর ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলপ্রয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি নানা মহল থেকে ওঠে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক কর্মকর্তার অভিযোগ, অনেককে বিপাকে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া হয়। ব্যাচমেট ছাড়াও পুলিশের কিছু সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। কেউ আবার বাদীপক্ষকে নাম ঢোকাতে প্রলুব্ধ করেছেন—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাঁদের ভাষ্য, প্রকৃত দোষীদের বাইরে নিরাপদ কাউকে আসামি করা হলে মামলার গুরুত্ব নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এতে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন ভুক্তভোগী।
আইজিপি বাহারুল আলম গত ২১ ডিসেম্বর সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় পুলিশের ভূমিকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৫ বছর দলীয় স্বার্থে পুলিশ হেন অন্যায় নেই করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশের হাতে থাকা উচিত নয়। এটা শুধু পুলিশ নয়, অন্যান্য বাহিনীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতে নিরাপত্তাবোধ ও স্বচ্ছতার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৯ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে হারুনের...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে হারুনের...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৯ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে হারুনের...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৯ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাবেক ও বর্তমান মিলে ৯৫২ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। সারা দেশে হারুনের...
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৯ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে