নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার মামলায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্ট আসামির সংখ্যা (নাম উল্লেখ করে) ছিল ১ হাজার ২০৯ জন। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫৬ জনে। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যাও বেড়েছে। হত্যা ও সহিংসতার মামলায় ডিসেম্বরে সাবেক সরকারসংশ্লিষ্ট অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০০। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৭ জনে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনে (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন জানুয়ারি-২০২৫-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে এমএসএফ এই প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গোলাগুলির দুটি ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান ও ডিবির অভিযানকালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে কারা হেফাজতে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ৬। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪টি এবং অপর একটি মামলা হয়েছে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে। এ মাসে দায়েরকৃত কোটা আন্দোলনের মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪২৮ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ২২৯ জন। লক্ষণীয় যে এবার প্রথমবারের মতো জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় আসামি করা হয়েছে দুবারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বন্ধ হয়নি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমন না থাকলেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ যেকোনো ব্যক্তিকে আন্দোলনবিরোধী বলে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় এখনো ঢালাওভাবে হত্যাকাণ্ডের আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬০৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে ১৩টি ঘটনায় ২১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে হিন্দুধর্মাবলম্বী নির্যাতনের ৪টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৫টি ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৯টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে হত্যা, নির্যাতন ও আটক করে ধরে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত হত্যাসহ অন্যান্য ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না; বরং অস্থিতিশীল অবস্থা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রয়েছে।
এমএসএফ বলছে, জানুয়ারিতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা, যেমন আত্মহত্যা, হত্যার ধারাবাহিকতা রয়েই গেছে, শিশুদের প্রতি শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। এ মাসে ২৭১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৩০টি বেশি।
এক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার মামলায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্ট আসামির সংখ্যা (নাম উল্লেখ করে) ছিল ১ হাজার ২০৯ জন। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৫৬ জনে। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যাও বেড়েছে। হত্যা ও সহিংসতার মামলায় ডিসেম্বরে সাবেক সরকারসংশ্লিষ্ট অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০০। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৭ জনে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনে (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন জানুয়ারি-২০২৫-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে এমএসএফ এই প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গোলাগুলির দুটি ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান ও ডিবির অভিযানকালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে কারা হেফাজতে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ৬। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪টি এবং অপর একটি মামলা হয়েছে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে। এ মাসে দায়েরকৃত কোটা আন্দোলনের মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪২৮ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ২২৯ জন। লক্ষণীয় যে এবার প্রথমবারের মতো জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় আসামি করা হয়েছে দুবারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বন্ধ হয়নি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমন না থাকলেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ যেকোনো ব্যক্তিকে আন্দোলনবিরোধী বলে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় এখনো ঢালাওভাবে হত্যাকাণ্ডের আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬০৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে ১৩টি ঘটনায় ২১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে হিন্দুধর্মাবলম্বী নির্যাতনের ৪টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৫টি ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৯টি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১২ জন নিহত ও ১৮ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তে হত্যা, নির্যাতন ও আটক করে ধরে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত হত্যাসহ অন্যান্য ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না; বরং অস্থিতিশীল অবস্থা ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রয়েছে।
এমএসএফ বলছে, জানুয়ারিতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা, যেমন আত্মহত্যা, হত্যার ধারাবাহিকতা রয়েই গেছে, শিশুদের প্রতি শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। এ মাসে ২৭১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৩০টি বেশি।
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) চয়ন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার টেপিরবাড়ি গ্রামের মাটির মসজিদ এলাকা থেকে তাঁকে শ্রীপুর থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় নতুন শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার জেরে আওয়ামী লীগের নেতারা এখন ঘরছাড়া। হামলার বিষয়ে সাধারণ মানুষেরা মুখ খুলছেন না। হামলায় গ্রেপ্তারে অভিযান শুরুর পর সাবেক
৮ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলার বিভিন্ন এলাকার কৃষিজমি ও নদ-নদী থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। এতে সেতু, বাঁধ, আবাদি জমি ও বসতভিটা বিলীন হওয়ার হুমকিতে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু তোলার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
৮ ঘণ্টা আগেসাইকেল-ভ্যানে করে বাহারি ফুল নিয়ে বাজারে এসেছেন চাষিরা। তাঁদের কারও কাছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা; কারও কাছে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সব ফুল। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সেই ফুল কিনছেন। ফুল বেচাকেনার এমন হাঁকডাক যশোর-বেনাপোল মহাসড়কঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুলের রাজধানীখ্যাত
৯ ঘণ্টা আগে