Ajker Patrika

সড়কদ্বীপের গাছ উধাও ফুটপাতে হাঁটা দায়

  • গাছগুলো কারা কেটে ফেলছে, জানে না কেউ
  • দোকানের মালপত্র রেখে ফুটপাত দখল
  • পশুপাখির খাবারের দামও রাখা হয় ইচ্ছেমতো
  • পশুপাখির উচ্ছিষ্ট খাবার, ময়লা-আবর্জনা দূষিত করছে পরিবেশ
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
রাজধানীর কাঁটাবন এলাকায় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা পশুপাখির মার্কেটের মালামাল রাখা হয়েছে ফুটপাতজুড়ে। এতে চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। ছবিটি গত বুধবার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কাঁটাবন এলাকায় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা পশুপাখির মার্কেটের মালামাল রাখা হয়েছে ফুটপাতজুড়ে। এতে চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। ছবিটি গত বুধবার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীতে পশুপাখির মার্কেট হিসেবে কাঁটাবন মার্কেট সুপরিচিত। পশুপাখিপ্রেমী অনেকেই এ মার্কেটে আসেন শখের পশুপাখি কিনতে। কেউবা আসেন পোষা প্রাণীর খাবার কিনতে। তবে এ মার্কেটের সামনের ফুটপাত ধরে হাঁটার উপায় নেই। ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে দোকান। শুধু তা-ই নয়, মার্কেটের সামনের সড়কদ্বীপের গাছগুলোও উধাও হয়ে যাচ্ছে। পশুপাখির উচ্ছিষ্ট খাবার, ময়লা-আবর্জনা দূষিত করছে পরিবেশ।

কাঁটাবন পশুপাখির মার্কেটে গত বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, কাঁটাবন মসজিদ থেকে শুরু করে প্রায় নীলক্ষেত পর্যন্ত ফুটপাতে দোকানিদের মালপত্র রাখা। সেখান দিয়ে হাঁটা দায়। পশুপাখির বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সড়কদ্বীপের গাছও কমে গেছে।

এ বিষয়ে ওই এলাকার একাধিক দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের দাবি, গাছ যে কারা কাটছে, তা তাঁরা জানেন না। তবে স্থানীয় সূত্র বলেছে, পশুপাখি ও তাদের খাবার বিক্রির জন্য আলোকিত পরিবেশ দরকার। এর সঙ্গে গাছগুলো উধাও হওয়ার কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে।

কাঁটাবন মার্কেটের গাছ উধাও ও ফুটপাত দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাকুয়া অ্যান্ড পেটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা গাছের যত্ন নেন। কিছু মানুষরূপী অমানুষ গাছগুলো নষ্ট করছে। আর ফুটপাতে মালপত্র না রাখার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করা হয়েছে।

কাঁটাবন মার্কেটের সামনের সড়কদ্বীপের গাছ উধাও হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ ও নগরবিদ ড. ইকবাল হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজধানীতে নব্বই দশকের আগে হর্টিকালচার নামের একটি বিভাগ গাছপালা সংরক্ষণ এবং পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিল। সিটি করপোরেশন আসার পর তারা নিয়মিত কাজ করছে না। তারা উন্নয়নের নামে নানা স্থাপনা তৈরি করে পরিবেশ ধ্বংস করছে। কাঁটাবনে যেসব পশুপাখি বিক্রি করা হয়, সেগুলো কোথা থেকে আনা হচ্ছে, তার নিয়ন্ত্রণ দরকার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।

পুরান ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সদস্যসচিব জাভেদ জাহান বলেন, কোনটি বন্য প্রাণী সেগুলোর সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে আগে। এ বিষয়ে যে আইন রয়েছে, তা সঠিকভাবে পরিপালন করতে হবে। পরিবেশ বিপন্নের জন্য একমাত্র মানুষই দায়ী। শহরের নাগরিকদের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাত মুক্ত রাখতে হবে। কিন্তু ফুটপাত থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করায় সেগুলো দখলে থাকছে। কাঁটাবন এলাকার গাছগুলো কেন মারা যাচ্ছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

খাবারের দাম বেশি রাখার অভিযোগ

মার্কেটে দেখা যায়, অনেক দোকানে পশুপাখির খাবার বিক্রি হচ্ছে। এসব খাবার প্যাকেটজাত ও বিদেশ থেকে আমদানি করা। কিন্তু দাম রাখা হচ্ছে বিক্রেতাদের ইচ্ছেমতো। আরিফ হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমদানিকারকেরা যে দাম বেঁধে দেন, সে দামেই তাঁরা বিক্রি করছেন।

পোষা প্রাণীর খাবার কিনতে আসা রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা আলী হোসেন লিপটন বললেন, তিন-চার মাস আগে বিড়ালের যে খাবার ৬৫ টাকায় কেনা হতো, সে খাবার এখন ৮০-১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে পশুপাখির খাবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বার্ডস প্যালেসের স্বত্বাধিকারী বাবুল হাওলাদার বলেন, প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ থাকলেও দাম লেখা নেই। আর দাম লিখেও লাভ নেই। কারণ তাঁরা আমদানি করার পর ১০-১৫ শতাংশ লাভ যোগ করে বিক্রি করেন। তবে সুপারশপগুলো অনেক বাড়তি দামে তা বিক্রি করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত