Ajker Patrika

১৯৭৫ সালের পর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ২১: ৩৩
১৯৭৫ সালের পর ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা সফল হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা এমনি-এমনি আসে নাই। একজন ঘোষণা দিলেন আর স্বাধীন হয়েছে আমরা সেটাও দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। তখন থেকেই আবার আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। এ সময় আমাদের দিকনির্দেশনা দিতেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আমরা পাকিস্তানি উপনিবেশে পরিণত হয়েছি। বঙ্গবন্ধু সেখান থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি, তাঁদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বাংলাদেশকে এমন পর্যায়ে রেখে যেতে চাই যাতে তারা বলতে পারে আমরা বাঙালি, বাংলাদেশের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দিন বদলের ঘোষণা দিয়ে দেশকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে ৩০ লাখ মানুষ কীভাবে শহীদ হন। আমি বলব যাঁরা এটা বলেন, যশোরের চুকনগরে যান। সবখানে এক দিনে ২২ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের সীমান্ত এলাকায় যান আমরা অনেককে কবর দিতে পারি নাই।’ 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৫৩ বছর আমরা অতিক্রম করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। আমাকেও হত্যার তালিকায় রেখে ছিল। এটা কল্পনা করা যায় মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকেও বহুবার হত্যার পরিকল্পনা করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা আশ্বস্ত হই, শুধু আমরা নই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে।’

ঢাকা বিভাগের কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সরকারের যেই পরিকল্পনা আছে, আমরা চেষ্টা করছি কাজ করার। এখন গৃহহীন কোনো মানুষ নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা এগুলো করতে পারছি।’

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাস রচনা করেছেন। আর আমরা আপনাদের ইতিহাসের ধারক।’ 

ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগরের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান শহীদ, সাবেক সহকারী কমান্ডার প্রমুখ। 

এর আগে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, মারধরে আহত ১৫

বেনজীর আহমেদের বক্তব্যে সব পুলিশ সদস্য ক্ষুব্ধ: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

গাজীপুরে রাতে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা: আরও যা যা জানা গেল

হাসিনার বক্তব্যে ‘ভারতের দায় নেই’, বাংলাদেশের দূতকে পাল্টা তলব

উত্তরায় বাড়ির গ্যারেজে রক্তের ছোপ, নিখোঁজ কেয়ারটেকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত