Ajker Patrika

পদ্মা সেতুর বাসের রুট পারমিটের জট খুলছে

  • ৩ বছর বন্ধ থাকার পর আবার পারমিট চালুর সিদ্ধান্ত।
  • ৭০০-৮০০ আবেদন জমে আছে।
  • ফ্লাইওভারে উঠতে পারবে আন্তজেলা বাস।
  • পারমিট বন্ধে রাজস্ব ও সড়কে শৃঙ্খলার ক্ষতি।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৫০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী বাসের চলাচল ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ীর দিক থেকে গুলিস্তান অভিমুখী ফ্লাইওভার ব্যবহার করে বহু আন্তজেলা বাস রাজধানীতে প্রবেশ করতে থাকে। তবে যানজটের যুক্তি দেখিয়ে তিন বছর আগে এ পথে আন্তজেলা বাসের রুট পারমিট বাতিল করায় দূরপাল্লার বাস চলাচল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। বন্ধ থাকা সেই রুট পারমিট অবশেষে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল রুটে নৌপথে যাত্রী অনেক কমে যায়। অন্যদিকে সড়কপথে অনেক নতুন গাড়ি নামে। সেতু চালু হলে প্রতিদিনই নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হতে থাকে। রুট পারমিট বাতিল করার পরও বাস্তবতার কারণে এ পথে অনেক বাস চলাচল করতে থাকে।

বাস চলা অব্যাহত থাকলেও পারমিট না থাকায় সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে। পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলাও ব্যাহত হয়েছে।

বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক সভায় যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা রুটে আন্তজেলা বাসের রুট পারমিট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তৎকালীন মেয়র ফজলে নূর তাপসের নির্দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গুলিস্তান ফ্লাইওভার দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী বাস চলাচলের অনুমতি বন্ধ করে দেয়।

হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরও বিআরটিএ নতুন কোনো রুট পারমিট দেয়নি। ফলে এক রুটের বাস অন্য রুটে চলে আসে। পুলিশ ধরলে চালকেরা বলেন, তাঁরা আবেদন করেছেন; কিন্তু সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই এ অবস্থায় পুলিশেরও কিছু করার থাকে না।

এ পরিস্থিতিতে রুট পারমিট জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ নেয় সরকার। গত ২৮ জুলাই সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা-গুলিস্তান ফ্লাইওভার ব্যবহার করে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী বাস চলাচলের জন্য রুট পারমিট দেওয়া হবে। সড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিআরটিএ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ এবং পরিবহনমালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী বাসগুলোকে আবার রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যানজট বাড়বে এই অজুহাতে স্থানীয় সরকার রুট পারমিট বন্ধ করেছিল। এ কাজটা বিআরটিএ করলে আইনগতভাবে সঠিক হতো। কারণ বিআরটিএ হলো রুট পারমিটের যথাযথ কর্তৃপক্ষ।’

এই অবস্থান বদলের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘জনস্বার্থে ২০২২ সালের যে অনুরোধে রুট পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা এখন আর কার্যকর রাখার প্রয়োজন নেই। ফলে সিটি করপোরেশনের আর কোনো আপত্তি নেই রুট পারমিট নিয়ে।’

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। দূরপাল্লার পরিবহনমালিকরা বলেছেন, বৈধ রুট পারমিট পাওয়ায় তাঁদের গাড়ি চলাচলে আর কোনো বাধা থাকবে না। এখন যাত্রা আরও স্বচ্ছন্দ হবে যাত্রীদের।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, মেয়র তাপসের ক্ষমতার জোরে পদ্মা সেতুর রুট পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা আইনগতভাবে বৈধ ছিল না। আনুষ্ঠানিক রুট পারমিট না থাকায় ম্যানেজ করে গাড়ি চলেছে। তা-ও পুলিশ মালিকদের বিভিন্ন স্থানে হয়রানি করেছে। দুর্ঘটনা ঘটলে মালিকদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে গত তিন বছরে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তির গাড়িকে ঠিকই পদ্মা সেতু রুটে চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল বিআরটিএ।

বিআরটিএ রুট পারমিট শাখা সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু হয়ে ১৬ রুটে প্রায় ১ হাজার ৭৭৫টি গাড়ির অনুমোদন আছে। এর মধ্যে ৫১৬টির রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ। ১২৫৯টি বাসের রুট পারমিটের মেয়াদ আছে। গত তিন বছরে পারমিটের আরও ৭০০ থেকে ৮০০ আবেদন জমা পড়েছে, যা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জমে থাকা আবেদন নিয়ে বাসমালিকেরা যোগাযোগ করলে যাচাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার নিয়মিতভাবে রুট পারমিট ইস্যু এবং ফ্লাইওভারে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করলে আন্তজেলা বাসের কারণে সৃষ্ট যানজট কিছুটা হলেও কমবে। পরিবহন খাতে অনিয়মও হ্রাস পাবে।

যানজটের বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সুফিয়ান আহমেদ বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার দিয়ে আন্তজেলা বাস চলাচলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো অসুবিধা হবে না। পরিবহনসংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে এ রুটে যাত্রীসেবা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের জেলায় চলাচল করা বাসগুলো পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর রুট বদলালেও নতুন পারমিট নেয়নি। এ কারণেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচিত ছিল সেতু চালুর আগেই রুট পারমিট দেওয়া। এটা সংশ্লিষ্ট সংস্থার পরিকল্পনার ঘাটতি। রুট পারমিট বন্ধ করে রাখা কোনো সমাধান নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত