Ajker Patrika

ফেলানী হত্যার ১৪ বছর: আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান মা

­আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
ফেলানী হত্যার ছবি হাতে ফেলানীর মা-বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেলানী হত্যার ছবি হাতে ফেলানীর মা-বাবা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আগে যে সরকার ছিল, তারা অনেক আশা দিছে। আমার মেয়ে হত্যার বিচার করবে, আমাদের পরিবারের ভরণপোষণ দেবে, বাচ্চাকাচ্চা পড়াশোনা করলে চাকরি দেবে। কিন্তু আইজ পর্যন্ত সরকারের একজন লোকও আসে নাই, মেয়ে হত্যার বিচারটাও পাই নাই। এখন তো নতুন সরকার আসল। এখন যদি বিচারের ব্যবস্থাটা করে। আমি চাই, এই সরকার যেন আন্তর্জাতিক আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করে। এটাই এই সরকারের কাছে আমার দাবি।’

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কুড়িগ্রামের সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পূর্তিতে বিচার চেয়ে এভাবেই দাবি জানান ফেলানীর মা জাহানারা বেগম। ন্যায়বিচার নিয়ে হতাশার তলানিতে পৌঁছেও নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে এমন আশা পোষণ করেন তিনি।

পরিবারের অভাব এবং নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জাহানারা বেগম বলেন, ‘প্রতিবছর মৃত্যুবার্ষিকী আসলে টিএনওর কাছে যাই, ডিসির কাছে যাই। কিন্তু দুই বছর থেকে কোনো সাহায্য পাই না। আমার বাচ্চাগুলাকে কষ্ট করে পড়াশোনা করাইছি। কিন্তু চাকরি নাই। সরকার যেন আমার ছেলের জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করে। ছোট চাকরি হলেও যেন দেয়। তাহলে অন্তত জীবনের বাকি দিনগুলা আমরা বাঁচতে পারব।’

২০১১ সালের এই দিনে (৭ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী। এই দীর্ঘ সময়েও মেয়ে হত্যার বিচার না পেয়ে প্রতিনিয়ত হতাশা ও আক্ষেপ প্রকাশ করে চলেছেন নিহত এই কিশোরীর বাবা-মা। তাঁদের প্রশ্ন, একটি প্রমাণিত হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে আর কত দিন লাগবে? তাঁরা উভয় দেশের সরকারের কাছে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করার সময় বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারতের ‘সীমান্ত নীতি’। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ‘বিচারের’ ব্যবস্থা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফের এই কোর্টে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফের বিশেষ কোর্ট। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় বিচারের দাবি জানান ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা।

২০১৫ সালের ২ জুলাই এই আদালত আবারও ফেলানী হত্যার আত্মস্বীকৃত আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন। দুই দফা অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়ান রায় প্রত্যাখ্যান করে ২০১৫ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে যৌথ রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম এবং ভারতের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী কিরিটি রায়। কিন্তু একের পর এক তারিখ পিছিয়ে আজও সেই রিটের নিষ্পত্তি হয়নি।

সর্বশেষ আজ ৭ জানুয়ারি সেই রিটের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও আবারও তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেলানীর পরিবারকে আইনি পরামর্শ দেওয়াসহ ফেলানীর বাবার সঙ্গে ভারতে একাধিকবার সহযাত্রী হওয়া কুড়িগ্রামের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও একুশে পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন।

ভারতীয় মানবাধিকারকর্মী কিরিটি রায়ের বরাতে তিনি বলেন, ‘আবার তারিখ পিছিয়েছে। কার্যতালিকায় নতুন তারিখ ২৯ জানুয়ারি। আমি মনে করি, ভারতীয় উচ্চ আদালত রিটটির শুনানি নিয়ে ন্যায়বিচার করবেন। ফেলানীর পরিবার ন্যায়বিচার পেলে কারও জয় বা পরাজয় হবে না। সেটা মানবাধিকারের বিজয় হবে।’

‘অমিয় ঘোষ আত্মস্বীকৃত খুনি। সে বলেছে, তার গুলিতে মারা গেছে। খুনিকে সাজা দেওয়াই ন্যায়বিচার, খালাস ন্যায়বিচার নয়। আমরা বিএসএফের আদালতে ন্যায়বিচার পাইনি। ভারতের উচ্চ আদালতের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। তাঁরা যদি ন্যায়বিচার করেন, তাতে ভারতের রাষ্ট্রীয় আইনের সুরক্ষা হবে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সেটা সুরক্ষা দেবে। সেটা মানবতার বিজয় হবে, কারও পরাজয়ের প্রশ্ন আসবে না। মানবাধিকার সংরক্ষিত হবে। তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জবাবদিহির আওতায় আসবে। ট্রিগার ফ্রি থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেসবুকে ঘোষণার ৬ মাস পর টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন এনসিপির

 টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩২
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়ার ছয় মাস পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়া পর্যন্ত এ কমিটি কার্যকর থাকবে বলে এনসিপির অফিশিয়াল পেজে জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৪ জুন এনসিপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয় টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াসহ ২০টি উপজেলা সমন্বয় কমিটি আসছে। সেই ঘোষণার ছয় মাস পর গতকাল রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন মুতাসিম বিল্লাহ (এম বিল্লাহ)। এ ছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন শাহিদ আলম, শফিকুল ইসলাম, কোকিল মিয়াসহ ১০ জন। এ ছাড়া সদস্য পদ পেয়েছেন আরও ২৯ জন। সব মিলিয়ে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট এ সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে।

এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া বলেন, গতকাল ৪০ সদস্যবিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সম্প্রসারণ ও কার্যক্রম গতিশীল করতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী, শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক তিন মানব পাচারকারী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারীকে আটক করেছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ সময় পাহাড়ে বন্দী করে রাখা নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) ও বড় ডেইল এলাকার হেলাল উদ্দীন (৩০)।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েকজনকে পাহাড়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে অভিযান চালান তাঁরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়াসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চলে। অভিযানে পাহাড়ে বন্দী সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় তৈরি একনালা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁদের বিদেশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। পরে পাহাড়ে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল মানব পাচারকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নওগাঁয় বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 নওগাঁ প্রতিনিধি
পোরশা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পোরশা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর পোরশায় মজিবর রহমান (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মশিদপুর ইউনিয়নের গোরখাই গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মজিবর রহমান গোরখাই গ্রামের মৃত ধলা মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমান গতকাল রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে আজ সকালে বাড়ির পাশে ঘোলাকুড়ি এলাকার একটি গাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৮
রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

‎‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের ঘটনাস্থলে যায়।‎

‎পুলিশ জানায়, আজ সকালে দুই নারীর মরদেহের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় থাকতেন তাঁরা। গত তিন দিন আগে আয়েশা নামের এক গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজে আসেন। ঘটনার পর সেই গৃহকর্মী পলাতক রয়েছে।

নিহত দুই নারী হলেন— লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে (১৫)। লায়লার স্বামীর নাম এ জেড আজিজুল ইসলাম। মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ভবনের ৭তম তলায় থাকেন।

পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা, এই হত্যার পেছনে গৃহকর্মী আয়েশার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ দু’টির সুরতহাল করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় পাওয়া পাওয়া যাবে বলেও জানায় পুলিশ।‎

‎তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। জড়িতদের দ্রুতই চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত