রাজধানীতে অবৈধ যান
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইকের এসব গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টেরও কোনো অনুমতি নেই। এরপরও কিছুর ধার না ধেরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, তাদের ১০ অপরাধ বিভাগের মধ্যে আট বিভাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ ৪৮ হাজার ১৩৬টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৯৯২টি গ্যারেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু মিরপুর বিভাগেই রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজ। বাকি দুই বিভাগ ধরলে ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ ১ হাজার ২৫০টির বেশি। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ডিএমপি গত এপ্রিলে এসব অবৈধ চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজের তালিকা তৈরি করেছে। পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। গ্যারেজের জমি ও বাড়িমালিকদের সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, একটি তালিকা করা হয়েছে, এটি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তারা পুলিশের সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হয়।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ডিএমপির তালিকায় থাকা ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টের বেশির ভাগ মিরপুর বিভাগের সাত থানা এলাকায়। থানাগুলো হলো মিরপুর মডেল, পল্লবী, কাফরুল, শাহ আলী, দারুস সালাম, রূপনগর ও ভাষানটেক। এসব থানা এলাকার ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজকে অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। ডিএমপির অপর সাতটি অপরাধ বিভাগে অবৈধ ৯ হাজার চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৩৩টি গ্যারেজের তালিকা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ওয়ারী বিভাগে ৩ হাজার ৫১৬ চার্জিং পয়েন্ট ও ১৩৬টি গ্যারেজ, গুলশান বিভাগে ২ হাজার ৬৪৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ১২৮টি গ্যারেজ, উত্তরায় ১ হাজার ৩০৫টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭২টি গ্যারেজ, মতিঝিল বিভাগে ১ হাজার ৩৯০টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৬০টি গ্যারেজ, লালবাগে ১৯৯টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৭টি গ্যারেজ রয়েছে।
এ ছাড়া তেজগাঁও বিভাগে ২৩৪টি এবং রমনা বিভাগে ২৬টি অবৈধ গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তবে এই দুই বিভাগের চার্জিং পয়েন্টগুলোর তথ্য সংগ্রহ করেনি তারা।
ডিএমপির তালিকা ধরে কয়েকটি এলাকার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট সম্প্রতি ঘুরে দেখা হয়। মূলত খালি প্লটে টিন-বাঁশ দিয়ে বা বড় টিনশেড ঘরকে গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে মাচায় রিকশাচালকদের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে রিকশা বা অটোরিকশা রেখে চার্জ দেওয়া হয়।
শাহ আলীর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বউবাজার এলাকার ৬ নম্বর সড়কে পাওয়া গেল ‘রবিউল ভাইয়ের গ্যারেজ’। সরেজমিনে গত মাসে গ্যারেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কয়েক ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা। পাশেই একটি টং দোকানে কয়েকজন তরুণ বসা। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই অটোচালক। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা জমায় অটোরিকশা চালান। কাউকে কাউকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেল। গ্যারেজটি দেখাশোনা করেন আলিম নামের এক যুবক।
আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি গ্যারেজে রশিতে রশিতে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। কয়েকটি রিকশার ব্যাটারি চার্জে দেওয়া হয়েছে। আলিম বলেন, গ্যারেজের বয়স দুই বছর। গ্যারেজটি করেছেন রবিউল নামের এক ব্যক্তি। এখানে ৫০ থেকে ৬০ জন মালিকের অটোরিকশা রাখা হয়। তিনি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
মোহাম্মদপুরে গিয়ে দেখা গেছে, একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্কশপেও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিছু এলাকায় কেবল চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে আবাসিক লাইন থেকে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী।
মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কের মসজিদের পেছনে একটি প্লটে টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটি চালান সালাম নামের একজন। জানা যায়, প্লটটিতে প্রথমে টিনের ছোট ছোট কক্ষ ছিল, পরে সেগুলো ভেঙে অটোরিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে দেন। এরপর জমা ও চালকের ব্যবস্থা গ্যারেজ করে। চালকেরা গ্যারেজেই থাকেন। তাঁরা জমার টাকা দিলে সেখান থেকে একটি অংশ গ্যারেজ ভাড়া ও চার্জের খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা মালিককে দেওয়া হয়।
একটি গ্যারেজে অটোরিকশাচালক সাদ্দাম বলেন, তাঁরা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৪০০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত—সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তাঁরা জানেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সব ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি জানান, এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ডেসকোর সহায়তায় বন্ধ করা হবে।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইকের এসব গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টেরও কোনো অনুমতি নেই। এরপরও কিছুর ধার না ধেরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, তাদের ১০ অপরাধ বিভাগের মধ্যে আট বিভাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ ৪৮ হাজার ১৩৬টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৯৯২টি গ্যারেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু মিরপুর বিভাগেই রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজ। বাকি দুই বিভাগ ধরলে ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ ১ হাজার ২৫০টির বেশি। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ডিএমপি গত এপ্রিলে এসব অবৈধ চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজের তালিকা তৈরি করেছে। পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। গ্যারেজের জমি ও বাড়িমালিকদের সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, একটি তালিকা করা হয়েছে, এটি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তারা পুলিশের সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হয়।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ডিএমপির তালিকায় থাকা ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টের বেশির ভাগ মিরপুর বিভাগের সাত থানা এলাকায়। থানাগুলো হলো মিরপুর মডেল, পল্লবী, কাফরুল, শাহ আলী, দারুস সালাম, রূপনগর ও ভাষানটেক। এসব থানা এলাকার ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজকে অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। ডিএমপির অপর সাতটি অপরাধ বিভাগে অবৈধ ৯ হাজার চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৩৩টি গ্যারেজের তালিকা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ওয়ারী বিভাগে ৩ হাজার ৫১৬ চার্জিং পয়েন্ট ও ১৩৬টি গ্যারেজ, গুলশান বিভাগে ২ হাজার ৬৪৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ১২৮টি গ্যারেজ, উত্তরায় ১ হাজার ৩০৫টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭২টি গ্যারেজ, মতিঝিল বিভাগে ১ হাজার ৩৯০টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৬০টি গ্যারেজ, লালবাগে ১৯৯টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৭টি গ্যারেজ রয়েছে।
এ ছাড়া তেজগাঁও বিভাগে ২৩৪টি এবং রমনা বিভাগে ২৬টি অবৈধ গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তবে এই দুই বিভাগের চার্জিং পয়েন্টগুলোর তথ্য সংগ্রহ করেনি তারা।
ডিএমপির তালিকা ধরে কয়েকটি এলাকার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট সম্প্রতি ঘুরে দেখা হয়। মূলত খালি প্লটে টিন-বাঁশ দিয়ে বা বড় টিনশেড ঘরকে গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে মাচায় রিকশাচালকদের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে রিকশা বা অটোরিকশা রেখে চার্জ দেওয়া হয়।
শাহ আলীর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বউবাজার এলাকার ৬ নম্বর সড়কে পাওয়া গেল ‘রবিউল ভাইয়ের গ্যারেজ’। সরেজমিনে গত মাসে গ্যারেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কয়েক ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা। পাশেই একটি টং দোকানে কয়েকজন তরুণ বসা। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই অটোচালক। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা জমায় অটোরিকশা চালান। কাউকে কাউকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেল। গ্যারেজটি দেখাশোনা করেন আলিম নামের এক যুবক।
আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি গ্যারেজে রশিতে রশিতে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। কয়েকটি রিকশার ব্যাটারি চার্জে দেওয়া হয়েছে। আলিম বলেন, গ্যারেজের বয়স দুই বছর। গ্যারেজটি করেছেন রবিউল নামের এক ব্যক্তি। এখানে ৫০ থেকে ৬০ জন মালিকের অটোরিকশা রাখা হয়। তিনি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
মোহাম্মদপুরে গিয়ে দেখা গেছে, একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্কশপেও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিছু এলাকায় কেবল চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে আবাসিক লাইন থেকে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী।
মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কের মসজিদের পেছনে একটি প্লটে টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটি চালান সালাম নামের একজন। জানা যায়, প্লটটিতে প্রথমে টিনের ছোট ছোট কক্ষ ছিল, পরে সেগুলো ভেঙে অটোরিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে দেন। এরপর জমা ও চালকের ব্যবস্থা গ্যারেজ করে। চালকেরা গ্যারেজেই থাকেন। তাঁরা জমার টাকা দিলে সেখান থেকে একটি অংশ গ্যারেজ ভাড়া ও চার্জের খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা মালিককে দেওয়া হয়।
একটি গ্যারেজে অটোরিকশাচালক সাদ্দাম বলেন, তাঁরা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৪০০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত—সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তাঁরা জানেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সব ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি জানান, এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ডেসকোর সহায়তায় বন্ধ করা হবে।
রাজধানীতে অবৈধ যান
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইকের এসব গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টেরও কোনো অনুমতি নেই। এরপরও কিছুর ধার না ধেরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, তাদের ১০ অপরাধ বিভাগের মধ্যে আট বিভাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ ৪৮ হাজার ১৩৬টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৯৯২টি গ্যারেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু মিরপুর বিভাগেই রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজ। বাকি দুই বিভাগ ধরলে ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ ১ হাজার ২৫০টির বেশি। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ডিএমপি গত এপ্রিলে এসব অবৈধ চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজের তালিকা তৈরি করেছে। পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। গ্যারেজের জমি ও বাড়িমালিকদের সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, একটি তালিকা করা হয়েছে, এটি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তারা পুলিশের সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হয়।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ডিএমপির তালিকায় থাকা ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টের বেশির ভাগ মিরপুর বিভাগের সাত থানা এলাকায়। থানাগুলো হলো মিরপুর মডেল, পল্লবী, কাফরুল, শাহ আলী, দারুস সালাম, রূপনগর ও ভাষানটেক। এসব থানা এলাকার ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজকে অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। ডিএমপির অপর সাতটি অপরাধ বিভাগে অবৈধ ৯ হাজার চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৩৩টি গ্যারেজের তালিকা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ওয়ারী বিভাগে ৩ হাজার ৫১৬ চার্জিং পয়েন্ট ও ১৩৬টি গ্যারেজ, গুলশান বিভাগে ২ হাজার ৬৪৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ১২৮টি গ্যারেজ, উত্তরায় ১ হাজার ৩০৫টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭২টি গ্যারেজ, মতিঝিল বিভাগে ১ হাজার ৩৯০টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৬০টি গ্যারেজ, লালবাগে ১৯৯টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৭টি গ্যারেজ রয়েছে।
এ ছাড়া তেজগাঁও বিভাগে ২৩৪টি এবং রমনা বিভাগে ২৬টি অবৈধ গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তবে এই দুই বিভাগের চার্জিং পয়েন্টগুলোর তথ্য সংগ্রহ করেনি তারা।
ডিএমপির তালিকা ধরে কয়েকটি এলাকার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট সম্প্রতি ঘুরে দেখা হয়। মূলত খালি প্লটে টিন-বাঁশ দিয়ে বা বড় টিনশেড ঘরকে গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে মাচায় রিকশাচালকদের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে রিকশা বা অটোরিকশা রেখে চার্জ দেওয়া হয়।
শাহ আলীর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বউবাজার এলাকার ৬ নম্বর সড়কে পাওয়া গেল ‘রবিউল ভাইয়ের গ্যারেজ’। সরেজমিনে গত মাসে গ্যারেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কয়েক ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা। পাশেই একটি টং দোকানে কয়েকজন তরুণ বসা। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই অটোচালক। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা জমায় অটোরিকশা চালান। কাউকে কাউকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেল। গ্যারেজটি দেখাশোনা করেন আলিম নামের এক যুবক।
আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি গ্যারেজে রশিতে রশিতে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। কয়েকটি রিকশার ব্যাটারি চার্জে দেওয়া হয়েছে। আলিম বলেন, গ্যারেজের বয়স দুই বছর। গ্যারেজটি করেছেন রবিউল নামের এক ব্যক্তি। এখানে ৫০ থেকে ৬০ জন মালিকের অটোরিকশা রাখা হয়। তিনি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
মোহাম্মদপুরে গিয়ে দেখা গেছে, একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্কশপেও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিছু এলাকায় কেবল চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে আবাসিক লাইন থেকে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী।
মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কের মসজিদের পেছনে একটি প্লটে টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটি চালান সালাম নামের একজন। জানা যায়, প্লটটিতে প্রথমে টিনের ছোট ছোট কক্ষ ছিল, পরে সেগুলো ভেঙে অটোরিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে দেন। এরপর জমা ও চালকের ব্যবস্থা গ্যারেজ করে। চালকেরা গ্যারেজেই থাকেন। তাঁরা জমার টাকা দিলে সেখান থেকে একটি অংশ গ্যারেজ ভাড়া ও চার্জের খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা মালিককে দেওয়া হয়।
একটি গ্যারেজে অটোরিকশাচালক সাদ্দাম বলেন, তাঁরা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৪০০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত—সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তাঁরা জানেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সব ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি জানান, এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ডেসকোর সহায়তায় বন্ধ করা হবে।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করা ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইকের এসব গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টেরও কোনো অনুমতি নেই। এরপরও কিছুর ধার না ধেরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তালিকা অনুযায়ী, তাদের ১০ অপরাধ বিভাগের মধ্যে আট বিভাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ ৪৮ হাজার ১৩৬টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৯৯২টি গ্যারেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে শুধু মিরপুর বিভাগেই রয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজ। বাকি দুই বিভাগ ধরলে ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ ১ হাজার ২৫০টির বেশি। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ডিএমপি গত এপ্রিলে এসব অবৈধ চার্জিং পয়েন্ট ও গ্যারেজের তালিকা তৈরি করেছে। পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। গ্যারেজের জমি ও বাড়িমালিকদের সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, একটি তালিকা করা হয়েছে, এটি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তারা পুলিশের সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হয়।
পুলিশের সূত্র বলেছে, ডিএমপির তালিকায় থাকা ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টের বেশির ভাগ মিরপুর বিভাগের সাত থানা এলাকায়। থানাগুলো হলো মিরপুর মডেল, পল্লবী, কাফরুল, শাহ আলী, দারুস সালাম, রূপনগর ও ভাষানটেক। এসব থানা এলাকার ৩৯ হাজার ৮৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ২৫৯টি গ্যারেজকে অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে পুলিশ। ডিএমপির অপর সাতটি অপরাধ বিভাগে অবৈধ ৯ হাজার চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৩৩টি গ্যারেজের তালিকা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ওয়ারী বিভাগে ৩ হাজার ৫১৬ চার্জিং পয়েন্ট ও ১৩৬টি গ্যারেজ, গুলশান বিভাগে ২ হাজার ৬৪৩টি চার্জিং পয়েন্ট ও ১২৮টি গ্যারেজ, উত্তরায় ১ হাজার ৩০৫টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭২টি গ্যারেজ, মতিঝিল বিভাগে ১ হাজার ৩৯০টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৬০টি গ্যারেজ, লালবাগে ১৯৯টি চার্জিং পয়েন্ট ও ৭৭টি গ্যারেজ রয়েছে।
এ ছাড়া তেজগাঁও বিভাগে ২৩৪টি এবং রমনা বিভাগে ২৬টি অবৈধ গ্যারেজের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তবে এই দুই বিভাগের চার্জিং পয়েন্টগুলোর তথ্য সংগ্রহ করেনি তারা।
ডিএমপির তালিকা ধরে কয়েকটি এলাকার অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট সম্প্রতি ঘুরে দেখা হয়। মূলত খালি প্লটে টিন-বাঁশ দিয়ে বা বড় টিনশেড ঘরকে গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে মাচায় রিকশাচালকদের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে রিকশা বা অটোরিকশা রেখে চার্জ দেওয়া হয়।
শাহ আলীর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বউবাজার এলাকার ৬ নম্বর সড়কে পাওয়া গেল ‘রবিউল ভাইয়ের গ্যারেজ’। সরেজমিনে গত মাসে গ্যারেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে কয়েক ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা। পাশেই একটি টং দোকানে কয়েকজন তরুণ বসা। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই অটোচালক। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা জমায় অটোরিকশা চালান। কাউকে কাউকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেল। গ্যারেজটি দেখাশোনা করেন আলিম নামের এক যুবক।
আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি গ্যারেজে রশিতে রশিতে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। কয়েকটি রিকশার ব্যাটারি চার্জে দেওয়া হয়েছে। আলিম বলেন, গ্যারেজের বয়স দুই বছর। গ্যারেজটি করেছেন রবিউল নামের এক ব্যক্তি। এখানে ৫০ থেকে ৬০ জন মালিকের অটোরিকশা রাখা হয়। তিনি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
মোহাম্মদপুরে গিয়ে দেখা গেছে, একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্কশপেও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিছু এলাকায় কেবল চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে আবাসিক লাইন থেকে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী।
মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কের মসজিদের পেছনে একটি প্লটে টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজটি চালান সালাম নামের একজন। জানা যায়, প্লটটিতে প্রথমে টিনের ছোট ছোট কক্ষ ছিল, পরে সেগুলো ভেঙে অটোরিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট বানানো হয়েছে। সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে দেন। এরপর জমা ও চালকের ব্যবস্থা গ্যারেজ করে। চালকেরা গ্যারেজেই থাকেন। তাঁরা জমার টাকা দিলে সেখান থেকে একটি অংশ গ্যারেজ ভাড়া ও চার্জের খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা মালিককে দেওয়া হয়।
একটি গ্যারেজে অটোরিকশাচালক সাদ্দাম বলেন, তাঁরা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৪০০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত—সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তাঁরা জানেন না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সব ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি জানান, এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ডেসকোর সহায়তায় বন্ধ করা হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২০ মিনিট আগে
এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়া তন্বীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
১২ জুন ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২০ মিনিট আগে
এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়া তন্বীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৪ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
১২ জুন ২০২৫
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২০ মিনিট আগে
এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়া তন্বীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৪ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
১২ জুন ২০২৫
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়া তন্বীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৪ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।
এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’
এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।
চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।
ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব কাজ করছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।
এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’
এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।
চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।
ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব কাজ করছে।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলীর উত্তর বিশিল বউবাজারসহ বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অসংখ্য ঘর। ঘরগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশার (অটোরিকশা) গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট (ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়)। একেকটি গ্যারেজে ৮০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত রিকশা রাখা হয়।
১২ জুন ২০২৫
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২০ মিনিট আগে