মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল। মারুফের নামে সরকারি ক্যাপিটেশন তহবিল থেকে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে উত্তোলন করছেন।
শুধু স্বপনই নন; মৃত দেখানো হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের আরও বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর বাবাকে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জানা যায়, ১৯৯১ সালে আবুল হাশেম নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড তালিকাভুক্ত হয়। শুরুতে ১০ জন ছাত্র এ সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২৫ সালে এই মাদ্রাসার ১০২ জন এতিমের নামে ক্যাপিটেশন সুবিধা চালু করা হয়। মাদ্রাসাটিতে ২১৪ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে ১১৯ জনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বাকি ৯৫ জনের প্রমাণ মেলেনি। অথচ চলতি বছরের জুনে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা করে ১০২ জন এতিম ছাত্রের অনুকূলে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে উত্তোলন করেছেন মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মৃত দেখিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বিষয়টি জানার পর অবাক হয়েছেন ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও। জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে বিনা বেতনে পড়াশোনার কথা বলা হলেও প্রতি মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ১৫০০ টাকা করে বেতন পরিশোধ করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মারুফের বাবা স্বপন বলেন, ‘আমি তো জীবিত। আমার ছেলে এতিম হয় কী করে? আমার ছেলেকে দ্বীনি শিক্ষালাভ করার জন্য এই মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি। প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে আমি বেতন পরিশোধ করছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোবিন্দপুর গ্রামের দুই ভাই মো. আরিফ ও মো. হাসান এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয় ২০২২ সালে। তাদের বাবা মো. ইয়াছিন জীবিত। তিনি ওমানপ্রবাসী। মাদ্রাসার তালিকায় ইয়াছিনকে মৃত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি শুনে ইয়াছিনের স্ত্রী হাছিনা বেগম অবাক হন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী জীবিত, তিনি ওমানে আছেন। তিনি মারা গেলেন কবে? আমার ছেলেরা তো এতিম নয়। প্রতি মাসে ১৫০০ করে ৩ হাজার টাকা আমি মাদ্রাসায় ছেলেদের পড়াশোনার বেতন বাবদ পরিশোধ করে আসছি।’
এদিকে মাদ্রাসার তালিকায় দেখা গেছে, ইয়াছিনকে মৃত দেখানো হয় ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি। এভাবেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মৃত দেখিয়ে প্রতিবছর সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ছাত্রদের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩৪৮ জন এতিম সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড সুবিধা পাচ্ছে। যার মধ্যে ১০২ জনই হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসার ছাত্র।
ওই মাদ্রাসার এক ছাত্র জানায়, ‘অনেক সময় বাহির থেকে স্যারেরা এলে বড় হুজুর (হাফেজ বেলাল) আমাদেরকে শিখিয়ে দেন তোমরা বলবা তোমাদের বাবা নেই এবং তোমাদের থেকে কোনো বেতন নেওয়া হচ্ছে না। আমরা অস্বীকার করলে তিনি আমাদেরকে বেত্রাঘাত করেন। তাই ভয়ে বলি, আমাদের বাবা নেই, আমরা এতিম।’
জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল বলেন, ‘কম্পিউটার টাইপে তালিকা ভুল হয়েছে। তাই এমনটি হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাবা মৃত্যুসনদ দিয়েছেন, তাই তাদের এতিম দেখানো হচ্ছে। তবে এ বক্তব্যের বিপরীতে তিনি কোনো শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যুসনদ এই প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি।
উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদনের জন্য অন্তত দুইবার মাদ্রাসাটি পরিদর্শন ও তথ্য যাচাই করি। সরেজমিনে সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়া গেছে।’ কিছু প্রমাণ সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দেখানো হলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করতে পারি না। মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে যে তথ্য আমাদের সরবরাহ করা হয়, তা সঠিক বলে আমরা বিবেচনা করি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের জীবিত বাবাকে মৃত দেখিয়ে ক্যাপিটেশন সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল। মারুফের নামে সরকারি ক্যাপিটেশন তহবিল থেকে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে উত্তোলন করছেন।
শুধু স্বপনই নন; মৃত দেখানো হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের আরও বেশ কয়েক শিক্ষার্থীর বাবাকে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। জানা যায়, ১৯৯১ সালে আবুল হাশেম নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড তালিকাভুক্ত হয়। শুরুতে ১০ জন ছাত্র এ সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২৫ সালে এই মাদ্রাসার ১০২ জন এতিমের নামে ক্যাপিটেশন সুবিধা চালু করা হয়। মাদ্রাসাটিতে ২১৪ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে ১১৯ জনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বাকি ৯৫ জনের প্রমাণ মেলেনি। অথচ চলতি বছরের জুনে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা করে ১০২ জন এতিম ছাত্রের অনুকূলে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে উত্তোলন করেছেন মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মৃত দেখিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি বিষয়টি জানার পর অবাক হয়েছেন ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও। জানা গেছে, মাদ্রাসাটিতে বিনা বেতনে পড়াশোনার কথা বলা হলেও প্রতি মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ১৫০০ টাকা করে বেতন পরিশোধ করে আসছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মারুফের বাবা স্বপন বলেন, ‘আমি তো জীবিত। আমার ছেলে এতিম হয় কী করে? আমার ছেলেকে দ্বীনি শিক্ষালাভ করার জন্য এই মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি। প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে আমি বেতন পরিশোধ করছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোবিন্দপুর গ্রামের দুই ভাই মো. আরিফ ও মো. হাসান এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয় ২০২২ সালে। তাদের বাবা মো. ইয়াছিন জীবিত। তিনি ওমানপ্রবাসী। মাদ্রাসার তালিকায় ইয়াছিনকে মৃত দেখানো হয়েছে। বিষয়টি শুনে ইয়াছিনের স্ত্রী হাছিনা বেগম অবাক হন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী জীবিত, তিনি ওমানে আছেন। তিনি মারা গেলেন কবে? আমার ছেলেরা তো এতিম নয়। প্রতি মাসে ১৫০০ করে ৩ হাজার টাকা আমি মাদ্রাসায় ছেলেদের পড়াশোনার বেতন বাবদ পরিশোধ করে আসছি।’
এদিকে মাদ্রাসার তালিকায় দেখা গেছে, ইয়াছিনকে মৃত দেখানো হয় ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি। এভাবেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মৃত দেখিয়ে প্রতিবছর সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ছাত্রদের নামে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩৪৮ জন এতিম সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ড সুবিধা পাচ্ছে। যার মধ্যে ১০২ জনই হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসার ছাত্র।
ওই মাদ্রাসার এক ছাত্র জানায়, ‘অনেক সময় বাহির থেকে স্যারেরা এলে বড় হুজুর (হাফেজ বেলাল) আমাদেরকে শিখিয়ে দেন তোমরা বলবা তোমাদের বাবা নেই এবং তোমাদের থেকে কোনো বেতন নেওয়া হচ্ছে না। আমরা অস্বীকার করলে তিনি আমাদেরকে বেত্রাঘাত করেন। তাই ভয়ে বলি, আমাদের বাবা নেই, আমরা এতিম।’
জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ বেলাল বলেন, ‘কম্পিউটার টাইপে তালিকা ভুল হয়েছে। তাই এমনটি হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাবা মৃত্যুসনদ দিয়েছেন, তাই তাদের এতিম দেখানো হচ্ছে। তবে এ বক্তব্যের বিপরীতে তিনি কোনো শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যুসনদ এই প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি।
উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদনের জন্য অন্তত দুইবার মাদ্রাসাটি পরিদর্শন ও তথ্য যাচাই করি। সরেজমিনে সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়া গেছে।’ কিছু প্রমাণ সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দেখানো হলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করতে পারি না। মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে যে তথ্য আমাদের সরবরাহ করা হয়, তা সঠিক বলে আমরা বিবেচনা করি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের জীবিত বাবাকে মৃত দেখিয়ে ক্যাপিটেশন সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৬ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৬ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি পুরোপুরি থামার আগেই নামার চেষ্টা করলে মজনু পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার (ইনচার্জ) আবু হান্নান বলেন, ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর খবর পান একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ রোববার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি পুরোপুরি থামার আগেই নামার চেষ্টা করলে মজনু পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার (ইনচার্জ) আবু হান্নান বলেন, ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর খবর পান একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ রোববার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৬ মিনিট আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. স্বপন। তাঁর ছেলে মো. মারুফ হোসেনকে স্থানীয় হাজারীপাড়া হাফেজিয়া এতিমখানা ও নূরানি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির তালিকা অনুযায়ী স্বপন মারা গেছেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৬ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে