মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে নদী মোহনার নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যেন দখলের মচ্ছব চলছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে তিন-চার শ গজ এগোলেই কস্তুরাঘাট। গত কয়েক মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় নদীবন্দরের জন্য নির্ধারিত জমিও দখল হয়ে গেছে। নৌবন্দরের ৩০০ একর জায়গাজুড়ে এখন পাকা দালান ও স্থাপনা।
কক্সবাজার শহরের সঙ্গে নদীর ওপারের খুরুশকূলের সংযোগ স্থাপনের জন্য দুই বছর আগে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়ক তৈরি করা হয়েছে কস্তুরাঘাটে। সেতুটিতে উঠতেই বাঁ পাশে নৌবন্দরের জমি, ডান পাশে কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার ভাগাড়। এই ভাগাড় থেকে পূর্ব দিকে শহরের মাঝিরঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। এই সেতু ও সড়ক তৈরির পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতীরের জমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভুয়া কাগজপত্র বানানোর অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২০১৩ সাল থেকে বাঁকখালীর পাড়ে পৌরসভার বর্জ্য ফেলা শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে ভাগাড়টিই দখলের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কস্তুরাঘাট সেতুর দুই পাশের চার শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেয়। দখলমুক্ত করা হয় নৌবন্দরের জমি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি দখলে গত ৫ আগস্টের পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে দখলদার চক্র। দখলদারেরা এরই মধ্যে নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত হাজারো স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
স্থানীয় টেকপাড়ার বাসিন্দা আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে নদীতীরের জমি দখল করা হয়েছে। আবার এসব নদী দখলদারদের অন্যতম হাতিয়ার আদালতের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু কথা হলো, জমির মালিকানা যদি সঠিক থাকে তাহলে কেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিতে হবে। এতে বোঝা যায় কাগজপত্রগুলো সবই ভুয়া!’
নদীতীরের জমি দখল করে দালান ও স্থাপনা তৈরি হচ্ছে বলে স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, ‘কেউ কেউ এসব স্থাপনা ব্যক্তিগত জমিতে করা হচ্ছে দাবি করে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়। এর মধ্যে কাগজপত্র দেখে নদীতীরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
উপকূল রক্ষার প্রহরী উজাড়
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে সৃষ্ট বাঁকখালী নদী রামুর ওপর দিয়ে কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ হয়ে আঁকাবাঁকা পথে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলে। সেই নদীর তীরে এক যুগ আগে গড়ে তোলা হয়েছিল প্যারাবন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো সামুদ্রিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ বনাঞ্চল প্রহরীর ভূমিকায় ছিল। ক্রমান্বয়ে প্যারাবন উজাড় করে সেই জমিতে খননযন্ত্র দিয়ে নদী থেকে মাটি তুলে রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভরাট করা জমিতে টিনের ঘের দিয়ে প্লট আলাদা করা। তীরের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ায় নদীর গতিপথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মীরা জানান, ২০২১ সাল থেকে এই প্যারাবনের লক্ষাধিক বাইন ও কেওড়াগাছ উজাড় করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থলসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে অন্তত ৪০০ একর প্যারাবন এবং নৌবন্দরের জমি দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় বাঁকখালী নদীর তীর দখল হচ্ছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাঁচটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি দখলের ঘটনায় কয়েকজন দখলদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) তাঁর কার্যালয়ে শুনানি রয়েছে।
তালিকা হলেও দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
২০২০ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩০ জন দখলদারের নতুন তালিকা করেছিল। ওই তালিকায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানসহ প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীর নাম রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি কস্তুরাঘাটে বাঁকখালীর তীর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের নামে কোনো সাইনবোর্ড লাগাননি কিংবা অন্য কোনোভাবে নাম ব্যবহার করেননি। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসন দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বাঁকখালী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে জেনেই কিছু ব্যক্তি জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভুয়া কাগজ বানিয়ে নদীর তীরের জমির মালিকানা দাবি করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা মতে, নদীর জমি উদ্ধারে একটি জরিপ প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির এ জরিপ শেষ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে আসছেন। বিকেলে নৌবন্দরের জমির সীমানা পিলার নির্ধারণ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন দুই উপদেষ্টা।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
২১ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় সোহান ও তাঁর মা তহুরুন্নেছাকে (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা তহুরুন্নেছা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। আর আহত নানি আবেজান বেগম (৬৫) ও বড় ভাই মাহমুদুল হাসান রোহানকে (১৩) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত সোহানের খালা রুনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার পুলঘাট গ্রামে। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁরা। সোহানের বাবা রওনক হাসান আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। সোহান ও রোহান এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের মা অন্যের বাসায় কাজ করে।
রুনা বেগম আরও জানান, গত সোমবার তাঁর মা, বোন ও বোনের দুই ছেলে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে আসে। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। উত্তরা বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাদের প্রথমে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিশু সোহান ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উত্তরা পূর্ব থানায় অবগত করা হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
২১ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আজ শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
কনকচাঁপা জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।
ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা লেখেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না। ওসমান হাদি বারবার বলেছেন, “আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই।” তা ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভালো সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে আহ্বান জানাতেন। শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ যারা করেছে, তারা কখনো শান্তিপূর্ণ দেশপ্রেমিক হতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন কনকচাঁপা। তিনি লেখেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু দাস নামের একজন সনাতন ভাইকে একটা গোষ্ঠী ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যদি তিনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন, তবে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত ছিল। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনো ধার্মিক মানুষের কাজ হতে পারে না। দেশের সর্বস্তরের সকল ধর্ম, মত ও আদর্শের মানুষের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে বিনীত অনুরোধ করছি। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর উসকানি, গুজব ও ইন্ধনে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি করবেন না।’

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা গ্রামের মনোহর আলমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকায় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশায় থাকা শিশু তানিয়া ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা গ্রামের মনোহর আলমের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকায় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন অটোরিকশায় থাকা শিশু তানিয়া ও তার মা-বাবাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
২১ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম জান্নাত হোসেন (২৭)। তিনি নয়ানগর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়ানগর গ্রামের শাহিন রাঢ়ির দুই ছেলে তারেক ও রিয়াদের মধ্যে অনেক দিন ধরে ঝগড়া চলছে। আজ সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হলে তা থামাতে প্রতিবেশী যুবক জান্নাত হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দুই ভাইয়ের হাতেই ধারালো দা ছিল। একপর্যায়ে রিয়াদ তাঁর ভাই তারেককে লক্ষ্য করে দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে তা জান্নাত হোসেনের শরীরে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গজারিয়ার হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারিয়া মোস্তারি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে জান্নাত হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি।’
এদিকে নিহত জান্নাত হোসেনের ভাগনি সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘তারেক ও রিয়াদ নেশাগ্রক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। পরিকল্পিতভাবেই তারা আমার মামাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দায়ের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম জান্নাত হোসেন (২৭)। তিনি নয়ানগর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়ানগর গ্রামের শাহিন রাঢ়ির দুই ছেলে তারেক ও রিয়াদের মধ্যে অনেক দিন ধরে ঝগড়া চলছে। আজ সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হলে তা থামাতে প্রতিবেশী যুবক জান্নাত হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দুই ভাইয়ের হাতেই ধারালো দা ছিল। একপর্যায়ে রিয়াদ তাঁর ভাই তারেককে লক্ষ্য করে দা দিয়ে কোপ দিতে গেলে তা জান্নাত হোসেনের শরীরে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে গজারিয়ার হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারিয়া মোস্তারি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে জান্নাত হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি।’
এদিকে নিহত জান্নাত হোসেনের ভাগনি সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘তারেক ও রিয়াদ নেশাগ্রক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। পরিকল্পিতভাবেই তারা আমার মামাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় ট্রাকচাপায় সোহান শেখ (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উত্তরা বিএনএস সেন্টার ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় শিশুটির মা, নানি ও বড় ভাই আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরের প্রতিক্রিয়ায় দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা হামলা, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগ করেছে; তারা কখনোই ওসমান হাদির আদর্শের হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
২১ মিনিট আগে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ায় তানিয়া আকতার (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে