Ajker Patrika

মাহুতের মমতায় বেড়ে উঠছে ‘বীর বাহাদুর’

বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার) 
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ৫০
মাহুতের মমতায় বেড়ে উঠছে ‘বীর বাহাদুর’। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাহুতের মমতায় বেড়ে উঠছে ‘বীর বাহাদুর’। ছবি: আজকের পত্রিকা

চারদিকে গর্জনগাছ ঘেরা একটি হাসপাতাল। প্রবেশ করতেই পশু-পাখির শব্দ কানে ভেসে আসে। সেখানে মানুষ নয়, প্রাণীদের চিকিৎসা হয়। এটি কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতাল।

এক মাস বয়সী একটি হস্তীশাবক কাদা মাটিতে আটকে পড়া থেকে উদ্ধার করে ঠাঁই হয় এ হাসপাতালে। পার্ক কর্তৃপক্ষ শাবকটির নাম রেখেছে ‘বীর বাহাদুর। শাবকটি এক বছর তিন মাস ধরে হাসপাতালের শেডে বড় হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বীর বাহাদুর খুনসুটি, দৌড়াদৌড়ি ও খেলতে পছন্দ করে। এক মাস বয়স থেকে মাহুতের কাছে বড় হচ্ছে। এ শাবকের লালন-পালন করছেন পার্কের মাহুত সুশীল। ছোট থেকে মায়া–মমতায় বড় হওয়ায় শাবকটির মা-বাবা এই মাহুত।

পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর বনের ভেতর কাদা মাটিতে আটকে পড়া এক মাস বয়সী শাবকটি চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার জলদি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের একটি দল উদ্ধার করে। এরপর লালন–পালনের জন্য সাফারি পার্কে পাঠান। চিকিৎসা শেষে হাসপাতালটির শেডে বীর বাহাদুরকে রাখা হয়।

মাহুত সুশীল চাকমা বলেন, ‘২০০৫ সাল থেকে হাতির মাহুত হিসেবে কাজ করছি। মা ছাড়া হাতিকে লালন–পালন করা খুবই কষ্টের। একদম একটি শিশুর মতো আদর-স্নেহ দিয়ে বড় করতে হয়। পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১৪ মাস ধরে আছে। সারা দিন লাফালাফি ও খুনসুটিতে দিন পার করে বীর বাহাদুর। নিয়ম মেনে প্রতিদিন গোসল, খাবার ও ব্যায়াম করানো হয়। এখন শাবকটি স্বাস্থ্যবান হয়েছে। আরও ১ বছর নিয়মিত দুধ পান করাতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শাবকটি যখন পার্কে আনা হয়, তখন শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল ছিল। পরিচর্যা করে সুস্থ করতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। শাবকের “বীর বাহাদুর” নামে নামকরণ করা হয়। এখন বয়স হয়েছে এক বছর চার মাস। শাবকটি প্রায় এক মাস বয়সে পার্কে আনা হয়েছিল।’

মাহুতের মমতায় বেড়ে উঠছে ‘বীর বাহাদুর’। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাহুতের মমতায় বেড়ে উঠছে ‘বীর বাহাদুর’। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, ‘হস্তীশাবককে প্রতিদিন ল্যাকট্রোজেন-২ খাওয়ানো হয় ৮ প্যাকেট। এ ছাড়া ১ কেজি গাজর, ৫ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ২ কেজি শসা ও ৫০টি কলা খাবার তালিকায় রাখা হয়। পার্কের হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আরও একটি হস্তীশাবক বড় হচ্ছেন।’

মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘টেকনাফের বনাঞ্চলে গত ৫ জানুয়ারি প্রসবকালীন একটি মা হাতি মারা গেলে এক দিন বয়সী পুরুষ লিঙ্গের একটি হস্তীশাবক পার্কে হাসপাতালে প্রেরণ করে বন বিভাগ। বর্তমানে হাতি শাবকটি সুস্থ রয়েছে। নিয়মিত দুধ পান করানো হচ্ছে। পার্কের হাসপাতালে এক দিনের হস্তীশাবক লালন–পালনের অভিজ্ঞতা এই প্রথম। শাবকটির নামকরণও এখনো করা হয়নি।’

২ হাজার ২৫০ একর বনাঞ্চলে গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম এই সাফারি পার্ক। ২০০১ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে এটি হরিণ প্রজননকেন্দ্র ছিল। বর্তমানে পার্কের বিভিন্ন বেষ্টনীতে বাঘ, সিংহ, জেব্রা, ওয়াইল্ড বিস্ট, জলহস্তী, ময়ূর, কুমির, হাতি, ভালুক, হরিণ, লামচিতা, শকুন, অজগর, কচ্ছপ, রাজ ধনেশ, কাক ধনেশ, ইগল, সাদা বক, রঙিলা বক, সারস, মথুরা, নিশিবক, কানিবক, বন গরুসহ নানা প্রজাতির প্রাণী আবদ্ধ অবস্থায় আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিষ মাখানো সরিষার বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘুর মৃত্যু, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

তালা (সাতক্ষীরা)  প্রতিনিধি
কবুতর। ছবি: সংগৃহীত
কবুতর। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালায় ফসল রক্ষার নামে বিষ মাখানো সরিষার বীজ ছিটিয়ে পাখিনিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষ মাখানো বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মারা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে একের পর এক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন অফিসার তন্ময় আচার্য্য।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তন্ময় আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্য প্রাণিনিধন আইনত দণ্ডনীয়। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রকাঠি বিলে সরিষা চাষের জন্য বীজ বপন করেন তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারী। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে বীজে বিষ মাখানো হয়। পরদিন ওই ক্ষেতে কবুতর ও ঘুঘু পাখির ব্যাপক বিচরণ লক্ষ করা যায়। এর পর থেকে একে একে পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১০০টির বেশি কবুতর এবং একটি ঘুঘু পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত খাঁ ও হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক কবুতর মারা গেছে। এগুলো আমাদের শখ আর জীবিকার অংশ। এমন ক্ষতি আগে কখনো হয়নি।’

রহিমাবাদ গ্রামের আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারীকে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মজিদ বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নড়বড়ে বাঁশে ঠেস দেওয়া ৪৮০ ভোল্টের খুঁটি

  • যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
  • ছয় মাস আগে ধানখেতে উপড়ে পড়েছিল খুঁটিটি
  • বিদুৎ অফিস সমস্যা আমলে নেয়নি, দাবি গ্রামবাসীর
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১০
বিদ্যুতের খুঁটিটি বাশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুতের খুঁটিটি বাশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি সরেজমিনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরপুবাইল গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৪৮০ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খুঁটিটি চোখে পড়ে। ছয় মাস ধরে খুঁটিটি এভাবে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, একবার সোজা করে দেওয়ার পর ফের হেলে পড়লেও খুঁটিটি স্থায়ীভাবে মেরামত বা প্রতিস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্কুলসংলগ্ন কৃষি এলাকায় এভাবে উচ্চ ভোল্টেজের খুঁটি ঝুলে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের চরপুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া পিডিবির বিদ্যুতের তার সংযুক্ত খুঁটিটি ছয় মাস আগে একটি ধানখেতে উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে খেতের পানিতে থাকা মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মারা যায়। পরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে খুঁটিটি বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন। এর পর থেকে বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে রেখেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন চালু রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত বাঁশগুলো নরম হয়ে পচন ধরেছে। এই অবস্থায়ই খুঁটির আশপাশে কৃষকেরা কাজ করেন। চরান গরু-ছাগল।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল-আমিন বলেন, ‘খুঁটির নিচেই আমাদের খেত। কাজ করতে নামলেই ভয় লাগে—এই বুঝি খুঁটি ভেঙে পড়ল বা তার ছিঁড়ে পড়ল। এমন অবস্থায় দিনের পর দিন খেতে কাজ করা খুবই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

আরেক বাসিন্দা মো. মামুন মিয়া বলেন, খুঁটি পড়ে যাওয়ার সময় মাছসহ সব জলজ প্রাণী মরে গিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, দ্রুত খুঁটিটি ঠিক করা হবে। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও শুধু বাঁশে ঠেস দিয়েই খুঁটিটি রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম বলেন, এর আগেও কয়েক দফা খুঁটিটি উপড়ে পড়েছে। গত দুই বছর ধরে এমন সমস্যা চলছে। তখনো এমন বাঁশ দিয়ে কাজ চালানো হয়। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তারা আমলেই নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আবাসিক উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি কেউ লিখিত কিংবা মৌখিকভাবেও জানায়নি। যেহেতু জেনেছি, আমি দ্রুত খুঁটিটি স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিসি অফিসে গিয়ে আটক ঝালকাঠির সাবেক মেয়র কারাগারে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আফজাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আফজাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আফজাল হোসেন রানাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ রোববার ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিজের অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের জন্য যান আফজাল হোসেন রানা। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তাঁকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান।

বেলা আনুমানিক ৩টার দিকে তাঁকে ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর সদর থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৌহিদুজ্জামান জানান, সদর থানায় দায়ের করা মামলায় আফজাল হোসেন রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য থানা-পুলিশকে ডিবি পুলিশ সহায়তা করেছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আফজাল হোসেন রানাকে একটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আফজাল হোসেন রানা ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পৃথক দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরোধী অবস্থানে যাওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৮
আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করেছে ডিএনসিসি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করেছে ডিএনসিসি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট ডিওএইচএস এমপি চেকপোস্ট পর্যন্ত সড়কের নামকরণ করা হয়েছে প্রখ্যাত চিন্তাবিদ, লেখক আহমদ ছফার নামে। সড়কটির নতুন নাম ‘আহমদ ছফা সরণি’।

আজ রোববার (২১ নভেম্বর) উত্তরা দক্ষিণ মেট্রোরেল স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় আহমদ ছফা সরণির নামফলক উন্মোচন করা হয়।

আহমদ ছফা সরণির নামফলক উন্মোচন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
আহমদ ছফা সরণির নামফলক উন্মোচন করা হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জন্য বিশেষ একটি দিন। আহমদ ছফা ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম গ্রন্থ ‘‘জাগ্রত বাংলাদেশ’’ প্রকাশ করেন। অথচ মৃত্যুর পর তাঁকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ এই সড়কের নামকরণের মাধ্যমে আমরা গোটা জাতির কাছে ঘোষণা করছি আহমদ ছফা আমাদের মধ্যেই আছেন।’

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘জুলাই-পরবর্তী সময়ে আমরা ন্যারেটিভ-বেইজড গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছি। আমি মনে করি, শহরে অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়—অবকাঠামোর সঙ্গে শহরের বিভিন্ন গল্প থাকতে হয়, যে গল্প ধরে আগামী প্রজন্ম বড় হবে। সেই গল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখতেই আমরা আমাদের বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করছি।’

প্রশাসক আরও বলেন, ‘এসব নামকরণের মাধ্যমে আমরা সেসব গুণীজনকে স্মরণ করছি, যাঁরা দেশের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।’

আহমদ ছফা সরণি নামকরণের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নগরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে নগর উন্নয়নকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে বলে জানানো হয়।

নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জহিরুল ইসলাম কচি, ঢাকা স্ট্রিমের সম্পাদক গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এস এম শফিকুর রহমান, অঞ্চল-৬-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত