Ajker Patrika

ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অবশেষে মুক্তি পেলেন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০: ১৫
ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অবশেষে মুক্তি পেলেন

ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণভিক্ষা পাওয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। 

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে করা একটি হত্যা মামলায় রাখাল চন্দ্র নাহাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। কিন্তু এ বীর মুক্তিযোদ্ধা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সংস্থান করতে পারেননি। সব আদালতে তাঁর ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকে। 

রায় কার্যকর করার বিষয়ে তাঁর বাড়িতে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায়। ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল চিঠিটি পায় তাঁর পরিবার। ওই বছর ৭ এপ্রিল রাত ১১টায় রায় কার্যকর করার সময় নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়টি ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন তৎকালীন জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড রহিত করার দাবিতে সারা দেশে মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে।

রাখাল চন্দ্রের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লায় অনশনে বসেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানেরা। সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। 

পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি কাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি রাষ্ট্রপতিকে এ মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করার অনুরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁসির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তা রহিত করা হয়। পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাগারে ভালো কাজ করায় ৩০ বছর কারাদণ্ড থেকে প্রায় ছয় বছর দণ্ড মওকুফ করে কারা কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ ২৪ বছরের কারাজীবনের অবসান হলো এ বীর মুক্তিযোদ্ধার। আজ কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহাকে এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংগঠনের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুর রহমান জুয়েল, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শাহ পরান সিদ্দিকী তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মাছুম, রাখাল চন্দ্র নাহার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

মুক্তি পেয়ে রাখাল চন্দ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি একটি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছিলাম। দারিদ্র্যের কারণে আমার পক্ষে উকিল রাখতে পারিনি। আদালত আমাকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল। আমাদের সন্তানেরা অনেক কষ্ট করেছে, আন্দোলন করেছে। তাদের কারণে আমি আবার পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়। সকলের প্রতি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।’

ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, ‘একটি মিথ্যা খুনের মামলায় আমার বাবার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রাণভিক্ষার দাবি জানিয়েছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ সবার আন্দোলন, বিভিন্ন মিডিয়ার ভূমিকার কারণে ও রাষ্ট্রপতির দয়ায় আমরা আমার বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল, ঠিক তখনই বাবার ফাঁসির কার্যকর সংশোধন করা হয়েছে। আজ বাবার সাজা শেষ হওয়াই মুক্তি পেয়েছেন। আমাদের পরিবার আজ আনন্দিত।’

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৯৯ সালে দেবিদ্বারে বেগমবাদ গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই হত্যা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা আসামি হয়ে কারাগারে যান। আদালত ২০০৩ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অসহায় রাখাল চন্দ্র নাহার পক্ষে মামলার পরিচালনার ব্যয় বহন করার কোনো ক্ষমতা ছিল না। তাঁর বিপক্ষে ছিল সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার আগে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা একজন মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করি। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের অনুরোধে রাষ্ট্রপতি এই মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির রায় সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রক্ষা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে আসেন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা। ৩০ বছর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হন। জেল কোড অনুযায়ী ভালো ও বিশেষ কাজের জন্য ৫ বছর ৭ মাস ২৬ দিন সাজা মওকুফ পান। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়াই রোববার (২ জুলাই) তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। আজ সোমবার গলাচিপা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এই আসনে এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

এদিকে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে আসন সমঝোতার ঘোষণার পরদিনই এই নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের পক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ভিপি নুর নির্বাচন করুন বা না করুন, এই আসনে হাসান মামুনকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব।’

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন করেছেন এবং সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সমভাবে প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আমির মাহিন। সে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার দিন দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় জহির রায়হান মিলনায়তন কেন্দ্রের ২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল সাদিয়া আমির মাহিন। এ সময় মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণ করছিল সে। বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকের নজরে এলে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবগত করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ শাস্তিযোগ্য। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসককে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে পদত্যাগী ছয় ডিনের কাজের দায়িত্বে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়

রাবি প্রতিনিধি: 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পদত্যাগ করা ছয় আওয়ামীপন্থী ডিনের কাজের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তাঁদের সাময়িকভাবে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ছয়টি অনুষদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও আইন অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান।

এর আগে গতকাল রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের মুখে আওয়ামীপন্থী ডিনেরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় পৃথকভাবে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার ধাক্কায় দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পৃথক মামলা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত কৃষকেরা হলেন উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের খোর্দ্দ ভূতছাড়ার আবুল কালাম (৫৫) এবং কুর্শা ইউনিয়নের শিবু কুণ্ঠিরামের আলাল উদ্দিন (৫৫)।

ওসি নজমূল হক জানান, গতকাল রাতে কৃষক আবুল কালাম বেইলী ব্রিজ বাজার এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কার তাঁকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি। এ ছাড়া একই দিন রাতে কৃষক আলাল উদ্দিন জুম্মারপাড় এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের দুই পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুই গাড়িচালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত