Ajker Patrika

পটিয়ায় মাদ্রাসার দখল নিয়ে বিরোধের জেরে খুন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ৪৮
পটিয়ায় মাদ্রাসার দখল নিয়ে বিরোধের জেরে খুন

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের মল্লাপাড়া এলাকায় একটি মাদ্রাসার দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে রুহুল আমিন (৫৬) নামে একজন খুন হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খুনের ঘটনাটি ঘটে। 

জানা গেছে, নিহত রুহুল আমিন উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত শফিউর রহমানের ছেলে। 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিয়া মল্লাপাড়ার মুন্সি পুকুর পাড় এলাকায় আশিয়া মল্লাপাড়া আহমদিয়া রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার জন্য ১৯৮০  সালে কবির আহমদ চৌধুরী, রুহুল আমিন ও নুরুল আমিন জমি দান করেন। তৎকালীন আবুল বাড়ির বংশের লোকেরা মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছিলেন। পরে পরামর্শের মাদ্রাসাটি এলাকার জামাল উদ্দিনকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে কমিটি না থাকায় ও সঠিক পরিচালনার অভাবে মাদ্রাসা ভবন বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় কবির আহমদ চৌধুরীর চার ছেলে জামাল উদ্দিন চৌধুরী, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জালাল উদ্দিন চৌধুরী ও মো. বেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং রুহুল আমিন ও তাঁর ভাই নুরুল আমিন নতুন করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।  

বেশ কিছুদিন ধরেই কামাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলে রাসেলসহ তাঁদের লোকজন মাদ্রাসাটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যে কোনো সময় মাদ্রাসার দখল নিয়ে কামাল উদ্দিন গ্রুপ ও রুহুল আমিন গ্রুপ সংঘর্ষে জড়াতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে আজ শুক্রবার বাদ জুমা বৈঠক ডাকা হয়। এ অবস্থায় সকাল ১১টার দিকে মুন্সি পুকুর পাড় মাদ্রাসা এলাকায় রুহুল আমিন আসেন। তাঁকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন উভয় পক্ষের লোকজনের হাতাহাতির মধ্যে রুহুল আমিন আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণব ঘোষ বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহুল আমিন নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আশিয়া মল্লাপাড়া আহমদিয়া রহমানিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসাপটিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক এরশাদ দৌলা বলেন, আমি বর্তমানে পটিয়া হাসপাতালে মরদেহের সঙ্গে আছি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুনেছি সকালে মুন্সি পুকুর পাড় এলাকায় মাদ্রাসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা-কাটাকাটির সময় ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহতের ভাতিজা ইফতেখার চৌধুরী সুজন বলেন, আশিয়া মল্লাপাড়া ভূমিদস্যু কামাল ও তাঁর পরিবার থেকে বহুদিন ধরে রুহুল আমিন চাচা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন। নিজের জমি দানসহ প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার সংস্কারের কাজ করার জন্য কথা বলতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।  ভূমিদস্যু কামাল ও তাঁর পরিবার মাদ্রাসাটি বন্ধ ও মালের গুদাম এবং বিটা থেকে চলাচলের রাস্তায় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল বহুদিন ধরে। আমরা আশিয়া ইউনিয়নের জনগণ এর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

নিহতের চাচাতো ভাই নাসির হাজারি বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমি বিস্মিত। এ ধরনের ঘটনা এলাকাই কখনো আশা করি নাই। এজন্য আমি লজ্জিত। প্রতিবেশীর এমন আচরণ কখনো আশা করিনি। আমি সুষ্ঠু একটা সমাধান এলাকাবাসীর কাছ থেকে আশা করছি। 

পটিয়া থানার পরিদর্শক  (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ঘটনার পর আমি নিজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমি জানতে পেরেছি মুন্সি পুকুর পাড় এলাকায় একটি মাদ্রাসার নামকরণ নিয়ে বিরোধিতা চলছিল। এর জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। উভয় পক্ষের লোকজনের কথা-কাটাকাটির সময় রুহুল আমিন থামাতে গেলেই একপর্যায়ে সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এ সময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোক করেছেন। 

রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ হতে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। মরদেহটি এখনো পটিয়া হাসপাতালে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রুহুল আমিন, নুরুল আমিন ও কবির আহমেদ দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগে তাঁরা বলেছেন, এই জমি তাঁরা মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে নওফেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ২৩
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় ভাঙচুর ও বাড়ির সামনে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় ইন্ডিয়ান হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট চশমা হিলে নওফেলের বাসার সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে তারা বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। বাসার পার্কিংয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

একই সময়ে আরেকটি দল নগরীর খুলশী এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ঘটনাস্থলে টিম রয়েছে। পুলিশ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে থামানোর চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত, প্রাণিচিকিৎসক আশঙ্কাজনক

খুলনা প্রতিনিধি
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন সলুয়া বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সলুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দেবাশীষ নামের এক প্রাণিচিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় ওই দুজন চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে দুজনকে গুলি করে।

নিহত ইমদাদুল হক মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর ছেলে। কয়েক মাস আগে তিনি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া মিলন খুলনার স্থানীয় একটি দৈনিকে আড়ংঘাটা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে নিজেই ‘বর্তমান সময়’ নামের একটি অনলাইন পোর্টাল বের করেন। জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে একটি পক্ষের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

আহত দেবাশীষকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানতে চাইলে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘ইমদাদুল হক মিলন গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানতে পেরেছি।’

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, চরমপন্থী হুমায়ূন কবির হুমা গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।

একটি সূত্র জানায়, প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ ওরফে দীবা বিশ্বাসের বুকে ও মাথায় আগে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরেরটা সাংবাদিক মিলনের মাথায়। সেখানে পাঁচ রাউন্ড গুলি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল শাহবাগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৫
হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল শাহবাগ

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী-সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ শুরু হয়।

আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান ও বিক্ষোভ-মিছিল করছেন। তাঁরা ‘হাদি’ ‘হাদি’ বলে স্লোগানও দেন।

একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন।

জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে তিনি হামলার শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী গুলি করেন। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া নিউরোসার্জন অধ্যাপক আবদুল আহাদ আজ রাতে এক ভিডিওবার্তায় জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপত্তিকর টিকটক ভিডিও, তিন যুবককে খুঁজছে পুলিশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় আপত্তিকর টিকটক ভিডিও বানিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিন যুবক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা ১২ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, উপজেলার নারায়ণডহর এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার সামনে এক যুবক স্কেটিং করতে করতে ভ্যানের পেছনে বসা এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছেন। একপর্যায়ে মেয়েটির পোশাক টেনে খোলার চেষ্টা করেন ওই যুবক। আপত্তিকর ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ১৫ ডিসেম্বর ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এমন কাজকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওতে দেখানো বিষয়টি অভিনয়ের অংশ। আলোচনায় আসার জন্যই মূলত এমন আপত্তিকর ভিডিওটি করা হয়েছে। ভিডিওটি করেছেন রোমান নামের এক যুবক, স্কেটিং করেছেন রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান সম্পর্কে আপন দুই ভাই। তাঁরা পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামের ওয়াসিম মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি করছি।’

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ভিডিওটি মূলত অভিনয়। এতে মেয়ের পোশাকে ছিলেন হানিফ নামের এক যুবক। তবে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই তিন যুবক আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাঁদের গ্রেপ্তারে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত