Ajker Patrika

‘জনস্বার্থে’ উচ্ছেদ, ডিসি বদলের পরই লিজ

  • এর আগে ১৭টি স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল গত সরকারের আমলে।
  • বিএনপিপন্থী এক রাজনীতিকের দখলে জায়গাটি।
  • স্থাপনা নির্মাণের কথা না থাকলেও সেখানে চলছে বহুতল মার্কেট নির্মাণের কাজ।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৫৫
চট্টগ্রাম নগরীর পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের রাস্তার পাশের খাসজমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গত বছরের ১১ জানুয়ারি চালানো হয় অভিযান (বাঁয়ে)। বিগত সরকারের পতনের পর সেই জমিতে ফের নির্মাণ করা হয় মার্কেট (ডানে)। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম নগরীর পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের রাস্তার পাশের খাসজমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গত বছরের ১১ জানুয়ারি চালানো হয় অভিযান (বাঁয়ে)। বিগত সরকারের পতনের পর সেই জমিতে ফের নির্মাণ করা হয় মার্কেট (ডানে)। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের হাতে চলে গেছে। সেখানে নতুন করে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রশাসন দাবি করছে, তারা সরকারি খাস জায়গাটি লিজ দিয়েছে। যদিও কোনো নথি তারা দেখাতে পারছে না। অভিযোগ রয়েছে, জেলা প্রশাসনের যোগসাজশে বিএনপিপন্থী এক রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি ওই জায়গা নিজেদের দখলে রেখেছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে সেখানে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণের পর লাখ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের দুটি পৃথক ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস, আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনসহ অন্তত ৩০টি স্থাপনা রয়েছে চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওই পরীর পাহাড়ে। প্রতিদিন সেখানে অন্তত ৩০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে। তবে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি সরু হওয়ায় নিয়মিত দুর্ভোগে পড়তে হয় যাতায়াতকারীদের। এ জন্য ২০২৪ সালে ১১ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আন্দরকিল্লা মৌজার বিএস ১ নম্বর খাস খতিয়ানের পরীর পাহাড়ে ওঠার মূল সড়কসংলগ্ন ১৭টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। জমি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, সরকারি এই জমির দাম কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকা।

ওই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা প্রশাসনের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম তখন বলেছিলেন, পরীর পাহাড়ে ওঠানামার যে রাস্তা রয়েছে, সেটি খুবই সরু। এ জন্য অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। উচ্ছেদ করা জায়গায় ওয়াশ ব্লক স্থাপন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য পথ প্রশস্তকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে সে পরিকল্পনা পরে আর বাস্তবায়ন হয়নি।

এখন আবারও বেদখল হয়েছে জায়গা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদিউর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জায়গাটি আমরা একসনা বন্দোবস্তি (লিজ) দিয়েছি। সেখানে কোনো পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না, এমন শর্তে লিজ দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম মোবাইল ফোনে বলেন, পাকা স্থাপনা নির্মাণ না করার শর্তে জায়গাটি অস্থায়ীভাবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালে ৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন ফরিদা খানম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে সরকারি এ জায়গাটি আবার বেদখল হয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল সড়ক-লাগোয়া পরীর পাহাড়ে যাওয়ার প্রবেশমুখের সড়কসংলগ্ন ওই জায়গাটির একটি অংশ উঁচু টিন দিয়ে কয়েক মাসে আগে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এর ভেতরে চলছে বহুতলা মার্কেট নির্মাণের কাজ। ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে নির্মাণাধীন স্থাপনাটির বর্তমানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা পর্যন্ত মূল অবকাঠামো বসানো হয়েছে। উচ্ছেদ করা জায়গার আরেক অংশে টিন-লোহা ও কংক্রিট দিয়ে একটি স্ট্যাম্প মার্কেট করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৭টি দোকান বসানো হয়েছে।

এত দিন সেখানে জেলা প্রশাসনের সাইনবোর্ড ঝুলছিল। কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। স্ট্যাম্প মার্কেটের এক দোকানের মালিক গত শনিবার দাবি করেন, তিনি ডিসি অফিস থেকে কয়েক মাস আগে দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন।

তবে প্রশাসনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপনে জায়গাটি একটি স্ট্যাম্পমূলে দখলদারদের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য এটার কোনো রেকর্ডপত্র সংশ্লিষ্ট তহশিলদার ও ভূমি অফিসে আসেনি। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ডিসি অফিস অনিয়মের মাধ্যমে এক প্রভাবশালীর হাতে ওই জায়গা তুলে দিয়েছে। ওই প্রভাবশালীর নাম রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এ জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরে ইঞ্জিন বিকল ট্রলারে ভাসছিলেন ২৪ জেলে, উদ্ধার করল নৌবাহিনী

খুলনা প্রতিনিধি
ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

নৌবাহিনী গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ট্রলার থেকে ২৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে। আজ সোমবার নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা অপরাজেয়’ নিয়মিত টহলকাজে থাকার সময় তাঁদের উদ্ধার করে।

নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ট্রলারটিকে মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে প্রায় ২৯ মাইল দক্ষিণে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ বানৌজা অপরাজেয়। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজ রাডারের মাধ্যমে ট্রলারটিকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বিপদগ্রস্ত বলে শনাক্ত করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জাহাজটি মাছ ধরার ট্রলারের কাছে পৌঁছালে জেলেরা জানান, ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে ভাসছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে যোগাযোগ করার মতো যন্ত্রপাতি নাই। এ কারণে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করে। জেলেদের প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় নৌবাহিনী।

জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি গত ২৯ অক্টোবর মাছ ধরার জন্য কুতুবদিয়া থেকে সাগরে গিয়েছিল এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন বিকল হয়ে এটি গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকে। প্রচণ্ড ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নৌবাহিনীর জাহাজ উদ্ধার করা জেলেসহ ট্রলারটিকে টোয়িং করে ৩৫ মাইল সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে নিরাপদে সুন্দরবন-সংলগ্ন হিরণপয়েন্টে নিয়ে আসে এবং পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে। ট্রলারে থাকা ২৪ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে রাতভর রেখে পরদিন থানায় তুলে দিতে গেলে অপহরণকারীদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নেতার বাবার করা মামলায় সোমবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদ। গত বছর ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে পুলিশ বলেছে, ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল্সের সেলস্ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ফয়সাল।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-আশরাফুল আমিন (২৯), তারিক আসিফ (২৭) ও শাহাদাত হোসেন শান্ত (২০)। আসামি মোহাম্মদ আবুল সাজ্জাদ ওরফে আদর (৩২) ও আমিমুল এহসান ফাহিম (২৫) পলাতক রয়েছেন।

গত রোববার রাতে ‘মব’ সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের ভেতর থেকে ফাহাদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে রাউজানের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাউজানে নেওয়ার পর ফাহাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং তাঁকে নির্যাতন করা হয়। একই সময় অপহরণের ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তৎপরতা চালায়। পরে চাপের মুখে অপহরণকারীদের কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে সকালে পাঁচলাইশ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিতে আসে। পুলিশ সবকিছু যাচাইয়ের পর অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফাহাদ চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে তাঁর মাকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। এ সময় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় হাসপাতালে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সবার সমানে দিয়ে চার থেকে পাঁচজন তরুণ ফাহাদকে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দুই হাত দুই পাশ থেকে ধরে রাখা হয়েছিল।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাহাদ নামে ওই যুবককে পাঁচলাইশ থেকে তুলে নিয়ে রাউজান উপজেলার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ সিকদার হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ সিদ্দিককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জায়েদ নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।

ওসি জায়েদ নূর আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।

উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত