Ajker Patrika

বিজিবি স্কুলে মিয়ানমারের ১৭৯ সেনা সদস্যের আশ্রয়, ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বিজিবি স্কুলে মিয়ানমারের ১৭৯ সেনা সদস্যের আশ্রয়, ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত

রাখাইনের মন্ডু জেলা শহর থেকে টহলে বের হওয়া জান্তা বাহিনীর ২ শতাধিক সদস্যের ওপর কমান্ডো হামলার পর পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১৭৯ সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরস্থ ১১ বিজিবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে তাঁদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ স্কুলে অবস্থানের কারণে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল আজ মঙ্গলবার। আশ্রিত স্থানান্তরে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় পাঠদান নিয়েই এখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। স্কুলটিতে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। 

এদিকে সোমবার বিকেলে মিয়ানমার অংশ থেকে বাংলাদেশের অত্যন্তরে ছুটে আসা গুলিতে আহত ইউপি সদস্য সাবের আহমদের কোমরের পেছনের অংশ থেকে একটি বুলেট অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। বিষয়টি আজ সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী নিজেই। ইউপি সদস্য সাবের আহমদ বলেন, বুলেটটি বের করার পর প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। অর্থ সংকটে ওষুধও কিনতে পারছেন না। 

জামছড়ি সীমান্তের অধিবাসী আবদুচ্ছবি, জহির আলম ও কালাম বকসু আজ বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, সকালেও জামছড়ি ও আশারতলী গ্রাম থেকে ওপারের রানী এলাকায় গোলাগুলির ব্যাপক আওয়াজ পাওয়া গেছে। তাঁরা কাঠ কাটতে যাওয়ার পথে সকাল ৭টার দিকে গুলির আওয়াজ পান। পরে ভয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। 

পালিয়ে আসা জান্তা সদস্য টুয়ো মং (৪২) সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা ২ শতাধিক সেনা সদস্য বিদ্রোহী দমনে টহলে বের হন গত ১০ মার্চ বিকেলে। বলিবাজার সেনা ব্যাটালিয়নে ১১ মার্চ রাত্রিযাপন করার কথা ছিল। কিন্তু পথিমধ্যে আরকান আর্মির কমান্ডোরা অতর্কিত হামলা করে। রানী ও অংচাপ্রে নামক স্থানের দক্ষিণ–পশ্চিমে ২০ কিলোমিটার গহিন বনে তাঁরা আক্রমণের শিকার হন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে ওপরের নির্দেশে তাঁরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ২০০ সদস্যের ১৭৯ জন বাংলাদেশে আসতে পেরেছেন। বাকি ২১ সদস্য সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে আছেন বলে জানান তিনি। 

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ১৭৯ সেনা সদস্যকে ১১ বর্ডার গার্ড বিজিবির ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁদের বিদ্যালয়ে আনা হয়। বেঞ্চ সরিয়ে বিছানা পেতে তাঁদের রাখা হয়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, আজ দুপুরে তাঁদের বিরিয়ানি ও মুরগি মাংস খাওয়ানো হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমার বাহিনীর ১৭৯ সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী গ্রামের জারুলিয়াছড়ির আগা ও জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে তিন দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তাঁদের নিরস্ত্র করে বিকেলে ২৯ জনকে এবং রাতে ১৫০ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বিজিবি স্কুলে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে আহত চারজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

এদিকে সীমান্তের ওপারে আটকে পড়েছেন ২১ সদস্য। রাখাইনের উত্তরাংশের রানী অংচেপ্রে নামক স্থানের দক্ষিণ–পশ্চিমে ডেইংগ্যার পাহাড় নামক জান্তার পরিত্যক্ত ঘাঁটি ঘিরে রেখেছে আরকান আর্মি কমান্ডোরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ অবস্থা ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুজাহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর ১৭৯ সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ির বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যক্রম চালানো হবে। 

প্রশাসনের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, সম্প্রতি রমজানে স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে রিটের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্কুল খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছেন। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা থাকবে। 

ওই কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের ১৭৯ সেনাকে অন্যত্র সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। তা না হলে স্কুলের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হবে। 

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতণ চাকমা বলেন, ‘১১ বিজিবি অধিনায়কের প্রস্তাবেই তাঁদের (সেনা সদস্য) বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। কারণে আজ স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাঁরা এখানে যে কয়দিন তাঁরা থাকবেন সে পর্যন্ত হয়তো এভাবেই থাকবে। আগামী ১০ রমজানের পর স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন সেনা। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ–বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাঁদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়। আর ১১ মার্চ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন আরও ১৭৯ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) সীতাকুণ্ড
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর (দুপুরে) কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো এসব সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন তাঁরা।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাগর থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয় জেলে সন্তোষ কুমার জলদাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মাছ ধরার নৌকা রাখার জায়গাগুলো বিলীন হচ্ছে।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত বুধবার উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না: শিল্প উপদেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় বন্ধ করে দেওয়া কলকারখানাগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দরকার। শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না। এ জন্য বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কেইন ক্যারিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। উদ্বোধন উপলক্ষে মিলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের যে অবস্থা করে গেছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে অনেকটা সময় লেগেছে। নতুন করে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য বিডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। হয়তো আমরা থাকব না, কিন্তু আমাদের কাজের ফলাফলে আপনারা নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’

আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘চিনিকলটির আধুনিকায়ন এবং আখমাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের বিএমআরআই প্রকল্পটি (আধুনিকায়ন) অচিরেই কার্যক্রম শুরু করবে। আমি আশা করেছিলাম, আজই বিএমআরআই চালু হবে। পরে জানলাম, কিছু কাজ বাকি আছে। তবে কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে, অচিরেই এটি কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। খুব দ্রুত আমরা প্রকল্পটি চালু করব।’

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আখচাষি, কৃষক ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে বাস্তবসম্মত পাঁচ বছরের রোডম্যাপ হাতে নিয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

২০২৫-২৬ মৌসুমে মাড়াই দিবস ধরা হয়েছে ৬৯ দিন। এই মৌসুমে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়াই করার মাধ্যমে ৪ হাজার ২৫৬ টন চিনি উৎপাদন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫.০৬ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেশবপুরে অস্ত্র-মাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও একটি চাপাতি এবং আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাঁসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল: যুবদল নেতাকে অপর যুবদল নেতার ছুরিকাঘাত

বগুড়া প্রতিনিধি
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম হাট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা সজীব সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাবগ্রাম হাট এলাকায় কথা-কাটাকাটির জেরে সজীব আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।’

স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে সাবগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার জেরে সজীবের সঙ্গে জিয়াউরের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাতে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জিয়াউরকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাহত করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার পর থেকে যুবদল নেতা সজীব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের জের ধরে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত