Ajker Patrika

পূর্বশত্রুতার জেরে বাঞ্ছারামপুরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা 

বাঞ্ছারামপুরম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫০
পূর্বশত্রুতার জেরে বাঞ্ছারামপুরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলেক মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অলেক মিয়া (৫০) মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অতর্কিতভাবে হামলার শিকার হন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মৃত মো. নান্ডু মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন ও সামছুল হক তাঁকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। চিকিৎসার জন্য বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে অলেক মিয়ার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে রাধানগর গ্রামের সাবেক মেম্বার মাসুদ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অলেক মিয়া আমার চাচাতো ভাই, মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মহসিন মিয়ার ইন্ধনে কফিল উদ্দিন ও সামছুল হকের নেতৃত্বে রামদা ও ছোরা দিয়ে আমার চাচাতো ভাইকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে, পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁকে বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।’

মাসুদ আরও জানান, ‘গত ইউপি নির্বাচনে আমি ও মহসিন দুজনই একই ওয়ার্ডর মেম্বার প্রার্থী ছিলাম। গ্রাম ও সমাজের স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই এবং মহসিন মিয়াকে সিলেকশনে মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত করি, তারপরও মহসিন ও তাঁর লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই অলেক মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে এবং আমাদের ৮-১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’ 

নিহত অলেক মিয়ার ভাগনে মো. সালাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মামাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর কোনো কিছুতে দোষ নাই, তাঁকে নির্মমভাবে একদল সন্ত্রাসী হত্যা করেছে।’ 

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাধানগর গ্রামে পুলিশ পাঠাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। সংঘর্ষে অলেক মিয়া নামে একজন গুরুতর আহত হন, পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি, প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক দাবায় চ্যাম্পিয়ন রবিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মো. রবিউল হোসেন। সাত খেলায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে তিনি এ শিরোপা জয় করেন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা (ফিদে) অনুমোদিত এ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনজন ভারতীয় খেলোয়াড়সহ দেশের মোট ৪০ জন রেটেড দাবাড়ু অংশ নেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে টাইব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানগুলো নির্ধারিত হয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মো. রবিউল হোসেন। প্রথম রানারআপ হন ইফতেখার আলম (৫.৫ পয়েন্ট) ও দ্বিতীয় রানারআপ হন আসিফ মাহমুদ (৫.৫ পয়েন্ট)।

৫ পয়েন্ট পেয়ে ভারতীয় দাবাড়ু আরমান সিদ্দিকী চতুর্থ, সফিউল মুসনাবিন পঞ্চম এবং অনিন্দ্য রিক দিগ্বিজয় ষষ্ঠ হয়েছেন। ৪.৫ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন মোহাম্মদ সুলতান।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন—অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সুহৃদ দে, মহিলা বিভাগে তাওহীদা বেগম, ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে আবু মহসিন।

অনূর্ধ্ব ৮-এ আইলান তাজওয়ার, অনূর্ধ্ব ১০-এ আফরাজ আহমেদ এবং অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে আইলান দীপ দাস। এ ছাড়া চেসকোড একাডেমি আন্তদাবায় স্বর্ণাভ বিশ্বাস প্রথম, জায়ান উর রহমান দ্বিতীয় ও দীপায়ন ঘোষ তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

চেসকোড একাডেমির পরিচালক ও পদ্মা অয়েল পিএলসির কোম্পানি সচিব আলী আবছারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আরমিটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তানজিলা তুর নুর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা কমিটির সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম তারেক, চবি সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলমসহ চেসকোড একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মতলবে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জন আটক

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান চলেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার কাজলি বালুর মাঠ, নিউ হোস্টেল মাঠ, ছেংগারচর কলেজমাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আটক ২৭ জনকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া অভিযানে আটক আরেকজনের কাছ থেকে ২৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় গোলাগুলির দুই দিন পর সামছুর লাশের সন্ধান, নিহত বেড়ে ৬

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সামছু। ছবি: সংগৃহীত
সামছু। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে লাশটি খুঁজে পান তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানান।

এ বিষয়ে সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা জাগলার চরে যান বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারা দিন খোঁজ করে বিকেলে কেউড়া বনের মধ্যে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পান। তবে লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।

হাতিয়া থানার ওসি বলেন, নিখোঁজ সামছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে পালানোর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান (৩৭)। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাসেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ময়মনসিংহের সাগর হত্যা মামলার আসামি।

গ্রেপ্তার রাসেল ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকার আব্দুর রাজ্জাক পাঠানের ছেলে।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাসেল পাঠান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাগর হত্যা মামলার আসামি। তাঁকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ রাসেল পাঠানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে থানায় হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের পর ৫৪ ধারায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ নগরীর মিন্টু কলেজ এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ-মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি করলে রেদোয়ান হোসেন ওরফে সাগর (২৪) নিহত হন। তিনি নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত