Ajker Patrika

কক্সবাজারে রাতেও নামছে উড়োজাহাজ

  • পর্যটনে নতুন সম্ভাবনা
  • দিনে গিয়ে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি
  • হোটেলে থাকা-খাওয়ার ঝামেলা কমবে
কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পর্যটন শহর কক্সবাজারে কেউ এখন দিনে এসে দিনে ফিরতে পারছেন। সারা দিন সমুদ্রসৈকত ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতেই ঢাকায় ফেরা যাচ্ছে। এতে পর্যটকদের রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা নিয়ে ভোগান্তি থাকছে না; সেই সঙ্গে টাকাও সাশ্রয় হচ্ছে। গত রোববার থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে রাতের বেলায় উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হওয়ায় পর্যটকদের জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, এত দিন কক্সবাজার বিমানবন্দরে সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উড়োজাহাজ ওঠানামা করলেও এখন তা রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। রাতে সমুদ্র ছুঁয়ে রানওয়েতে নামার দৃশ্য দেখার সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকেরা।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল সংযোগ হয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে নিয়মিত ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ও ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ এবং মাঝেমধ্যে একটি আন্তনগর ‘বিশেষ’ ট্রেন চলছে। রেলপথের পর এবার আকাশপথেও যাত্রীদের সুবিধা বাড়ায় চলতি মৌসুমে পর্যটন প্রসারে বড় সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাতে উড়োজাহাজ চলাচলের সুযোগ পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন সাগরপারের পাঁচ তারকা হোটেল কক্স টুডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আবু তালেব শাহ। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে কোনো পর্যটক রাতে ফিরতে চাইলে দুশ্চিন্তা থাকবে না; পাশাপাশি পর্যটনশিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।’

গতকাল সোমবার কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ৪টি এয়ারলাইনসের ১৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তুজা হোসেন। তিনি বলেন, রোববার থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়েতে উড়োজাহাজ ওঠানামা করা হচ্ছে। যাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করে রাতের ফ্লাইট বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তিনটি, বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা পাঁচটি, এয়ার এ্যাস্ট্রা ও নভোএয়ার পাঁচটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। রাতে বিমান ওঠানামার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বেবিচক। এগুলোর মধ্যে পর্যটন অঞ্চলের উন্নয়নে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁদের সংস্থা এখনো রাতে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করেনি। তবে শিগগির তারাও রাতের ফ্লাইট চলাচলে সিদ্ধান্ত নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পর অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল নামে একজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রত্যেককে ৩ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেন।

দুই আদিবাসী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম এবং ফয়সালকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পৃথক দুটি আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সিবিউন ও সঞ্জয়কে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২১ ডিসেম্বর দুইজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে এই দুইজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

সিবিউন ও সঞ্জয়ের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা জনৈক ফিলিপ নামক ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত, গ্রেপ্তার, ফিলিপ ব্যতীত আর কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, ফিলিপের সঙ্গে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে তা জানার জন্য, কিলিং মিশনের ইন্ধনদাতা এবং অর্থদাতাদের শনাক্ত করার জন্য সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে ফয়সালের রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর র‍্যাব-১১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন তরুয়া এলাকার মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলে অভিযান চালিয়ে ফয়সালকে আটক করে। অভিযানের সময় বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হাদি হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

তাঁর রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, হাদি হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। মামলার এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আসামি ফয়সালের দেখানো মতে নরসিংদী সদরের তরোয়া বিল থেকে গত ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। নরসিংদী সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ফয়সালের তথ্যানুযায়ী উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি পল্টনে চাঞ্চল্যকর ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। অস্ত্রের উৎস ও সরবরাহকারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ, হত্যার মোটিভ উদ্ধার, ইন্ধনদাতাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ফয়সালকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় রিকশায় করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা হয়। মোটরসাইকেল করে এসে রিকশার পাশ থেকে করা গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার হলে সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্মসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় পাড় ধসে পড়ে এক বালুশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে জাফলং চা-বাগানসংলগ্ন নদীর পাড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু মিয়া (৫০) গোয়াইনঘাট উপজেলার নয়াবস্তি গ্রামের মৃত হাবিব মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একদল শ্রমিক নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলনের কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ বালুর একটি বড় অংশ ধসে পড়ে শ্রমিকদের ওপর। অন্য শ্রমিকেরা দ্রুত সরে যেতে পারলেও বাচ্চু মিয়া বালুর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বালু উত্তোলনের সময় মাটি ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় যুবকের লাশ মিলল বিলে, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিল থেকে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের দরগা রাস্তার মাথায় সড়কের পাশের বিল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

সাইফুল ইসলাম কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারার শাইরাবরপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

সাইফুলের স্বজনদের অভিযোগ, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে প্রতিপক্ষ একটি মামলায় আসামি করে। সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। সাইফুলকে বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। এরপর হেলমেট পরিহিত একদল যুবক সাইফুলকে খুঁজতে শুরু করে। মূলত প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাকারা দরগা রাস্তার মাথা এলাকায় প্রবাসী নুরুল ইসলাম সাড়ে ৭ শতক জমি কেনেন। ওই জমিতে সংস্কারকাজ চলছিল। গত শনিবার দুপুরে ফরিদুল ইসলাম, আমজাদ, সাদ্দামের নেতৃত্বে ২০-২১ জন নুরুল ইসলামের জমি দখল করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে বাধা দিলে নুরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ পাঁচজন আহত হন।

সাইফুলের স্বজনদের অভিযোগ, এ ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দেওয়ায় সাইফুলকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়। সাইফুল ইসলামের বাড়ি বিরোধপূর্ণ জমির পাশে। সোমবার রাতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সাইফুল বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে রাতেই বাড়ির পাশে বিলে তাঁর লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, বাড়িতে পুলিশ আসার খবর পেয়ে আমার স্বামী বাড়ির পেছন দিয়ে দৌড়ে চলে যান। এ ছাড়া হেলমেট পরিহিত একদল যুবক আমার স্বামীকে খোঁজাখুঁজি করে। পুলিশ বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে ফিরে যাওয়ায় সাইফুল বাড়িতে ফেরেনি। পরে সকালে বাড়ির কাছে বিলে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। নুরুল ইসলামের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছে।

এ মামলার বাদী জেসমিন আক্তারের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শনিবার জমি নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়। এ ঘটনায় জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় সাইফুল ৪ নম্বর আসামি। সাইফুল বাড়িতে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায়। তাঁকে না পেয়ে পুলিশ থানায় ফিরে আসে। পরে সাইফুলের পরিবার থেকে তাঁর লাশ পাওয়ার খবর জানালে লাশ উদ্ধার করা হয়।’

ওসি আরও বলেন, সাইফুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাঁর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইটে (ইংরেজি বর্ষবরণ) সৈকতে যাওয়া নিরুৎসাহ ও অনুমতি ছাড়া সড়ক কিংবা উন্মুক্ত জায়গা বা ছাদে ডিজে পার্টি, নাচ-গানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান-সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ ছাড়া আতশবাজি, পটকা, ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধসহ আরও একাধিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সিএমপির অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নগরীর শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, জনস্বার্থ এবং জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮-এর ২৮, ২৯ ও ৩০ ধারার ক্ষমতাবলে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর পতেঙ্গায় সি বিচ ও আনোয়ারায় অবস্থিত পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করা যাবে না।

একই সময় মহানগর এলাকায় সব বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা, লাঠি ও বিস্ফোরকদ্রব্য বহন নিষিদ্ধ থাকবে।

একই সঙ্গে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো, উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো, মাদকাসক্ত অবস্থায় চলাফেরা, নৈতিকতা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, নারীদের প্রতি হয়রানি বা ইভ টিজিং এবং যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানায় সিএমপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত