Ajker Patrika

এমপিদের ২৪টিসহ ৪৪ গাড়ির দরদাতা ১৩৩

  • ভালো অবস্থায় গাড়িগুলো বিক্রি হলে ক্রেতা ও সরকার উভয়েই লাভবান হবে: কাস্টমস
  • এমপিদের ২৪ গাড়ির প্রতিটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
  • নিলামে শুধু ল্যান্ড ক্রুজারই ছিল ২৬, আর টয়োটা হ্যারিয়ার ৫টি।
 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৫২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শুল্কমুক্ত সুবিধায় এমপিদের জন্য আমদানি করা বিলাসবহুল ২৪টিসহ মোট ৪৪টি গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার এ নিলাম হয়। এতে মোট ১৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দর দাখিল করে। অনলাইনে এই নিলামে গত রোববার বেলা দুইটা পর্যন্ত দর প্রস্তাবের সময় ছিল। সোমবার দরপত্র বাক্স খোলা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মো. সাকিব হোসেন জানান, শুল্কমুক্ত সুবিধায় এমপিদের জন্য আমদানি করা আলোচিত বিলাসবহুল ২৪টিসহ মোট ৪৪টি গাড়ির নিলাম সোমবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এবং বাক্স খোলা হয়। এতে মোট ১৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দর দাখিল করে। সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত, মামলাসহ যাচাই-বাছাই করতে দু-এক দিন সময় লাগবে এবং এরপরই জানা যাবে, কে বা কারা সর্বোচ্চ দরদাতা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, বন্দর থেকে নিলামযোগ্য অনেক গাড়ি সম্প্রতি কাস্টমসের অকশন শেডে আনা হয়েছে। মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে মূল্যবান জায়গা খালি করার একটি নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে কাস্টমস অকশন শেডে আনা হয়। এবং দ্রুত নিলামে সেগুলো বিক্রি করতে চায় সরকার। গাড়িগুলো একেবারে নতুন। ভালো অবস্থায় গাড়িগুলো বিক্রি হলে ক্রেতা ও সরকার—উভয়েই লাভবান হবে।

জানা গেছে, নিলামে থাকা এমপিদের ২৪টি গাড়ি টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার। এসব গাড়ির প্রতিটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বিলাসবহুল এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় এমপিদের জন্য আমদানি করা হলেও শেষ পর্যন্ত গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কারণে সেগুলো তাঁরা ছাড় করতে পারেননি।

চাহিদা মোতাবেক সবাই যাতে নিলামে অংশ নিতে পারে, সে জন্য গাড়িগুলোই এবার অনলাইনভিত্তিক ই-নিলামে বিক্রির আয়োজন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

নিলামের ক্যাটালগ সূত্রে জানা যায়, এই নিলামে শুধু ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িই ছিল ২৬টি। এগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালে জাপানে তৈরি ৩৩৪৬ সিসি ল্যান্ড ক্রুজার জেডএক্স মডেলের ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ২৪টি। এসবের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। এ ছাড়া ২০২১ সালে জাপানে তৈরি ২৬৯৩ সিসি ল্যান্ড ক্রুজার টিএক্স মডেলের গাড়ি রয়েছে ২টি; এগুলোর মধ্যে একটির সংরক্ষিত মূল্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪ টাকা এবং অন্যটির ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ১২১ টাকা। নিলামে জাপানে তৈরি টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি আছে মোট ৫টি। এগুলোর মধ্যে ২০২২ সালে তৈরি ২৪৮৭ সিসির একটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ টাকা। ২০২২ সালে তৈরি ১৯৮৬ সিসির হ্যারিয়ার আইচি একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৮২ লাখ ৩ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২০২০ সালে তৈরি ১৯৮৬ সিসির একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৯ টাকা। ২০১৯ সালে তৈরি ১৯৮৬ সিসির আরেকটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৮২ টাকা। এ ছাড়া ২০১৮ সালে তৈরি ১৯৮৬ সিসির থেকে আরেকটি হ্যারিয়ার গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৭ টাকা। নিলামে জাপানি টয়োটা র‍্যাব ফোর মডেলের ১৯৮৬ সিসির গাড়ি রয়েছে দুটি। এর মধ্যে ২০২০ সালের মডেলের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৫৬ লাখ ২২ হাজার ১০৭ টাকা এবং ২০১৯ সালের মডেলের গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাড়ির এই নিলামে রয়েছে ২০২৪ সালে চীনে তৈরি হোয়ো ৩৪০ মডেলের ১০টি হেভি ডিউটি সিনো ডাম্প ট্রাক। এগুলোর মধ্যে ধরনভেদে ৬টির প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩২ টাকা; বাকি ৪টির সংরক্ষিত মূল্য ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮১ টাকা। নিলামে একটি গাড়ি রয়েছে টয়োটা এস্কোয়ার ২০১৯ সালের মডেলের। ১৯৮৬ সিসি এই গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ১৬৮ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও সেই ১৪ ভারতীয়কে পুশ ইনের চেষ্টা, দৌলতপুর সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ভারতীয় ১৪ নাগরিক শূন্য লাইনে অবস্থান করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভারতীয় ১৪ নাগরিক শূন্য লাইনে অবস্থান করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ফের ১৪ ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর অবস্থান ও সতর্ক পাহারার কারণে রোববার ভোরে এই নতুন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির অধীন চল্লিশপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ওই নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালায় বিএসএফ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে একই ব্যক্তিদের পুশ ইনের চেষ্টা করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হলে পতাকা বৈঠকের পর পরিচয় নিশ্চিত হলে তাঁরা পুনরায় ভারতে ফেরত যান।

এরপরও বিএসএফ দৌলতপুর সীমান্ত ব্যবহার করে নতুন করে পুশ ইনের চেষ্টা চালায়। বিজিবির কঠোর তৎপরতায় এবারও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী ভারতীয় ওই নাগরিকেরা সীমান্তের শূন্য (জিরো) লাইনের আশপাশে অবস্থান করছেন।

শূন্য লাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০)। শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা ভারতের ওডিশা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা ও মুসলিম নাগরিক। ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আটক করে কারাগারে পাঠায় এবং আধার কার্ড ও রেশন কার্ড জব্দ করে। পরে ওডিশার একটি কারাগারে তাঁরা এক মাস পাঁচ দিন আটক ছিলেন। দুই দিন আগে তাঁদের কলকাতায় নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে নদীয়া জেলার গেঁদে সীমান্তে এনে মধ্যরাতের পর কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করা হয়। তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন না।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মালবাহী জাহাজের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা, আহত ৫

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৫
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে বরিশালের মুলাদী যাওয়ার পথে নোঙর করা মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় দুর্ঘটনায় পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। ঘন কুয়াশার কারণে এমভি মহারাজ-৭ নামের লঞ্চটির বাঁ পাশের দোতলার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জিহাদ হোসেন নামের এক শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়ন এলাকায় পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রী আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি পদ্মা নদী দিয়ে কোদালপুর লঞ্চঘাট এলাকা পার হচ্ছিল। নদীর তীরের কাছাকাছি একটি মালবাহী জাহাজ নোঙর করা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লঞ্চচালক সেটি দেখতে না পাওয়ায় ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চের দোতলার পাশের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুর্ঘটনায় জিহাদ হোসেনের মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। এ ছাড়া আবুল কালাম, রহমতউল্লাহ, রাসেদ সরদারসহ পাঁচ যাত্রী আহত হয়। পরে দোতলায় থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচতলায় নিরাপদ স্থানে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে লঞ্চটি মুলাদীর দিকে যাত্রা শুরু করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবননগরে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৫
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের (৩৬ এডি) নেতৃত্বে জীবননগর মডেল মসজিদের পাশে গাজী জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন সাইকেলের শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা মালপত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি স্মার্টফোন, ১১টি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটন।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিবিঘা ঢালাই সড়কে রনি ও সজিবের ওপর ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রনির কপালের মাঝখানে এবং বাঁ হাত ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিবকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় এখনো আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত