বান্দরবান প্রতিনিধি

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে কেএনএফ। এ ঘটনায় জেলায় শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ সফলতা পাবে কি না এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারা এই কেএনএফ
‘কুকি-চিন রাজ্য’ নামে একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাহাড়ের ৯টি উপজেলা তাদের পূর্বপুরুষদের আদিম নিবাস, দখলদারেরা তাদের ভূমি দখল করে নেয় এবং কোটাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। জেএসএসসহ অন্য সংগঠনগুলো তাদের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে বিভিন্ন অপরাধ করছে, তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে এই সংগঠন সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাথান বম। সংগঠনটি ২০১৭ সালে কেএনভি নামে সশস্ত্র সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণে পাঠায়। ২০১৯ সালে কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষে সশস্ত্র অবস্থায় তারা দেশে ফিরে আসে। রুমা সীমান্ত ও ভারতের মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এ সংগঠনের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ছয় শর বেশি সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তারা পাহাড়ের পাঁচটি উপজেলায় ঘাঁটি গেড়ে এসবিবিএল, একে ৪৭, এসএমজি, পিস্তল, নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
কেএনএফের যত অপরাধ
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞায় জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল কার্যত পথে বসে, রুমার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ থাকে। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবার রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন সেনা এবং কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয় আরও ১৬ জন। অপহরণের শিকার হয় অন্তত ৩০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে, জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে। কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী এ সময় পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আলোচনায় ব্যাংক লুট
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ, আনসার সদস্যদের দুটি সাব-মেশিন গান ও ৬০টি গুলি, ৮টি চায়নিজ রাইফেল ও ৩২০টি গুলি এবং ৪টি শটগান ও ৩৫টি গুলি লুট করে তারা। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর বান্দরবানে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।
কেএনএফে কোন্দল
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শান্তির পথে ফিরে আসা-না আসাকে কেন্দ্র করে কেএনএফে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাংক লুটের এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে অনেকে। শান্তি প্রক্রিয়ার সমঝোতার মধ্যেই ব্যাংক লুটের ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ ঘটনার বিষয়ে কেএনএফ থেকে জানতে চাইলে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে অবস্থানরত সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমরাও এ ঘটনায় হতবাক।’
ব্যর্থ হবে শান্তি প্রক্রিয়া?
কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়। এরপর গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় বৈঠকে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। এই সময়ে ব্যাংক লুট ও অপহরণের ঘটনা শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করবে বলে মনে করছে অনেকে।
যা বলছে প্রশাসনিক কর্তারা
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি, ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধারে কাজ চলছে, আটক করা হয়নি কাউকে।’
এদিকে এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না—এই প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বলেন, ‘এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এ ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই।’

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে কেএনএফ। এ ঘটনায় জেলায় শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ সফলতা পাবে কি না এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারা এই কেএনএফ
‘কুকি-চিন রাজ্য’ নামে একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাহাড়ের ৯টি উপজেলা তাদের পূর্বপুরুষদের আদিম নিবাস, দখলদারেরা তাদের ভূমি দখল করে নেয় এবং কোটাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। জেএসএসসহ অন্য সংগঠনগুলো তাদের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে বিভিন্ন অপরাধ করছে, তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে এই সংগঠন সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাথান বম। সংগঠনটি ২০১৭ সালে কেএনভি নামে সশস্ত্র সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণে পাঠায়। ২০১৯ সালে কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষে সশস্ত্র অবস্থায় তারা দেশে ফিরে আসে। রুমা সীমান্ত ও ভারতের মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এ সংগঠনের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ছয় শর বেশি সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তারা পাহাড়ের পাঁচটি উপজেলায় ঘাঁটি গেড়ে এসবিবিএল, একে ৪৭, এসএমজি, পিস্তল, নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
কেএনএফের যত অপরাধ
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞায় জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল কার্যত পথে বসে, রুমার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ থাকে। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবার রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন সেনা এবং কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয় আরও ১৬ জন। অপহরণের শিকার হয় অন্তত ৩০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে, জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে। কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী এ সময় পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আলোচনায় ব্যাংক লুট
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ, আনসার সদস্যদের দুটি সাব-মেশিন গান ও ৬০টি গুলি, ৮টি চায়নিজ রাইফেল ও ৩২০টি গুলি এবং ৪টি শটগান ও ৩৫টি গুলি লুট করে তারা। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর বান্দরবানে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।
কেএনএফে কোন্দল
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শান্তির পথে ফিরে আসা-না আসাকে কেন্দ্র করে কেএনএফে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাংক লুটের এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে অনেকে। শান্তি প্রক্রিয়ার সমঝোতার মধ্যেই ব্যাংক লুটের ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ ঘটনার বিষয়ে কেএনএফ থেকে জানতে চাইলে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে অবস্থানরত সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমরাও এ ঘটনায় হতবাক।’
ব্যর্থ হবে শান্তি প্রক্রিয়া?
কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়। এরপর গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় বৈঠকে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। এই সময়ে ব্যাংক লুট ও অপহরণের ঘটনা শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করবে বলে মনে করছে অনেকে।
যা বলছে প্রশাসনিক কর্তারা
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি, ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধারে কাজ চলছে, আটক করা হয়নি কাউকে।’
এদিকে এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না—এই প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বলেন, ‘এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এ ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই।’
বান্দরবান প্রতিনিধি

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে কেএনএফ। এ ঘটনায় জেলায় শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ সফলতা পাবে কি না এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারা এই কেএনএফ
‘কুকি-চিন রাজ্য’ নামে একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাহাড়ের ৯টি উপজেলা তাদের পূর্বপুরুষদের আদিম নিবাস, দখলদারেরা তাদের ভূমি দখল করে নেয় এবং কোটাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। জেএসএসসহ অন্য সংগঠনগুলো তাদের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে বিভিন্ন অপরাধ করছে, তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে এই সংগঠন সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাথান বম। সংগঠনটি ২০১৭ সালে কেএনভি নামে সশস্ত্র সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণে পাঠায়। ২০১৯ সালে কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষে সশস্ত্র অবস্থায় তারা দেশে ফিরে আসে। রুমা সীমান্ত ও ভারতের মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এ সংগঠনের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ছয় শর বেশি সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তারা পাহাড়ের পাঁচটি উপজেলায় ঘাঁটি গেড়ে এসবিবিএল, একে ৪৭, এসএমজি, পিস্তল, নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
কেএনএফের যত অপরাধ
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞায় জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল কার্যত পথে বসে, রুমার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ থাকে। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবার রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন সেনা এবং কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয় আরও ১৬ জন। অপহরণের শিকার হয় অন্তত ৩০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে, জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে। কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী এ সময় পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আলোচনায় ব্যাংক লুট
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ, আনসার সদস্যদের দুটি সাব-মেশিন গান ও ৬০টি গুলি, ৮টি চায়নিজ রাইফেল ও ৩২০টি গুলি এবং ৪টি শটগান ও ৩৫টি গুলি লুট করে তারা। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর বান্দরবানে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।
কেএনএফে কোন্দল
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শান্তির পথে ফিরে আসা-না আসাকে কেন্দ্র করে কেএনএফে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাংক লুটের এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে অনেকে। শান্তি প্রক্রিয়ার সমঝোতার মধ্যেই ব্যাংক লুটের ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ ঘটনার বিষয়ে কেএনএফ থেকে জানতে চাইলে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে অবস্থানরত সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমরাও এ ঘটনায় হতবাক।’
ব্যর্থ হবে শান্তি প্রক্রিয়া?
কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়। এরপর গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় বৈঠকে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। এই সময়ে ব্যাংক লুট ও অপহরণের ঘটনা শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করবে বলে মনে করছে অনেকে।
যা বলছে প্রশাসনিক কর্তারা
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি, ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধারে কাজ চলছে, আটক করা হয়নি কাউকে।’
এদিকে এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না—এই প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বলেন, ‘এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এ ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই।’

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে কেএনএফ। এ ঘটনায় জেলায় শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ সফলতা পাবে কি না এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কারা এই কেএনএফ
‘কুকি-চিন রাজ্য’ নামে একটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাহাড়ের ৯টি উপজেলা তাদের পূর্বপুরুষদের আদিম নিবাস, দখলদারেরা তাদের ভূমি দখল করে নেয় এবং কোটাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। জেএসএসসহ অন্য সংগঠনগুলো তাদের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে বিভিন্ন অপরাধ করছে, তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে এই সংগঠন সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাথান বম। সংগঠনটি ২০১৭ সালে কেএনভি নামে সশস্ত্র সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন, কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণে পাঠায়। ২০১৯ সালে কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষে সশস্ত্র অবস্থায় তারা দেশে ফিরে আসে। রুমা সীমান্ত ও ভারতের মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এ সংগঠনের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ছয় শর বেশি সদস্য রয়েছে। বর্তমানে তারা পাহাড়ের পাঁচটি উপজেলায় ঘাঁটি গেড়ে এসবিবিএল, একে ৪৭, এসএমজি, পিস্তল, নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি ল্যান্ড মাইন ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
কেএনএফের যত অপরাধ
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞায় জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল কার্যত পথে বসে, রুমার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস বন্ধ থাকে। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২০২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবার রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন সেনা এবং কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয় আরও ১৬ জন। অপহরণের শিকার হয় অন্তত ৩০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে, জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে। কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী এ সময় পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আলোচনায় ব্যাংক লুট
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র দল রুমা সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ, আনসার সদস্যদের দুটি সাব-মেশিন গান ও ৬০টি গুলি, ৮টি চায়নিজ রাইফেল ও ৩২০টি গুলি এবং ৪টি শটগান ও ৩৫টি গুলি লুট করে তারা। এ সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আর বান্দরবানে এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ফের আলোচনায় কেএনএফ।
কেএনএফে কোন্দল
বিভিন্ন দাবি নিয়ে শান্তির পথে ফিরে আসা-না আসাকে কেন্দ্র করে কেএনএফে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাংক লুটের এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে অনেকে। শান্তি প্রক্রিয়ার সমঝোতার মধ্যেই ব্যাংক লুটের ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ ঘটনার বিষয়ে কেএনএফ থেকে জানতে চাইলে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে অবস্থানরত সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমরাও এ ঘটনায় হতবাক।’
ব্যর্থ হবে শান্তি প্রক্রিয়া?
কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়। এরপর গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় বৈঠকে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। এই সময়ে ব্যাংক লুট ও অপহরণের ঘটনা শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করবে বলে মনে করছে অনেকে।
যা বলছে প্রশাসনিক কর্তারা
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি, ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধারে কাজ চলছে, আটক করা হয়নি কাউকে।’
এদিকে এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না—এই প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘চলমান শান্তি প্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বলেন, ‘এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এ ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়েছে কি না—এই প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩১ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৩ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লু
০৩ এপ্রিল ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩১ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৩ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লু
০৩ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৩ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লু
০৩ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩১ মিনিট আগে
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে শান্ত ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল বান্দরবান। ২০২২ সাল থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এই জেলাকে অস্থির করে তোলে। কেএনএফকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যখন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এ সময়ে ব্যাংক থেকে অস্ত্র লু
০৩ এপ্রিল ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩১ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৩ মিনিট আগে