Ajker Patrika

বয়সের জটিলতায় হচ্ছে না রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বয়সের জটিলতায় হচ্ছে না রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বয়সের জটিলতার কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না আহিদা বেগম নামে এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার পূর্বভাগ এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে এ বছর জেএসসির রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে বুঝতে পারে তার বয়স বেশি! স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আহিদা বেগম উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামের মো. মারফত আলীর মেয়ে। সে পূর্বভাগ এসএইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু বয়সের জটিলতায় রেজিস্ট্রেশন করতে না পারায় পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তাঁর। এ নিয়ে চরম বিপাকে আছে আহিদা ও তার পরিবার। ২০১৫ সালে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে ভর্তি প্রাথমিকের গণ্ডি পাড় হয়েছিল পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী আহিদা বেগম বলেন, আমি পড়তে চাই। যেভাবেই হোক আমি জেএসসি পরীক্ষা দিতে চাই। কিন্তু স্কুলের স্যাররা বারবার বলছে আমি সকল কাগজপত্র ঠিক করে নিয়ে আসতাম। আমি মেয়ে মানুষ আমি কই যামু! আপনারা আমার জন্য কিছু করেন। আমার মা-বাবা এতসব বুঝে না।’

পূর্বভাগ এসইএসডিপি মডেল স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়, আহিদার জন্ম সনদ অনুযায়ী জন্মতারিখ ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল। অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতে হলে তার বয়স ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে গণনা করে বয়স দাঁড়ায় ১৭ বছর আট মাস ১৫দিন। রেজিস্ট্রেশন করতে বারবার ওয়েবসাইটে ইনপুট দিলেও তা নিচ্ছে না। তাই তাদের কিছুই করার নেই। কেবল প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষার সনদ সংশোধন করে আনলেই তারা রেজিস্ট্রেশন করবে। এদিকে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদও প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

উপজেলার পূর্বভাগ এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বয়স জন্ম নিবন্ধন ও সমাপনী সনদে বেশি হওয়ায় তাকে সংশোধন করে আনতে বলেছি। বেশি বয়সে কেন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করালেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তখন আমরা এটা খেয়াল করিনি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, মাধ্যমিকে ভর্তি হতে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক কিছু নিয়মনীতি আছে। সে নিয়ম অনুযায়ী জেএসসি পরীক্ষা দিতে গেলে ন্যূনতম বয়স ১১ বছরের উপড়ে ও ১৭ বছরে নিচে হতে হবে।

উপজেলার পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণিতে সাধারণত শিশুরা ভর্তি হয় পাঁচ বছর বয়সে। কিন্তু আহিদা বেগম ভর্তি হয়েছিল ১০ বছর বয়সে। আমাদের ধারণা মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতেই তার পরিবারের লোকজন বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন করেছিল।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকে ভর্তি সময় নিম্নগামী বয়সের কথা বলা আছে। কিন্তু ঊর্ধ্বগামী বয়সের কথা উল্লেখ নেই। ঝড়ে পড়া রোধ করতে বেশি বয়সে যে কেউ ভর্তি হতে চাইলে আমরা ভর্তি করি। তার জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে আনতে পারলে আমরা সমাপনী পরীক্ষার সনদপত্র সংশোধন করতে পারব।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, ‘মেয়েটির পড়া লেখা কোনোভাবেই বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। সে যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর সমাপনীর সনদ ও জন্মনিবন্ধন পরিবর্তন করে শিক্ষা বোর্ডের কাছে আবেদন করলে আমরা তার সমস্যার সমাধান করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও সেই ১৪ ভারতীয়কে পুশ ইনের চেষ্টা, দৌলতপুর সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ভারতীয় ১৪ নাগরিক শূন্য লাইনে অবস্থান করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভারতীয় ১৪ নাগরিক শূন্য লাইনে অবস্থান করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ফের ১৪ ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর অবস্থান ও সতর্ক পাহারার কারণে রোববার ভোরে এই নতুন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির অধীন চল্লিশপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ওই নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চালায় বিএসএফ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে একই ব্যক্তিদের পুশ ইনের চেষ্টা করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হলে পতাকা বৈঠকের পর পরিচয় নিশ্চিত হলে তাঁরা পুনরায় ভারতে ফেরত যান।

এরপরও বিএসএফ দৌলতপুর সীমান্ত ব্যবহার করে নতুন করে পুশ ইনের চেষ্টা চালায়। বিজিবির কঠোর তৎপরতায় এবারও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী ভারতীয় ওই নাগরিকেরা সীমান্তের শূন্য (জিরো) লাইনের আশপাশে অবস্থান করছেন।

শূন্য লাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০)। শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা ভারতের ওডিশা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা ও মুসলিম নাগরিক। ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আটক করে কারাগারে পাঠায় এবং আধার কার্ড ও রেশন কার্ড জব্দ করে। পরে ওডিশার একটি কারাগারে তাঁরা এক মাস পাঁচ দিন আটক ছিলেন। দুই দিন আগে তাঁদের কলকাতায় নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে নদীয়া জেলার গেঁদে সীমান্তে এনে মধ্যরাতের পর কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করা হয়। তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা বাংলা ভাষা বুঝতে পারেন না।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মালবাহী জাহাজের সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কা, আহত ৫

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৫
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে বরিশালের মুলাদী যাওয়ার পথে নোঙর করা মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় দুর্ঘটনায় পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। ঘন কুয়াশার কারণে এমভি মহারাজ-৭ নামের লঞ্চটির বাঁ পাশের দোতলার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জিহাদ হোসেন নামের এক শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়ন এলাকায় পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রী আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি পদ্মা নদী দিয়ে কোদালপুর লঞ্চঘাট এলাকা পার হচ্ছিল। নদীর তীরের কাছাকাছি একটি মালবাহী জাহাজ নোঙর করা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লঞ্চচালক সেটি দেখতে না পাওয়ায় ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চের দোতলার পাশের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুর্ঘটনায় জিহাদ হোসেনের মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। এ ছাড়া আবুল কালাম, রহমতউল্লাহ, রাসেদ সরদারসহ পাঁচ যাত্রী আহত হয়। পরে দোতলায় থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচতলায় নিরাপদ স্থানে চলে যায়। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে লঞ্চটি মুলাদীর দিকে যাত্রা শুরু করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবননগরে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৫
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের (৩৬ এডি) নেতৃত্বে জীবননগর মডেল মসজিদের পাশে গাজী জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন সাইকেলের শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা মালপত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি স্মার্টফোন, ১১টি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটন।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিবিঘা ঢালাই সড়কে রনি ও সজিবের ওপর ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রনির কপালের মাঝখানে এবং বাঁ হাত ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিবকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় এখনো আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত