নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরহাট বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি সেতুর নিচে ভৈরব নদের মাঝ বরাবর বড় পানির পাইপ রয়েছে। পাইপটি রক্ষায় নদীর ভেতর আড়াআড়িভাবে লোহার খাম্বা বসিয়ে বেড়া দেওয়ায় নদীটিতে বাঁধ তৈরি হয়েছে। ফলে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়ে নদীগর্ভে দ্রুত পলি জমছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌচলাচল।
স্থানীয়রা বলেন, ফকিরহাট, মোল্লাহাট এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ নৌপথ সচল রাখতে ২০২০ সালে ভৈরব নদের সাড়ে ১৭ কিমি পুনঃখনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে খননের সুফল কাজে আসেনি। মোল্লাহাটের মধুমতী নদী থেকে খুলনা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় ফকিরহাট এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায়।
ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মুকুন্দ পাল বলেন, নৌচলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। নৌপথ চালু থাকলে খুলনা, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট ও বরিশালের সঙ্গে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহন সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, ওয়াসার পাইপটি ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান সিদ্দিক বলেন, ওই স্থানে পাইপলাইনের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি চীন থেকে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যন্ত্রপাতি এলে পাইপলাইনটি নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরস
১৬ মার্চ ২০২৪
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেমো. হোসাইন আলী কাজী

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা ওই পথ ব্যবহার করছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণের জন্য দুটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে। প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পরিত্যক্ত ওই ভবন দুটির মাঝখান দিয়েই আদালতের প্রধান প্রবেশদ্বার নির্মিত। প্রতিদিন বিচারকাজে অংশ নিতে হাজারো মানুষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়ে আদালতে যাতায়াত করেন। স্থানীয়দের দাবি, ভবন দুটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবন দুটির বিভিন্ন অংশ থেকে ইট, পাথর ও বিম খসে পড়ছে। দেয়ালজুড়ে জন্মেছে পরগাছা। ভেতরের অবস্থা এমন যে দিনের বেলায়ও সেখানে ঢুকতে ভয় পান মানুষ। ভবন দুটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বিচারপ্রার্থী আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘আদালতের সামনে এভাবে দুটি পরিত্যক্ত ভবন থাকা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আমাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবুবকর বলেন, আদালতের প্রবেশপথের দুই পাশে পরিত্যক্ত দুটি ভবন পড়ে আছে। ভবন ধসে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
জেলা বার সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত ভবন দুটি অপসারণ করা জরুরি।
জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন দুটি বহু আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কেন এখনো সেগুলো অপসারণ করা হয়নি, তা আমারও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত ভবন দুটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপসারণ করা হবে।

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরস
১৬ মার্চ ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ফারুকের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সদরের চাঁনপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মসলেম সরদার। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিএনজি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। স্থানীয়রা জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতন করা হলেও পরে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। এক পুরিয়া গাঁজার জন্য ফারুককে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। পরে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখে যায় বাগমারা থানা-পুলিশ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরদিন সকালে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
গত বুধবার উপজেলা সদরে গেলে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকে রাখেন সিএনজি সমিতির সদস্যরা। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে সমিতির ২০-২৫ জন সদস্য মব সৃষ্টি করে তাঁকে নির্মম নির্যাতন করেন। চুরির কথা স্বীকার করাতে চার হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নগ্ন করে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। পানি খেতে চাইলে পাশের নদীতে চুবানো হয়। পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মরিচের গুঁড়া। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে এক পুরিয়া গাঁজা এনে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশ সদস্যরা আর তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা। তিনি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মুমূর্ষু ভ্যানচালক ফারুককে সাত দিন কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান জানান, ওই রাতেই পুলিশ ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় কারাগারে দিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে পরদিন সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ফারুক মারা যান। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারুকের বাবা মসলেম সরদারও ভ্যানচালক। তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। চুরি না করলেও স্বীকার করাতে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
ফারুকের মা পারুল বেগম বলেন, ‘গরিব বলে আমার ছেলেকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা না করিয়ে প্রশাসন তাকে কারাগারে পাঠায়। সিএনজির লোকজন দেখায়, তার কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে। কিন্তু সে মাদক সেবন করত না। প্রশাসন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মৃতপ্রায় ছেলেকে জেলে দিয়ে খুব খারাপ কাজ করেছে। তখনো সঠিক চিকিৎসা হলে বেঁচে যেত। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবানীগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। সামনাসামনি না গেলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।
মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কারাগারে নেওয়ার বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি না। আদেশ হলে আমাদের কাজ কারাগারে পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করেছি।’ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুমূর্ষু ব্যক্তির চিকিৎসা না করিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা বলেন, তিনি একটি সভায় ব্যস্ত আছেন। সভা শেষে ফোন করবেন। পরে আর ফোন করেননি। আবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিভাগীয় কমিশনার ড. আ ন ম বজলুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরস
১৬ মার্চ ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
৮ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরস
১৬ মার্চ ২০২৪
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদ খননের পরও সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। উপজেলার ফকিরহাট বাজারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে নেওয়া খুলনা ওয়াসার পাইপলাইনের কারণে নদীটিতে নৌচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক নাব্যতাসংকট।
৬ ঘণ্টা আগে
আইনের আশ্রয় নিতে এসে ভয় নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে আদালতে। অর্ধশত বছরের পুরোনো দুটি পরিত্যক্ত ভবনের মাঝ দিয়েই বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল প্রবেশপথ। জরাজীর্ণ ভবন দুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী...
৬ ঘণ্টা আগে
দুই ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চলে ভ্যানচালক ওমর ফারুকের (৩৮) ওপর। পেরেক ঢোকানো হয় হাত-পায়ে। পানি চাইলে শীতের রাতে নগ্ন করে চুবানো হয় নদীতে। তারপর দফায় দফায় নির্যাতন। পায়ুপথে ঢোকানো হয় মরিচের গুঁড়া। এতে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারুক। ওই অবস্থায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগে