Ajker Patrika

ফুল-আলোয় প্রস্তুত ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও চবি সংবাদদাতা 
সমাবর্তীদের পদচারণে মুখর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কালো গাউন, মাথায় টুপি পরে বিভিন্ন বিভাগ, হল, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলছে ছবি তোলার হিড়িক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবর্তীদের পদচারণে মুখর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কালো গাউন, মাথায় টুপি পরে বিভিন্ন বিভাগ, হল, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলছে ছবি তোলার হিড়িক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।

আগামীকাল বুধবার সেখানে সমাবর্তন। এ উপলক্ষে চলছে নানা আয়োজন।

৯ বছরের বেশি সময় পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হচ্ছে। এবার সমাবর্তনে অংশ নেবেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২২ জনকে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে। সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তনে তাঁকে ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে।

সমাবর্তন ঘিরে ১৯টি উপকমিটি দিনরাত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তৈরি করা হয়েছে তিনটি প্যান্ডেল। সমাবর্তনের উপহারসামগ্রী পৌঁছে গেছে বিভাগে বিভাগে। বিশাল এ আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। শিক্ষার্থীদের থেকে এসেছে সাড়ে ৬ কোটি, বাকি অর্থ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও স্পনসরদের মাধ্যমে।

৯ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু বাড়তি উচ্ছ্বাস। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা নিঝুম বলেন, ‘একাডেমিক জীবনের একটি সুন্দর সমাপ্তি সমাবর্তন। দীর্ঘ ৯ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হচ্ছে। আমি একজন সমাবর্তী হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আজ যখন পেছন ফিরে দেখি, তখন মনে হয় একদম প্রথম দিনের সেই অচেনা ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধুদের সাথে প্রথম পরিচয়, সেই উদ্ভূত উত্তেজনা—সবই যেন এক সুন্দর স্মৃতি হয়ে গেছে। কল্পনায় বহুবার দেখা সেই দিনটা অবশেষে সত্যি বাস্তবে এসে ধরা দিতে যাচ্ছে।’

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তামিম আহমেদ বলেন, ‘সমাবর্তনে আরও ভালো লাগছে ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের কথা শুনতে পারব সরাসরি। এটি পরবর্তী জীবনে উৎসাহিত করবে।’

যত নিয়ম সমাবর্তীদের জন্য

সমাবর্তনে শেষ কিছু নির্দেশনা মানতে হবে সমাবর্তীদের। ১৪ মে বেলা ১টার পরে কোনো সমাবর্তীকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেবে না এসএসএফ। অনুষ্ঠানস্থল থেকে কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারবেন না। বৃদ্ধ, নবজাতক ও শিশুদের না আনার অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। মোবাইল ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল প্রবেশ করা যাবে না। এমনকি নবজাতক শিশুর জিনিসপত্রও না।

সমাবর্তনের দিন শাটল ট্রেনের পাশাপাশি সকাল ৬টা থেকে শহরের নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ১০০টি বাস সমাবর্তীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবে। সমাবর্তন শেষে এগুলো আবার শহরে ফিরে যাবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের ১ নম্বর গেট এলাকা থেকে শাটল বাস সার্ভিস রাখা হবে। এর বাইরে কোনো গাড়ি সেদিন ওই রুটে চলাচল করতে পারবে না। শাটল বাসে অভিভাবকেরাও চড়তে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য শহীদ মিনার, জারুলতলা, সায়েন্স ফ্যাকাল্টিসহ ৫টি পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখানো হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯ বছরে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪টি। আমরা উদ্যোগটা নেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকদের মনোভাব পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে সবাই এটা চায়। সে জন্যই আমরা এই সাহসী উদ্যোগটা নিয়েছি। আর এখন থেকে চেষ্টা করব নিয়মিত এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের সমাবর্তন নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

আসবেন লাখো মানুষ

সমাবর্তন নিয়ে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এ-সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট উপাধি দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বিদ্যুৎ ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।

উপাচার্য জানান, সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে সমাবর্তীসহ প্রায় ১ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব ও চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী, সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক মো. শহীদুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব এসব তথ্য জানায়। র‍্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত