Ajker Patrika

নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরসহ ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ২৫
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরসহ ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয় সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ঋণখেলাপি, বৈধ কাগজপত্র, তথ্য গরমিলের কারণে সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনসহ ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং স্থগিত করা হয়েছে সাতটি। 

এর আগে আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেসবাউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, স্ব-স্ব প্রার্থী ও তাঁদের প্রস্তাবকারী-সমর্থকেরা। 

মনোনয়নপত্র বৈধ প্রার্থীরা হলেন, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হারুন অর রশিদ, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মমিনুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের এ কে এম সেলিম ভূঁইয়া, জাকের পার্টির মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছর ওয়াহেদ ফারুক, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) আতাউর রহমান ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) আবু জাফর টিপু, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) এস এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নাইমুল আহসান, জাকের পার্টির এ টি এম হোসেন হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) মিনহাজ আহমেদ, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ডা. এ বি এম জাফর উল্যা, জাকের পার্টির মুহাম্মদ বাহার উদ্দিন, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসোইন ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. সোহরাব উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. আবদুল আলীম, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 
 
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের, ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ শাসছুদ্দোহা, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোহাম্মদ মকছেদুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) আয়েশা ফেরদাউস, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। 

বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে এক পার্সেন্ট ভোটারের তথ্যে মিল না থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী সাইদ মো. তুষার এবং আরেক স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী খন্দকার আর আমিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে তথ্যগত ভুল, রিটার্ন জমা না দেওয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইনের মনোনয়নপত্র বাতিল, নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামানের বাতিল, এক পার্সেন্ট ভোটারের তথ্য ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) জাহাঙ্গীর হোসেন বাবরের বাতিল, কাগজপত্র গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) আবদুস সাত্তারের মনোনয়নপত্র বাতিল, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী মো. শিহাব উদ্দিনের আয়কর রিটার্ন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় এবং কাগজপত্র ঠিক না থাকায় কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলমের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ঋণখেলাপির অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় মামলার তথ্য উল্লেখ না থাকায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী জয়নাল আবদীনের মনোনয়ন বাতিল, শতকরা এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্যে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী আবুল কাশেমের মনোনয়ন বাতিল, কাগজপত্রে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। 

ডেল্টা জুট মিলের পরিচালক থাকাকালীন বাখরাবাদ গ্যাসের ৭০ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী আক্তার হোসেনের মনোনয়ন স্থগিত, আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় সাম্যবাদী দলের প্রার্থী মহিউদ্দিনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয় পরিচালনা-সংক্রান্ত নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা ও আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফজলে এলাহী সোহাগের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। 

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে ঋণখেলাপির দায়ে বাতিল হয়েছে বিকল্পধারার প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল মন্নান, আবেদন ফরমের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান না করা, রিটার্ন দাখিল না করা, প্রস্তাবকারীর নাম ও তথ্যে গরমিল, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকায় বাতিল হয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী এস এম রহিম উল্যা, ঋণখেলাপি, ক্রেডিট কার্ডের ঋণের দয়ে গণতন্ত্রী পার্টি সারওয়ার ই দীন, তথ্যে গরমিল থাকায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. জিহাদ চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। 
 
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী শাকিল মাহমুদ চৌধুরীর মনোনয়ন। 

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আয়কর রিটার্ন পেপার জমা না দেওয়া, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর নাম-ঠিকানা না থাকায় আসনটিতে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এনপিপির প্রার্থী তারিকুল ইসলাম, এক পার্সেন্ট ভোটার যথাযথ না থাকায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থী আমিরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকায় স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।

বরখাস্ত হওয়া মো. মহিবুল্লাহ নড়াইল জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি যশোর পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন।

যশোর পুলিশের বরাতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি (মহিবুল্লাহ) গত ২৬ নভেম্বর ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে নিজ জেলা নড়াইলে রওনা হন এবং ছুটি শেষে ১২ ডিসেম্বর কর্মস্থলে হাজির হন।

ছুটিকালীন তিনি নড়াইল থেকে সাতক্ষীরায় এসে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সংগীত পরিবেশন ও বক্তব্য দেন; যা পুলিশের পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বিষয়টি রেঞ্জ ডিআইজিকে অবহিত করে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে আজ রোববার দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান পরিবেশনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুরের এক কলেজের ৪৫ শিক্ষার্থী

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।

১২ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম জানান, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম পেয়েছেন। এই নামের তালিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।

তিনি বলেন, গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।

উল্লেখ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আগের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদান হামলা: মিশন যাত্রার ১ মাস ৮ দিনের মাথায় প্রাণ গেল শান্তিরক্ষী মাসুদের, পরিবারে মাতম

নাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি 
মাসুদ রানার মৃত্যুর খবরে পরিবারে কান্নার রোল উঠেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাসুদ রানার মৃত্যুর খবরে পরিবারে কান্নার রোল উঠেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।

গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।

মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।

মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’

ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’

প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত