Ajker Patrika

বিজয়নগরে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে চলছে তিন চাকার গাড়ি 

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫৪
বিজয়নগরে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে চলছে তিন চাকার গাড়ি 

বিজয়নগরে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে চলছে তিন চাকার গাড়ি। তাদের নেই কোনো লাইসেন্স, নেই গাড়ি চালানোর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। অল্প বয়সেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি ও যাত্রীদের জানমালের দায়িত্ব। এ যেন কানার হাতে কুড়াল তুলে দেওয়ার নামান্তর। 

জানা যায়, বিজয়নগরের তিন চাকার গাড়িচালকদের একটি বড় অংশই এখন অপ্রাপ্তবয়স্ক। কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই যাত্রীবোঝাই গাড়ি নিয়ে ছুটছে বিজয়নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এ ছাড়া রয়েছে যাত্রী তোলা ও গন্তব্যে পৌঁছা নিয়ে প্রতিযোগিতা। বেপরোয়াভাবে চালানো এসব যানবাহনেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিচরণ এখন বিজয়নগরের অলিতে গলিতে। তিন চাকার গাড়ির মধ্যে রয়েছে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও টমটম। এ ছাড়া তাদের ট্রাক্টর ও মিনি ট্রাক নিয়েও রাস্তায় দেখা যায়। অদক্ষ চালকদের দৌরাত্ম্যে বাড়ছে যানজট। দিন দিন বেড়েই চলেছে অদক্ষ চালকদের সংখ্যা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। 

এসবের কারণে দেশের প্রধান সড়ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগরে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে যাত্রী ও পথচারীরা চরম আতঙ্কে রয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে গাড়ি দেওয়ার অপরাধে গাড়ির মালিদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছে সচেতন মহল। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত প্রতিকারের দাবি জানিয়েছে। 

অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের গাড়ির এক যাত্রী মিরাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামের যাত্রীরা চলাচল করতে এত কিছু বোঝে না। তাই তারা কিছু বলে না। তবে বিষয়টা গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। 

উপজেলার বিন্নিঘাট এলাকার অটোরিকশাচালক জামাল মিয়ার ছেলে শ্যামল মিয়ার (১২) সঙ্গে কথা বললে সে জানায়, গত দুই বছর ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়ায় চালাচ্ছে সে। ৩০০ টাকা অটোরিকশার মালিককে দিয়ে বাকি টাকা নিজের জন্য রাখে। 

সিএনজি সমবায় সমিতির নেতা মো. খালেক বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালকদের হাতে যানবাহন যাতে তুলে না দেয়ণ, এর জন্য আমরা এর মালিকদের সতর্ক করে দিচ্ছি। 

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই যানবাহনের অনিয়ম গুরুত্বসহকারে দেখছি। অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক ও গাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবিরকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

৭ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।

হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখনো পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন। প্রধান আসামি ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমও দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন।

ফয়সালকে রেন্ট এ কারের মাইক্রোবাসে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান কারাগারে রয়েছেন। ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী লিজন (২৭) নামের এক নির্মাণশ্রমিক মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লিজন মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক রাকিবুল গুরুতর আহত হয়েছেন। সম্পর্কে তাঁরা মামা-ভাগনে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকেরা।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবীর জানান, আজ সকালে মেহেরপুর-আশরাফপুর গ্রামের সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর শহরের দিকে আসছিলেন লিজন ও রাকিবুল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেল আরোহী লিজন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা মোটরসাইকেলচালক রাকিবুল ইসলামকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লিজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
হুমকি পাওয়া সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হুমকি পাওয়া সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন নেতা হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁরা শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

হুমকি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মৌলভীবাজারের দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. এহসানুল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখার আহ্বায়ক নাঈম হাসান, মৌলভীবাজার জেলা এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় রশিদ, জেলা এনসিপির সদস্য হায়দার আলী ও নাঈম।

জিডিতে বলা হয়, গত রোববার বেলা ১টা ২৯ মিনিটের দিকে ‘নো ক্যাপশন’ ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে জুলাই যোদ্ধা মো. মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের নামও লিস্ট করে দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি, মেসেঞ্জার ও কমেন্টে নিয়মিত ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা ছয়জন শ্রীমঙ্গল থানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে থানার ওসিকে জানালে জিডি করার পরামর্শ দেন। আমরা জিডি করেছি। এ ঘটনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’

সাংবাদিক এহসানুল হক জানান, সংবাদ প্রকাশের জেরে এর আগেও একাধিকবার হুমকি ও আক্রমণের শিকার হয়ে জিডি করেছেন তিনি। এখন নতুন হুমকি পেয়ে তিনি ও তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একটি সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য ও স্ক্রিনশট যাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশ এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি ‘স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন’ স্থাপন করা হবে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে জনবল, গাড়ি-পাম্প ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোতায়েন থাকবেন। এর ফলে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এইচআরডি-১ এর যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াদ ফারজান্দ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: মো. নিয়ামুল কবির, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট) ; মো. জবদুল ইসলাম, পরিচালক (এইচআরডি-১)।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; মো. মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ; কাজী নজমুজ্জামান, সহকারী পরিচালক।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুসংহত হলো। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত মতিঝিলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই স্যাটেলাইট স্টেশনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত