শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা ও লোকমান হাকিম, মহেশখালী (কক্সবাজার)

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
পাশেই যতদূর চোখ যায়, চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। প্রথম দেখায় ঠিক বোঝার উপায় নেই জায়গাটি কোথায়। মনে হয় উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির কোনো এক সমুদ্রবন্দর। কিন্তু না, এটি আসলে সাগরবক্ষের দ্বীপ মহেশখালীর মাতারবাড়ী। এই তো কয়েক বছর আগেও এখানকার হাজার হাজার একর জমিতে লোনাপানি জমিয়ে লবণের চাষ হতো। দিনভর মাছ শিকার করত। আজ সেই লবণমাঠেই বাস্তবায়ন হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর। শুধু মাতারবাড়ীই নয়। পুরো মহেশখালীতে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজগুলো শেষ হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভাগ্য বদলাবে এখানকার মানুষের। মহেশখালী হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম এক চালিকাশক্তি। সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছেন না এখানকার সাধারণ মানুষও। তাঁদেরও ইচ্ছে, সময়ের পরিবর্তনে লবণ উৎপাদন আর মাছ শিকার বাদ দিয়ে শামিল হবেন উন্নয়নের এই বিপ্লবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, তেল রিজার্ভ ট্যাংক, পণ্য খালাসের জেটি, গভীর সমুদ্রবন্দর, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টসহ প্রায় ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৩১টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। ৯টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের, ৮টি সড়ক ও সেতু বিভাগের, ৯টি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের।
কক্সবাজার শহর থেকে সমুদ্রপথে উত্তর দিকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার গেলে মহেশখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন এই মাতারবাড়ী। ইউনিয়নের ৮০ হাজার জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশের পেশা সমুদ্রের মাছ শিকার এবং খোলা মাঠে লোনাপানি জমিয়ে লবণ উৎপাদন করা। কিন্তু আজ সেখানে নির্মাণকাজে ব্যস্ত ১৭ দেশের ৫৫৪ জন বিদেশি নাগরিক। তাঁদের নির্দেশনায় কাজ করছেন বাংলাদেশি আরও সাড়ে ৬ হাজারের মতো শ্রমিক।
মহেশখালী থেকে সড়কপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছাই মাতারবাড়ীর ধলঘাটা। এই মহা প্রকল্পে উত্তর পাশে কুতুবদিয়া চ্যানেল, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, আর পূর্ব পাশে কুহেলিয়া নদী। মধ্যভাগের জমিতে দেশি-বিদেশি সাড়ে ৭ হাজার শ্রমিক-প্রকৌশলীর ঘামে-শ্রমে মাথা তুলেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল অবকাঠামো। বড় বড় ক্রেন, ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে দিনরাত চলছে নির্মাণকাজ। জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো, তোশিবা ও আইএইচআই করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে। ২০১৮ সালে এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৪ সালে।
সার্বিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুটি পাওয়ার প্ল্যান্টে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এগুলোর ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ইউনিট একই বছরের জুলাইয়ে চালু হবে বলে আশা করছি। সামগ্রিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।’
সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ এলাকা হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির হাব। এ হাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে নতুন শহর। যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন শেখ বলেন, সত্যিই এলাকার চেহারা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎতে এ-কেন্দ্রিক নানা ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।
এ মাসে গভীর সমুদ্রবন্দরের টেন্ডার
দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০০৯ সালে। শুরুতে পরিকল্পনায় ছিল কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। এরপর আসে পটুয়াখালীর পায়রায়। কিন্তু সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতেই হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। আর এটাই হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর।
মাতারবাড়ী ধলঘাটার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে ১ হাজার ৮০ একর ভূমিতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বন্দর নির্মাণ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে এ বন্দরটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বন্দরের সঙ্গেই গড়ে তোলা হবে কনটেইনার রাখার অবকাঠামো। ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোও (আইসিডি) গড়ে তোলা হবে।
সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে বিদেশি জাহাজ ভিড়ছে
প্রকল্প এলাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে চার কিলোমিটার সড়কের শেষ প্রান্তে ১৪ কিলোমিটারের মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে তৈরি হয়েছে পণ্য খালাসের দুটি জেটি। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেলে ঢুকে বিদেশি জাহাজগুলো সেখানে পণ্য খালাস করছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, জেটি দুটিতে দুটি বিদেশি জাহাজ ভিড়ে রয়েছে। জাহাজ থেকে ক্রেনের মাধ্যমে নামানো হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্টিল সরঞ্জাম। কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত ৩০টি বিদেশি জাহাজ এসেছে। বর্তমানে একটি তেলের, আরেকটি কয়লার জেটিতে নোঙর করেছে।
তেল খালাসে বাঁচবে বছরে ৮০০ কোটি টাকা
গভীরতা কম হওয়ায় তেলবাহী মাদার ভেসেল চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। আবার এক লাখ টন তেল নিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছে আসতে পারে না বড় জাহাজ। তাই ছোট ছোট অয়েল ট্যাংকারে করে তা ইস্টার্ন রিফাইনারির জেটিতে আনা হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটি ট্যাংকার থেকে তেল খালাস করতে ৩ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যায়। আর অতিরিক্ত সময়ের জন্য সরকারকে জরিমানা গুনতে হয় জাহাজ কোম্পানির কাছে।
তাই মহেশখালীর নিকটবর্তী সমুদ্র এলাকায় নির্মিত হচ্ছে বড় জাহাজ থেকে সরাসরি তেল খালাসের পাইপলাইন। জ্বালানি বিভাগের এই প্রকল্পের নাম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন (এসপিএম)। এই প্রকল্পের জন্য কালারমারছড়ার সোনারপাড়ায় তেল মজুতের জন্য বিশাল অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, ৬ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
জ্বালানি হাব
মহেশখালীতেই গড়ে উঠছে জ্বালানির বড় হাব। এখানে হবে ভাসমান ও স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল। যাকে বলা হবে দেশের সবচেয়ে বড় এলপিজি টার্মিনাল। মহেশখালীর ধলঘাটা দুটি এলএনজি টার্মিনাল হবে স্থলভাগে। আবার এখানকারই নিকটবর্তী সমুদ্রে হবে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল। এই তিন টার্মিনাল থেকে দিনে মিলবে ৩৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
যোগাযোগেও আসবে পরিবর্তন
বিদ্যুৎ প্রকল্প ও সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে হচ্ছে সড়ক উন্নয়ন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত চার লেনের ২৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৭টি সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন্দরের সঙ্গে ২৬ কিলোমিটার রেলপথ সরাসরি যুক্ত করতে চায়। এটি চকরিয়ার হারবাং থেকে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সোনাদিয়ায়
দেশের পর্যটন বিজ্ঞাপনের পোস্টার গার্ল ‘কক্সবাজার’। প্রতিবছর ৬০-৭০ লাখ পর্যটক আসেন। এবার বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সোনাদিয়া দ্বীপ। এ দ্বীপে গড়ে উঠবে পর্যটননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বেজার চেয়ারম্যান শেখ ইউছুপ হারুন বলেন, ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন হলে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
অন্যদিকে সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে কেন্দ্র করে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন হচ্ছে দ্বীপ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, মানুষের জীবনধারা। পুরো মহেশখালীতেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুতের হাব, অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে, তা আমরা কখনো ভাবিনি।’
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার বলেন, প্রকল্পের জন্য এই এলাকার মানুষ জায়গা দিয়েছেন। তাঁরা শুধু উন্নয়ন চান। আর এই উন্নয়নের মাধ্যমে কাজের সুযোগ চান তাঁরা। বদলাতে চান নিজেদের ভাগ্য।
রিকশাচালক রহিমের প্রশ্ন, এত উন্নয়নে হয়তো শিক্ষিতরা অনেক কিছু পাবেন। কিন্তু আমাদের কী হবে? এর জবাবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী অবশ্য বলেছেন, এ উন্নয়নযাত্রায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হতদরিদ্রদের সম্পৃক্ত করতে হবে। না হলে একশ্রেণির মানুষ পিছিয়ে পড়বেন। তাঁদের সঙ্গে রাখার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
পাশেই যতদূর চোখ যায়, চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। প্রথম দেখায় ঠিক বোঝার উপায় নেই জায়গাটি কোথায়। মনে হয় উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির কোনো এক সমুদ্রবন্দর। কিন্তু না, এটি আসলে সাগরবক্ষের দ্বীপ মহেশখালীর মাতারবাড়ী। এই তো কয়েক বছর আগেও এখানকার হাজার হাজার একর জমিতে লোনাপানি জমিয়ে লবণের চাষ হতো। দিনভর মাছ শিকার করত। আজ সেই লবণমাঠেই বাস্তবায়ন হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর। শুধু মাতারবাড়ীই নয়। পুরো মহেশখালীতে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজগুলো শেষ হলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভাগ্য বদলাবে এখানকার মানুষের। মহেশখালী হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম এক চালিকাশক্তি। সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছেন না এখানকার সাধারণ মানুষও। তাঁদেরও ইচ্ছে, সময়ের পরিবর্তনে লবণ উৎপাদন আর মাছ শিকার বাদ দিয়ে শামিল হবেন উন্নয়নের এই বিপ্লবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, তেল রিজার্ভ ট্যাংক, পণ্য খালাসের জেটি, গভীর সমুদ্রবন্দর, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টসহ প্রায় ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৩১টি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। ৯টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের, ৮টি সড়ক ও সেতু বিভাগের, ৯টি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের।
কক্সবাজার শহর থেকে সমুদ্রপথে উত্তর দিকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার গেলে মহেশখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন এই মাতারবাড়ী। ইউনিয়নের ৮০ হাজার জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশের পেশা সমুদ্রের মাছ শিকার এবং খোলা মাঠে লোনাপানি জমিয়ে লবণ উৎপাদন করা। কিন্তু আজ সেখানে নির্মাণকাজে ব্যস্ত ১৭ দেশের ৫৫৪ জন বিদেশি নাগরিক। তাঁদের নির্দেশনায় কাজ করছেন বাংলাদেশি আরও সাড়ে ৬ হাজারের মতো শ্রমিক।
মহেশখালী থেকে সড়কপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছাই মাতারবাড়ীর ধলঘাটা। এই মহা প্রকল্পে উত্তর পাশে কুতুবদিয়া চ্যানেল, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, আর পূর্ব পাশে কুহেলিয়া নদী। মধ্যভাগের জমিতে দেশি-বিদেশি সাড়ে ৭ হাজার শ্রমিক-প্রকৌশলীর ঘামে-শ্রমে মাথা তুলেছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল অবকাঠামো। বড় বড় ক্রেন, ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে দিনরাত চলছে নির্মাণকাজ। জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমিতমো, তোশিবা ও আইএইচআই করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে। ২০১৮ সালে এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, শেষ হবে ২০২৪ সালে।
সার্বিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুটি পাওয়ার প্ল্যান্টে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এগুলোর ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ইউনিট একই বছরের জুলাইয়ে চালু হবে বলে আশা করছি। সামগ্রিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।’
সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ এলাকা হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির হাব। এ হাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে নতুন শহর। যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন শেখ বলেন, সত্যিই এলাকার চেহারা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎতে এ-কেন্দ্রিক নানা ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে বলে এলাকাবাসীর বিশ্বাস।
এ মাসে গভীর সমুদ্রবন্দরের টেন্ডার
দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০০৯ সালে। শুরুতে পরিকল্পনায় ছিল কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। এরপর আসে পটুয়াখালীর পায়রায়। কিন্তু সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতেই হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। আর এটাই হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর।
মাতারবাড়ী ধলঘাটার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে ১ হাজার ৮০ একর ভূমিতে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বন্দর নির্মাণ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালে এ বন্দরটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বন্দরের সঙ্গেই গড়ে তোলা হবে কনটেইনার রাখার অবকাঠামো। ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোও (আইসিডি) গড়ে তোলা হবে।
সমুদ্রবন্দর চ্যানেলে বিদেশি জাহাজ ভিড়ছে
প্রকল্প এলাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে চার কিলোমিটার সড়কের শেষ প্রান্তে ১৪ কিলোমিটারের মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে তৈরি হয়েছে পণ্য খালাসের দুটি জেটি। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেলে ঢুকে বিদেশি জাহাজগুলো সেখানে পণ্য খালাস করছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, জেটি দুটিতে দুটি বিদেশি জাহাজ ভিড়ে রয়েছে। জাহাজ থেকে ক্রেনের মাধ্যমে নামানো হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্টিল সরঞ্জাম। কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত ৩০টি বিদেশি জাহাজ এসেছে। বর্তমানে একটি তেলের, আরেকটি কয়লার জেটিতে নোঙর করেছে।
তেল খালাসে বাঁচবে বছরে ৮০০ কোটি টাকা
গভীরতা কম হওয়ায় তেলবাহী মাদার ভেসেল চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। আবার এক লাখ টন তেল নিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছে আসতে পারে না বড় জাহাজ। তাই ছোট ছোট অয়েল ট্যাংকারে করে তা ইস্টার্ন রিফাইনারির জেটিতে আনা হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটি ট্যাংকার থেকে তেল খালাস করতে ৩ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যায়। আর অতিরিক্ত সময়ের জন্য সরকারকে জরিমানা গুনতে হয় জাহাজ কোম্পানির কাছে।
তাই মহেশখালীর নিকটবর্তী সমুদ্র এলাকায় নির্মিত হচ্ছে বড় জাহাজ থেকে সরাসরি তেল খালাসের পাইপলাইন। জ্বালানি বিভাগের এই প্রকল্পের নাম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন (এসপিএম)। এই প্রকল্পের জন্য কালারমারছড়ার সোনারপাড়ায় তেল মজুতের জন্য বিশাল অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, ৬ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
জ্বালানি হাব
মহেশখালীতেই গড়ে উঠছে জ্বালানির বড় হাব। এখানে হবে ভাসমান ও স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল। যাকে বলা হবে দেশের সবচেয়ে বড় এলপিজি টার্মিনাল। মহেশখালীর ধলঘাটা দুটি এলএনজি টার্মিনাল হবে স্থলভাগে। আবার এখানকারই নিকটবর্তী সমুদ্রে হবে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল। এই তিন টার্মিনাল থেকে দিনে মিলবে ৩৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
যোগাযোগেও আসবে পরিবর্তন
বিদ্যুৎ প্রকল্প ও সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে হচ্ছে সড়ক উন্নয়ন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত চার লেনের ২৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৭টি সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন্দরের সঙ্গে ২৬ কিলোমিটার রেলপথ সরাসরি যুক্ত করতে চায়। এটি চকরিয়ার হারবাং থেকে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এসব অবকাঠামো গড়ে তুলতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সোনাদিয়ায়
দেশের পর্যটন বিজ্ঞাপনের পোস্টার গার্ল ‘কক্সবাজার’। প্রতিবছর ৬০-৭০ লাখ পর্যটক আসেন। এবার বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সোনাদিয়া দ্বীপ। এ দ্বীপে গড়ে উঠবে পর্যটননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বেজার চেয়ারম্যান শেখ ইউছুপ হারুন বলেন, ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন হলে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
অন্যদিকে সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে কেন্দ্র করে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন হচ্ছে দ্বীপ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, মানুষের জীবনধারা। পুরো মহেশখালীতেই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুতের হাব, অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে, তা আমরা কখনো ভাবিনি।’
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার বলেন, প্রকল্পের জন্য এই এলাকার মানুষ জায়গা দিয়েছেন। তাঁরা শুধু উন্নয়ন চান। আর এই উন্নয়নের মাধ্যমে কাজের সুযোগ চান তাঁরা। বদলাতে চান নিজেদের ভাগ্য।
রিকশাচালক রহিমের প্রশ্ন, এত উন্নয়নে হয়তো শিক্ষিতরা অনেক কিছু পাবেন। কিন্তু আমাদের কী হবে? এর জবাবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী অবশ্য বলেছেন, এ উন্নয়নযাত্রায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হতদরিদ্রদের সম্পৃক্ত করতে হবে। না হলে একশ্রেণির মানুষ পিছিয়ে পড়বেন। তাঁদের সঙ্গে রাখার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৪ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৪৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নিয়ে ফিরে আসেন। ফলে বকেয়া বিল আদায় করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় আলোচনা হয়। এ সময় বিল পরিশোধে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বকেয়া আদায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। এ সুযোগটি নিচ্ছেন সাধারণ কর্মচারীরা। তাঁরা কর্মকর্তাদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ ফাঁকি দেওয়াসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা কর্মকর্তাদের আদেশ-নির্দেশও মানছেন না।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, কিছু গ্রাহক বিল কিস্তি করে নিয়ে গেলেও সেই কিস্তি পরিশোধ করেন না। অনেকের নাম-ঠিকানা ভুয়া থাকায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই বিল পরিশোধ করেন না। অনাদায়ি গ্রাহকের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত। এ ছাড়া বয়রা মহিলা হোস্টেল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের গঠিত আদায়কারী টিমের সদস্য ও বিল প্রদানকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠানো হলেও তারা আদায়কারীদের ৩-৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গ্রাহকের বাসাবাড়িতে মিটার রিডিং এবং বিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। অথচ এরা ঠিকমতো বিল পৌঁছান না। আবার তিন-চার মাসের বিল একসঙ্গে পাঠিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য করেন, এই অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ‘আমির সুলতান’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘আগে দুর্নীতি হতো কি না জানি না। তবে এখন ডিজিটাল হওয়ায় সেই সুযোগ নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের মিটারের ছবি তুলে অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া এবং প্রতি মাসে পানির বিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো। আর এ কাজের জন্য চারজন সুপারভাইজারসহ ৩৪ জন কর্মী কাজ করছে।’
প্রকল্প কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, ‘অনেক সময় অফিস থেকে আদায়কারীরা গেলে গ্রাহকেরা মাঝেমধ্যে আমাদের ফোন দেন। এটা কোনো অন্যায় নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিল আদায় করে না, কাজেই আমরা কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই।’
দুর্নীতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ওয়াসার বাণিজ্য ব্যবস্থাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া আদায়ে নিয়মিত মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নোটিশ প্রদান এবং বাড়ি বাড়ি লোক পাঠানো হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার দু-একটি অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা প্রমাণিত হয়নি।’
খাদেমুল আরও বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ বকেয়া ২ লাখের বেশি নয়। বকেয়া অনাদায়ির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রাহকেরা গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াসার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। গভীর নলকূপে মাসে খরচ হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকা। আর ওয়াসাকে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। সে কারণে কিছু গ্রাহক এখন অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ বসাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওয়াসা।’
ওয়াসার পরিচালক শেখ দিদারুল আলম বলেন, ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হয়েছিল। সেখানে আউটসোর্সিং ঠিকাদার পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। অনেকেই পানির বিল দেয় না। বিল পরিশোধের জন্য সতর্ক করতে বলা হয়েছে।

খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুষ নিয়ে ফিরে আসেন। ফলে বকেয়া বিল আদায় করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় আলোচনা হয়। এ সময় বিল পরিশোধে গ্রাহকদের সতর্ক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো বকেয়া আদায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। এ সুযোগটি নিচ্ছেন সাধারণ কর্মচারীরা। তাঁরা কর্মকর্তাদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ ফাঁকি দেওয়াসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা কর্মকর্তাদের আদেশ-নির্দেশও মানছেন না।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, কিছু গ্রাহক বিল কিস্তি করে নিয়ে গেলেও সেই কিস্তি পরিশোধ করেন না। অনেকের নাম-ঠিকানা ভুয়া থাকায় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গ্রাহকসংখ্যার অর্ধেকের বেশিই বিল পরিশোধ করেন না। অনাদায়ি গ্রাহকের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত। এ ছাড়া বয়রা মহিলা হোস্টেল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের বিল বকেয়া রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের গঠিত আদায়কারী টিমের সদস্য ও বিল প্রদানকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতি মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠানো হলেও তারা আদায়কারীদের ৩-৪ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি গ্রাহকের বাসাবাড়িতে মিটার রিডিং এবং বিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। অথচ এরা ঠিকমতো বিল পৌঁছান না। আবার তিন-চার মাসের বিল একসঙ্গে পাঠিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য করেন, এই অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ‘আমির সুলতান’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘আগে দুর্নীতি হতো কি না জানি না। তবে এখন ডিজিটাল হওয়ায় সেই সুযোগ নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের মিটারের ছবি তুলে অনলাইনে এন্ট্রি দেওয়া এবং প্রতি মাসে পানির বিল গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো। আর এ কাজের জন্য চারজন সুপারভাইজারসহ ৩৪ জন কর্মী কাজ করছে।’
প্রকল্প কর্মকর্তা স্বীকার করে বলেন, ‘অনেক সময় অফিস থেকে আদায়কারীরা গেলে গ্রাহকেরা মাঝেমধ্যে আমাদের ফোন দেন। এটা কোনো অন্যায় নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিল আদায় করে না, কাজেই আমরা কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই।’
দুর্নীতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে ওয়াসার বাণিজ্য ব্যবস্থাপক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘বকেয়া আদায়ে নিয়মিত মাইকিং, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নোটিশ প্রদান এবং বাড়ি বাড়ি লোক পাঠানো হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার দু-একটি অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা প্রমাণিত হয়নি।’
খাদেমুল আরও বলেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ বকেয়া ২ লাখের বেশি নয়। বকেয়া অনাদায়ির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে গ্রাহকেরা গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াসার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না। গভীর নলকূপে মাসে খরচ হচ্ছে মাত্র ৪০০ টাকা। আর ওয়াসাকে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। সে কারণে কিছু গ্রাহক এখন অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ বসাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওয়াসা।’
ওয়াসার পরিচালক শেখ দিদারুল আলম বলেন, ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হয়েছিল। সেখানে আউটসোর্সিং ঠিকাদার পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। অনেকেই পানির বিল দেয় না। বিল পরিশোধের জন্য সতর্ক করতে বলা হয়েছে।

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
০১ নভেম্বর ২০২১
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৪৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
০১ নভেম্বর ২০২১
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
০১ নভেম্বর ২০২১
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৪ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৪৪ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

২৫০ মিটার প্রস্থ আর ১৮ মিটার গভীরতা সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। চ্যানেলের সঙ্গে লেগে আছে পণ্য খালাসের জন্য দুটি জেটি। যেখানে ভেড়ানো আছে ব্যাংকক আর গ্রিনল্যান্ডের মালবাহী দুটি জাহাজ।
০১ নভেম্বর ২০২১
খুলনা ওয়াসার ৪৪ হাজার ১১ জন গ্রাহক। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকই পানির বিলের একটি পয়সাও পরিশোধ করেননি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৪ মিনিট আগে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৪৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে