Ajker Patrika

ছাকিনা বেগমের হাতে জিম্মি চৌদ্দগ্রাম শিক্ষা অফিস

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) 
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩: ১৪
ছাকিনা বেগমের হাতে জিম্মি চৌদ্দগ্রাম শিক্ষা অফিস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকিনা বেগমের কাছে অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন। কেউ আবার স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছাকিনা ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তিনি নিজস্ব লোক দ্বারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শিক্ষা অফিসের ৮টি খাত থেকে প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছাকিনা বেগমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চাকরির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও উপজেলার রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন অবসরে যান। তিনি অফিস নিয়ম ভঙ্গ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কানাই সরকার ও মাহাবুবুর রহমান স্বেচ্ছায় বদলি হন।

সূত্র আরও জানায়, ছাকিনা ২০২১ সালে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনলাইন করার অজুহাতে ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষকের কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন। ১৩তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণের অজুহাত দেখিয়ে ৯০০ শিক্ষক থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন। ১৭৫টি বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ থেকে সরকারি ভ্যাট আদায়ের নামে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। গত ৩ বছরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়ে বই বিক্রির কথা বলে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্কুলগুলোর প্রান্তিক মূল্যায়ন ও প্রশ্নপত্রের অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১৭৫টি স্কুল থেকে ৬ লাখ টাকা, কাব স্কাউটিংয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার নাম করে ১৩২ শিক্ষক থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং কাব স্কাউটের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১৭৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে গত তিন বছরে ৩ লাখ ১৫ হাজার এবং কাব স্কাউটের স্কুল কর্তৃক ১৭৫টি স্কুল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা তিনি নিজস্ব ব্যাংক হিসাব সোনালী ব্যাংক, চৌদ্দগ্রাম শাখায় জমা রেখেছেন। এই হিসাবে ছাকিনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি টাকা বর্তমানে জমা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষক থেকে এক দিনের বেতন আদায় করে নিচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবদুল মোমিন বলেন, ‘ছাকিনা বেগম এই অফিসে যোগদান করার পর থেকে সিন্ডিকেট তৈরি করে নানান অনিয়ম শুরু করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল পরিদর্শনের নাম করে হয়রানি করে আসছিলেন। আমাকে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে হুমকি দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। পরে মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় অবসরে যাই।’

সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তার ওপরে নির্যাতনের খড়্গ নেমে আসত। তিনি সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে আমাদের রাত ৮টা পর্যন্ত অফিসে বসে থাকতে বাধ্য করতেন। তাঁর অত্যাচারে অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় অবসরে চলে গেছেন। আমিও তাঁর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বেচ্ছায় বদলি হয়ে সাতকানিয়াতে যোগদান করি।’

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাকিনা বেগম। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে এক দিনের বেতন উত্তোলন সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে এই টাকা উত্তোলন করেছি।’ বছরে দুবার বিদেশ সফর সম্পর্কে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য বছরে দুবার মালয়েশিয়ায় যাই।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম বলেন, ‘ছাকিনা বেগমের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সরকারি আদেশ অমান্য করে বন্যাদুর্গত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এক দিনের বেতন শিক্ষকদের থেকে আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পটিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত, আহত ৪

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও চারজন আহত হয়েছেন। নিহত ট্রাকচালক মো. সালাম (৫৫) বগুড়া জেলার আকতার মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনুচ মিয়ার ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬), একই এলাকার জুয়েলের ছেলে জাকির ইসলাম (৩০), সবুর মিয়ার ছেলে সাকিব উল হাসান (১৭) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার নাসরিন সুলতানা (২৯)।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস আমজুরহাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় ট্রাকচালক মো. সালাম বাস ও ট্রাকের মাঝখানে আটকা পড়েন।

খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর তাঁকে উদ্ধার করে। পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় তাঁদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরে হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাক উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতকানিয়ায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৭
খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মাদার্শা খালের পাড় থেকে এ মাটি কাটা হচ্ছে। এতে খালের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ভেঙে খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মাদার্শা খালের একপাশের পাড় থেকে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে ঘরের ভিটা ভরাটের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে ভেকু (এক্সকাভেটর) দিয়ে খালের পাড়ের এ মাটি কাটা হচ্ছে। খাল পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে পাশের ফসলি জমি ভেঙে খালে বিলীন হওয়ার পাশাপাশি খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নাদিমুল হাসান চৌধুরী নামের পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ব্যক্তি তাঁর সহযোগীদের মাধ্যমে খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি করে চলেছেন। এতে আলী হোসেন নামের একজন কৃষকের বাদামখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অবিলম্বে খালের পাড় কাটা বন্ধ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ কেটে নেওয়া খালপাড় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে খালটির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘ওই খালের পাড়ঘেঁষে বাদামের চাষ করেছিলাম। খাল পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার কারণে আমার বাদামখেতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় আমি তাঁদের বাধা দিয়েছিলাম। পরে তাঁরা আমাকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছেন।’

মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত নাদিমুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘খালের দুই পাড়েই আমাদের জমি রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে খালের একপাশে পলি জমে বিশাল মাটির স্তূপ তৈরি হয়েছিল। এ কারণে খালের অন্যপাশের জমি ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। তাই জমির ভাঙন রোধে স্তূপ হয়ে থাকা পাশের কিছু মাটি কেটে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি।’

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর খালের পাড়ের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতকানিয়ায় বন্দুকসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

সাতকানিয়া ( চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৯
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ২০টি কার্তুজ ও দুটি দাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মোহাম্মদ সেলিম (৪১)। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের দৌলতপাড়ার ইছামতি আলীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ সেলিম পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপাড়ার ইছামতি আলীনগর এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ২০টি কার্তুজ ও দুটি দাসহ মোহাম্মদ সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যায় আটক ৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৭
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহমানের ওপর আঘাত করে (ইনসেটে) আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহমানের ওপর আঘাত করে (ইনসেটে) আব্দুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান (২০) নামের এক কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের ১ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে চৌরাস্তার মোড়ে আব্দুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত আব্দুর রহমান সিরাজগঞ্জ সদরের সয়াধানগড়া খানপাড়া মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি ইসলামিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সামনে ও পেছন দিক থেকে কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহমানের ওপর একাধিকবার আঘাত করে। পরে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

নিহতের চাচা সোহাগ জানান, বিকেলে আব্দুর রহমান চৌরাস্তা এলাকায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, কারা বা কী কারণে হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহটি এখনো হাসপাতাল মর্গে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত