Ajker Patrika

আয়েশাদের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমারের গুলি

আমানুর রহমান রনি, উখিয়া, কক্সবাজার থেকে
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ২৪
আয়েশাদের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমারের গুলি

আয়েশা বেগম। সত্তরোর্ধ্ব এই নারী ভালো করে দাঁড়াতে পারেন না। কথা বলতে গেলে শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বলেন। তাও তাঁর স্বর যেন বের হতে চায় না, কথা বলার সময় শরীর কাঁপে। কেঁপে কেঁপে যা বললেন, তা যেন সব সীমান্তবাসীর কথা।

এই নারীর বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া থানার রহমতের বিল নামক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায়। গত মঙ্গলবার (‍৬ ফেব্রুয়ারি) রাখাইনে আরকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ বলতে গেলে তাঁর বাড়ির সামনেই ঘটে।

আয়েশা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী কাদের বসু মারা গেছেন বছর দশেক আগে। বড় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই তাঁর বাস। মেয়েকে বিয়ে দিলেও নিজের কাছেই রেখেছেন। বড় ছেলেও থাকেন তাঁর সঙ্গে। মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির মতো গুলির শব্দ পান। কোনো রকমে সেদিন রাত পার করেন। সকালে বাংলাদেশ সীমান্ত সড়কের ওপর দিয়ে বুলেট তাঁর ঘরে এসে পড়ে।

আয়েশা বেগম বাড়িতে এসে পড়া গুলি হাতে নিয়ে দেখিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্ন করেন, ‘এই গুলির দানা যদি কারও মাথায় বা গায়ে লাগে, তাহলে সে কি আর বাঁচবে?’ সেদিনই বাড়ি ছেড়ে বালুখালী চলে যান তিনি। পরদিন গোলাগুলি থামার পর বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি।

রহমতের বিলের উত্তরপাড়ার আরেক বাসিন্দা পারভিন আক্তার কাপড় গুছিয়ে বস্তায় ভরে রেখেছেন। দুই দিন বালুখালীতে ভাইয়ের বাড়িতে ছিলেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত যেন ভাইয়ের বাড়িতে যেতে পারেন, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি।

পারভিন আক্তার বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এখানে কোনোভাবেই থাকা সম্ভব নয়। গুলির শব্দে মাটিতে শুয়ে ছিলাম এক দিন। এরপর আমার ভাই খবর দিলে ভাইয়ের বাসায় চলে যাই।’

কখন এলাকা ছাড়তে হয় তাই বস্তায় কাপড় ভরে প্রস্তুত হয়ে আছেন পারভিন আক্তার। ছবি: আজকের পত্রিকারাখাইনে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে এ রকমের আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তবর্তী অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, তমব্রু, ঘুমধুম এলাকার লোকজন কেউ কেউ গত বুধবার থেকে বাড়ি ফেরা শুরু করেছে।

বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকার মিয়ানমার অংশে যুদ্ধ চলছে। আরকান আর্মিরা বান্দরবান এলাকার সীমান্তবর্তী থেকে রাখাইন রাজ্যে বিজিপি ঘাঁটি ও বিওপি দখল করতে করতে মংডুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই দুই তিন-দিন টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের গোলাগুলির আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তে এই গোলাগুলির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন কৃষকেরা। মাঠভর্তি ফসল, কিন্তু জমির কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। এরই মধ্যে সীমান্তের ওপার থেকে ছুটে আসায় গুলিতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কয়েকজন।

রহমতের বিল এলাকার রহমতের বিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কামাল উদ্দিন মিয়াজী বলেন, ‘আমাদের জমিজমা সব সীমান্তবর্তী এলাকায়, কৃষকেরা কাজ করতে পারছেন না, সন্তানেরা বাইরে নামতে পারছে না, স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ। মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়।’

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ আতঙ্ক নিয়ে ঘরে থাকছে। কত দিন কোথায় গিয়ে থাকবে মানুষ! এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। সরকারের উচিত মিয়ানমারকে জানিয়ে দেওয়া যে, গোলাগুলি যেন বাংলাদেশে না আসে।’

গোলাগুলির কারণে লাখ লাখ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক। বীজতলায় কেউ কেউ পানি দিতে পারছেন না। বিজিবি কৃষকদের সীমান্তবর্তী আবাদি জমিতে যেতে নিরুৎসাহিত করছে। তমব্রুর মধ্যমপাড়ার কৃষক মো. তৈয়ব আলী বলেন, ‘১২ থেকে ১৩ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। বাদাম, বেগুন এবং মরিচ চাষ করেছি। বাদাম তোলার সময় হয়েছে কিন্তু তুলতে পারছি না। সময়মতো বাদাম তুলতে না পারলে সব বাদামে গাছ জন্মাবে অথবা ইঁদুরে কেটে ফেলবে। বেগুন লাগানোর পর আর তুলতে পারিনি। কবে খেতে যেতে পারব তাও জানি না।’

বাড়িতে এসে পড়া বন্দুকের গুলি দেখাচ্ছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশা দেখছে না প্রশাসনও। তবে বাংলাদেশ অংশে যেন গোলাবারুদ বা গোলার অংশ না আসে, সে জন্য বিজিবি কাজ করছে। বুধবার দুপুরে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী সদস্যদের (বিজিপি) ফেরত দেওয়ার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ চলছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দেওয়া হবে।

বিজিবি-প্রধানের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ২৬৪ বিজিপি সদস্যকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাঁদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ সাপেক্ষে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।

এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।

রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।

বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’

জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত ৩২

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একযোগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের আলহাজ্ব মোড়ে পূর্বঘোষিত অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে ঈশ্বরদী-পাবনা ও ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, ‘দাবি জানানোর জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করিনি। তবে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা হয়নি।’

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়নি। তবে সড়ক অবরোধের কারণে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরে ১৯ মামলার আসামি ‘ত্রাস সোহাগ’ গ্রেপ্তার

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৪
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সোহাগ খান ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘ত্রাস সোহাগ’ হিসেবে পরিচিত।

পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার কাউরিয়া এলাকায় সোহাগের হাঁসের খামারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ তখন পালিয়ে যান। ওই খামার থেকে চায়নিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল, লোহার শাবল, ওয়াকিটকি, ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, করাত, জ্যাকেটসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে পুলিশ সোহাগের খোঁজ করতে থাকে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ বিকেলে সোহাগ খানকে প্যারিস রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত