Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, মশকনিধনে নেই পৌরসভার দৃশ্যমান কার্যক্রম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১৭: ৩৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। অন্যদিকে মশকনিধনে নেই প্রশাসন, পৌরসভা কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম। এতে ক্ষুব্ধ পৌরবাসী। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশীদ বলেছেন, লোকবলসংকট ও আর্থিক সংকটে এডিস মশা ও লার্ভা নিধনের কাজ ঢিমেতালে চলছে। তবে শিগগির তাঁরা পুরোদমে কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার আগে থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আরামবাগ, বালুবাগান, পিটিআই, মাদ্রাসাপাড়া ও মিস্ত্রিপাড়া এলাকার অনেক বাসিন্দা জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের মেঝেতে বহু রোগী শুয়ে আছে। মিলছে না হাসপাতালের শয্যা। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল পর্যন্ত ৬০০ জন ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত ২৬ জন ভর্তি রয়েছে। আজ সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন।

জেলা শহরের বালুবাগান এলাকার বাসিন্দা বনানী খাতুন (২২)। ২৩ মে নিজে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হন। তিনি সুস্থ না হতেই তাঁর বোন (রজনী খাতুন) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তারপর তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁরও এক সপ্তাহ লাগে সুস্থ হতে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ও অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ে শিবতলা এলাকার ব্যবসায়ী মো. আয়েস উদ্দিন (৫৪) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক ডেঙ্গুর আক্রমণ বেড়েছে। ডেঙ্গু নিধনে পৌরসভার কোনো কার্যক্রম নেই। আমরা এতে হতাশ ও চিন্তিত। এখনই যদি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তবে ভবিষ্যতে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে।’

মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম মাখন (৪৫) বলেন, ‘ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা পৌরসভার তেমন কোনো কার্যক্রম দেখতে পাচ্ছি না। এতে ঈদের পর ডেঙ্গুর আক্রমণ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আমরা পৌরবাসী ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত। তা ছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য কিট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অনেকের ডেঙ্গু না থাকা সত্ত্বেও পজিটিভ হচ্ছে বলে সন্দেহ করছি।’

ডেঙ্গুর পুরুষ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসা. রেহেনা খাতুন জানান, প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মাত্র পাঁচজন নার্স নিয়ে প্রায় ৭০ জন রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। এতে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে তাঁরা কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন। তবে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ জানান, ‘জুন-জুলাই মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে পিটিআই, আরামবাগ, বালুবাগান—এসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। এখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ক্রিটিক্যাল রোগীদের রাজশাহীতে রেফার্ড করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ-সরঞ্জাম আছে। ভবিষ্যতে রোগী আরও বাড়লে চিকিৎসা দিতে কিছুটা সমস্যা হবে। তাই এখনই উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। সে জন্য প্রশাসন ও পৌরসভার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।’

এদিকে ডেঙ্গু মশার নিধনে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ও লার্ভা নষ্টে ড্রেনে বিষ দেওয়ার কার্যক্রম চালু আছে জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন-অর-রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ডেঙ্গু মশা নিধনে লোকবলসংকটে চারজন দক্ষ লোক দিয়ে ঢিমেতালে কাজ চলছে। তবে সেটা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধোঁয়া স্প্রে ও লার্ভা নষ্টে কার্যক্রম বাড়ানো যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবছি। আর মসজিদে মসজিদে নোটিশ দেওয়া হবে যেন শুক্রবার মুসল্লিদের নোটিশের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। সচেতনতাই পারে আমাদের ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত