চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদী থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নদীপথে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই দুজন মাছ ধরার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য।
মৃত দুজন হলেন— শফিকুল ইসলাম (৪২) ও সেলিম রেজা (৩২)। সফিকুল শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে এবং সেলিম রেজা একই এলাকার মূর্তুজা রেজার ছেলে।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পাকা ইউনিয়নের বাতাসির ঘাট এলাকা থেকে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় নৌ—পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
মরদেহ দুটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু ও শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া। তবে কীভাবে তারা মারা গেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিজিবি ও পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিযার্তনেই তারা মারা গেছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ও সেলিম পদ্মা নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি তারা সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধার দিকে তারা নদীপথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যায়। এর পর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহত শফিকুলের বোন জামাই ও মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সমির উদ্দিন জানান, নিযার্তনেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পুরো শরীরে অনেকগুলো নিযার্তনের চিহ্ন রয়েছে। এগুলো অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে পোড়া ফোসকার মতো। এছাড়াও সফিকুলের অনেকগুলো দাঁত ভাঙ্গা রয়েছে। ওপারে ভারতের নিমতিতা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরাই তাদের নিযার্তন চালিয়ে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলেই আমরা ধারণা করছি।
সমীর উদ্দিন আরও জানান, আজ বিকালে স্থানীয়রা প্রথমে শফিকুলের মরদেহ পদ্মা নদীতে ভাসতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ, নৌ—পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ বিকেলে উদ্ধার করে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার দিকে, সেলিমের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশ তারও মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, বিজিবির দেয়া খবরে নৌ—পুলিশের সহায়তায় শফিকুল ও সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নৌ—পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তবে কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আন্তজার্তিক সীমান্ত পিলার ৪ /২ এস হতে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদী থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার পর ক্যাম্প কমান্ডার পযার্য়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সীমান্তে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফাহাদ মাহমুদ আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি একেবারেই সীমান্ত এলাকায়। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তৌহিদ হোসেন আরও জানান, মরদেহের শরীরের চামড়া ফোসকা হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে। এটা বিএসএফ নিযার্তন করে হত্যা করে পদ্মায় ভাসিয়ে দিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদী থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নদীপথে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই দুজন মাছ ধরার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য।
মৃত দুজন হলেন— শফিকুল ইসলাম (৪২) ও সেলিম রেজা (৩২)। সফিকুল শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে এবং সেলিম রেজা একই এলাকার মূর্তুজা রেজার ছেলে।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পাকা ইউনিয়নের বাতাসির ঘাট এলাকা থেকে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় নৌ—পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
মরদেহ দুটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু ও শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া। তবে কীভাবে তারা মারা গেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি বিজিবি ও পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিযার্তনেই তারা মারা গেছেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ও সেলিম পদ্মা নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি তারা সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধার দিকে তারা নদীপথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যায়। এর পর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিল।
নিহত শফিকুলের বোন জামাই ও মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সমির উদ্দিন জানান, নিযার্তনেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পুরো শরীরে অনেকগুলো নিযার্তনের চিহ্ন রয়েছে। এগুলো অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে পোড়া ফোসকার মতো। এছাড়াও সফিকুলের অনেকগুলো দাঁত ভাঙ্গা রয়েছে। ওপারে ভারতের নিমতিতা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরাই তাদের নিযার্তন চালিয়ে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলেই আমরা ধারণা করছি।
সমীর উদ্দিন আরও জানান, আজ বিকালে স্থানীয়রা প্রথমে শফিকুলের মরদেহ পদ্মা নদীতে ভাসতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ, নৌ—পুলিশের সহায়তায় তার মরদেহ বিকেলে উদ্ধার করে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার দিকে, সেলিমের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশ তারও মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, বিজিবির দেয়া খবরে নৌ—পুলিশের সহায়তায় শফিকুল ও সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নৌ—পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তবে কীভাবে মারা গেছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আন্তজার্তিক সীমান্ত পিলার ৪ /২ এস হতে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদী থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে ঘটনা জানার পর ক্যাম্প কমান্ডার পযার্য়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সীমান্তে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফাহাদ মাহমুদ আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি একেবারেই সীমান্ত এলাকায়। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তৌহিদ হোসেন আরও জানান, মরদেহের শরীরের চামড়া ফোসকা হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে। এটা বিএসএফ নিযার্তন করে হত্যা করে পদ্মায় ভাসিয়ে দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
২৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে