খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসারের খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসা ভাড়ার পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে কয়েক দফায়। নিত্যপণ্যের যে দাম, তাতে পোষাতে না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রামে এসে মুদি দোকান দিয়েছি। এখানে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, কিচকের আঞ্জুয়ারা, পিরবের আব্দুল মমিন ও দেউলীর আব্দুল বারীর মতো আরও অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন লাগামহীন, তাল মিলিয়ে যানবাহন ও বাসাভাড়াও বাড়ছে, তখন শহুরে জীবনকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাদের।
গ্রামে ফিরলেই কি আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে? তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির আঘাত কি গ্রামে পড়েনি? তাহলে ঠরু মোল্লার মতো গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের গল্প শুনতে হবে। জানতে হবে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কেমন হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে আজ অবধি পরিবারকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারেননি।
বগুড়ার শিবগঞ্জের চলনাকাথী গ্রামের দিনমজুর এই ঠরু অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে দিনে ৩৫০ টাকা আয় করেন। ৩ কেজি চাল, তেল, কাঁচাবাজার বাবদ এবং চার সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ছয়জনের সংসারে দিনে তাঁর ব্যয় হয় ৪০০ টাকা। এই ঘাটতি তিনি মেটান মাঝে মাঝে ঋণ করে।
তাই গ্রামে ফিরেও জীবনযাত্রায় স্বস্তি নেই শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের। স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার পর ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বল্প বেতনে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে গ্রামে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। দিনে ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া পাই, গ্যাস খরচ বাদ দিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হাতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।’
এদিকে গ্রামের শিক্ষিত প্রায় মধ্যবিত্ত লোকেরা একটু বেশিই সংকটে আছেন। অভাবে জর্জরিত হলেও তাঁরা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেন না। মোকামতলা বন্দর এলাকার এমনই একজন কনক দেব। তিনি শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কেমন আছেন জানতে চাইলে কনক দেব বলেন, ‘দুই সন্তানের পড়াশোনা, নিজের চিকিৎসা, অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন চলছে আমার। পরিবারের খরচ মেটাতে একটি এনজিও থেকে ঋণ করেছি। কারও কাছে মুখ ফুটে অভাবের কথা বলতেও পারি না, সইতেও পারি না। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টানলে মধ্যবিত্তদের বাঁচা মুশকিল।’
অক্টোবর মাসের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিলে ঢাকা মহানগরে চারজনের এক পরিবারের শুধু খাবারের জন্য ব্যয় হয় গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। আর মাছ-মাংস যুক্ত হলে তা ২২ হাজার ৪২১ টাকা হবে।
সরকারের হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে আগস্টে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। এটা ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। কিন্তু বাজারে অনেক পণ্যের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। সংস্থাটি বলছে, সরকারের গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সিপিডি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছে। আটার দাম বেড়েছে ব্যাপক। ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। চিনির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এমন চাপে শহরের পাশাপাশি দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার, বিশেষ করে ৯ জেলার দরিদ্র মানুষ এখন অনেক খারাপ সময় পার করছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের কৃষি খাতকেও আক্রান্ত করে। কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রাকেও সংকুচিত করে ফেলেছে।
বুড়িগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘আমার চার বিঘা ফসলি জমি আছে। গেল দুই বছর যাবৎ সার আর কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের টাকা দিয়ে আবার নতুন ফসল লাগাতে হয়। আলু, ফুলকপি, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কোনো কোনো সময় লোকসানও গুনতে হচ্ছে। জমি থেকে কোনো বাড়তি আয়েরও সুযোগ নেই আমার।’
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে একটু বাড়তি আয় জোগাতে গিয়ে শৈশবেই পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়ছে অনেক শিশু। ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হচ্ছে তারা। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা মেলে যাত্রীবাহী ভ্যানচালক আবু মুসার সঙ্গে। বয়স আনুমানিক ১২ বছর।
পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই বয়সে ভ্যান চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন আর আমি ভ্যান চালাই। বড় বোনের বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখা গেছে। আমার ছোট একটা ভাই আর মা আছে।’
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাবার কিনতে সম্পদ বিক্রি ও ঋণ করছে ৬৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে।
চড়া মূল্যের বাজারে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্নবিত্ত মানুষদের বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. হাসানাত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। কৃষি উপকরণের ওপর ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হবে।’

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসারের খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসা ভাড়ার পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে কয়েক দফায়। নিত্যপণ্যের যে দাম, তাতে পোষাতে না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রামে এসে মুদি দোকান দিয়েছি। এখানে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, কিচকের আঞ্জুয়ারা, পিরবের আব্দুল মমিন ও দেউলীর আব্দুল বারীর মতো আরও অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন লাগামহীন, তাল মিলিয়ে যানবাহন ও বাসাভাড়াও বাড়ছে, তখন শহুরে জীবনকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাদের।
গ্রামে ফিরলেই কি আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে? তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির আঘাত কি গ্রামে পড়েনি? তাহলে ঠরু মোল্লার মতো গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের গল্প শুনতে হবে। জানতে হবে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কেমন হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে আজ অবধি পরিবারকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারেননি।
বগুড়ার শিবগঞ্জের চলনাকাথী গ্রামের দিনমজুর এই ঠরু অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে দিনে ৩৫০ টাকা আয় করেন। ৩ কেজি চাল, তেল, কাঁচাবাজার বাবদ এবং চার সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ছয়জনের সংসারে দিনে তাঁর ব্যয় হয় ৪০০ টাকা। এই ঘাটতি তিনি মেটান মাঝে মাঝে ঋণ করে।
তাই গ্রামে ফিরেও জীবনযাত্রায় স্বস্তি নেই শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের। স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার পর ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বল্প বেতনে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে গ্রামে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। দিনে ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া পাই, গ্যাস খরচ বাদ দিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হাতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।’
এদিকে গ্রামের শিক্ষিত প্রায় মধ্যবিত্ত লোকেরা একটু বেশিই সংকটে আছেন। অভাবে জর্জরিত হলেও তাঁরা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেন না। মোকামতলা বন্দর এলাকার এমনই একজন কনক দেব। তিনি শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কেমন আছেন জানতে চাইলে কনক দেব বলেন, ‘দুই সন্তানের পড়াশোনা, নিজের চিকিৎসা, অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন চলছে আমার। পরিবারের খরচ মেটাতে একটি এনজিও থেকে ঋণ করেছি। কারও কাছে মুখ ফুটে অভাবের কথা বলতেও পারি না, সইতেও পারি না। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টানলে মধ্যবিত্তদের বাঁচা মুশকিল।’
অক্টোবর মাসের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিলে ঢাকা মহানগরে চারজনের এক পরিবারের শুধু খাবারের জন্য ব্যয় হয় গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। আর মাছ-মাংস যুক্ত হলে তা ২২ হাজার ৪২১ টাকা হবে।
সরকারের হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে আগস্টে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। এটা ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। কিন্তু বাজারে অনেক পণ্যের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। সংস্থাটি বলছে, সরকারের গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সিপিডি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছে। আটার দাম বেড়েছে ব্যাপক। ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। চিনির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এমন চাপে শহরের পাশাপাশি দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার, বিশেষ করে ৯ জেলার দরিদ্র মানুষ এখন অনেক খারাপ সময় পার করছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের কৃষি খাতকেও আক্রান্ত করে। কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রাকেও সংকুচিত করে ফেলেছে।
বুড়িগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘আমার চার বিঘা ফসলি জমি আছে। গেল দুই বছর যাবৎ সার আর কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের টাকা দিয়ে আবার নতুন ফসল লাগাতে হয়। আলু, ফুলকপি, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কোনো কোনো সময় লোকসানও গুনতে হচ্ছে। জমি থেকে কোনো বাড়তি আয়েরও সুযোগ নেই আমার।’
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে একটু বাড়তি আয় জোগাতে গিয়ে শৈশবেই পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়ছে অনেক শিশু। ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হচ্ছে তারা। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা মেলে যাত্রীবাহী ভ্যানচালক আবু মুসার সঙ্গে। বয়স আনুমানিক ১২ বছর।
পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই বয়সে ভ্যান চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন আর আমি ভ্যান চালাই। বড় বোনের বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখা গেছে। আমার ছোট একটা ভাই আর মা আছে।’
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাবার কিনতে সম্পদ বিক্রি ও ঋণ করছে ৬৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে।
চড়া মূল্যের বাজারে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্নবিত্ত মানুষদের বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. হাসানাত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। কৃষি উপকরণের ওপর ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হবে।’
খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসারের খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসা ভাড়ার পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে কয়েক দফায়। নিত্যপণ্যের যে দাম, তাতে পোষাতে না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রামে এসে মুদি দোকান দিয়েছি। এখানে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, কিচকের আঞ্জুয়ারা, পিরবের আব্দুল মমিন ও দেউলীর আব্দুল বারীর মতো আরও অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন লাগামহীন, তাল মিলিয়ে যানবাহন ও বাসাভাড়াও বাড়ছে, তখন শহুরে জীবনকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাদের।
গ্রামে ফিরলেই কি আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে? তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির আঘাত কি গ্রামে পড়েনি? তাহলে ঠরু মোল্লার মতো গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের গল্প শুনতে হবে। জানতে হবে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কেমন হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে আজ অবধি পরিবারকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারেননি।
বগুড়ার শিবগঞ্জের চলনাকাথী গ্রামের দিনমজুর এই ঠরু অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে দিনে ৩৫০ টাকা আয় করেন। ৩ কেজি চাল, তেল, কাঁচাবাজার বাবদ এবং চার সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ছয়জনের সংসারে দিনে তাঁর ব্যয় হয় ৪০০ টাকা। এই ঘাটতি তিনি মেটান মাঝে মাঝে ঋণ করে।
তাই গ্রামে ফিরেও জীবনযাত্রায় স্বস্তি নেই শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের। স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার পর ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বল্প বেতনে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে গ্রামে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। দিনে ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া পাই, গ্যাস খরচ বাদ দিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হাতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।’
এদিকে গ্রামের শিক্ষিত প্রায় মধ্যবিত্ত লোকেরা একটু বেশিই সংকটে আছেন। অভাবে জর্জরিত হলেও তাঁরা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেন না। মোকামতলা বন্দর এলাকার এমনই একজন কনক দেব। তিনি শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কেমন আছেন জানতে চাইলে কনক দেব বলেন, ‘দুই সন্তানের পড়াশোনা, নিজের চিকিৎসা, অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন চলছে আমার। পরিবারের খরচ মেটাতে একটি এনজিও থেকে ঋণ করেছি। কারও কাছে মুখ ফুটে অভাবের কথা বলতেও পারি না, সইতেও পারি না। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টানলে মধ্যবিত্তদের বাঁচা মুশকিল।’
অক্টোবর মাসের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিলে ঢাকা মহানগরে চারজনের এক পরিবারের শুধু খাবারের জন্য ব্যয় হয় গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। আর মাছ-মাংস যুক্ত হলে তা ২২ হাজার ৪২১ টাকা হবে।
সরকারের হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে আগস্টে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। এটা ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। কিন্তু বাজারে অনেক পণ্যের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। সংস্থাটি বলছে, সরকারের গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সিপিডি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছে। আটার দাম বেড়েছে ব্যাপক। ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। চিনির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এমন চাপে শহরের পাশাপাশি দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার, বিশেষ করে ৯ জেলার দরিদ্র মানুষ এখন অনেক খারাপ সময় পার করছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের কৃষি খাতকেও আক্রান্ত করে। কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রাকেও সংকুচিত করে ফেলেছে।
বুড়িগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘আমার চার বিঘা ফসলি জমি আছে। গেল দুই বছর যাবৎ সার আর কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের টাকা দিয়ে আবার নতুন ফসল লাগাতে হয়। আলু, ফুলকপি, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কোনো কোনো সময় লোকসানও গুনতে হচ্ছে। জমি থেকে কোনো বাড়তি আয়েরও সুযোগ নেই আমার।’
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে একটু বাড়তি আয় জোগাতে গিয়ে শৈশবেই পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়ছে অনেক শিশু। ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হচ্ছে তারা। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা মেলে যাত্রীবাহী ভ্যানচালক আবু মুসার সঙ্গে। বয়স আনুমানিক ১২ বছর।
পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই বয়সে ভ্যান চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন আর আমি ভ্যান চালাই। বড় বোনের বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখা গেছে। আমার ছোট একটা ভাই আর মা আছে।’
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাবার কিনতে সম্পদ বিক্রি ও ঋণ করছে ৬৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে।
চড়া মূল্যের বাজারে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্নবিত্ত মানুষদের বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. হাসানাত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। কৃষি উপকরণের ওপর ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হবে।’

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসারের খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসা ভাড়ার পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে কয়েক দফায়। নিত্যপণ্যের যে দাম, তাতে পোষাতে না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রামে এসে মুদি দোকান দিয়েছি। এখানে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি।’
মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, কিচকের আঞ্জুয়ারা, পিরবের আব্দুল মমিন ও দেউলীর আব্দুল বারীর মতো আরও অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন লাগামহীন, তাল মিলিয়ে যানবাহন ও বাসাভাড়াও বাড়ছে, তখন শহুরে জীবনকে বিদায় জানাতে হয়েছে তাদের।
গ্রামে ফিরলেই কি আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলে? তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির আঘাত কি গ্রামে পড়েনি? তাহলে ঠরু মোল্লার মতো গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের গল্প শুনতে হবে। জানতে হবে, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে কেমন হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে আজ অবধি পরিবারকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারেননি।
বগুড়ার শিবগঞ্জের চলনাকাথী গ্রামের দিনমজুর এই ঠরু অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে দিনে ৩৫০ টাকা আয় করেন। ৩ কেজি চাল, তেল, কাঁচাবাজার বাবদ এবং চার সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ছয়জনের সংসারে দিনে তাঁর ব্যয় হয় ৪০০ টাকা। এই ঘাটতি তিনি মেটান মাঝে মাঝে ঋণ করে।
তাই গ্রামে ফিরেও জীবনযাত্রায় স্বস্তি নেই শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের। স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার পর ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বল্প বেতনে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের তাল মেলাতে গ্রামে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। দিনে ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া পাই, গ্যাস খরচ বাদ দিয়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হাতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।’
এদিকে গ্রামের শিক্ষিত প্রায় মধ্যবিত্ত লোকেরা একটু বেশিই সংকটে আছেন। অভাবে জর্জরিত হলেও তাঁরা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেন না। মোকামতলা বন্দর এলাকার এমনই একজন কনক দেব। তিনি শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কেমন আছেন জানতে চাইলে কনক দেব বলেন, ‘দুই সন্তানের পড়াশোনা, নিজের চিকিৎসা, অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন চলছে আমার। পরিবারের খরচ মেটাতে একটি এনজিও থেকে ঋণ করেছি। কারও কাছে মুখ ফুটে অভাবের কথা বলতেও পারি না, সইতেও পারি না। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টানলে মধ্যবিত্তদের বাঁচা মুশকিল।’
অক্টোবর মাসের দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিলে ঢাকা মহানগরে চারজনের এক পরিবারের শুধু খাবারের জন্য ব্যয় হয় গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। আর মাছ-মাংস যুক্ত হলে তা ২২ হাজার ৪২১ টাকা হবে।
সরকারের হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে আগস্টে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। এটা ৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। কিন্তু বাজারে অনেক পণ্যের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। সংস্থাটি বলছে, সরকারের গড় মূল্যস্ফীতির তথ্য বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সিপিডি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে মোটা চালের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছে। আটার দাম বেড়েছে ব্যাপক। ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। মসুর ডালের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। চিনির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির এমন চাপে শহরের পাশাপাশি দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকার, বিশেষ করে ৯ জেলার দরিদ্র মানুষ এখন অনেক খারাপ সময় পার করছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণ বলছে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের কৃষি খাতকেও আক্রান্ত করে। কৃষকের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রাকেও সংকুচিত করে ফেলেছে।
বুড়িগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘আমার চার বিঘা ফসলি জমি আছে। গেল দুই বছর যাবৎ সার আর কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের টাকা দিয়ে আবার নতুন ফসল লাগাতে হয়। আলু, ফুলকপি, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসল আবাদে কোনো কোনো সময় লোকসানও গুনতে হচ্ছে। জমি থেকে কোনো বাড়তি আয়েরও সুযোগ নেই আমার।’
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারে একটু বাড়তি আয় জোগাতে গিয়ে শৈশবেই পড়ালেখা থেকে ঝড়ে পড়ছে অনেক শিশু। ভ্যান চালানোসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হচ্ছে তারা। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা টু জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে দেখা মেলে যাত্রীবাহী ভ্যানচালক আবু মুসার সঙ্গে। বয়স আনুমানিক ১২ বছর।
পড়ালেখা বাদ দিয়ে এই বয়সে ভ্যান চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন আর আমি ভ্যান চালাই। বড় বোনের বিয়ের পর সংসারে অভাব দেখা গেছে। আমার ছোট একটা ভাই আর মা আছে।’
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাবার কিনতে সম্পদ বিক্রি ও ঋণ করছে ৬৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে।
চড়া মূল্যের বাজারে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্নবিত্ত মানুষদের বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. হাসানাত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে। কৃষি উপকরণের ওপর ব্যাপক ভর্তুকি দিতে হবে।’

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৩৩ মিনিট আগে
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
৪১ মিনিট আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।
‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।
‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসার খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসাভাড়ার পাশাপাশি
২১ অক্টোবর ২০২২
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৩৩ মিনিট আগে
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
৪১ মিনিট আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।
এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।
এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসার খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসাভাড়ার পাশাপাশি
২১ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
৩৭ মিনিট আগে
রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
৪১ মিনিট আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসার খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসাভাড়ার পাশাপাশি
২১ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৩৩ মিনিট আগে
রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
৪১ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, সিয়াম মজুমদারের (২১) বাড়ি খুলনার দিঘুলিয়া উপজেলার কলোনীতে। তার বাবার নাম আলী আকবর মজুমদার। পরিবারের সাথে নিউ ইস্কাটন দুই হাজার গলির ১০১ নম্বর বাসায় থাকতেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
নিহত সিয়ামের সহকর্মী অহিদুল হাওলাদার জানান, নিউ ইস্কাটনে ‘জাহিদ কার ডেকোরেশনের’ কর্মচারী সিয়াম। গত ৩-৪ বছর যাবৎ এখানে কাজ করে সে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দোকানে কাজ সেরে চা পান করার জন্য বের হয়েছিল সিয়াম। চা পান করেই চলে আসবে। এর আধাঘণ্টা পর দোকানে এসে কয়েকজন খবর দেয়, তাদের দোকানের কর্মচারী সিয়াম মারা গেছে। রাস্তায় তার মরদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা দোকান থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিয়ামের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সিয়াম অবিবাহিত ছিল। তার বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক।

রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত সিয়াম মজুমদারের (২১) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, সিয়াম মজুমদারের (২১) বাড়ি খুলনার দিঘুলিয়া উপজেলার কলোনীতে। তার বাবার নাম আলী আকবর মজুমদার। পরিবারের সাথে নিউ ইস্কাটন দুই হাজার গলির ১০১ নম্বর বাসায় থাকতেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
নিহত সিয়ামের সহকর্মী অহিদুল হাওলাদার জানান, নিউ ইস্কাটনে ‘জাহিদ কার ডেকোরেশনের’ কর্মচারী সিয়াম। গত ৩-৪ বছর যাবৎ এখানে কাজ করে সে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দোকানে কাজ সেরে চা পান করার জন্য বের হয়েছিল সিয়াম। চা পান করেই চলে আসবে। এর আধাঘণ্টা পর দোকানে এসে কয়েকজন খবর দেয়, তাদের দোকানের কর্মচারী সিয়াম মারা গেছে। রাস্তায় তার মরদেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা দোকান থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিয়ামের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সিয়াম অবিবাহিত ছিল। তার বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আপেল মাহমুদ। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে ফিরেছেন। আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় সংসার খরচ অনেক বেড়ে যায়। বাসাভাড়ার পাশাপাশি
২১ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৩৩ মিনিট আগে
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।
৩৭ মিনিট আগে