খান রফিক, বরিশাল

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
একজন কর্মকর্তার ওপর এত দায়িত্ব থাকায় মৎস্য খামারের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। থামানো যাচ্ছে না জাটকা নিধনও। তিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে দেদার চলছে জাটকা নিধন। এসব জাটকা বিভিন্ন স্পট দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে অভয়াশ্রমের ১০ কিলোমিটারের আওতায় থাকা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো অরক্ষিত।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট নানা সেক্টর কুক্ষিগত করে রাখায় মৎস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা রক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় নগরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান অবস্থা। খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন নেই। তিনি এখানে মাঝেমধ্যে আসেন। দপ্তরটির হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলামও আসেননি। খামারটি ঘুরে দেখা গেল, গলদা চিংড়ি হ্যাচারি তালাবদ্ধ। এ বছর এখনো সেখানে গলদার পিএল উৎপাদন শুরু হয়নি। কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদনও বন্ধ। অথচ ফেব্রুয়ারি থেকে রেণু উৎপাদন করার কথা। গোটা খামারের অদূরে কয়েকজন যুবক তাস খেলছেন। পুরো খামারই যেন খাঁখাঁ করছে। খামারের এমএলএসএস দোলন বলেন, ‘জামাল স্যার সদরে থাকেন, মাঝেমধ্যে এখানে আসেন।’
বরিশাল সদরের একাধিক মৎস্যচাষি বলেন, সরকারি এ খামারে রেণু পেতে যেমন বিলম্ব হয়, তেমনি ঝক্কিঝামেলাও বেশি। এ প্রসঙ্গে খামারের হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলাম বলেন, তাঁরা চিংড়ির পিএল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কার্পজাতীয় মাছের ডিম এলে শুরু করা হবে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে কার্পজাতীয় মাছে ডিম আসে।
এদিকে বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুরে স্থায়ী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় সেখানকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাকেরগঞ্জে উপজেলার দুর্গাপাশা এবং শীর্ষ জাটকার হটস্পট। ওই এলাকার কারখানা নদী এবং তেঁতুলিয়া নদীতে দেদার জাটকা নিধন চলছে।
আবার উজিরপুরের সন্ধ্যা নদীতেও জাটকা ধরার মহোৎসব চলছে। অথচ এ দুই উপজেলায় কোনো মৎস্য কর্মকর্তা নেই। দায়িত্বে রাখা হয়েছে সদরের জামাল হোসেনকে। অথচ অভয়াশ্রমে চলমান নিষেধাজ্ঞার আওতায় সদর উপজেলার কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানকার চন্দ্রমোহন, বুখাইনগর, নলচরসহ বিভিন্ন স্থান জাটকার হটস্পট। কিন্তু এসব স্পটে জাটকা নিধন চলছে দেদার। এই জাটকা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্পট দিয়ে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বৈশাখে ইলিশ নেই। এর মূল কারণ জাটকা নিধন। এখনো বরিশাল সদরের বিভিন্ন স্পট দিয়ে জাটকা ও চাপিলা ধরা হচ্ছে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’
জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, তাঁর মূল কর্মক্ষেত্রে সদর। কিন্তু উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাচারিতে নিয়মিত যেতে পারি না। রেণু উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা করছেন। এখানে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ কেজি। তাঁরা এটা শুরু করছেন। কার্পজাতীয় (রুই, কাতল) মাছের রেণু উৎপাদনের টার্গেট ৯০ কেজি। এর অল্প কিছু উৎপাদন হয়েছে।’
এত দায়িত্বের মধ্যে তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করছেন—এ প্রসঙ্গে জামাল হোসেন বলেন, ‘কোনো দিকেই মনোযোগ হচ্ছে না। অবশ্য তাঁর এসব এলাকায় জাটকা নেই। সদর উপজেলার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রয়েছে অভয়াশ্রমের অংশ। কিন্তু সেখানে কি জাটকা পাওয়া যায়?’ আর বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব। উজিরপুরের কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে আছেন, আর বাকেরগঞ্জের কর্মকর্তা অবসরে গেছেন।’
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন করার সময় হয়নি। এপ্রিলের শেষে করার কথা রয়েছে। তাঁরা এখন গলদা চিংড়ির পিএল করবেন। সদর উপজেলা কর্মকর্তাকে ৪টি পদে দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অফিসার নেই, আমরা জনবল খুঁজছি। তা ছাড়া বরিশাল বিভাগে অফিসাররা আসতে চান না।’
একজন কর্মকর্তা কী করে তিন উপজেলার জাটকা রক্ষা করতে পারেন—এ প্রসঙ্গে রিপন কান্তি বলেন, ‘তিনি নিজেই সদর দেখছেন। উজিরপুরের অফিসার ৬ মাস ধরে ট্রেনিংয়ে। তিনি শিগগিরই চলে আসবেন। বাকেরগঞ্জের অফিসার এলপিআরে গেছেন। ওই জায়গায় নতুন লোক দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
একজন কর্মকর্তার ওপর এত দায়িত্ব থাকায় মৎস্য খামারের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। থামানো যাচ্ছে না জাটকা নিধনও। তিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে দেদার চলছে জাটকা নিধন। এসব জাটকা বিভিন্ন স্পট দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে অভয়াশ্রমের ১০ কিলোমিটারের আওতায় থাকা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো অরক্ষিত।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট নানা সেক্টর কুক্ষিগত করে রাখায় মৎস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা রক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় নগরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান অবস্থা। খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন নেই। তিনি এখানে মাঝেমধ্যে আসেন। দপ্তরটির হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলামও আসেননি। খামারটি ঘুরে দেখা গেল, গলদা চিংড়ি হ্যাচারি তালাবদ্ধ। এ বছর এখনো সেখানে গলদার পিএল উৎপাদন শুরু হয়নি। কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদনও বন্ধ। অথচ ফেব্রুয়ারি থেকে রেণু উৎপাদন করার কথা। গোটা খামারের অদূরে কয়েকজন যুবক তাস খেলছেন। পুরো খামারই যেন খাঁখাঁ করছে। খামারের এমএলএসএস দোলন বলেন, ‘জামাল স্যার সদরে থাকেন, মাঝেমধ্যে এখানে আসেন।’
বরিশাল সদরের একাধিক মৎস্যচাষি বলেন, সরকারি এ খামারে রেণু পেতে যেমন বিলম্ব হয়, তেমনি ঝক্কিঝামেলাও বেশি। এ প্রসঙ্গে খামারের হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলাম বলেন, তাঁরা চিংড়ির পিএল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কার্পজাতীয় মাছের ডিম এলে শুরু করা হবে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে কার্পজাতীয় মাছে ডিম আসে।
এদিকে বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুরে স্থায়ী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় সেখানকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাকেরগঞ্জে উপজেলার দুর্গাপাশা এবং শীর্ষ জাটকার হটস্পট। ওই এলাকার কারখানা নদী এবং তেঁতুলিয়া নদীতে দেদার জাটকা নিধন চলছে।
আবার উজিরপুরের সন্ধ্যা নদীতেও জাটকা ধরার মহোৎসব চলছে। অথচ এ দুই উপজেলায় কোনো মৎস্য কর্মকর্তা নেই। দায়িত্বে রাখা হয়েছে সদরের জামাল হোসেনকে। অথচ অভয়াশ্রমে চলমান নিষেধাজ্ঞার আওতায় সদর উপজেলার কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানকার চন্দ্রমোহন, বুখাইনগর, নলচরসহ বিভিন্ন স্থান জাটকার হটস্পট। কিন্তু এসব স্পটে জাটকা নিধন চলছে দেদার। এই জাটকা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্পট দিয়ে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বৈশাখে ইলিশ নেই। এর মূল কারণ জাটকা নিধন। এখনো বরিশাল সদরের বিভিন্ন স্পট দিয়ে জাটকা ও চাপিলা ধরা হচ্ছে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’
জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, তাঁর মূল কর্মক্ষেত্রে সদর। কিন্তু উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাচারিতে নিয়মিত যেতে পারি না। রেণু উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা করছেন। এখানে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ কেজি। তাঁরা এটা শুরু করছেন। কার্পজাতীয় (রুই, কাতল) মাছের রেণু উৎপাদনের টার্গেট ৯০ কেজি। এর অল্প কিছু উৎপাদন হয়েছে।’
এত দায়িত্বের মধ্যে তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করছেন—এ প্রসঙ্গে জামাল হোসেন বলেন, ‘কোনো দিকেই মনোযোগ হচ্ছে না। অবশ্য তাঁর এসব এলাকায় জাটকা নেই। সদর উপজেলার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রয়েছে অভয়াশ্রমের অংশ। কিন্তু সেখানে কি জাটকা পাওয়া যায়?’ আর বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব। উজিরপুরের কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে আছেন, আর বাকেরগঞ্জের কর্মকর্তা অবসরে গেছেন।’
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন করার সময় হয়নি। এপ্রিলের শেষে করার কথা রয়েছে। তাঁরা এখন গলদা চিংড়ির পিএল করবেন। সদর উপজেলা কর্মকর্তাকে ৪টি পদে দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অফিসার নেই, আমরা জনবল খুঁজছি। তা ছাড়া বরিশাল বিভাগে অফিসাররা আসতে চান না।’
একজন কর্মকর্তা কী করে তিন উপজেলার জাটকা রক্ষা করতে পারেন—এ প্রসঙ্গে রিপন কান্তি বলেন, ‘তিনি নিজেই সদর দেখছেন। উজিরপুরের অফিসার ৬ মাস ধরে ট্রেনিংয়ে। তিনি শিগগিরই চলে আসবেন। বাকেরগঞ্জের অফিসার এলপিআরে গেছেন। ওই জায়গায় নতুন লোক দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
খান রফিক, বরিশাল

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
একজন কর্মকর্তার ওপর এত দায়িত্ব থাকায় মৎস্য খামারের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। থামানো যাচ্ছে না জাটকা নিধনও। তিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে দেদার চলছে জাটকা নিধন। এসব জাটকা বিভিন্ন স্পট দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে অভয়াশ্রমের ১০ কিলোমিটারের আওতায় থাকা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো অরক্ষিত।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট নানা সেক্টর কুক্ষিগত করে রাখায় মৎস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা রক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় নগরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান অবস্থা। খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন নেই। তিনি এখানে মাঝেমধ্যে আসেন। দপ্তরটির হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলামও আসেননি। খামারটি ঘুরে দেখা গেল, গলদা চিংড়ি হ্যাচারি তালাবদ্ধ। এ বছর এখনো সেখানে গলদার পিএল উৎপাদন শুরু হয়নি। কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদনও বন্ধ। অথচ ফেব্রুয়ারি থেকে রেণু উৎপাদন করার কথা। গোটা খামারের অদূরে কয়েকজন যুবক তাস খেলছেন। পুরো খামারই যেন খাঁখাঁ করছে। খামারের এমএলএসএস দোলন বলেন, ‘জামাল স্যার সদরে থাকেন, মাঝেমধ্যে এখানে আসেন।’
বরিশাল সদরের একাধিক মৎস্যচাষি বলেন, সরকারি এ খামারে রেণু পেতে যেমন বিলম্ব হয়, তেমনি ঝক্কিঝামেলাও বেশি। এ প্রসঙ্গে খামারের হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলাম বলেন, তাঁরা চিংড়ির পিএল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কার্পজাতীয় মাছের ডিম এলে শুরু করা হবে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে কার্পজাতীয় মাছে ডিম আসে।
এদিকে বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুরে স্থায়ী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় সেখানকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাকেরগঞ্জে উপজেলার দুর্গাপাশা এবং শীর্ষ জাটকার হটস্পট। ওই এলাকার কারখানা নদী এবং তেঁতুলিয়া নদীতে দেদার জাটকা নিধন চলছে।
আবার উজিরপুরের সন্ধ্যা নদীতেও জাটকা ধরার মহোৎসব চলছে। অথচ এ দুই উপজেলায় কোনো মৎস্য কর্মকর্তা নেই। দায়িত্বে রাখা হয়েছে সদরের জামাল হোসেনকে। অথচ অভয়াশ্রমে চলমান নিষেধাজ্ঞার আওতায় সদর উপজেলার কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানকার চন্দ্রমোহন, বুখাইনগর, নলচরসহ বিভিন্ন স্থান জাটকার হটস্পট। কিন্তু এসব স্পটে জাটকা নিধন চলছে দেদার। এই জাটকা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্পট দিয়ে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বৈশাখে ইলিশ নেই। এর মূল কারণ জাটকা নিধন। এখনো বরিশাল সদরের বিভিন্ন স্পট দিয়ে জাটকা ও চাপিলা ধরা হচ্ছে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’
জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, তাঁর মূল কর্মক্ষেত্রে সদর। কিন্তু উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাচারিতে নিয়মিত যেতে পারি না। রেণু উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা করছেন। এখানে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ কেজি। তাঁরা এটা শুরু করছেন। কার্পজাতীয় (রুই, কাতল) মাছের রেণু উৎপাদনের টার্গেট ৯০ কেজি। এর অল্প কিছু উৎপাদন হয়েছে।’
এত দায়িত্বের মধ্যে তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করছেন—এ প্রসঙ্গে জামাল হোসেন বলেন, ‘কোনো দিকেই মনোযোগ হচ্ছে না। অবশ্য তাঁর এসব এলাকায় জাটকা নেই। সদর উপজেলার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রয়েছে অভয়াশ্রমের অংশ। কিন্তু সেখানে কি জাটকা পাওয়া যায়?’ আর বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব। উজিরপুরের কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে আছেন, আর বাকেরগঞ্জের কর্মকর্তা অবসরে গেছেন।’
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন করার সময় হয়নি। এপ্রিলের শেষে করার কথা রয়েছে। তাঁরা এখন গলদা চিংড়ির পিএল করবেন। সদর উপজেলা কর্মকর্তাকে ৪টি পদে দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অফিসার নেই, আমরা জনবল খুঁজছি। তা ছাড়া বরিশাল বিভাগে অফিসাররা আসতে চান না।’
একজন কর্মকর্তা কী করে তিন উপজেলার জাটকা রক্ষা করতে পারেন—এ প্রসঙ্গে রিপন কান্তি বলেন, ‘তিনি নিজেই সদর দেখছেন। উজিরপুরের অফিসার ৬ মাস ধরে ট্রেনিংয়ে। তিনি শিগগিরই চলে আসবেন। বাকেরগঞ্জের অফিসার এলপিআরে গেছেন। ওই জায়গায় নতুন লোক দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
একজন কর্মকর্তার ওপর এত দায়িত্ব থাকায় মৎস্য খামারের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। থামানো যাচ্ছে না জাটকা নিধনও। তিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে দেদার চলছে জাটকা নিধন। এসব জাটকা বিভিন্ন স্পট দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে অভয়াশ্রমের ১০ কিলোমিটারের আওতায় থাকা সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো অরক্ষিত।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট নানা সেক্টর কুক্ষিগত করে রাখায় মৎস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা রক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় নগরের মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সুনসান অবস্থা। খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল হোসেন নেই। তিনি এখানে মাঝেমধ্যে আসেন। দপ্তরটির হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলামও আসেননি। খামারটি ঘুরে দেখা গেল, গলদা চিংড়ি হ্যাচারি তালাবদ্ধ। এ বছর এখনো সেখানে গলদার পিএল উৎপাদন শুরু হয়নি। কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদনও বন্ধ। অথচ ফেব্রুয়ারি থেকে রেণু উৎপাদন করার কথা। গোটা খামারের অদূরে কয়েকজন যুবক তাস খেলছেন। পুরো খামারই যেন খাঁখাঁ করছে। খামারের এমএলএসএস দোলন বলেন, ‘জামাল স্যার সদরে থাকেন, মাঝেমধ্যে এখানে আসেন।’
বরিশাল সদরের একাধিক মৎস্যচাষি বলেন, সরকারি এ খামারে রেণু পেতে যেমন বিলম্ব হয়, তেমনি ঝক্কিঝামেলাও বেশি। এ প্রসঙ্গে খামারের হ্যাচারি টেকনিশিয়ান তানজিলা ইসলাম বলেন, তাঁরা চিংড়ির পিএল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কার্পজাতীয় মাছের ডিম এলে শুরু করা হবে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে কার্পজাতীয় মাছে ডিম আসে।
এদিকে বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুরে স্থায়ী মৎস্য কর্মকর্তা না থাকায় সেখানকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাকেরগঞ্জে উপজেলার দুর্গাপাশা এবং শীর্ষ জাটকার হটস্পট। ওই এলাকার কারখানা নদী এবং তেঁতুলিয়া নদীতে দেদার জাটকা নিধন চলছে।
আবার উজিরপুরের সন্ধ্যা নদীতেও জাটকা ধরার মহোৎসব চলছে। অথচ এ দুই উপজেলায় কোনো মৎস্য কর্মকর্তা নেই। দায়িত্বে রাখা হয়েছে সদরের জামাল হোসেনকে। অথচ অভয়াশ্রমে চলমান নিষেধাজ্ঞার আওতায় সদর উপজেলার কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানকার চন্দ্রমোহন, বুখাইনগর, নলচরসহ বিভিন্ন স্থান জাটকার হটস্পট। কিন্তু এসব স্পটে জাটকা নিধন চলছে দেদার। এই জাটকা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্পট দিয়ে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বৈশাখে ইলিশ নেই। এর মূল কারণ জাটকা নিধন। এখনো বরিশাল সদরের বিভিন্ন স্পট দিয়ে জাটকা ও চাপিলা ধরা হচ্ছে। পরে তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে; কিন্তু দেখার কেউ নেই।’
জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, তাঁর মূল কর্মক্ষেত্রে সদর। কিন্তু উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাচারিতে নিয়মিত যেতে পারি না। রেণু উৎপাদন শুরু করার চেষ্টা করছেন। এখানে গলদা চিংড়ির পিএল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ কেজি। তাঁরা এটা শুরু করছেন। কার্পজাতীয় (রুই, কাতল) মাছের রেণু উৎপাদনের টার্গেট ৯০ কেজি। এর অল্প কিছু উৎপাদন হয়েছে।’
এত দায়িত্বের মধ্যে তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করছেন—এ প্রসঙ্গে জামাল হোসেন বলেন, ‘কোনো দিকেই মনোযোগ হচ্ছে না। অবশ্য তাঁর এসব এলাকায় জাটকা নেই। সদর উপজেলার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রয়েছে অভয়াশ্রমের অংশ। কিন্তু সেখানে কি জাটকা পাওয়া যায়?’ আর বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওটা তাঁর অতিরিক্ত দায়িত্ব। উজিরপুরের কর্মকর্তা ট্রেনিংয়ে আছেন, আর বাকেরগঞ্জের কর্মকর্তা অবসরে গেছেন।’
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, কার্পজাতীয় মাছের রেণু উৎপাদন করার সময় হয়নি। এপ্রিলের শেষে করার কথা রয়েছে। তাঁরা এখন গলদা চিংড়ির পিএল করবেন। সদর উপজেলা কর্মকর্তাকে ৪টি পদে দায়িত্ব দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অফিসার নেই, আমরা জনবল খুঁজছি। তা ছাড়া বরিশাল বিভাগে অফিসাররা আসতে চান না।’
একজন কর্মকর্তা কী করে তিন উপজেলার জাটকা রক্ষা করতে পারেন—এ প্রসঙ্গে রিপন কান্তি বলেন, ‘তিনি নিজেই সদর দেখছেন। উজিরপুরের অফিসার ৬ মাস ধরে ট্রেনিংয়ে। তিনি শিগগিরই চলে আসবেন। বাকেরগঞ্জের অফিসার এলপিআরে গেছেন। ওই জায়গায় নতুন লোক দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
১২ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
১২ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
১২ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে সারা দেশে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মযজ্ঞ চলছে। অথচ বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তিন উপজেলায় জাটকা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজনই। তিনিই আবার বরিশাল মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের দায়িত্বে।
১২ এপ্রিল ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে