বরগুনা প্রতিনিধি

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
বরগুনা প্রতিনিধি

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে সাগর উত্তাল থাকায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এই অবস্থা আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া সূত্র জানায়।
এদিকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলের জেলেরা অনেক আশা নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে যান। এর মধ্যে দুই দফায় বৈরী আবহাওয়ায় তাঁদের সে আশায় গুড়ে বালি পড়ে।
পাথরঘাটার চরদুয়ানী এলাকার জেলে হোসেন মাঝি বলেন, ‘এ বছর অনেক টাহা দাদন লইয়া সাগরে গেছিলাম। আমার সব শেষ। দুই বার গাঙে টিকতে না পাইরা ফিরইয়া আইছি। জানি না কপালে কী আছে। এহন যে অবস্থা, বসতভিটা বেইচ্যা দেনা শোধ করতে হবে।’ এই কষ্ট শুধু হোসেন মাঝির নয়, জেলার সমুদ্রগামী সব জেলের একই অবস্থা।
স্থানীয় জেলেরা জানান, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি), চরদুয়ানী, বরগুনা সদর ও তালতলী মৎস্যঘাটে কয়েক শ ট্রলার নোঙর করেছে।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছ ধরার ট্রলারের মালিকেরা। এফবি আল্লাহর দান ১, ২ ও ৩ ট্রলারে মালিক আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, ‘এক মাস ধরেই পর্যায়ক্রমে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ চলছে। বাজার-সওদা করে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য পাঠালেও নিম্নচাপের কারণে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতে। আমার তিনটি ট্রলারে গত এক মাসে ১৪ লাখ টাকার বাজার-সওদা করে পাঠিয়েছি মাছ শিকারে। এই ১৪ লাখ টাকা খরচ করে মাছ বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র ৪ লাখ টাকার। গত এক মাসে আমার ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানে বেশি প্রভাব পড়েছে আমরা ট্রলারমালিক এবং জেলেদের ওপর। গত বছরের চেয়ে এ বছরে সমুদ্রে আবহাওয়া খুব বেশি খারাপ রয়েছে।’ এভাবে চলতে থাকলে এই পেশাটা ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা মৎস্যজীবী ট্রলারমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪০০ ট্রলার জেলেদের নিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করে উপকূলে ফিরে এসেছে। এ বছর জেলেদের একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনো সরকার নির্দেশিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, আবার প্রাকৃতিকভাবে কখনো সাগরে উত্তাল—এ নিয়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছেন জেলেরা।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বেশ উত্তাল রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলজুড়ে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৮ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৮ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৮ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর অতিমাত্রায় উত্তাল থাকায় বরগুনার অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরে আসছে। আবার কিছু ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৮ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে