গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার কাশিমপুর তেতুইবাড়ি এলাকার সানসিটি মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বেক্সিমকোর বন্ধ সব কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু, এলসি খুলে দেওয়া এবং সব বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
কারখানার শ্রমিক হাদি ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ হারিয়ে খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছি। আমাদের কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক এখন খুব সংকটের মধ্যে আছে। আমরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানাই।’
অপর শ্রমিক জুলহাস বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সকলের এখন অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। আমরা অন্য কোথাও কাজ পাচ্ছি না। আমাদের গত মাসের বেতন কম দেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, কারখানা খুলে দেওয়া হোক।’
কায়সার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে দেওয়া হলে আমরা বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। বর্তমানে হাজার হাজার শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আমাদের কারখানা খুলে দিন। কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক আমরা সকলেই অত্যন্ত সংকটের মধ্যে আছি।’
আন্দোলন অংশ নেওয়া শ্রমিক রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা না খেয়ে মারা যাচ্ছি। কয়েক মাস ধরে আমাদের কারখানা বন্ধ আছে, খুলতেছে না। আমরা কী অবস্থায় আছি, সেটা কি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না?’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিক রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘বেসিক বেতনে টাকা দিয়ে আমরা বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়ার খরচ জোগাড় করতে পারছি না। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের খুব অভাব-অনটনে দিন যাচ্ছে। আমরা চাকরি রক্ষা নয় শুধু, আমাদের পরিবার রক্ষার জন্য এখানে আন্দোলনে আসছি।’
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে সরকার ঋণ দিয়ে কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে।
পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা এবং কারখানার নামে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ঋণখেলাপি থাকায় আর পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বেক্সিমকো টেক্সটাইল লিমিটেড ও গার্মেন্টসের ১৬টি প্রতিষ্ঠানে ১৬ ডিসেম্বর থেকে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকবে।
একই দিন বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়। এতে বলা হয়, বেক্সিমকোতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বর্তমানে কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে শ্রম আইন অনুযায়ী লে-অফ থাকবে। লে-অফ থাকাকালে শ্রমিকদের সশরীর কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এলসি খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং সুবিধা চালুসহ বেশ কিছু দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। তাঁরা মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছেন, কিছু শ্রমিক সড়কে দাঁড়ানোর কারণে সাময়িক যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও সমাবেশ শেষে স্বাভাবিক হয়।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর একই দাবিতে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর ১৪ জানুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকেরা।
গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার কাশিমপুর তেতুইবাড়ি এলাকার সানসিটি মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বেক্সিমকোর বন্ধ সব কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু, এলসি খুলে দেওয়া এবং সব বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
কারখানার শ্রমিক হাদি ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ হারিয়ে খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছি। আমাদের কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক এখন খুব সংকটের মধ্যে আছে। আমরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানাই।’
অপর শ্রমিক জুলহাস বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সকলের এখন অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। আমরা অন্য কোথাও কাজ পাচ্ছি না। আমাদের গত মাসের বেতন কম দেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, কারখানা খুলে দেওয়া হোক।’
কায়সার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলে দেওয়া হলে আমরা বায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। বর্তমানে হাজার হাজার শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আমাদের কারখানা খুলে দিন। কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক আমরা সকলেই অত্যন্ত সংকটের মধ্যে আছি।’
আন্দোলন অংশ নেওয়া শ্রমিক রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা না খেয়ে মারা যাচ্ছি। কয়েক মাস ধরে আমাদের কারখানা বন্ধ আছে, খুলতেছে না। আমরা কী অবস্থায় আছি, সেটা কি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না?’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিক রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘বেসিক বেতনে টাকা দিয়ে আমরা বাসা ভাড়া, খাওয়া-দাওয়ার খরচ জোগাড় করতে পারছি না। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের খুব অভাব-অনটনে দিন যাচ্ছে। আমরা চাকরি রক্ষা নয় শুধু, আমাদের পরিবার রক্ষার জন্য এখানে আন্দোলনে আসছি।’
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কর্মচারী। কিন্তু কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। শ্রমিকেরা আন্দোলন করলে সরকার ঋণ দিয়ে কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে।
পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা এবং কারখানার নামে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ঋণখেলাপি থাকায় আর পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বেক্সিমকো টেক্সটাইল লিমিটেড ও গার্মেন্টসের ১৬টি প্রতিষ্ঠানে ১৬ ডিসেম্বর থেকে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকবে।
একই দিন বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়। এতে বলা হয়, বেক্সিমকোতে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বর্তমানে কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে শ্রম আইন অনুযায়ী লে-অফ থাকবে। লে-অফ থাকাকালে শ্রমিকদের সশরীর কারখানায় এসে হাজিরা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এলসি খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং সুবিধা চালুসহ বেশ কিছু দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। তাঁরা মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছেন, কিছু শ্রমিক সড়কে দাঁড়ানোর কারণে সাময়িক যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও সমাবেশ শেষে স্বাভাবিক হয়।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর একই দাবিতে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর ১৪ জানুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শ্রমিকেরা।
গত বছরের ২২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে নেমে মৃত্যুবরণ করেন দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ সোহাদ হক। তারপর এক বছর চলে গেলেও এখনো তাঁর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর সুইমিংপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২৪ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) আমরণ অনশন কর্মসূচিতে আজ মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চার শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কুয়েটের শিক্ষকেরা একাধিকবার শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও স
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের মধুবাজার এলাকার ৯তলার একটি বাড়ি থেকে পড়ে এক শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সোয়া ৩টার দিকে মধুবাজার, ১০-এ নম্বর রোডের বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এই আদেশ দেন।
৩০ মিনিট আগে