কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নগরীর কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে নগরীর কান্দিরপাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠসংলগ্ন ‘নীলি কটেজ’ নামের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তিরা হলেন তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২) ও তাঁর মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪)। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ৮টা ৮ মিনিটে টুপি ও পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ওই বাসায় প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বের হলেও মাত্র ১২ মিনিট পর ফের প্রবেশ করেন এবং বেলা ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি।

তাহমিনার বড় ছেলে আইনজীবী মো. ফয়সাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে মা ও বোনকে খাটে শুয়ে থাকতে দেখে প্রথমে ঘুম ভাবলেও পরে ছোট ভাই আল আমিন আসার পর তাঁরা মৃত বলে নিশ্চিত হন। ফয়সালের দাবি, দুর্বৃত্তরা তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এবং ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।
ফয়সাল জানান, তাঁদের বাড়ি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগরে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
তাহমিনা বেগম নগরীর উত্তর কালিয়াজুরী কুরের পার এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া ফয়জুন্নেছা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে তাঁদের খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এদিকে উপাচার্য ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী রিন্তির হত্যার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি একটি নৃশংস জোড়া খুন। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হোক এবং তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, রাতেই ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গেছে, তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে।
নীলি কটেজের মালিক জানান, চার বছর আগে কুমিল্লা আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী ও সন্তানেরা এখানে থাকতেন। প্রতিবেশীদের ধারণা, সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি পরিবারের পরিচিত কবিরাজ হতে পারেন।
এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব, ডিবি, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মাঠে কাজ করছে এবং আসামি শনাক্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা (২টা ১৫ মিনিট) শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নগরীর কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে নগরীর কান্দিরপাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠসংলগ্ন ‘নীলি কটেজ’ নামের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তিরা হলেন তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২) ও তাঁর মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪)। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ৮টা ৮ মিনিটে টুপি ও পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ওই বাসায় প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বের হলেও মাত্র ১২ মিনিট পর ফের প্রবেশ করেন এবং বেলা ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত তাঁকে বের হতে দেখা যায়নি।

তাহমিনার বড় ছেলে আইনজীবী মো. ফয়সাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। ভেতরে ঢুকে মা ও বোনকে খাটে শুয়ে থাকতে দেখে প্রথমে ঘুম ভাবলেও পরে ছোট ভাই আল আমিন আসার পর তাঁরা মৃত বলে নিশ্চিত হন। ফয়সালের দাবি, দুর্বৃত্তরা তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এবং ঘর থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।
ফয়সাল জানান, তাঁদের বাড়ি নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগরে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
তাহমিনা বেগম নগরীর উত্তর কালিয়াজুরী কুরের পার এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া ফয়জুন্নেছা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে তাঁদের খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এদিকে উপাচার্য ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী রিন্তির হত্যার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটি একটি নৃশংস জোড়া খুন। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হোক এবং তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, রাতেই ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গেছে, তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে।
নীলি কটেজের মালিক জানান, চার বছর আগে কুমিল্লা আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী ও সন্তানেরা এখানে থাকতেন। প্রতিবেশীদের ধারণা, সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি পরিবারের পরিচিত কবিরাজ হতে পারেন।
এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব, ডিবি, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মাঠে কাজ করছে এবং আসামি শনাক্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা (২টা ১৫ মিনিট) শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।
দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি পুরোপুরি থামার আগেই নামার চেষ্টা করলে মজনু পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার (ইনচার্জ) আবু হান্নান বলেন, ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর খবর পান একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ রোববার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি পুরোপুরি থামার আগেই নামার চেষ্টা করলে মজনু পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার (ইনচার্জ) আবু হান্নান বলেন, ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর খবর পান একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ রোববার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৪ মিনিট আগে
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
১ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।
মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।
আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’
আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’
দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিছানায় কিছু রক্ত পাওয়া গেছে। যৌন সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগে
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
৩৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল...
১ ঘণ্টা আগে