নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে আসছে অতি সেকেলে হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে মিরপুরের হার্ট ফাউন্ডেশন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিংয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) অর্থায়নে বুয়েট দেশীয় প্রযুক্তিতে এসব বাতি প্রস্তুত করেছে।
চালু হওয়ার দুই মাস পর সিগন্যাল বাতির মোড়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনোটিই পথচারীরা ব্যবহার করছে না। কোনো কোনোটি পাওয়া যায় অচল।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা সিগন্যাল ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সিগন্যাল বাতির উভয় পাশে রাস্তার কিনারে খুঁটির গায়ে রয়েছে পুশ বাটন ও নির্দেশিকা। রাস্তা পার হতে চাইলে পথচারীরা এই বাটনে চাপ দেবেন। ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষার পর খুঁটিতে সবুজ বাতি জ্বললে তাঁরা সড়ক পার হবেন। তখন যানবাহনের জন্য লালবাতি জ্বলা থাকবে।
৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায় পথচারী পারাপার বন্ধে লালবাতি জ্বলা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। কেউ পুশ বাটন চাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন না। দৃশ্যত তা অনেকের চোখেই পড়েনি। প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একজনকেও বাটন চাপতে দেখা যায়নি।
কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এই সিগন্যাল বাতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। রাসেল নামের মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করা হলেও কেউ এটি মানছে না। প্রথম কয়েকদিন দুয়েকজন তরুণকে পথচারীদের সহায়তায় থাকলেও পরে তাঁদের দেখা যায়নি।
হার্ট ফাউন্ডেশনের জেব্রাক্রসিংয়ের এক পাশের পুশ বাটন থাকা খুঁটির গোড়ায় বসে ছিল আখের রস বিক্রির গাড়ি। এর জন্য পুশ বাটনটিও ঠিকমতো পথচারীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশেই ব্যাটারিচালিত রিকশা পার্ক করে রাখতে দেখা যায়।
ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার জেব্রা ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিগন্যাল বাতি জ্বলছে না। রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি পদচারী-সেতু থাকার পরও সেখানে জেব্রা ক্রসিং করা হয়েছে। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এখানে আগে প্রায় সবাই পদচারী-সেতু ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশ মন্তব্য করেছেন, ফার্মগেটে এ বাতি বসানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ি ছাড়ার পরই পথচারীরা সড়কে নেমে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সিগন্যালটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।
একই দিন কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গিয়ে জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। কোনো বাতির সংকেত জ্বলতে দেখা যায়নি। পথচারীরা যে যার সুবিধামতো সড়ক পার হচ্ছিলেন। কেউ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে, আবার কেউ গোলচক্কর দিয়ে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, শেরাটনের জেব্রা ক্রসিংয়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে যতগুলো জেব্রাক্রসিং রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবখানে সিগন্যালভিত্তিক লাইট সিস্টেম চালু করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প আগামীতে স্থায়ী করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. সরওয়ার বলেন, শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্যও সিগন্যাল থাকবে। প্রতিটিতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে।
নগরবিদদের কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। নগর পরিকল্পনাবিদ ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে গাড়ির জন্যই সিগন্যাল কাজ করছে না, সেখানে পথচারীদের জন্য তা কী কাজে আসবে? তিনি বলেন, ‘কোনো গবেষণা নেই। এখানে পুশ বাটন ব্যবস্থা কাজ করবে না। বিনিয়োগের অর্থ সব মাটি হবে। এই শহরের মানুষ ডিভাইডার, তারকাঁটা ডিঙিয়ে সড়ক পার হন, কেউ পুশ বাটন ব্যবহার করবেন না।’

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে আসছে অতি সেকেলে হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে মিরপুরের হার্ট ফাউন্ডেশন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিংয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) অর্থায়নে বুয়েট দেশীয় প্রযুক্তিতে এসব বাতি প্রস্তুত করেছে।
চালু হওয়ার দুই মাস পর সিগন্যাল বাতির মোড়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনোটিই পথচারীরা ব্যবহার করছে না। কোনো কোনোটি পাওয়া যায় অচল।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা সিগন্যাল ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সিগন্যাল বাতির উভয় পাশে রাস্তার কিনারে খুঁটির গায়ে রয়েছে পুশ বাটন ও নির্দেশিকা। রাস্তা পার হতে চাইলে পথচারীরা এই বাটনে চাপ দেবেন। ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষার পর খুঁটিতে সবুজ বাতি জ্বললে তাঁরা সড়ক পার হবেন। তখন যানবাহনের জন্য লালবাতি জ্বলা থাকবে।
৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায় পথচারী পারাপার বন্ধে লালবাতি জ্বলা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। কেউ পুশ বাটন চাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন না। দৃশ্যত তা অনেকের চোখেই পড়েনি। প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একজনকেও বাটন চাপতে দেখা যায়নি।
কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এই সিগন্যাল বাতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। রাসেল নামের মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করা হলেও কেউ এটি মানছে না। প্রথম কয়েকদিন দুয়েকজন তরুণকে পথচারীদের সহায়তায় থাকলেও পরে তাঁদের দেখা যায়নি।
হার্ট ফাউন্ডেশনের জেব্রাক্রসিংয়ের এক পাশের পুশ বাটন থাকা খুঁটির গোড়ায় বসে ছিল আখের রস বিক্রির গাড়ি। এর জন্য পুশ বাটনটিও ঠিকমতো পথচারীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশেই ব্যাটারিচালিত রিকশা পার্ক করে রাখতে দেখা যায়।
ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার জেব্রা ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিগন্যাল বাতি জ্বলছে না। রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি পদচারী-সেতু থাকার পরও সেখানে জেব্রা ক্রসিং করা হয়েছে। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এখানে আগে প্রায় সবাই পদচারী-সেতু ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশ মন্তব্য করেছেন, ফার্মগেটে এ বাতি বসানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ি ছাড়ার পরই পথচারীরা সড়কে নেমে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সিগন্যালটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।
একই দিন কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গিয়ে জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। কোনো বাতির সংকেত জ্বলতে দেখা যায়নি। পথচারীরা যে যার সুবিধামতো সড়ক পার হচ্ছিলেন। কেউ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে, আবার কেউ গোলচক্কর দিয়ে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, শেরাটনের জেব্রা ক্রসিংয়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে যতগুলো জেব্রাক্রসিং রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবখানে সিগন্যালভিত্তিক লাইট সিস্টেম চালু করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প আগামীতে স্থায়ী করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. সরওয়ার বলেন, শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্যও সিগন্যাল থাকবে। প্রতিটিতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে।
নগরবিদদের কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। নগর পরিকল্পনাবিদ ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে গাড়ির জন্যই সিগন্যাল কাজ করছে না, সেখানে পথচারীদের জন্য তা কী কাজে আসবে? তিনি বলেন, ‘কোনো গবেষণা নেই। এখানে পুশ বাটন ব্যবস্থা কাজ করবে না। বিনিয়োগের অর্থ সব মাটি হবে। এই শহরের মানুষ ডিভাইডার, তারকাঁটা ডিঙিয়ে সড়ক পার হন, কেউ পুশ বাটন ব্যবহার করবেন না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে আসছে অতি সেকেলে হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে মিরপুরের হার্ট ফাউন্ডেশন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিংয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) অর্থায়নে বুয়েট দেশীয় প্রযুক্তিতে এসব বাতি প্রস্তুত করেছে।
চালু হওয়ার দুই মাস পর সিগন্যাল বাতির মোড়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনোটিই পথচারীরা ব্যবহার করছে না। কোনো কোনোটি পাওয়া যায় অচল।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা সিগন্যাল ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সিগন্যাল বাতির উভয় পাশে রাস্তার কিনারে খুঁটির গায়ে রয়েছে পুশ বাটন ও নির্দেশিকা। রাস্তা পার হতে চাইলে পথচারীরা এই বাটনে চাপ দেবেন। ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষার পর খুঁটিতে সবুজ বাতি জ্বললে তাঁরা সড়ক পার হবেন। তখন যানবাহনের জন্য লালবাতি জ্বলা থাকবে।
৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায় পথচারী পারাপার বন্ধে লালবাতি জ্বলা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। কেউ পুশ বাটন চাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন না। দৃশ্যত তা অনেকের চোখেই পড়েনি। প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একজনকেও বাটন চাপতে দেখা যায়নি।
কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এই সিগন্যাল বাতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। রাসেল নামের মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করা হলেও কেউ এটি মানছে না। প্রথম কয়েকদিন দুয়েকজন তরুণকে পথচারীদের সহায়তায় থাকলেও পরে তাঁদের দেখা যায়নি।
হার্ট ফাউন্ডেশনের জেব্রাক্রসিংয়ের এক পাশের পুশ বাটন থাকা খুঁটির গোড়ায় বসে ছিল আখের রস বিক্রির গাড়ি। এর জন্য পুশ বাটনটিও ঠিকমতো পথচারীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশেই ব্যাটারিচালিত রিকশা পার্ক করে রাখতে দেখা যায়।
ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার জেব্রা ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিগন্যাল বাতি জ্বলছে না। রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি পদচারী-সেতু থাকার পরও সেখানে জেব্রা ক্রসিং করা হয়েছে। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এখানে আগে প্রায় সবাই পদচারী-সেতু ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশ মন্তব্য করেছেন, ফার্মগেটে এ বাতি বসানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ি ছাড়ার পরই পথচারীরা সড়কে নেমে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সিগন্যালটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।
একই দিন কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গিয়ে জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। কোনো বাতির সংকেত জ্বলতে দেখা যায়নি। পথচারীরা যে যার সুবিধামতো সড়ক পার হচ্ছিলেন। কেউ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে, আবার কেউ গোলচক্কর দিয়ে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, শেরাটনের জেব্রা ক্রসিংয়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে যতগুলো জেব্রাক্রসিং রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবখানে সিগন্যালভিত্তিক লাইট সিস্টেম চালু করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প আগামীতে স্থায়ী করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. সরওয়ার বলেন, শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্যও সিগন্যাল থাকবে। প্রতিটিতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে।
নগরবিদদের কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। নগর পরিকল্পনাবিদ ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে গাড়ির জন্যই সিগন্যাল কাজ করছে না, সেখানে পথচারীদের জন্য তা কী কাজে আসবে? তিনি বলেন, ‘কোনো গবেষণা নেই। এখানে পুশ বাটন ব্যবস্থা কাজ করবে না। বিনিয়োগের অর্থ সব মাটি হবে। এই শহরের মানুষ ডিভাইডার, তারকাঁটা ডিঙিয়ে সড়ক পার হন, কেউ পুশ বাটন ব্যবহার করবেন না।’

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে আসছে অতি সেকেলে হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে মিরপুরের হার্ট ফাউন্ডেশন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিংয়ে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) অর্থায়নে বুয়েট দেশীয় প্রযুক্তিতে এসব বাতি প্রস্তুত করেছে।
চালু হওয়ার দুই মাস পর সিগন্যাল বাতির মোড়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কোনোটিই পথচারীরা ব্যবহার করছে না। কোনো কোনোটি পাওয়া যায় অচল।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা সিগন্যাল ব্যবস্থাটি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। সিগন্যাল বাতির উভয় পাশে রাস্তার কিনারে খুঁটির গায়ে রয়েছে পুশ বাটন ও নির্দেশিকা। রাস্তা পার হতে চাইলে পথচারীরা এই বাটনে চাপ দেবেন। ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষার পর খুঁটিতে সবুজ বাতি জ্বললে তাঁরা সড়ক পার হবেন। তখন যানবাহনের জন্য লালবাতি জ্বলা থাকবে।
৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা যায় পথচারী পারাপার বন্ধে লালবাতি জ্বলা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। কেউ পুশ বাটন চাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন না। দৃশ্যত তা অনেকের চোখেই পড়েনি। প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে একজনকেও বাটন চাপতে দেখা যায়নি।
কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এই সিগন্যাল বাতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। রাসেল নামের মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করা হলেও কেউ এটি মানছে না। প্রথম কয়েকদিন দুয়েকজন তরুণকে পথচারীদের সহায়তায় থাকলেও পরে তাঁদের দেখা যায়নি।
হার্ট ফাউন্ডেশনের জেব্রাক্রসিংয়ের এক পাশের পুশ বাটন থাকা খুঁটির গোড়ায় বসে ছিল আখের রস বিক্রির গাড়ি। এর জন্য পুশ বাটনটিও ঠিকমতো পথচারীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের দুই পাশেই ব্যাটারিচালিত রিকশা পার্ক করে রাখতে দেখা যায়।
ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার জেব্রা ক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার সিগন্যাল বাতি জ্বলছে না। রাস্তা পারাপারের জন্য দুটি পদচারী-সেতু থাকার পরও সেখানে জেব্রা ক্রসিং করা হয়েছে। এতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি কমে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যস্ত সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এখানে আগে প্রায় সবাই পদচারী-সেতু ব্যবহার করতেন। কোনো কোনো ট্রাফিক পুলিশ মন্তব্য করেছেন, ফার্মগেটে এ বাতি বসানো হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ি ছাড়ার পরই পথচারীরা সড়কে নেমে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সিগন্যালটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।
একই দিন কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গিয়ে জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল বাতির কার্যকারিতা দেখা যায়নি। কোনো বাতির সংকেত জ্বলতে দেখা যায়নি। পথচারীরা যে যার সুবিধামতো সড়ক পার হচ্ছিলেন। কেউ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে, আবার কেউ গোলচক্কর দিয়ে। একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে, শেরাটনের জেব্রা ক্রসিংয়েও।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে যতগুলো জেব্রাক্রসিং রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবখানে সিগন্যালভিত্তিক লাইট সিস্টেম চালু করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প আগামীতে স্থায়ী করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. সরওয়ার বলেন, শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্যও সিগন্যাল থাকবে। প্রতিটিতে সাড়ে ১০ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে।
নগরবিদদের কেউ কেউ এ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। নগর পরিকল্পনাবিদ ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রশ্ন তুলে বলেন, যেখানে গাড়ির জন্যই সিগন্যাল কাজ করছে না, সেখানে পথচারীদের জন্য তা কী কাজে আসবে? তিনি বলেন, ‘কোনো গবেষণা নেই। এখানে পুশ বাটন ব্যবস্থা কাজ করবে না। বিনিয়োগের অর্থ সব মাটি হবে। এই শহরের মানুষ ডিভাইডার, তারকাঁটা ডিঙিয়ে সড়ক পার হন, কেউ পুশ বাটন ব্যবহার করবেন না।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
১৮ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
১৮ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
১৮ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল ও পথচারী পারাপারে গত এপ্রিলে ঘটা করে রাজধানীর কয়েক জায়গায় চালু করা হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতির সিগন্যাল বাতি। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পথচারীরা তেমন একটা ব্যবহার করছেন না এ পদ্ধতি। কয়েকটি পয়েন্টে যান্ত্রিক ব্যবস্থাটি নিষ্ক্রিয়ও দেখা গেছে।
১৮ জুলাই ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে