Ajker Patrika

নিরাপত্তাহীনতার ছাপ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, সাম্য নিহতের পর সাত দফা সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ১৬: ২৩
শাহরিয়ার আলম সাম্য
শাহরিয়ার আলম সাম্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার পর উদ্যানসংলগ্ন এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাহীনতা ঘিরে উঠেছে প্রবল উদ্বেগ। এ ঘটনার পরপরই উদ্যান ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা এসেছে সরকারের তরফ থেকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ রাত ৮টার পর থেকে নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়—

১. রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

২. টিএসসি-সংলগ্ন গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা।

৩. উদ্যানে থাকা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং মাদক ব্যবসা বন্ধে সমন্বিত অভিযান।

৪. গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে অভিযান ও মনিটরিং কমিটি গঠন।

৫. পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিয়মিত মনিটরিং।

৬. উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন।

৭. রমনা পার্কের মতো শৃঙ্খলিত ব্যবস্থাপনা চালু।

ফেসবুকে আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি আতঙ্কজনক এলাকা থেকে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছে।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

সাম্যর মৃত্যু ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় এবং উদ্যানসংলগ্ন এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে জামায়াতের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বিএনপির দাবি, জামায়াতের লোকজনের হামলায় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছে।

জামায়াতের ভাষ্যমতে, হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন গাংনী উপজেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন বাবলু (৫৫), সারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৩), ভাটপাড়া ইউনিট বায়তুল মাল সম্পাদক সৌরভ হোসেন (৬৫) ও তাঁর ছেলে শিশির হোসেন (২৮)।

আলাউদ্দিন বাবলু ও সৌরভ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

আহত ব্যক্তিরা বলছেন, রোববার সকালে জামায়াতে ইসলামের স্থানীয় কয়েকজন নারী কর্মী ইয়ানতের টাকা উত্তোলন-সংক্রান্ত বিষয়ে দোকানমালিক সৌরভ হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় সেখানে স্থানীয় বিএনপির কর্মী জামাল ইয়ানত ও ভোট প্রসঙ্গ তুললে উভয় পক্ষ তর্কে জড়িয়ে যায়। পরে সৌরভ হোসেন ও তাঁর ছেলে শিশিরকে কয়েকজন বিএনপির কর্মী মারধর করেন। সৌরভ বিষয়টি জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের জানালে দলের কয়েকজন সেখানে আসেন। তখন বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাংনী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের চারজন আহত হন। তাঁরা (হামলাকারী) নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব।’

তবে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, এখানে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। জামায়াতে ইসলামের লোকজন অতিরঞ্জিত করে বলছে। জামায়াতে ইসলামের লোকজনই আমাদের বিএনপির কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হন।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামিনে বেরিয়ে হত্যা মামলার বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জখম হওয়া সজীব। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জখম হওয়া সজীব। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম সজীব। তিনি উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের জিয়াউর রহমান ও সেতেরা বেগমের ছেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিবরণীতে সজীবের মা সেতেরা বেগম উল্লেখ করেন, তাঁর সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারকে প্রতিবেশী শুক্কুর আলীর পরিবার হত্যা করে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ জুলাই তিনি সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা সম্প্রতি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আজ রোববার দুপুরে ইসলামপুরে আনন্দ শিপইয়ার্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সজীবকে পরিকল্পিতভাবে শুক্কুর আলী ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন পথরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সজীবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন তাঁরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিববুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচবিবি সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের, উত্তেজনা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা টহল জোরদার করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার থেকে পাঁচবিবি উপজেলার কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে ২৮১ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে তাঁরা দ্রুত বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবির কঠোর অবস্থানের মুখে বিএসএফ সদস্যরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে সরে যান।

ঘটনার পরদিন আজ রোববার এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হলেও সকালে আবারও ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক দুই সদস্য আব্দুল গণি ও কবির হোসেন জানান, গতকাল কয়া বিওপির আওতাধীন পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায় বিএসএফ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে বিএসএফ বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।

বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগেও একই এলাকায় পরপর দুবার বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তবে বিজিবির হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তরুণীসহ ৩ অটোযাত্রীর

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ রোববার উপজেলার মানিকার হাটবাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান (৩৬), রিয়াজ উদ্দিন ও আজমিরী আমরিন (২০)। এর মধ্যে মো. মিজান ও রিয়াজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আজমিরী আমরিনকে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে লালমোহন থেকে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভোলার দিকে যাচ্ছিল। পথে মানিকার হাটবাজার এলাকায় পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অটোরিকশাচালকসহ তিন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওসার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত