শাহীন রহমান, পাবনা

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’
শাহীন রহমান, পাবনা

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

মাত্র ১৭ বছরের তরুণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্নে যার জায়গা ছিল বিস্তীর্ণ জলাভূমি ও খোলা প্রান্তর। সময়ের সঙ্গে সেই ভূমিতে গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া নান্দনিক ভবন। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছিল রুক্ষ পরিবেশ—ছিল না পর্যাপ্ত গাছ, ফুল কিংবা ছায়া। সেই ভাবনা থেকেই ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাকৃতিক চরিত্র’ ফুটিয়ে তুলতে গত মে মাস থেকে নান্দনিক পরিকল্পনায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১ হাজার ২০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, দুর্লভ প্রজাতির গাছ রক্ষা এবং সৌন্দর্যবর্ধন—এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগটি। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে যুক্ত হয়েছে প্রশান্তির নতুন মাত্রা। আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বায়ো-বেজড কম্পোজিটস, কাঠ সংরক্ষণ, বায়ো-আঠা ও উদ্ভিদবিষয়ক গবেষণায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
বৃক্ষরোপণ কমিটি ৩০ একর ক্যাম্পাসকে ১ হাজার ২০০ জোনে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়। প্রতিটি স্থানে ৮ ফুট বালু অপসারণ করে গোবর ও দোআঁশ মাটি দিয়ে এক মাস আগে থেকেই জায়গা প্রস্তুত করা হয়। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরই চারা রোপণ শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের প্রধানতম উদ্দেশ্য সবুজায়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা। নাটোরের লালপুরসহ পাবনা উঞ্চ এলাকা হিসেবে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড গরম পড়ে। পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ তাপমাত্রা কমাতে পারে। জীববৈচিত্র্য মাথায় রেখেছি। দুর্লভ গাছ সংরক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় আছে। যেসব গাছ হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব গাছের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতে চাই। ক্যাম্পাসকে সবুজ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। এখানে পাখি আসবে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসটি জীববৈচিত্র্য, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য একটি সমৃদ্ধ লিভিং ল্যাবরেটরিতে পরিণত হবে। গাছপালা বড় হলে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়বে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাসের মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পোকামাকড় ও পাখির আবাসস্থল তৈরি হয়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হবে। জীববিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, কৃষি ও বনবিদ্যার শিক্ষার্থীরা এখানে একটি বাস্তব গবেষণা ক্ষেত্র পাবে।
অবকাঠামো নির্মাণের পর ক্যাম্পাসের যেসব জায়গা ফাঁকা ছিল, মূলত সেসব স্থানে বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ছায়াদানকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। অনেক বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ সংগ্রহ করে লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধুপ, উরি আম, মধুমাধবী, হাপরমালী, কানাইডিঙ্গা, নাগলিঙ্গম, রক্তন, তমাল, পুন্নাগ, কুসুম, কুরচি, মুচকুন্দচাঁপা, করঞ্জ, পরশপিপুল, কৃষ্ণবট, নীল অঞ্জন, রয়না, রিঠা, কুম্ভী, পুত্রঞ্জীবসহ নানা প্রজাতির গাছ।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পূবালী ও জনতা ব্যাংক। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চারা রোপণে সহযোগিতা করেছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজ করছে রোভার স্কাউট গ্রুপ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের লেকে মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে এবং কচ্ছপ ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘রোপিত চারাগুলোর সঙ্গে বড় হবে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান আর প্রাণবন্ত পরিবেশে ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ সময় কাটানোর জায়গা। এটি সত্যিকারের একটি লিভিং ল্যাবরেটরি হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ করছি। এর মাধ্যমে পরিবেশগত উপকারিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের উদ্যোগ কাজে লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাস ছড়িয়ে পড়বে দেশ থেকে দেশান্তরে। এই ক্যাম্পাসের আলোয় আলোকিত হবে পুরো বাংলাদেশ।’

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগে
‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দেবাশীষ নামের এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শলুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর ছেলে। তিনি ‘বর্তমান সময়’ নামের একটি নিউজ পোর্টাল চালাতেন।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আহমেদ।
বিস্তারিত আসছে....

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দেবাশীষ নামের এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শলুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর ছেলে। তিনি ‘বর্তমান সময়’ নামের একটি নিউজ পোর্টাল চালাতেন।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আহমেদ।
বিস্তারিত আসছে....

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগে
‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চ ও ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এদিকে, হাদিকে নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের ভাই হাদী রওনা দিয়েছেন অনন্তের পথে। আবরার, আবু সাঈদদের মতো হাদী না থেকেও আরো বেশি করে থাকবেন বাংলাদেশের বুকে। ইউ ফেইলড টু কিল ওসমান হাদী!’
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে গত রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের মামলাটি করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চ ও ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এদিকে, হাদিকে নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের ভাই হাদী রওনা দিয়েছেন অনন্তের পথে। আবরার, আবু সাঈদদের মতো হাদী না থেকেও আরো বেশি করে থাকবেন বাংলাদেশের বুকে। ইউ ফেইলড টু কিল ওসমান হাদী!’
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে গত রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের মামলাটি করেন।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১১ ঘণ্টা আগে
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেদেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বারুর গ্রামে গণসংযোগকালে এক সভায় কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার সংসদীয় আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত বলেন, ‘আমরা যখন বাজার থেকে আপেল কিনি কিংবা খরচ করতে যাই তখন নিজ হাতে তা দেখে নেই, কি নেই না বলেন? আমরা আলু কিনতে গেলেও নিজে দেখে নিজ হাতে ভালোটা কিনি। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেবীদ্বারের নেতৃত্বে যে আসবে তাকে কারও কথায় নয়, আপনাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে যিনি ভালো হবে, তাকেই নির্বাচিত করবেন।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘আমাকে অনেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে না যে মেরে ফেলবে, আমাকে দেবীদ্বারে আসতেও বারণ করা হয়েছিল। আমি মনে করি, দেবীদ্বার আমার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ, আমাকে বাঁচানোর জন্য দেবীদ্বারের নারীরাই যথেষ্ট। তারপর অন্যান্য লোকজন ও আমার বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াতের নেতারাও আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি।’
দিনব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠানবৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে এনসিপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বারুর গ্রামে গণসংযোগকালে এক সভায় কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার সংসদীয় আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত বলেন, ‘আমরা যখন বাজার থেকে আপেল কিনি কিংবা খরচ করতে যাই তখন নিজ হাতে তা দেখে নেই, কি নেই না বলেন? আমরা আলু কিনতে গেলেও নিজে দেখে নিজ হাতে ভালোটা কিনি। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেবীদ্বারের নেতৃত্বে যে আসবে তাকে কারও কথায় নয়, আপনাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে যিনি ভালো হবে, তাকেই নির্বাচিত করবেন।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘আমাকে অনেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে না যে মেরে ফেলবে, আমাকে দেবীদ্বারে আসতেও বারণ করা হয়েছিল। আমি মনে করি, দেবীদ্বার আমার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ, আমাকে বাঁচানোর জন্য দেবীদ্বারের নারীরাই যথেষ্ট। তারপর অন্যান্য লোকজন ও আমার বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াতের নেতারাও আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি।’
দিনব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠানবৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে এনসিপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১১ ঘণ্টা আগে
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
উত্তর বাড্ডার পূর্বাচলের ৬ নম্বর লেন থেকে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উত্তর বাড্ডার পূর্বাচলের ৬ নম্বর লেনের স্বপনের ছেলে সাগর আহম্মেদ রয়েল ও একই এলাকার ওমর সানি রাব্বি।
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মিরাজ শিকদার বাদী হয়ে গতকাল মধ্যরাতে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে মিরাজ জানান, অপহরণকারীদের একজনের সঙ্গে কিছু দিন আগে তাঁর ছোট ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে পার্টটাইম চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ ডিসেম্বর বাড্ডায় যান। সেখান থেকে ওই অপহরণকারী পূর্বাচলের ২৬ নম্বর লেনে নিয়ে যান। অতঃপর চাকরির ভাইভার কথা বলে একটি টিনশেড রুমে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অতঃপর মিরাজ শিকদার বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিলে অপহরণকারীরা রিয়াজকে মারধর করে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী যুবকও তাঁদের অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে শনাক্ত করেছেন। পরে তাঁদের বাড্ডা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর দিকে ডিএমপির বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. নাসিরুল আমীন বলেন, ‘অপহরণের অভিযোগে র্যাব দুই আসামিকে ধরে থানায় হস্তান্তর করেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। পরে তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

রাজধানীর বাড্ডা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াজ শিকদার (৩৩) নামের এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাগর আহম্মেদ রয়েল (৩২) ও ওমর সানি রাব্বি (৩৫)।
উত্তর বাড্ডার পূর্বাচলের ৬ নম্বর লেন থেকে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উত্তর বাড্ডার পূর্বাচলের ৬ নম্বর লেনের স্বপনের ছেলে সাগর আহম্মেদ রয়েল ও একই এলাকার ওমর সানি রাব্বি।
অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মিরাজ শিকদার বাদী হয়ে গতকাল মধ্যরাতে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে মিরাজ জানান, অপহরণকারীদের একজনের সঙ্গে কিছু দিন আগে তাঁর ছোট ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে পার্টটাইম চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১২ ডিসেম্বর বাড্ডায় যান। সেখান থেকে ওই অপহরণকারী পূর্বাচলের ২৬ নম্বর লেনে নিয়ে যান। অতঃপর চাকরির ভাইভার কথা বলে একটি টিনশেড রুমে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অতঃপর মিরাজ শিকদার বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিলে অপহরণকারীরা রিয়াজকে মারধর করে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১-এর সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী যুবকও তাঁদের অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে শনাক্ত করেছেন। পরে তাঁদের বাড্ডা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর দিকে ডিএমপির বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. নাসিরুল আমীন বলেন, ‘অপহরণের অভিযোগে র্যাব দুই আসামিকে ধরে থানায় হস্তান্তর করেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। পরে তাঁদের আজ আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি বৃক্ষরোপণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম।
১১ ঘণ্টা আগে
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগে
‘আমাদের বিরোধিতা যারা করে, তারা রাতে গোমতী নদীতে মাটি কাটায়, দিনে ঘুমায়। এ জন্য এখন একটু কম প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। যারা চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে তারাই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করে।’
১ ঘণ্টা আগে