Ajker Patrika

ইবির সেই শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবি শিক্ষার্থীদের

ইবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। গতকাল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ ব্যাপারে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এর আগে, একই দিন বিকেল ৫টায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে তাঁরা আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন। শিক্ষার্থীরা বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

অভিযোগগুলোতে পেশাগত অসদাচরণ, নৈতিকতা লঙ্ঘন, যৌন হয়রানি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয় উঠে আসে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আজিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসে ছাত্রীদের পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ক্লাসে শারীরিক ইঙ্গিতপূর্ণ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে ছাত্রীদের অস্বস্তিতে ফেলেন।

হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইমোতে ভিডিও কলে আসার জন্য ছাত্রীদের চাপ প্রয়োগ, কুপ্রস্তাব এবং অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তিনি পরীক্ষার রেজাল্ট ধসিয়ে দেন বলে জানা যায়। বিবাহিত ও অবিবাহিত শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিব্রতকর প্রশ্ন করতেন। বিশেষ সম্পর্ক রাখলে পরীক্ষার সাজেশন পাওয়া যাবে এই নিশ্চয়তা দিতেন।

আরও অভিযোগ রয়েছে, ছুটির দিনেও ছাত্রীদের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে নেওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার প্রস্তাব, আর্থিক প্রলোভন এবং পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করতেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘একটি কোর্সে রিটেক থাকায় স্যার আগের দিন আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে বলেন যে রিটেকের প্রশ্ন ও খাতা দেখার দায়িত্ব তাঁর। সেই সুযোগে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তিনি আমাকে হয়রানি করেন, শরীর নিয়ে কমপ্লিমেন্ট দেন। অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, কিন্তু আমরা এতে সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই, তাঁকে স্থায়ীভাবে শিক্ষকতা থেকে বরখাস্ত করা হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকেরা জানান, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নয়, উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক কাঠামোতেও প্রশ্ন তোলে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...