নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) বিবস্ত্র করে এলোপাতাড়ি পেটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নৃশংস নির্যাতন চালাতে থাকেন মাহমুদুল হাসান মহিন, সহযোগী মোহাম্মদ নান্নু কাজীসহ (৩৩) আসামিরা। নান্নু কাজীকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার র্যাব-১০ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু কাজীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১-এর একটি দল।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা র্যাব-১০কে সহযোগিতা করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত র্যাব-১০ থেকে জানানো হবে।’
র্যাব-১০-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসার বিভিন্ন বিষয় ও এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের (৪১) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল সোহাগের। উল্লিখিত ঘটনার আগে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন বিভিন্ন সময় ভিকটিম সোহাগকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। পরে ৯ জুলাই বিকেলে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের সহযোগী আসামি নান্নু কাজীসহ অপর আসামিরা ভিকটিম সোহাগের ভাঙারির দোকান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং ভিকটিমকে টেনেহিঁচড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে নিয়ে আসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসামিরা ভিকটিম সোহাগকে বিবস্ত্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, সিমেন্টের ব্লক ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মরদেহের পাশে প্রকাশ্যে উল্লাস করে চলে যান।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ হত্যা মামলায় নিহত সোহাগের বোন বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মামলার মূল রহস্য ও এ মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য তাঁকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১১ জুলাই আসামি টিটন গাজীকে পাঁচ দিন, ১২ জুলাই আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরকে চার দিন এবং ১৪ জুলাই সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সবশেষ নান্নু কাজীসহ এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২), দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজীব ব্যাপারী (২৫)।
আরও পড়ুন:
সোহাগ হত্যা: চিহ্নিত হয়নি কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে আঘাতকারী
সোহাগ হত্যা: মামলার ৬ নম্বর আসামি নান্নু নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) বিবস্ত্র করে এলোপাতাড়ি পেটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নৃশংস নির্যাতন চালাতে থাকেন মাহমুদুল হাসান মহিন, সহযোগী মোহাম্মদ নান্নু কাজীসহ (৩৩) আসামিরা। নান্নু কাজীকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার র্যাব-১০ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম থেকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু কাজীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১-এর একটি দল।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা র্যাব-১০কে সহযোগিতা করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত র্যাব-১০ থেকে জানানো হবে।’
র্যাব-১০-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসার বিভিন্ন বিষয় ও এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের (৪১) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল সোহাগের। উল্লিখিত ঘটনার আগে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন বিভিন্ন সময় ভিকটিম সোহাগকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। পরে ৯ জুলাই বিকেলে আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনের সহযোগী আসামি নান্নু কাজীসহ অপর আসামিরা ভিকটিম সোহাগের ভাঙারির দোকান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং ভিকটিমকে টেনেহিঁচড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে নিয়ে আসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসামিরা ভিকটিম সোহাগকে বিবস্ত্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, সিমেন্টের ব্লক ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মরদেহের পাশে প্রকাশ্যে উল্লাস করে চলে যান।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ হত্যা মামলায় নিহত সোহাগের বোন বাদী হয়ে ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মামলার মূল রহস্য ও এ মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য তাঁকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১১ জুলাই আসামি টিটন গাজীকে পাঁচ দিন, ১২ জুলাই আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরকে চার দিন এবং ১৪ জুলাই সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারীকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সবশেষ নান্নু কাজীসহ এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১), তারেক রহমান রবিন (২২), আলমগীর (২৮), মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২), টিটন গাজী (৩২), দুই সহোদর সজীব ব্যাপারী (২৭) ও মো. রাজীব ব্যাপারী (২৫)।
আরও পড়ুন:
সোহাগ হত্যা: চিহ্নিত হয়নি কংক্রিটের বোল্ডার দিয়ে আঘাতকারী
সোহাগ হত্যা: মামলার ৬ নম্বর আসামি নান্নু নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে