
দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।

দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।

দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।

দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে