আরিফ আবেদ আদিত্য

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায় সুদূর কেন্ট থেকে ম্যানচেস্টারে এসে এক ঘনিষ্ঠ ভাইয়ের বাসায় উঠেছি। এখানে রাত্রি যাপন করে সকাল সকাল রওনা দিই বিটলসের আঁতুড়ঘর লিভারপুল শহরে! সেখানে বাস ও ট্রেন দুইভাবেই যাওয়া যায়—ইংল্যান্ডে তাৎক্ষণিক ট্রেনের ভাড়া বিমানের মতো অনেক বেশি পড়ে, তাই বাসই সহজসাধ্য সবার জন্য।
যখন রওনা দিই, ম্যানচেস্টারের জানুয়ারির সকাল তখন কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন। ইউকের যতই উত্তরের দিকে যাওয়া যায়, আবহাওয়া ততই ধূসর রং ধারণ করে। আমি যেখানে থাকি, লন্ডনের পূর্ব দিকে ক্যান্টাবরি শহরে, সেটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ও সাগরঘেরা হওয়ায় সূর্যের প্রচুর আলো পাওয়া যায়। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার বা আরও উত্তরে স্কটল্যান্ডে গেলে এই সূর্যের আলোর স্বল্পতা দেখা যায়, যার ফলে এদিকে শীত বেশি অনুভূত হয়। ভোরের যাত্রায় কয়েক পরতের শীত নিবারক পোশাক পরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে হাজির হই লিভারপুলে। যাত্রাপথে ধরা পড়ে ইংল্যান্ডের অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপ—মহাসড়কের দুই ধারে সবুজের অবারিত প্রান্তর—মসৃণ পিচঢালাই পথে স্থানে স্থানে চোখে পড়ে ছোট ছোট গ্রাম আর খামারবাড়ি। পুরো ইংল্যান্ডে কান্ট্রিসাইড বা গ্রামগুলো যেন একইভাবে তৈরি। প্রত্যকের দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির আঙিনা ফুলে ফুলে সাজানো। নিরিবিলি গোছানো। একটা কি দুটো ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ির সামনে পার্ক করা। কোনো কোলাহল নেই, কোনো তাড়াও নেই—জীবন এখানে অনেক শান্ত-নির্মল।
সকাল ৯টায় পৌঁছে যাই লিভারপুলে। আগের রাতেই গুগল করে কী কী দেখব, একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করে রেখেছিলাম। লিভারপুলে বাস থেকে নেমেই তাই গুগল ম্যাপের শরণাপন্ন হই। ম্যাপ ধরে প্রথমেই চলে যাই লিভারপুলের বিখ্যাত ম্যাজি নদীর তীরে। ম্যাজি (Mersey) নদীকে বাংলায় অনেকে মার্সেই নামে লেখে। যদিও এর সঠিক উচ্চারণ হবে ম্যাজি, স্থানীয়রা ‘স’ কে ‘জ’-এর মতো করে। এই নদীর নামেই ‘ম্যাজি বিট’ (Mersey Beat)। গত শতকের ষাটের দশকে পৃথিবী কাঁপানো এক সংগীতের ধারার জন্ম হয়েছিল। ম্যাজি নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল তৎকালীন তুঙ্গস্পর্শী ব্যান্ডদল ‘বিটলস’। এখানে এক ছোট অপরিসর পানশালায় ছিল এর আঁতুড়ঘর। লিভারপুলে আগমনের প্রধান কারণ এই বিটলসের আঁতুড়ঘর দর্শন ও এর সদস্যদের স্মৃতিধন্য শহরের অলিগলিতে বিচরণ।
গবেষকদের মতে, ম্যাজি নদীর তীরে ১৯৫৮-৬৪ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ ব্যান্ড দলের জন্ম হয়েছিল; এর মধ্যে ৩৫০টি গ্রুপ নিয়মিত কনসার্ট, বার ও পাবে বাজাত। আরও একটি বিস্ময়কর ঘটনা হলো, পৃথিবীর ইতিহাসে সংগীতবিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ম্যাজি বিট’ (Mersey Beat)-এর জন্মও এই শহরেই, ১৯৬১ সালে। এই ‘মেজি বিট’-এর একেকটি সংখ্যা তখন ৭৫ হাজার কপি পর্যন্ত বিক্রি হতো। এর সম্পাদক ছিলেন বিটলসের সদস্য জন লেলনের বন্ধু-সহপাঠী বিল হ্যারি। তাঁরা একই কলেজে পড়তেন। ১৯৬২ সালে মেজি বিট পত্রিকার আয়োজনে পাঠকদের ভোটে বিটলস সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল, যা বিটলসের উত্থানের প্রথম সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। এর পর থেকেই মূলত এদের স্থানীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা শুরু।
বিটলস নিয়ে আসলে বেশি কিছু বলার নেই। এঁদের গান ও ব্যান্ড দলের সদস্যদের প্রভাব গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এমনই ছিল যে ‘বিটলস ম্যানিয়া’য় আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক প্রজন্ম। এর রেশ এখনো শেষ হয়নি। অভাবনীয় ব্যাপার হলো, এই শহরে জন্ম নেওয়া একদল কিশোর মিলে গঠন করেছিল বিটলস।
ম্যাজি নদীর তীরে বিটলসের চার কিংবদন্তি সদস্য জন লেলন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন, রিংগো স্টার ছাড়াও জন্ম হয়েছিল গ্যারি মার্সডেনের, যাঁর ‘ফেরি, ক্রস দ্য ম্যাজি’ গান আটলান্টিকের দুই পাড়ে এই নদীর খ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছিল। লিভারপুলের আরও অন্যান্য বিখ্যাত পপ সংগীতশিল্পীর জন্ম। যেমন: বিটলসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ররি স্টর্ম অ্যান্ড দ্য হ্যারিকেন’ ব্যান্ড দলের প্রধান ররি স্টর্মের। উল্লেখ্য, বিটলসের যোগ দেওয়ার আগে রিঙ্গো স্টার এই ব্যান্ড দলে ড্রামার হিসেবে ছিলেন। ‘ররি স্টর্ম অ্যান্ড দ্য হ্যারিকেন’ ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ পর্বে বিটলসের চেয়ে প্রভাবশালী ছিল লিভারপুলে—দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ব্যান্ড দলের প্রধান ররি স্টর্ম (১৯৩৮-১৯৭২) মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মারা যান। যাই হোক, ম্যাজি বিটের আরেক সফল ব্যান্ড দল ছিল গ্যারি মার্সডেনের ‘গ্যারি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স’। লিভারপুলে বিটলসের পর দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই ব্যান্ড দল।
বিটলসের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের সমসাময়িককালে লিভারপুল শহরেরই আরেকজন সংগীতশিল্পী ইংলিশ রক এন রোল, পপ সংগীতের জগতে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন—তিনি হলেন বিল্লি ফুরি (১৯৪০-১৯৮৩)। তাঁর ভাস্কর্য ম্যাজি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে। বিল্লি ফুরি একক ব্যানারেই গান করেছেন বেশি। তাঁর সময়ে ইউকে চার্টে দুই ও তিন নম্বরে ছিলেন ৩৩২ সপ্তাহ। পপ ঘরানার মধ্যে ক্ল্যাসিক মিশ্রণে তিনি স্বতন্ত্র এক ধারা তৈরি করেছিলেন। গানের পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেছেন। তাঁর বিখ্যাত গান ‘হাফওয়ে টু প্যারাডাইস’। বিটলসের চার সদস্য জন লেলন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন, রিংগো স্টার তাঁর সঙ্গে একসময় একসঙ্গে বাজিয়েছেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে তাঁর সংগীতজীবনের সমাপ্তি হয়। ম্যাজি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা এমন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীদের জন্ম হওয়ায় হয়তো লিভারপুলকে বিশ্বসংগীতের রাজধানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আমাকে লিভারপুল কেবল বিটলসের গানের আকর্ষণে তাঁদের আঁতুড়ঘর পরিদর্শন নয়, পাশাপাশি এর একজন সদস্য জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে নিউইয়র্কে কনসার্ট করেছিলেন—তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোও ছিল অন্যতম কারণ।
বিটলসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘দ্য ক্যাভার্ন স্ন্যাক বার’ নামে ছোট্ট এক টংঘর থেকে। লিভারপুল শিল্প এলাকা হওয়ায় ম্যাজি নদীর তীরে ছোট-বড় অনেক খাবারের দোকান ছিল। আমাদের দেশের চায়ের দোকানের মতো ছোট ছোট টংঘর বা স্বল্প আয়ের মানুষের খাবারের হোটেলের মতো কিছু রেস্তোরাঁও ছিল। সেই সব দোকানের ভেতরে বা এক পাশে লাঞ্চ বা ডিনার করতে আসা ক্রেতাদের বিনোদনের জন্য দোকানিরা এলাকার উঠতি ব্যান্ড দলকে সুযোগ দিত গান পরিবেশনের জন্য। লিভারপুল বন্দরনগরী হওয়ায় এখানে আসা জাহাজের শ্রমিক এবং বন্দরের কাজে জড়িত নানা পেশার অসংখ্য মানুষের বিনোদনের প্রধান আখড়া হয়ে ওঠে এই খাবারের দোকানগুলো। আর শ্রোতাদের তুমুল চাহিদায় দিনে দিনে ম্যাজি বিটের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী—জন্ম নেয় রক সংগীতের কিংবদন্তি সব কৃতি ব্যান্ড শিল্পীর।
লিভারপুলের ১৫-১৬ বছরের চার কিশোর—যারা স্কুলের গণ্ডিও তখন পেরোয়নি—একসঙ্গে গান করার জন্য ‘বিটলস’ নামে ব্যান্ড দল গঠন করে ‘দ্য ক্যাভার্ন’ ক্লাবের ছোট এক অপরিসর জায়গায় বাজাতে শুরু করে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র সাংগীতিক স্বরের জন্য আশপাশে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্লাবে ৩০০ বারের মতো তারা পারফর্ম করে আশপাশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে ফেলে। তারা যখন গান গাইত, তখন এই অপরিসর ঘিঞ্জি পানশালায় দুপুরে লাঞ্চের সময় জায়গার সংকুলান হতো না।
তিন গিটারিস্ট জন লেলন, পল ম্যাকর্টনি, জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে পরে রিংগো স্টার ড্রামার হিসেবে যোগ দেন এবং দৃষ্টি কাড়েন সংগীত প্রযোজক-কম্পোজার জর্জ মার্টিন, যাঁকে ‘পঞ্চম বিটলস’ বলা হতো। এই পাঁচজন মিলে পাশ্চাত্য রক এন রোল সংগীত দুনিয়ায় আলোড়ন তোলেন। বিটলসের চার কিংবদন্তি সদস্য, যাঁদের একত্রে ‘ফেবুলাস ফোরসাম’ বলে অভিহিত করা হতো, পরে তাঁরা সংক্ষেপে ‘দ্য ফেব ফোর’ নামে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন।
যাই হোক, লিভারপুলের ম্যাজি নদীর তীরে চমৎকার আকর্ষণীয় এক জায়গা রয়েল আলবার্ট ডক। এর এক পাশেই অবস্থিত পৃথিবীর বিখ্যাত ‘দ্য বিটলস স্টোরি’ জাদুঘর। ম্যাজি নদীর তীর কংক্রিটে বাঁধানো সুন্দর হাঁটার রাস্তা। কয়েক মাইল এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া সম্ভব। নদীর তীরে বেশ বাতাসের দাপট ছিল। কয়েক পরতের শীতের পোশাকেও ঠান্ডা নিবারণ হচ্ছিল না বিধায় আধা কিলোমিটারের মতো হাঁটার পর হাতের বাঁয়ে আলবার্ট ডকের দিকে চলে আসি। একটু এগোতেই পেয়ে যাই কাঙ্ক্ষিত সেই ‘দ্য বিটলস স্টোরি’ জাদুঘরের প্রবেশদ্বার। এখানে ঢুকলে কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে, তাই চিন্তা করি সকালের নাশতাটা সেরে নেওয়া যাক। সকালে বের হওয়ার সময় ব্যাগে করে ছোট একটা ভেজিটেবল রোল নিয়ে এসেছিলাম, সেটাই পাশের এক বেঞ্চে বসে চুপিচুপি খেতে থাকলাম। চুপিচুপি কারণ হলো, এখানকার সিগাল মানুষের মতোই বেশ চতুর। খাবারের গন্ধ পেলে কোথা থেকে জানি দল বেঁধে এসে হাজির হয়। সুযোগ পেলে হাত থেকে খাবার ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে উড়াল দেয়। আমি ক্যান্টাবরি শহরেই বেশ কয়েকবার দেখেছি এই সিগালদের মানুষের মতো আচরণ করতে। যেমন: বিনে (ডাস্টবিন) ফেলা দেওয়া পিৎজা বা ম্যাকডোনাল্ডের প্যাকেট থেকে ঠোঁট দিয়ে মানুষের মতো নিখুঁতভাবে খুলে খাবার খেতে। সমুদ্রসৈকতে বসে খাবার খেতে গেলে এদের দাপট সবচেয়ে বেশি বোঝা যায়—চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে—ভয়ডর বলতে এদের কিছু নেই। যাক, সিগালদের ফাঁকি দিয়ে সন্তর্পণে নাশতা শেষ করে দ্য বিটলস স্টোরির দিকে রওনা দিই। ১৭ পাউন্ডের টিকিট ছাত্র হিসেবে ডিসকাউন্টে ১২.৫০ পাউন্ড দিয়ে কিনে ঢুকে পড়ি বিটলস মিউজিয়ামে। এখানে বিটলসের সদস্যদের সেই স্কুলের গণ্ডি থেকে পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার নানা ইতিহাস ও স্মারক রেপ্লিকা সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেই ষাটের দশকের দ্য কসবা, ম্যাথিউ স্ট্রিট, এবে রোড স্টুডিও এবং দ্য ক্যাভার্ন ক্লাবের হুবহু পরিবেশ এখানে তৈরি করে রাখা আছে। টিকিট কাটার পর একটা অডিও ডিভাইস দেওয়া হয়, যেটিতে ধারাবর্ণনা করে প্রতিটি বিষয় সুন্দর করে বোঝানো আছে। বিটলসের এমন কোনো বিষয় নেই, যা এই জাদুঘরে রাখা হয়নি। যেকোনো রক সংগীতপ্রেমী ও ‘বিটলস’ ভক্তের জন্য তো অবশ্যই, তা ছাড়া এই জাদুঘর পপুলার সংস্কৃতির এক অনন্য তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচিত হবে বৈকি! প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায় পুরো বিটলস স্টোরি দেখতে। প্রস্থানের সময় কানে বাজতে থাকে তাঁদের গান ‘লেট ইট বি’—গুনগুন করে গাইতে গাইতে বেরিয়ে পড়ি লিভারপুল শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ‘ফোর ফেব’-এর স্ট্যাচু দেখার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন:

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায় সুদূর কেন্ট থেকে ম্যানচেস্টারে এসে এক ঘনিষ্ঠ ভাইয়ের বাসায় উঠেছি। এখানে রাত্রি যাপন করে সকাল সকাল রওনা দিই বিটলসের আঁতুড়ঘর লিভারপুল শহরে! সেখানে বাস ও ট্রেন দুইভাবেই যাওয়া যায়—ইংল্যান্ডে তাৎক্ষণিক ট্রেনের ভাড়া বিমানের মতো অনেক বেশি পড়ে, তাই বাসই সহজসাধ্য সবার জন্য।
যখন রওনা দিই, ম্যানচেস্টারের জানুয়ারির সকাল তখন কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন। ইউকের যতই উত্তরের দিকে যাওয়া যায়, আবহাওয়া ততই ধূসর রং ধারণ করে। আমি যেখানে থাকি, লন্ডনের পূর্ব দিকে ক্যান্টাবরি শহরে, সেটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ও সাগরঘেরা হওয়ায় সূর্যের প্রচুর আলো পাওয়া যায়। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার বা আরও উত্তরে স্কটল্যান্ডে গেলে এই সূর্যের আলোর স্বল্পতা দেখা যায়, যার ফলে এদিকে শীত বেশি অনুভূত হয়। ভোরের যাত্রায় কয়েক পরতের শীত নিবারক পোশাক পরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে হাজির হই লিভারপুলে। যাত্রাপথে ধরা পড়ে ইংল্যান্ডের অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপ—মহাসড়কের দুই ধারে সবুজের অবারিত প্রান্তর—মসৃণ পিচঢালাই পথে স্থানে স্থানে চোখে পড়ে ছোট ছোট গ্রাম আর খামারবাড়ি। পুরো ইংল্যান্ডে কান্ট্রিসাইড বা গ্রামগুলো যেন একইভাবে তৈরি। প্রত্যকের দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির আঙিনা ফুলে ফুলে সাজানো। নিরিবিলি গোছানো। একটা কি দুটো ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ির সামনে পার্ক করা। কোনো কোলাহল নেই, কোনো তাড়াও নেই—জীবন এখানে অনেক শান্ত-নির্মল।
সকাল ৯টায় পৌঁছে যাই লিভারপুলে। আগের রাতেই গুগল করে কী কী দেখব, একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা করে রেখেছিলাম। লিভারপুলে বাস থেকে নেমেই তাই গুগল ম্যাপের শরণাপন্ন হই। ম্যাপ ধরে প্রথমেই চলে যাই লিভারপুলের বিখ্যাত ম্যাজি নদীর তীরে। ম্যাজি (Mersey) নদীকে বাংলায় অনেকে মার্সেই নামে লেখে। যদিও এর সঠিক উচ্চারণ হবে ম্যাজি, স্থানীয়রা ‘স’ কে ‘জ’-এর মতো করে। এই নদীর নামেই ‘ম্যাজি বিট’ (Mersey Beat)। গত শতকের ষাটের দশকে পৃথিবী কাঁপানো এক সংগীতের ধারার জন্ম হয়েছিল। ম্যাজি নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল তৎকালীন তুঙ্গস্পর্শী ব্যান্ডদল ‘বিটলস’। এখানে এক ছোট অপরিসর পানশালায় ছিল এর আঁতুড়ঘর। লিভারপুলে আগমনের প্রধান কারণ এই বিটলসের আঁতুড়ঘর দর্শন ও এর সদস্যদের স্মৃতিধন্য শহরের অলিগলিতে বিচরণ।
গবেষকদের মতে, ম্যাজি নদীর তীরে ১৯৫৮-৬৪ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ ব্যান্ড দলের জন্ম হয়েছিল; এর মধ্যে ৩৫০টি গ্রুপ নিয়মিত কনসার্ট, বার ও পাবে বাজাত। আরও একটি বিস্ময়কর ঘটনা হলো, পৃথিবীর ইতিহাসে সংগীতবিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ম্যাজি বিট’ (Mersey Beat)-এর জন্মও এই শহরেই, ১৯৬১ সালে। এই ‘মেজি বিট’-এর একেকটি সংখ্যা তখন ৭৫ হাজার কপি পর্যন্ত বিক্রি হতো। এর সম্পাদক ছিলেন বিটলসের সদস্য জন লেলনের বন্ধু-সহপাঠী বিল হ্যারি। তাঁরা একই কলেজে পড়তেন। ১৯৬২ সালে মেজি বিট পত্রিকার আয়োজনে পাঠকদের ভোটে বিটলস সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল, যা বিটলসের উত্থানের প্রথম সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। এর পর থেকেই মূলত এদের স্থানীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা শুরু।
বিটলস নিয়ে আসলে বেশি কিছু বলার নেই। এঁদের গান ও ব্যান্ড দলের সদস্যদের প্রভাব গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এমনই ছিল যে ‘বিটলস ম্যানিয়া’য় আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক প্রজন্ম। এর রেশ এখনো শেষ হয়নি। অভাবনীয় ব্যাপার হলো, এই শহরে জন্ম নেওয়া একদল কিশোর মিলে গঠন করেছিল বিটলস।
ম্যাজি নদীর তীরে বিটলসের চার কিংবদন্তি সদস্য জন লেলন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন, রিংগো স্টার ছাড়াও জন্ম হয়েছিল গ্যারি মার্সডেনের, যাঁর ‘ফেরি, ক্রস দ্য ম্যাজি’ গান আটলান্টিকের দুই পাড়ে এই নদীর খ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছিল। লিভারপুলের আরও অন্যান্য বিখ্যাত পপ সংগীতশিল্পীর জন্ম। যেমন: বিটলসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ররি স্টর্ম অ্যান্ড দ্য হ্যারিকেন’ ব্যান্ড দলের প্রধান ররি স্টর্মের। উল্লেখ্য, বিটলসের যোগ দেওয়ার আগে রিঙ্গো স্টার এই ব্যান্ড দলে ড্রামার হিসেবে ছিলেন। ‘ররি স্টর্ম অ্যান্ড দ্য হ্যারিকেন’ ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ পর্বে বিটলসের চেয়ে প্রভাবশালী ছিল লিভারপুলে—দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ব্যান্ড দলের প্রধান ররি স্টর্ম (১৯৩৮-১৯৭২) মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মারা যান। যাই হোক, ম্যাজি বিটের আরেক সফল ব্যান্ড দল ছিল গ্যারি মার্সডেনের ‘গ্যারি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স’। লিভারপুলে বিটলসের পর দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই ব্যান্ড দল।
বিটলসের অপ্রতিরোধ্য প্রভাবের সমসাময়িককালে লিভারপুল শহরেরই আরেকজন সংগীতশিল্পী ইংলিশ রক এন রোল, পপ সংগীতের জগতে আধিপত্য দেখিয়েছিলেন—তিনি হলেন বিল্লি ফুরি (১৯৪০-১৯৮৩)। তাঁর ভাস্কর্য ম্যাজি নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে। বিল্লি ফুরি একক ব্যানারেই গান করেছেন বেশি। তাঁর সময়ে ইউকে চার্টে দুই ও তিন নম্বরে ছিলেন ৩৩২ সপ্তাহ। পপ ঘরানার মধ্যে ক্ল্যাসিক মিশ্রণে তিনি স্বতন্ত্র এক ধারা তৈরি করেছিলেন। গানের পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেছেন। তাঁর বিখ্যাত গান ‘হাফওয়ে টু প্যারাডাইস’। বিটলসের চার সদস্য জন লেলন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন, রিংগো স্টার তাঁর সঙ্গে একসময় একসঙ্গে বাজিয়েছেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে তাঁর সংগীতজীবনের সমাপ্তি হয়। ম্যাজি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা এমন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীদের জন্ম হওয়ায় হয়তো লিভারপুলকে বিশ্বসংগীতের রাজধানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আমাকে লিভারপুল কেবল বিটলসের গানের আকর্ষণে তাঁদের আঁতুড়ঘর পরিদর্শন নয়, পাশাপাশি এর একজন সদস্য জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে নিউইয়র্কে কনসার্ট করেছিলেন—তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোও ছিল অন্যতম কারণ।
বিটলসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘দ্য ক্যাভার্ন স্ন্যাক বার’ নামে ছোট্ট এক টংঘর থেকে। লিভারপুল শিল্প এলাকা হওয়ায় ম্যাজি নদীর তীরে ছোট-বড় অনেক খাবারের দোকান ছিল। আমাদের দেশের চায়ের দোকানের মতো ছোট ছোট টংঘর বা স্বল্প আয়ের মানুষের খাবারের হোটেলের মতো কিছু রেস্তোরাঁও ছিল। সেই সব দোকানের ভেতরে বা এক পাশে লাঞ্চ বা ডিনার করতে আসা ক্রেতাদের বিনোদনের জন্য দোকানিরা এলাকার উঠতি ব্যান্ড দলকে সুযোগ দিত গান পরিবেশনের জন্য। লিভারপুল বন্দরনগরী হওয়ায় এখানে আসা জাহাজের শ্রমিক এবং বন্দরের কাজে জড়িত নানা পেশার অসংখ্য মানুষের বিনোদনের প্রধান আখড়া হয়ে ওঠে এই খাবারের দোকানগুলো। আর শ্রোতাদের তুমুল চাহিদায় দিনে দিনে ম্যাজি বিটের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী—জন্ম নেয় রক সংগীতের কিংবদন্তি সব কৃতি ব্যান্ড শিল্পীর।
লিভারপুলের ১৫-১৬ বছরের চার কিশোর—যারা স্কুলের গণ্ডিও তখন পেরোয়নি—একসঙ্গে গান করার জন্য ‘বিটলস’ নামে ব্যান্ড দল গঠন করে ‘দ্য ক্যাভার্ন’ ক্লাবের ছোট এক অপরিসর জায়গায় বাজাতে শুরু করে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র সাংগীতিক স্বরের জন্য আশপাশে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই ক্লাবে ৩০০ বারের মতো তারা পারফর্ম করে আশপাশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে ফেলে। তারা যখন গান গাইত, তখন এই অপরিসর ঘিঞ্জি পানশালায় দুপুরে লাঞ্চের সময় জায়গার সংকুলান হতো না।
তিন গিটারিস্ট জন লেলন, পল ম্যাকর্টনি, জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে পরে রিংগো স্টার ড্রামার হিসেবে যোগ দেন এবং দৃষ্টি কাড়েন সংগীত প্রযোজক-কম্পোজার জর্জ মার্টিন, যাঁকে ‘পঞ্চম বিটলস’ বলা হতো। এই পাঁচজন মিলে পাশ্চাত্য রক এন রোল সংগীত দুনিয়ায় আলোড়ন তোলেন। বিটলসের চার কিংবদন্তি সদস্য, যাঁদের একত্রে ‘ফেবুলাস ফোরসাম’ বলে অভিহিত করা হতো, পরে তাঁরা সংক্ষেপে ‘দ্য ফেব ফোর’ নামে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন।
যাই হোক, লিভারপুলের ম্যাজি নদীর তীরে চমৎকার আকর্ষণীয় এক জায়গা রয়েল আলবার্ট ডক। এর এক পাশেই অবস্থিত পৃথিবীর বিখ্যাত ‘দ্য বিটলস স্টোরি’ জাদুঘর। ম্যাজি নদীর তীর কংক্রিটে বাঁধানো সুন্দর হাঁটার রাস্তা। কয়েক মাইল এই রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া সম্ভব। নদীর তীরে বেশ বাতাসের দাপট ছিল। কয়েক পরতের শীতের পোশাকেও ঠান্ডা নিবারণ হচ্ছিল না বিধায় আধা কিলোমিটারের মতো হাঁটার পর হাতের বাঁয়ে আলবার্ট ডকের দিকে চলে আসি। একটু এগোতেই পেয়ে যাই কাঙ্ক্ষিত সেই ‘দ্য বিটলস স্টোরি’ জাদুঘরের প্রবেশদ্বার। এখানে ঢুকলে কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে, তাই চিন্তা করি সকালের নাশতাটা সেরে নেওয়া যাক। সকালে বের হওয়ার সময় ব্যাগে করে ছোট একটা ভেজিটেবল রোল নিয়ে এসেছিলাম, সেটাই পাশের এক বেঞ্চে বসে চুপিচুপি খেতে থাকলাম। চুপিচুপি কারণ হলো, এখানকার সিগাল মানুষের মতোই বেশ চতুর। খাবারের গন্ধ পেলে কোথা থেকে জানি দল বেঁধে এসে হাজির হয়। সুযোগ পেলে হাত থেকে খাবার ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে উড়াল দেয়। আমি ক্যান্টাবরি শহরেই বেশ কয়েকবার দেখেছি এই সিগালদের মানুষের মতো আচরণ করতে। যেমন: বিনে (ডাস্টবিন) ফেলা দেওয়া পিৎজা বা ম্যাকডোনাল্ডের প্যাকেট থেকে ঠোঁট দিয়ে মানুষের মতো নিখুঁতভাবে খুলে খাবার খেতে। সমুদ্রসৈকতে বসে খাবার খেতে গেলে এদের দাপট সবচেয়ে বেশি বোঝা যায়—চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে—ভয়ডর বলতে এদের কিছু নেই। যাক, সিগালদের ফাঁকি দিয়ে সন্তর্পণে নাশতা শেষ করে দ্য বিটলস স্টোরির দিকে রওনা দিই। ১৭ পাউন্ডের টিকিট ছাত্র হিসেবে ডিসকাউন্টে ১২.৫০ পাউন্ড দিয়ে কিনে ঢুকে পড়ি বিটলস মিউজিয়ামে। এখানে বিটলসের সদস্যদের সেই স্কুলের গণ্ডি থেকে পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার নানা ইতিহাস ও স্মারক রেপ্লিকা সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেই ষাটের দশকের দ্য কসবা, ম্যাথিউ স্ট্রিট, এবে রোড স্টুডিও এবং দ্য ক্যাভার্ন ক্লাবের হুবহু পরিবেশ এখানে তৈরি করে রাখা আছে। টিকিট কাটার পর একটা অডিও ডিভাইস দেওয়া হয়, যেটিতে ধারাবর্ণনা করে প্রতিটি বিষয় সুন্দর করে বোঝানো আছে। বিটলসের এমন কোনো বিষয় নেই, যা এই জাদুঘরে রাখা হয়নি। যেকোনো রক সংগীতপ্রেমী ও ‘বিটলস’ ভক্তের জন্য তো অবশ্যই, তা ছাড়া এই জাদুঘর পপুলার সংস্কৃতির এক অনন্য তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচিত হবে বৈকি! প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায় পুরো বিটলস স্টোরি দেখতে। প্রস্থানের সময় কানে বাজতে থাকে তাঁদের গান ‘লেট ইট বি’—গুনগুন করে গাইতে গাইতে বেরিয়ে পড়ি লিভারপুল শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ‘ফোর ফেব’-এর স্ট্যাচু দেখার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন:

আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২৩ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫তৌহিদুল হক

রক্ত লাল
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে
গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায়
ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের
জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
যা স্বভাববিদ্ধ, তবে কতটা উপকারী বা বাঁচিয়ে
রাখার নিরলস অভিপ্রায়। মানুষের তরে
প্রাণীর অফুরন্ত প্রাচুর্য বিস্তৃতকরণে, কিংবা
উদ্ভিদের অন্তিম প্রেমে বসন্তের অভিষেকে।
কতটা জ্বলতে হয় পরের জন্য, কতটা ফুটন্ত
শরীর নিয়ে চালিয়ে যায় সেবার পরিধি।
এক চিরন্তন শিক্ষা, আবার উদিত হয়
দিনের শুরুতে, বিদায় প্রান্তিক অপূর্ব
মায়ায়-দিনের শেষ প্রান্তে।
এতটুকু কার্পণ্য রেখে যায়নি, হয়তো মুখ
ফিরিয়ে নিবে না কোনো দিন। তবে ভাবনার
অন্তিমে শেষ দৃশ্যের সংলাপে ভেসে
ওঠে জনদরদি রাজার মুখ। যেখানে রক্ত ঝরে
বন্যার বেগে সেখানেও প্রতিদিন ফুল ফোটে ফুল হয়ে।
যত দেখি
যত দেখি তৃপ্ত হই, শীতল হয়ে
জড়িয়ে পড়ি তোমার সমস্ত শরীরে। এক অজানা
শিহরণ ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের সমস্ত পৃষ্ঠা জুড়ে।
যেন দীর্ঘদিনের শুষ্কতা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে দূরে।
হারিয়ে যাওয়া রস ফিরছে মূলে, নিয়ে যাচ্ছে আদিপর্বে।
যেমন নেয় নদীর কূল, জোয়ারের ফেনা।
ভাবনার অতলে অদ্ভুত মায়া, দীর্ঘক্ষণ মোহগ্রস্ত
করে রাখে চোখের পলক, তাকিয়ে থাকি মায়ার মায়ায়। কী অপরূপ মায়া!
সেখানেও দেখি তৃষ্ণার ব্যাকুলতা নিয়ে অপেক্ষারত কান্না।
জীবনের তল্লাটে হারিয়ে খুঁজি আজ
আমারও জীবন ছিল। মায়ায় ভরা নির্বিঘ্ন আয়োজন, কলমিলতার মতো নিষ্পাপ।
তৃপ্ত হই ঘাসে, বাতাসের বেহায়া আঘাতে
অভিমানের মোড়ক ছুড়ে ফেলে হাতে তুলে নেই
কচু পাতায় টলোমলো জলের লজ্জা। এ জীবনের চাহিদা তোমায় দেখার
প্রয়োজনে তপ্ত, হয় উত্তপ্ত অথবা সহ্যের অতীত শীতল।
এ যেন কেমন
গহিন অরণ্যে সবুজ পাতার মতো, মগজে
চিন্তার রাজ্যে ভাবের উদয়, আকুল বিন্যাসে
একটু একটু করে এগিয়ে নেয়, আবার ভরা কলসির
মতো বসিয়ে রাখে-ভবের রাজ্যে। একদিন সমস্ত ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে
এদিক-ওদিক চলন, জীবন্ত মরণ! মানুষ
কেন বাঁচে, কীভাবে বাঁচে-প্রশ্নের সমাধা
আজ তর্কপ্রিয় সন্ধানে, মূর্ত প্রার্থনা।
সকল প্রিয়জন পরিত্যাগে, নিগূঢ় যত্নে হৃদয়ে প্রবেশ করে
নিজের অপরিচিত চেহারা, সব জিজ্ঞাসার
অন্ত-ক্রিয়ার এক উচ্চতম বিলাস।
জীবনের মানে অর্থশুন্য ভবিতব্য! এ কী হয়?
চোখের পলকে নিষ্পাপ দৃশ্যলোক-পেছন ডাকে বারবার
যেখানে থাকে আবার দেখার ইচ্ছা, নামে যে মুক্তকরণ। মিলনকান্তির আবাস।
চতুর্মুখ সমীকরণে খেলে যায় সময়ের ঝাঁজালো সিদ্ধান্ত। কেউ কী অপ্রিয় হয় কারও?
যেখানে ভেসে ওঠে নীলপদ্ম, অতীতের নিটোল কিতাব। সে-তো মানুষের ছবি!
চলে আসুন সবজি বাজারে
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি অনেক কিছু
যা মানুষের নয়। অ-মানুষের জন্ম-উত্তর বাঁচার
উপায় হতে পারে। পোশাকে সজ্জিত দেহ কতভাবে
হিংস্র হয়, গোপনে, অন্ধের গহনে।
প্রবেশের আগেই পেয়েছি সংকেত। কত নোংরা, পচা, আবর্জনায় ভরা একটি থালার মতো
পড়ে আছে সম্মুখে। কেউ কি দেখেছে?
হয়তো মেনে নিয়েছে সবাই, সবার আগে সে
যে ভেবেছে, কী বা আছে উপায়!
চারপাশে কত কিছুর ঘ্রাণ, চোখ যা বলে তা কি মেনে নেয় স্বাস্থ্যবার্তা
ফুটে আছে ফুলের মতো দোকানের পসরা। খেতে বা কেনায় বারণ বালাই নেই।
যা পাচ্ছে নিচ্ছে, অনেকে। কেউ গায়ে কেউ পেটে।
আহা! দেখার কেউ নেই!
এক অন্ধকারে হাঁটছে আমাদের পা।
কেউ কি আছে কোথাও, আলো নিয়ে হাতে? ভেবেছে কি কেউ
কেন আমাদের আয়োজনে সবাই নেই?
কেউ এসে শুধু একবার বলুক, এই নিন-আপনাদের জীবন টিকিট যা উত্তরণ।
চলে আসুন সবজির বাজারে, সবুজের খোঁজে।
ইতিহাস
আজ স্পষ্ট ঘোষণা, আমার চোখের সামনে কেউ নেই
নেই কেউ ভাবের অন্তিম ঘরে। এক অস্পৃশ্য অনুভব
ছুঁয়ে চলে, ভাসিয়ে দেয় অগণিত স্রোতের তুমুল আলিঙ্গনে।
আজ কিছু ভেবে বলছি না, সরাসরি জবাব---
আমি নই কারও!
সব বাতাসের সাথে মিশে থাকা চোখের প্রেম
ভাবনার বিলাসে জড়িয়ে পড়ার বাসনা----সকলের অগোচরে
অথবা সকলের মাঝে। জীবনের অর্থে হৃদয়ের গুড়গুড় আলাপ
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হৃদয়ে খোলা আকাশ, শুধু
এক মুখচ্ছবি।
আজ কোনো ক্ষমা নেই---নিজের প্রতি! নিজের পাপে
হাঁটি আমি, সবার মাঝে একলা হয়ে। বেদনার
কালো রং নিয়ে। শুধু দেখে যাই, শুধু দেখতে যাই।
কত রং বিরাজ করে ভাবনার গরমিলে, স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রই।
দাঁড়িয়ে থেকেও হেঁটে যাই!
আজকের না বলা কথা, কোনো দিন বলা হবে না
হবে না দাঁড়িয়ে আবার ভাবা আর একটু বসলে
ভালো হতো। যে বসিয়ে রাখে যে আশায় বসে থাকে
সবকিছুর-ই সময় থাকে---
এরপর---ইতিহাস!

রক্ত লাল
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে
গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায়
ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের
জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
যা স্বভাববিদ্ধ, তবে কতটা উপকারী বা বাঁচিয়ে
রাখার নিরলস অভিপ্রায়। মানুষের তরে
প্রাণীর অফুরন্ত প্রাচুর্য বিস্তৃতকরণে, কিংবা
উদ্ভিদের অন্তিম প্রেমে বসন্তের অভিষেকে।
কতটা জ্বলতে হয় পরের জন্য, কতটা ফুটন্ত
শরীর নিয়ে চালিয়ে যায় সেবার পরিধি।
এক চিরন্তন শিক্ষা, আবার উদিত হয়
দিনের শুরুতে, বিদায় প্রান্তিক অপূর্ব
মায়ায়-দিনের শেষ প্রান্তে।
এতটুকু কার্পণ্য রেখে যায়নি, হয়তো মুখ
ফিরিয়ে নিবে না কোনো দিন। তবে ভাবনার
অন্তিমে শেষ দৃশ্যের সংলাপে ভেসে
ওঠে জনদরদি রাজার মুখ। যেখানে রক্ত ঝরে
বন্যার বেগে সেখানেও প্রতিদিন ফুল ফোটে ফুল হয়ে।
যত দেখি
যত দেখি তৃপ্ত হই, শীতল হয়ে
জড়িয়ে পড়ি তোমার সমস্ত শরীরে। এক অজানা
শিহরণ ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের সমস্ত পৃষ্ঠা জুড়ে।
যেন দীর্ঘদিনের শুষ্কতা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে দূরে।
হারিয়ে যাওয়া রস ফিরছে মূলে, নিয়ে যাচ্ছে আদিপর্বে।
যেমন নেয় নদীর কূল, জোয়ারের ফেনা।
ভাবনার অতলে অদ্ভুত মায়া, দীর্ঘক্ষণ মোহগ্রস্ত
করে রাখে চোখের পলক, তাকিয়ে থাকি মায়ার মায়ায়। কী অপরূপ মায়া!
সেখানেও দেখি তৃষ্ণার ব্যাকুলতা নিয়ে অপেক্ষারত কান্না।
জীবনের তল্লাটে হারিয়ে খুঁজি আজ
আমারও জীবন ছিল। মায়ায় ভরা নির্বিঘ্ন আয়োজন, কলমিলতার মতো নিষ্পাপ।
তৃপ্ত হই ঘাসে, বাতাসের বেহায়া আঘাতে
অভিমানের মোড়ক ছুড়ে ফেলে হাতে তুলে নেই
কচু পাতায় টলোমলো জলের লজ্জা। এ জীবনের চাহিদা তোমায় দেখার
প্রয়োজনে তপ্ত, হয় উত্তপ্ত অথবা সহ্যের অতীত শীতল।
এ যেন কেমন
গহিন অরণ্যে সবুজ পাতার মতো, মগজে
চিন্তার রাজ্যে ভাবের উদয়, আকুল বিন্যাসে
একটু একটু করে এগিয়ে নেয়, আবার ভরা কলসির
মতো বসিয়ে রাখে-ভবের রাজ্যে। একদিন সমস্ত ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে
এদিক-ওদিক চলন, জীবন্ত মরণ! মানুষ
কেন বাঁচে, কীভাবে বাঁচে-প্রশ্নের সমাধা
আজ তর্কপ্রিয় সন্ধানে, মূর্ত প্রার্থনা।
সকল প্রিয়জন পরিত্যাগে, নিগূঢ় যত্নে হৃদয়ে প্রবেশ করে
নিজের অপরিচিত চেহারা, সব জিজ্ঞাসার
অন্ত-ক্রিয়ার এক উচ্চতম বিলাস।
জীবনের মানে অর্থশুন্য ভবিতব্য! এ কী হয়?
চোখের পলকে নিষ্পাপ দৃশ্যলোক-পেছন ডাকে বারবার
যেখানে থাকে আবার দেখার ইচ্ছা, নামে যে মুক্তকরণ। মিলনকান্তির আবাস।
চতুর্মুখ সমীকরণে খেলে যায় সময়ের ঝাঁজালো সিদ্ধান্ত। কেউ কী অপ্রিয় হয় কারও?
যেখানে ভেসে ওঠে নীলপদ্ম, অতীতের নিটোল কিতাব। সে-তো মানুষের ছবি!
চলে আসুন সবজি বাজারে
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি অনেক কিছু
যা মানুষের নয়। অ-মানুষের জন্ম-উত্তর বাঁচার
উপায় হতে পারে। পোশাকে সজ্জিত দেহ কতভাবে
হিংস্র হয়, গোপনে, অন্ধের গহনে।
প্রবেশের আগেই পেয়েছি সংকেত। কত নোংরা, পচা, আবর্জনায় ভরা একটি থালার মতো
পড়ে আছে সম্মুখে। কেউ কি দেখেছে?
হয়তো মেনে নিয়েছে সবাই, সবার আগে সে
যে ভেবেছে, কী বা আছে উপায়!
চারপাশে কত কিছুর ঘ্রাণ, চোখ যা বলে তা কি মেনে নেয় স্বাস্থ্যবার্তা
ফুটে আছে ফুলের মতো দোকানের পসরা। খেতে বা কেনায় বারণ বালাই নেই।
যা পাচ্ছে নিচ্ছে, অনেকে। কেউ গায়ে কেউ পেটে।
আহা! দেখার কেউ নেই!
এক অন্ধকারে হাঁটছে আমাদের পা।
কেউ কি আছে কোথাও, আলো নিয়ে হাতে? ভেবেছে কি কেউ
কেন আমাদের আয়োজনে সবাই নেই?
কেউ এসে শুধু একবার বলুক, এই নিন-আপনাদের জীবন টিকিট যা উত্তরণ।
চলে আসুন সবজির বাজারে, সবুজের খোঁজে।
ইতিহাস
আজ স্পষ্ট ঘোষণা, আমার চোখের সামনে কেউ নেই
নেই কেউ ভাবের অন্তিম ঘরে। এক অস্পৃশ্য অনুভব
ছুঁয়ে চলে, ভাসিয়ে দেয় অগণিত স্রোতের তুমুল আলিঙ্গনে।
আজ কিছু ভেবে বলছি না, সরাসরি জবাব---
আমি নই কারও!
সব বাতাসের সাথে মিশে থাকা চোখের প্রেম
ভাবনার বিলাসে জড়িয়ে পড়ার বাসনা----সকলের অগোচরে
অথবা সকলের মাঝে। জীবনের অর্থে হৃদয়ের গুড়গুড় আলাপ
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হৃদয়ে খোলা আকাশ, শুধু
এক মুখচ্ছবি।
আজ কোনো ক্ষমা নেই---নিজের প্রতি! নিজের পাপে
হাঁটি আমি, সবার মাঝে একলা হয়ে। বেদনার
কালো রং নিয়ে। শুধু দেখে যাই, শুধু দেখতে যাই।
কত রং বিরাজ করে ভাবনার গরমিলে, স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রই।
দাঁড়িয়ে থেকেও হেঁটে যাই!
আজকের না বলা কথা, কোনো দিন বলা হবে না
হবে না দাঁড়িয়ে আবার ভাবা আর একটু বসলে
ভালো হতো। যে বসিয়ে রাখে যে আশায় বসে থাকে
সবকিছুর-ই সময় থাকে---
এরপর---ইতিহাস!

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায়
১৪ অক্টোবর ২০২২
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২৩ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’ জবাবে ফারুক বললেন, ‘কী আশ্চর্য ভাই?’ হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘এই যে প্রকৃতি, জোছনা, বৃষ্টি, নদী— কী সুন্দর! একদিন হয়তো আমি এসব আর দেখতে পারব না। একুশের বইমেলা হবে। লোকেদের ভিড়, আড্ডা; আমি সেখানে থাকব না। এটা কি মেনে নেওয়া যায়! হায় রে জীবন!’
‘আমার না বলা কথা’ বইয়ে ফারুক আহমেদ এই স্মৃতিচারণ করেছেন। লিখেছেন, ‘আমি কিছু না বলে মূর্তির মতো বসে রইলাম। একসময় তাকিয়ে দেখলাম, হুমায়ূন ভাইয়ের দুচোখের কোনায় পানি।’
হুমায়ূন আহমেদ নেই। তবে তিনি রয়েছেন দেশের তরুণদের মনে। যে বইমেলায় তিনি থাকবেন না বলে আক্ষেপ, সেই বইমেলায় তাঁর বইয়ের স্টলে তরুণদের ঢলের মধ্যে আছেন।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম এই দিনে (১৩ নভেম্বর); ভারত ভাগের এক বছর পরে ১৯৪৮ সালে। ছোট সময়ে তাঁর নাম ছিল শামসুর রহমান। তাঁর বাবা ছেলেমেয়েদের নাম পাল্টে ফেলতেন। তাঁর নাম পাল্টে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের স্রষ্টা তিনি। শুধু কথাসাহিত্যেই নয়; ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’,
‘আজ রবিবার’-এর মতো নাটক বানিয়েছেন, তৈরি করেছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’র মতো চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ বৃষ্টি, জোছনা ভালোবাসতেন। তাঁর লেখায় সেসব উঠে এসেছে বারবার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বর্ষাতেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন ওপারে।
তিনি নেই। কিন্তু তাঁর লেখায় উঠে আসা চান্নিপসর, বৃষ্টি বিলাস আজও আছে তরুণদের মনে। ফারুক আহমেদ তাঁর ওই বইয়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করেছিলেন এভাবে—‘এক বিকেলে শুটিং শেষে তাঁর প্রিয় লিচুগাছের দিকে তাকিয়ে আছেন হুমায়ূন। সেখানে ঝুলছে পাকা লিচু। তিনি তাঁর কেয়ারটেকার মুশাররফকে ডেকে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়ে এলেন। তাদের বললেন, গাছে উঠে যে যত পারে লিচু খেতে। বাচ্চারা কেউ গাছে উঠে লিচু খাচ্ছে, হইচই করছে। কেউ পকেটে ভরছে। হুমায়ূন আহমেদ অবাক হয়ে সেই লিচু খাওয়া দেখতে লাগলেন।’
ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘হুমায়ূন ভাই একসময় আমাকে বললেন, এমন সুন্দর দৃশ্য তুমি কখনো দেখেছো? এমন ভালো লাগার অনুভূতি কি অন্য কোনোভাবে পাওয়া যায়? আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ বললাম, না ভাই এমন ভালো লাগার অনুভূতি কোনোভাবেই পাওয়া যায় না।’
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ঘিরে রাজধানীসহ জন্মস্থান নেত্রকোনাতে রয়েছে নানা আয়োজন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন খতম করবেন। এরপর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং হুমায়ূনভক্তদের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। পরে লেখকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জন্মদিনের কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, কুইজ, হুমায়ূন আহমেদের রচিত নাটক ও সিনেমার অংশবিশেষ নিয়ে অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজধানীতে হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র সপ্তাহ, হুমায়ূন প্রতিযোগিতা, হুমায়ূন জন্মোৎসব, টেলিভিশন চ্যানেলে নাটক ও অনুষ্ঠান প্রচারসহ নানা আয়োজনে মুখর থাকছে দিনটি।

হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’ জবাবে ফারুক বললেন, ‘কী আশ্চর্য ভাই?’ হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘এই যে প্রকৃতি, জোছনা, বৃষ্টি, নদী— কী সুন্দর! একদিন হয়তো আমি এসব আর দেখতে পারব না। একুশের বইমেলা হবে। লোকেদের ভিড়, আড্ডা; আমি সেখানে থাকব না। এটা কি মেনে নেওয়া যায়! হায় রে জীবন!’
‘আমার না বলা কথা’ বইয়ে ফারুক আহমেদ এই স্মৃতিচারণ করেছেন। লিখেছেন, ‘আমি কিছু না বলে মূর্তির মতো বসে রইলাম। একসময় তাকিয়ে দেখলাম, হুমায়ূন ভাইয়ের দুচোখের কোনায় পানি।’
হুমায়ূন আহমেদ নেই। তবে তিনি রয়েছেন দেশের তরুণদের মনে। যে বইমেলায় তিনি থাকবেন না বলে আক্ষেপ, সেই বইমেলায় তাঁর বইয়ের স্টলে তরুণদের ঢলের মধ্যে আছেন।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম এই দিনে (১৩ নভেম্বর); ভারত ভাগের এক বছর পরে ১৯৪৮ সালে। ছোট সময়ে তাঁর নাম ছিল শামসুর রহমান। তাঁর বাবা ছেলেমেয়েদের নাম পাল্টে ফেলতেন। তাঁর নাম পাল্টে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের স্রষ্টা তিনি। শুধু কথাসাহিত্যেই নয়; ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’,
‘আজ রবিবার’-এর মতো নাটক বানিয়েছেন, তৈরি করেছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’র মতো চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ বৃষ্টি, জোছনা ভালোবাসতেন। তাঁর লেখায় সেসব উঠে এসেছে বারবার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বর্ষাতেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন ওপারে।
তিনি নেই। কিন্তু তাঁর লেখায় উঠে আসা চান্নিপসর, বৃষ্টি বিলাস আজও আছে তরুণদের মনে। ফারুক আহমেদ তাঁর ওই বইয়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করেছিলেন এভাবে—‘এক বিকেলে শুটিং শেষে তাঁর প্রিয় লিচুগাছের দিকে তাকিয়ে আছেন হুমায়ূন। সেখানে ঝুলছে পাকা লিচু। তিনি তাঁর কেয়ারটেকার মুশাররফকে ডেকে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়ে এলেন। তাদের বললেন, গাছে উঠে যে যত পারে লিচু খেতে। বাচ্চারা কেউ গাছে উঠে লিচু খাচ্ছে, হইচই করছে। কেউ পকেটে ভরছে। হুমায়ূন আহমেদ অবাক হয়ে সেই লিচু খাওয়া দেখতে লাগলেন।’
ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘হুমায়ূন ভাই একসময় আমাকে বললেন, এমন সুন্দর দৃশ্য তুমি কখনো দেখেছো? এমন ভালো লাগার অনুভূতি কি অন্য কোনোভাবে পাওয়া যায়? আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ বললাম, না ভাই এমন ভালো লাগার অনুভূতি কোনোভাবেই পাওয়া যায় না।’
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ঘিরে রাজধানীসহ জন্মস্থান নেত্রকোনাতে রয়েছে নানা আয়োজন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন খতম করবেন। এরপর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং হুমায়ূনভক্তদের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। পরে লেখকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জন্মদিনের কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, কুইজ, হুমায়ূন আহমেদের রচিত নাটক ও সিনেমার অংশবিশেষ নিয়ে অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজধানীতে হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র সপ্তাহ, হুমায়ূন প্রতিযোগিতা, হুমায়ূন জন্মোৎসব, টেলিভিশন চ্যানেলে নাটক ও অনুষ্ঠান প্রচারসহ নানা আয়োজনে মুখর থাকছে দিনটি।

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায়
১৪ অক্টোবর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
মঞ্চনাট্যটি স্কলাস্টিকার প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন মুরশেদকে উৎসর্গ করা হয়।

স্কুলের এসটিএম মিলনায়তন প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনকে সামনে রেখে আয়োজিত এ নাট্যানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, দিলারা জামান ও আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ ফারাহ্ সোফিয়া আহমেদ।
হীরক রাজার দেশে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। প্রোডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন শৈলী পারমিতা নীলপদ্ম। সংগীত পরিচালনা করেন গাজী মুন্নোফ, ইলিয়াস খান ও পলাশ নাথ লোচন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুক ও ফরহাদ আহমেদ শামিম।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন নাজিফা ওয়াযিহা আহমেদ, আরিয়াদ রহমান, আজিয়াদ রহমান, বাজনীন রহমান, মোহম্মদ সফির চৌধুরী, ফাহিম আহম্মেদ, সৈয়দ কাফশাত তাইয়ুশ হামদ ও তাজরীবা নওফাত প্রমুখ।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত অভিনয়, গান ও নাচ উপভোগ করেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
মঞ্চনাট্যটি স্কলাস্টিকার প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন মুরশেদকে উৎসর্গ করা হয়।

স্কুলের এসটিএম মিলনায়তন প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনকে সামনে রেখে আয়োজিত এ নাট্যানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, দিলারা জামান ও আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ ফারাহ্ সোফিয়া আহমেদ।
হীরক রাজার দেশে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। প্রোডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন শৈলী পারমিতা নীলপদ্ম। সংগীত পরিচালনা করেন গাজী মুন্নোফ, ইলিয়াস খান ও পলাশ নাথ লোচন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুক ও ফরহাদ আহমেদ শামিম।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন নাজিফা ওয়াযিহা আহমেদ, আরিয়াদ রহমান, আজিয়াদ রহমান, বাজনীন রহমান, মোহম্মদ সফির চৌধুরী, ফাহিম আহম্মেদ, সৈয়দ কাফশাত তাইয়ুশ হামদ ও তাজরীবা নওফাত প্রমুখ।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত অভিনয়, গান ও নাচ উপভোগ করেন।

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায়
১৪ অক্টোবর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২৩ দিন আগে
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল। কিন্তু ভাষাবিদ ও সাহিত্য ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধারণা আসলে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি এক ‘ঔপনিবেশিক কল্পনা’ মাত্র। বাস্তবে আরবি সাহিত্য কখনোই থেমে যায়নি।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অষ্টম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খলিফাদের অধীনে বিজ্ঞান, দর্শন ও কবিতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বাগদাদ। আবু নুয়াস, আল-মুতানাব্বি, আল-ফারাবি ও ইবনে সিনার মতো কবি ও দার্শনিকদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এক স্বর্ণযুগ। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় গবেষকেরা—যেমন ফরাসি চিন্তাবিদ আর্নেস্ট রেনাঁ ও ডাচ ইতিহাসবিদ রেইনহার্ট দোজি সেই আমলটিকেই আরবি বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের শিখর বলে স্বীকার করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, একাদশ শতাব্দীর পর এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। তাঁদের মতে, এরপর প্রায় ৮০০ বছর আরবে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বা দার্শনিক কাজ হয়নি—যতক্ষণ না ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হয়।
কিন্তু আধুনিক গবেষকেরা বলছেন, এই ধারণা সরলীকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট। ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজিত এক আলোচনায় ভাষাবিদেরা দাবি করেছেন, আরবি রচনা শৈলী কখনো বিলুপ্ত হয়নি; বরং তা ধারাবাহিকভাবে কপি, অনুবাদ ও পাঠের মাধ্যমে বেঁচে ছিল।
জার্মান গবেষক বেয়াট্রিস গ্রুন্ডলার তাঁর ‘দ্য রাইজ অব দ্য অ্যারাবিক বুক’ গ্রন্থে দাবি করেছেন, আরবি সাহিত্যে ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে যে ধারণাটি প্রচলিত আছে তা আসলে গাল-গল্প। এই বইটি এবারের শেখ জায়েদ পুরস্কারের শর্টলিস্টে রয়েছে। গ্রুন্ডলার এতে দেখিয়েছেন, নবম শতাব্দীর বাগদাদে বইয়ের ব্যবসা, কপিকারদের প্রতিযোগিতা, জনসম্মুখে পাঠ ও লেখার প্রচলন—সবই ছিল আধুনিক প্রকাশনা সংস্কৃতির পূর্বসূরি। তিনি মত দিয়েছেন, ‘বাগদাদের রাস্তায় হাঁটলে আপনি দেখতেন লোকেরা হস্তলিপি বিক্রি করছে, বিরামচিহ্ন নিয়ে তর্ক করছে—এ যেন এক জীবন্ত প্রকাশনা বাজার।’
গবেষণা বলছে, আরবি সাহিত্য আসলে কখনো এক জায়গায় স্থির থাকেনি। এর কেন্দ্র এক সময় বাগদাদ থেকে কায়রো, দামেস্ক ও আন্দালুসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু ধারাটি অব্যাহতই থাকে। নতুন ঘরানা তৈরি হয়, পুরোনো ঘরানা রূপান্তরিত হয়।
ফরাসি অধ্যাপক হাকান ওজকান তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ‘জাজাল’ নামের কথ্য ছন্দভিত্তিক কবিতার ধারা আব্বাসীয় যুগের পরও বিকশিত হতে থাকে। তাঁর মতে, ‘এই কবিরা নিয়ম ভেঙে নতুন রূপ দিয়েছে—তাঁদের ছন্দ ও ব্যঙ্গ আধুনিক র্যাপের মতো প্রাণবন্ত।’

এদিকে এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২০ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, আবুধাবির নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ‘আরবি সাহিত্য লাইব্রেরি’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই ‘হারানো শতাব্দী’ বলে বিবেচিত সময়ের ৬০ টিরও বেশি আরবি সাহিত্যকর্ম পুনরুদ্ধার করেছে। প্রকল্পটির সম্পাদক অধ্যাপক মরিস পোমেরান্টজ বলেছেন, ‘এই বইগুলো সম্পাদনা করা মানে এক চলমান সংলাপে অংশ নেওয়া—যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেখক, অনুবাদক ও সমালোচকেরা একে অপরকে উত্তর দিয়ে গেছেন।’
মরিস মনে করেন, আরবি সাহিত্য স্থবির হয়ে যাওয়ার ধারণাটি মূলত অনুবাদের অভাব থেকেই জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো লেখা অনুবাদ করা হয় না, তখন সেটি বৈশ্বিক অস্তিত্ব হারায়।’
মরিসের মতে, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সাহিত্যকে আবার জনসাধারণের কল্পনায় ফিরিয়ে আনা—স্কুলে পড়ানো, মঞ্চে উপস্থাপন করা, অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তা না হলে আরবি সাহিত্যের ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে চিহ্নিত সময়টি অধরাই থেকে যাবে।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল। কিন্তু ভাষাবিদ ও সাহিত্য ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধারণা আসলে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি এক ‘ঔপনিবেশিক কল্পনা’ মাত্র। বাস্তবে আরবি সাহিত্য কখনোই থেমে যায়নি।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অষ্টম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খলিফাদের অধীনে বিজ্ঞান, দর্শন ও কবিতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বাগদাদ। আবু নুয়াস, আল-মুতানাব্বি, আল-ফারাবি ও ইবনে সিনার মতো কবি ও দার্শনিকদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এক স্বর্ণযুগ। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় গবেষকেরা—যেমন ফরাসি চিন্তাবিদ আর্নেস্ট রেনাঁ ও ডাচ ইতিহাসবিদ রেইনহার্ট দোজি সেই আমলটিকেই আরবি বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের শিখর বলে স্বীকার করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, একাদশ শতাব্দীর পর এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। তাঁদের মতে, এরপর প্রায় ৮০০ বছর আরবে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বা দার্শনিক কাজ হয়নি—যতক্ষণ না ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হয়।
কিন্তু আধুনিক গবেষকেরা বলছেন, এই ধারণা সরলীকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট। ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজিত এক আলোচনায় ভাষাবিদেরা দাবি করেছেন, আরবি রচনা শৈলী কখনো বিলুপ্ত হয়নি; বরং তা ধারাবাহিকভাবে কপি, অনুবাদ ও পাঠের মাধ্যমে বেঁচে ছিল।
জার্মান গবেষক বেয়াট্রিস গ্রুন্ডলার তাঁর ‘দ্য রাইজ অব দ্য অ্যারাবিক বুক’ গ্রন্থে দাবি করেছেন, আরবি সাহিত্যে ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে যে ধারণাটি প্রচলিত আছে তা আসলে গাল-গল্প। এই বইটি এবারের শেখ জায়েদ পুরস্কারের শর্টলিস্টে রয়েছে। গ্রুন্ডলার এতে দেখিয়েছেন, নবম শতাব্দীর বাগদাদে বইয়ের ব্যবসা, কপিকারদের প্রতিযোগিতা, জনসম্মুখে পাঠ ও লেখার প্রচলন—সবই ছিল আধুনিক প্রকাশনা সংস্কৃতির পূর্বসূরি। তিনি মত দিয়েছেন, ‘বাগদাদের রাস্তায় হাঁটলে আপনি দেখতেন লোকেরা হস্তলিপি বিক্রি করছে, বিরামচিহ্ন নিয়ে তর্ক করছে—এ যেন এক জীবন্ত প্রকাশনা বাজার।’
গবেষণা বলছে, আরবি সাহিত্য আসলে কখনো এক জায়গায় স্থির থাকেনি। এর কেন্দ্র এক সময় বাগদাদ থেকে কায়রো, দামেস্ক ও আন্দালুসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু ধারাটি অব্যাহতই থাকে। নতুন ঘরানা তৈরি হয়, পুরোনো ঘরানা রূপান্তরিত হয়।
ফরাসি অধ্যাপক হাকান ওজকান তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ‘জাজাল’ নামের কথ্য ছন্দভিত্তিক কবিতার ধারা আব্বাসীয় যুগের পরও বিকশিত হতে থাকে। তাঁর মতে, ‘এই কবিরা নিয়ম ভেঙে নতুন রূপ দিয়েছে—তাঁদের ছন্দ ও ব্যঙ্গ আধুনিক র্যাপের মতো প্রাণবন্ত।’

এদিকে এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২০ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, আবুধাবির নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ‘আরবি সাহিত্য লাইব্রেরি’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই ‘হারানো শতাব্দী’ বলে বিবেচিত সময়ের ৬০ টিরও বেশি আরবি সাহিত্যকর্ম পুনরুদ্ধার করেছে। প্রকল্পটির সম্পাদক অধ্যাপক মরিস পোমেরান্টজ বলেছেন, ‘এই বইগুলো সম্পাদনা করা মানে এক চলমান সংলাপে অংশ নেওয়া—যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেখক, অনুবাদক ও সমালোচকেরা একে অপরকে উত্তর দিয়ে গেছেন।’
মরিস মনে করেন, আরবি সাহিত্য স্থবির হয়ে যাওয়ার ধারণাটি মূলত অনুবাদের অভাব থেকেই জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো লেখা অনুবাদ করা হয় না, তখন সেটি বৈশ্বিক অস্তিত্ব হারায়।’
মরিসের মতে, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সাহিত্যকে আবার জনসাধারণের কল্পনায় ফিরিয়ে আনা—স্কুলে পড়ানো, মঞ্চে উপস্থাপন করা, অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তা না হলে আরবি সাহিত্যের ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে চিহ্নিত সময়টি অধরাই থেকে যাবে।

ম্যানচেস্টার থেকে খুব সকালে রওনা দিই লিভারপুলের উদ্দেশে। লিভারপুল এই শহর থেকে বেশি দূরে নয়, মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথ। ভ্রমণে সঙ্গীসাথি থাকলে একধরনের, আবার কেউ সঙ্গে না থাকলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভূত হয়। একা ভ্রমণে কোনো তাড়া থাকে না, যেকোনো জিনিস গভীর অভিনিবেশসহকারে অনুভব করা যায়। এবারের একা যাত্রায়
১৪ অক্টোবর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২৩ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫