সম্পাদকীয়
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালির হৃদয়তন্ত্রীতে ধ্বনিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...’ অমর পঙ্ক্তিমালা, যার রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে খ্যাতিমান এই মানুষটি গোটা জীবন কাটিয়েছেন লেখালেখি করেই। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। আমৃত্যু কলম ছাড়েননি।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর গদ্যরীতি পাঠককে আকর্ষণ করত। রাজনৈতিক কলাম তাঁর কারণেই পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক পাওয়া কঠিন। জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। স্থানীয় মাদ্রাসায় এবং হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন।
বাবার মৃত্যুর পর জীবিকার প্রয়োজনে বরিশালে গিয়ে ‘কংগ্রেস হিতৈষী’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। বরিশাল শহরে তিনি কিছুদিন মার্ক্সবাদী দল আরএসপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। এরপর ঢাকায় তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় যোগ দিয়ে। এরপর একে একে কাজ করেছেন দৈনিক সংবাদ, মিল্লাত, ইত্তেফাক, আজাদ, পূর্বদেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। ১৯৫৩ সালে মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন তিনি। তিনি মাসিক ‘নকীব’-এর সম্পাদক এবং ‘দিলরুবা’ পত্রিকারও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক হন। তিনি সাহিত্য পত্রিকা ‘মেঘনা’ এবং রাজনৈতিক পত্রিকা ‘চাবুক’-এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের নিবন্ধিত প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
‘দৈনিক জনপদ’-এর সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এর পর থেকেই তাঁর প্রবাসজীবনের শুরু।
‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’ এবং নাটক ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৩০টির মতো।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালির হৃদয়তন্ত্রীতে ধ্বনিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...’ অমর পঙ্ক্তিমালা, যার রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে খ্যাতিমান এই মানুষটি গোটা জীবন কাটিয়েছেন লেখালেখি করেই। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। আমৃত্যু কলম ছাড়েননি।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর গদ্যরীতি পাঠককে আকর্ষণ করত। রাজনৈতিক কলাম তাঁর কারণেই পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর মতো রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক পাওয়া কঠিন। জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। স্থানীয় মাদ্রাসায় এবং হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন।
বাবার মৃত্যুর পর জীবিকার প্রয়োজনে বরিশালে গিয়ে ‘কংগ্রেস হিতৈষী’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। বরিশাল শহরে তিনি কিছুদিন মার্ক্সবাদী দল আরএসপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। এরপর ঢাকায় তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় যোগ দিয়ে। এরপর একে একে কাজ করেছেন দৈনিক সংবাদ, মিল্লাত, ইত্তেফাক, আজাদ, পূর্বদেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। ১৯৫৩ সালে মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন তিনি। তিনি মাসিক ‘নকীব’-এর সম্পাদক এবং ‘দিলরুবা’ পত্রিকারও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক হন। তিনি সাহিত্য পত্রিকা ‘মেঘনা’ এবং রাজনৈতিক পত্রিকা ‘চাবুক’-এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারের নিবন্ধিত প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
‘দৈনিক জনপদ’-এর সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এর পর থেকেই তাঁর প্রবাসজীবনের শুরু।
‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’ এবং নাটক ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৩০টির মতো।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ২০২২ সালের ১৯ মে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
২ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৪ দিন আগে