রুবায়েত হোসেন, খুবি

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’

সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’

সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:
রুবায়েত হোসেন, খুবি

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’

সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া বলে বর্ণনা করেন এ সুদীপ্তা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি, উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময়-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের বেনারসের কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীতে নিজের অনুভূতিমালা চিত্রিত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্তা স্বর্ণকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্রী।
বর্তমানে ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত সুদীপ্তা। উত্তর প্রদেশের বেনারসে বিখ্যাত কা আর্ট গ্যালারিতে একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ১৯-২৩ এপ্রিল। এ নিয়ে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।
সুদীপ্তা বলেন, ‘আমার ছবিগুলোতে আমি নিজের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রদর্শনীতে এটা আবার একেক জন তার অনুভূতির জায়গা থেকেই দেখছে। আমি সবসময় এটাই চেয়েছি। আমার অনুভূতির জায়গা থেকে না দেখে সে তার নিজের অনুভূতি এবং দৃষ্টিকোণের জায়গা থেকে দেখুক।’

সুদীপ্তা বলেন, ‘আমি যেখানে কথা বলি তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত কিছু অনুভব করার জন্য আমি আঁকি। মায়ের হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আমার শিল্পী জীবন শুরু হয়। এই ছবি থেকে অন্যরকম আনন্দ পাই, যা পৃথিবীর আর কোথাও পাই না। আমার জীবন হোক বা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই একজন স্বাধীন মানুষ। আমার শিল্পে আমি মূলত আমার নিজের অনুভূতির জায়গায় ফোকাস করি।’
এ ধরনের চিত্রকর্ম করার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার অনুভূতিকে প্রকাশ করতে এবং সেটা চিত্রকর্মের মাধ্যমে। ছবির মাধ্যমে আমি আমার দৃষ্টিকোণ অন্যকে দেখানোর চেষ্টা করি কারণ তার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন হতে পারে।’
‘আমি চিত্রশিল্পকে একটি ধ্যানমূলক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কেউ প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং এর ছন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমি রূপ, আলো, রঙ এবং প্রতীক তৈরিতে মনোযোগ দিয়ে অনুভূতি/উপলব্ধির জায়গা থেকে একটি সময় ভিত্তিক অভিজ্ঞতা রেকর্ড করার চেষ্টা করেছি।’ যোগ করেন সুদীপ্তা।
একক প্রদর্শনীর ব্যাপারে সুদীপ্তা স্বর্ণকার তাঁর অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতিগুলোকে চিত্রিত করার চেয়ে প্রকাশ করতে চাই। যখন আমি পেইন্টিং করছি, আমি কী করছি সে সম্পর্কে আমি সচেতন নই। এটি শেষ করার পরেই যখন আমি কী নিয়ে এসেছি তার সঙ্গে পরিচিত হব। আমি পরিবর্তন করতে ভয় পাই না, কারণ চিত্রকর্মের নিজস্ব একটি জীবন আছে। আমি একটি ছবি শুরু করি এবং শেষ করি। আমি কাজ করার সময় শিল্প নিয়ে ভাবি না। জীবন নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি শিল্পীর কাজ সবসময়ই রহস্যকে গভীর করা।’
সুদীপ্তা স্বর্ণকার ২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।
আড্ডা সম্পর্কিত পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
২০ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার গাবতলীর পাশের তুরাগ নদের উত্তর পারেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রাম অবস্থিত। গ্রামটি থেকে স্পষ্ট দেখা যেত গাবতলী সেতু। সেই গ্রামেরই বয়স্ক এক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা করেছেন এভাবে, প্রতিদিন রাতের বেলা মিলিটারি আর বিহারিরা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে এই সেতুতে মানুষদের নিয়ে আসত। রাত গভীর হলে সেতুর দুই পাশের বাতি নিভিয়ে গুলি চালানো হতো। পুরো যুদ্ধের সময় এখানে এমন রাত ছিল না, যে রাতের বেলা সেখানে লাশ ফেলানো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো এ জায়গাকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
২৪ এপ্রিল ২০২২
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
অনেক লেখকই আছেন যাঁরা খুব ধর্মপ্রাণ, কেউবা আবার কমিউনিস্ট ৷ হিউম্যানিস্ট লেখক যেমন আছেন, তেমনই আছেন অথোরিটারিয়ান লেখক।
তবে সে যা-ই হোক, ভালো সাহিত্যিকের মধ্যে দুটো কমিটমেন্ট থাকতেই হবে—সততা আর স্টাইলের দক্ষতা। নিজের কাছেই যে-লেখক অসৎ, যা লেখেন তা যদি তিনি নিজেই না বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই লেখকের পতন অনিবার্য।
কোনো লেখক আবার যদি নিজের ভাষার ঐশ্বর্যকে ছেঁকে তুলতে ব্যর্থ হন, একজন সংগীতশিল্পীকে ঠিক যেভাবে তাঁর যন্ত্রটিকে নিজের বশে আনতে হয়, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনটা যদি কোনো লেখক করতে না পারেন, তাহলে একজন সাংবাদিক ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না তিনি। সত্য এবং স্টাইল—একজন সাহিত্যিকের বেসিক কমিটমেন্ট হলো শুধু এই দুটো।
সূত্র: সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ টুডে’ পত্রিকার মার্চ, ১৯৮৪ সংখ্যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহীতা সেরাজুল ইসলাম কাদির, অনুবাদক নীলাজ্জ দাস, শিবনারায়ণ রায়ের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা-২৭।

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
২৪ এপ্রিল ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
২০ ঘণ্টা আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।
পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
২৪ এপ্রিল ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
২০ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
৯ দিন আগেসম্পাদকীয়

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।
এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।
সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।
২৪ এপ্রিল ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র মিরপুর পরিণত হয়েছিল এক বধ্যভূমিতে। আর বৃহত্তর মিরপুরে অবস্থিত গাবতলী এলাকা। তুরাগ নদের ওপরই গাবতলী সেতু অবস্থিত। সেই গাবতলীতে কয়েক বছর আগেও নদের ওপর ছিল পুরোনো একটি লোহার সেতু। সেই পুরোনো সেতুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা চালিয়েছিল...
২০ ঘণ্টা আগে
সৃজনশীল সাহিত্য কিন্তু দেয়াললিখন বা স্লোগান দেওয়া নয়। জীবন এতই জটিল যে তাকে কোনো ফর্মুলায় বেঁধে ফেলা যায় না। মানুষের মূল্যবোধ নানা রকমের। আর সেগুলো দিয়ে যে সিস্টেমগুলো পাওয়া যেতে পারে, তা-ও নানা রকমের। একেক লেখকের কমিটমেন্ট একেক রকম মূল্যবোধের কাছে।
২ দিন আগে
বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে।
৮ দিন আগে