সম্পাদকীয়
...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক) ছাত্র-শিক্ষক সব মিলিং এ্যারাউন্ড। একবার হঠাৎ এই ভিড়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা। ছাত্ররা প্রসেশন করে বাইরে যাবার চেষ্টা করছে। রাস্তার পাশের গেট বন্ধ করে দিয়ে তাদের কোন রকম ঠেকাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বললাম—সৈয়দ সাহেবকে, ইট ক্যান ইজিলি বি হ্যান্ডলড।
: কেমনে?
আমি বললাম: এইগুলো ছেলেরা করছে ক্যান? দে হ্যাভ নো কনফিডেন্স ইন ইউ। আপনি তাদের সঙ্গে আছেন, এই বিশ্বাস তাদের নাই। এই বিশ্বাস যদি তাদের হয় তাহলে নিশ্চয়ই তারা এক্সট্রিমে যাবে না। সৈয়দ সাহেব বললেন: আমার কী করতে হবে? আমি বললাম, আপনি ছেলেদের বলুন যে, ইট ইজ ইনএ্যাডভাইজেবল টু গো আউট ইন প্রসেশন। তবে তোমরা যদি প্রসেশন নিয়ে বের হও, তবে সে প্রসেশন আমিই লিড করবো। আপনি ভিসি হিসেবে যদি বাইরে যান তবে পুলিশ নিশ্চয়ই গুলি করবে না। করতে পারে না এবং ছেলেদের ইমোশন ক্যান বি কামড ডাউন। তাদের শান্ত করা যায়। এই কথা আমি সৈয়দ সাহেবকে বলবার লাগছি, এমন সময়ে এক কলিগ, সিনিয়র শিক্ষক, তিনি এখনো ইউনিভার্সিটিতে আছেন, তিনি এসে জিগ্যেস করলেন, রাজ্জাক কি বলছে? সৈয়দ সাহেব রিপোর্ট করলেন: রাজ্জাক সাহেব তো এই বলছে। আমি বললাম: হ্যাঁ, আমি একথা এখনো বলি। একথা শুনে আমার সেই কলিগ উড়িয়ে দিলেন: না, এসব কি কথা? চলুন আমার ওদিকে যাই। ...আই রিমেইন স্টিল কনভিন্সড্ যে, সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন যদি সেদিন একথা বলতেন, তাহলে সেদিনকার ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত।
সূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, পৃষ্ঠা-৯২
...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক) ছাত্র-শিক্ষক সব মিলিং এ্যারাউন্ড। একবার হঠাৎ এই ভিড়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা। ছাত্ররা প্রসেশন করে বাইরে যাবার চেষ্টা করছে। রাস্তার পাশের গেট বন্ধ করে দিয়ে তাদের কোন রকম ঠেকাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বললাম—সৈয়দ সাহেবকে, ইট ক্যান ইজিলি বি হ্যান্ডলড।
: কেমনে?
আমি বললাম: এইগুলো ছেলেরা করছে ক্যান? দে হ্যাভ নো কনফিডেন্স ইন ইউ। আপনি তাদের সঙ্গে আছেন, এই বিশ্বাস তাদের নাই। এই বিশ্বাস যদি তাদের হয় তাহলে নিশ্চয়ই তারা এক্সট্রিমে যাবে না। সৈয়দ সাহেব বললেন: আমার কী করতে হবে? আমি বললাম, আপনি ছেলেদের বলুন যে, ইট ইজ ইনএ্যাডভাইজেবল টু গো আউট ইন প্রসেশন। তবে তোমরা যদি প্রসেশন নিয়ে বের হও, তবে সে প্রসেশন আমিই লিড করবো। আপনি ভিসি হিসেবে যদি বাইরে যান তবে পুলিশ নিশ্চয়ই গুলি করবে না। করতে পারে না এবং ছেলেদের ইমোশন ক্যান বি কামড ডাউন। তাদের শান্ত করা যায়। এই কথা আমি সৈয়দ সাহেবকে বলবার লাগছি, এমন সময়ে এক কলিগ, সিনিয়র শিক্ষক, তিনি এখনো ইউনিভার্সিটিতে আছেন, তিনি এসে জিগ্যেস করলেন, রাজ্জাক কি বলছে? সৈয়দ সাহেব রিপোর্ট করলেন: রাজ্জাক সাহেব তো এই বলছে। আমি বললাম: হ্যাঁ, আমি একথা এখনো বলি। একথা শুনে আমার সেই কলিগ উড়িয়ে দিলেন: না, এসব কি কথা? চলুন আমার ওদিকে যাই। ...আই রিমেইন স্টিল কনভিন্সড্ যে, সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন যদি সেদিন একথা বলতেন, তাহলে সেদিনকার ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত।
সূত্র: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, পৃষ্ঠা-৯২
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ সারা বাংলাদেশে নানাভাবে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকে। এ দিন স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে নতুন সামরিক বিধি জারির প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই জনসভায়...
২ দিন আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েই বহুজাতিক কোম্পানি পাকিস্তান টোব্যাকোতে (বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) চাকরি পান। করাচিতে শুরু করেন কর্মজীবন। ১৯৭০ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বদলি হন ঢাকায়। মাঝে কয়েক মাসের জন্য কর্মস্থল ছিল বিলেত। উচ্চ পদে। মাইনেও বেশ।
৩ দিন আগে১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায়
৯ দিন আগে১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১৬ দিন আগে