তারেক আজিজ

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের লাল রঙের বাড়িগুলো অনেকটা বিলেতি কটেজের মতো। কিন্তু বাড়িগুলোর আশপাশের পথঘাট তখনো সুবিন্যস্ত হয়নি। রমনার এই শহরতলিকে কার্যকর ও নান্দনিক নগরের রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন নতুন গভর্নর হেয়ার। তাঁর অনুরোধে ১৯০৯ সালের জুলাই মাসে পূর্ববঙ্গের উদ্যানতাত্ত্বিক উপদেষ্টা হিসেবে ঢাকা পৌঁছালেন রবার্ট লুইস প্রাউডলক।
প্রাউডলকের জন্ম ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যাণ্ডে, ১৮৬২ সালে। স্থানীয় একটি নার্সারিতে কিছুদিন কাজ শেখার পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য তিনি চলে যান এডিনবার্গ। ১৮৮৬ সালে শিক্ষানবিশ রূপে তিনি যোগ দিলেন লন্ডনের কিউ উদ্যানে। দুবছর হাতে-কলমে শিখলেন উদ্যানতত্ত্বের নানা বিষয়। এর পর প্রাউডলক রওনা হলেন ভারতের পথে; কর্মজীবন শুরু করলেন কলকাতার রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেনের সহযোগী কিউরেটর পদে।
শীতপ্রধান দেশ ছেড়ে উষ্ণ মণ্ডলে এসে উদ্যান রচনা ছিল তাঁর জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং এক কাজ। স্বাভাবিকভাবে এই অঞ্চলের জন্য জুতসই গাছপালা সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ল। তৎকালীন বার্মা থেকে সংগ্রহ করলেন নানা প্রজাতির পাঁচ শ গাছের নমুনা। তবে কলকাতার উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া, আর ঘন ঘন ম্যালেরিয়া ও উদরাময়ে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে পড়ল। কলকাতা ছেড়ে তিনি চলে গেলেন বম্বে। সেখানে রাবার চাষের দেখাশোনা করলেন কিছুদিন। এর পর কিছুদিন কাটালেন দক্ষিণ ভারতের নীলগিরিতে।
এ সময় রেঙ্গুন নগরের ল্যান্ডস্কেপিংয়ের কাজ পেলেন প্রাউডলক। প্রায় নয় মাস রেঙ্গুনে তাঁর কর্মব্যস্ত সময় কাটল। ল্যান্ডস্কেপিংয়ের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় প্রথম প্রয়োগের সুযোগ তিনি পেলেন রেঙ্গুনে। সেখানে থাকতেই চিঠি এল, গভর্নর হেয়ার তাঁকে ডেকেছেন ঢাকায়। নবগঠিত প্রদেশের সিভিল স্টেশন রমনাকে সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে তাঁর ওপর।
রমনাকে কেন্দ্র করে প্রথম বাগানের পত্তন করা হয় মুঘল আমলে। পুরোনো হাইকোর্ট ভবন থেকে বর্তমান সড়ক ভবন পর্যন্ত এলাকায় তৈরি সে বাগানের নাম ছিল ‘বাগ-ই-বাদশাহী’। ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে এলাকাটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে। ১৮২৫ সালে জেলের কয়েদিদের নিয়ে রমনার জঙ্গল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন ঢাকার তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ড’স। তিনি কাঠের রেলিং দিয়ে ঘিরে ডিম্বাকার একটি অংশে চালু করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। বুড়িগঙ্গার ধারের মূল শহরের সঙ্গে ঘোড়দৌড়ের মাঠকে যুক্ত করতে তৈরি হয় নতুন সড়ক, বর্তমানে যা কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ নামে পরিচিত।
ড’স সে সময় নেপাল থেকে ক্যাসুরিনা গাছের চারা আনিয়ে নতুন সড়কের দুধারে রোপণ করেন। ড’সের ঢাকা ত্যাগের পর গোটা রমনাকে ঘিরে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়নকাজের নজির পাওয়া যায় না। তবে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকার নওয়াব আব্দুল গনি ও তাঁর উত্তরসূরিদের হাত ধরে রমনার পশ্চিমাংশ এক নতুন রূপ পায়। নওয়াবদের তৈরি বাগানবাড়ি, দরবার কক্ষ, চিড়িয়াখানা আর মনোরম বাগানে রমনার একাংশ সজ্জিত হয়ে ওঠে।
১৯০৯ সালে ঢাকার কাজে যোগ দিলেন প্রাউডলক। রমনাকে নিয়ে তখন তাঁর নানা স্বপ্ন। এলাকাটাকে তিনি গড়ে তুলতে চান প্যারিসের মতো করে। গভর্নর তাঁকে দিলেন পূর্ণ স্বাধীনতা। রমনাকে প্রাউডলক পরিণত করলেন রমনা গ্রিনে, যার বিস্তার বর্তমান সেক্রেটারিয়েট থেকে শুরু করে নীলক্ষেত পর্যন্ত। পৃথিবীর অন্য উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল থেকে সুদর্শন সব বৃক্ষের চারা আনিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় সেগুলো রোপণ করলেন ঢাকায়। স্থানীয় নমুনা সংগ্রহের জন্য নিজে ছুটে গেলেন চট্টগ্রাম, খুলনা থেকে শিলং, দার্জিলিং পর্যন্ত। সেসব কাজে তাঁর নিত্যসঙ্গী তখন অখিল চন্দ্র চক্রবর্তী। দেশি-বিদেশি বৃক্ষের সমাবেশে এমন এক ঢাকা গড়ে তুলতে চাইলেন প্রাউডলক, যেখানে বছরের বারো মাসই ফুল ফুটবে। কেমন ছিল প্রাউডলকের সেই পরিকল্পনা? এর কিছুটা দেখেছেন ঢাকার প্রবীণ নাগরিকেরা।
প্রাউডলকের পরিকল্পনায় রমনাজুড়ে দেশি-বিদেশি দুধরনের শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষেরই চমৎকার এক সমাবেশ ঘটে। দেশি কৃষ্ণচূড়া, জারুল, নাগলিঙ্গম, তাল, তেঁতুলের পাশাপাশি নগরের বুকে জায়গা করে নেয় বিদেশি সিলভার ওক, ব্ল্যাকবিন, গ্লিরিসিডিয়া প্রভৃতি বৃক্ষ। নিসর্গী দ্বিজেন শর্মা এ নগরের প্রকৃতি ও বৃক্ষসম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি যখন ঢাকার পথতরু নিয়ে তাঁর ‘শ্যামলী নিসর্গ’ বইটি লেখা শুরু করেন, তখন প্রাউডলকের রোপণ করা চারাগুলো পরিণত হয়ে ছায়া দিচ্ছে ঢাকাবাসীকে।
কার্জন হলের সামনের সড়কে সিলভার লিফ ওক, ফুলার রোডে জারুলের সারি, সেক্রেটারিয়েট ঘিরে পাদাউকের সারি, ঢাকা ক্লাব থেকে সড়ক ভবন পর্যন্ত সেগুনের বীথি, নিউমার্কেটের পশ্চিমে বটবীথি, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের রাস্তায় গ্লিরিসিডিয়ার দীর্ঘ সারি, শাহবাগে কৃষ্ণচূড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গগন শিরীষ—এ রকম অনেক উদাহরণ উল্লেখ করেছেন তিনি, যার অধিকাংশ রোপণ করেছিলেন প্রাউডলক ও তাঁর সহযোগী অখিল বাবু।
বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে প্রাউডলক তাঁর পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ঢাকায় আট বছর আট মাসের কর্মজীবন শেষে তিনি ভারতবর্ষ ছেড়ে ফিরে যান বিলেতে। তবে ঢাকাকে তিনি কখনো ভুলতে পারেননি। স্বপ্নের মতো সাজাতে চেয়েছিলেন যে শহরকে, সে শহরে তিনি ফিরে এসেছেন বারবার। ১৯২৯ সালে স্ত্রী রোসেটাকে নিয়ে এসেছিলেন ঢাকা, থেকেছিলেন প্রায় ছয় মাস। ব্যক্তিজীবনে ম্যালেরিয়ায় বড্ড ভুগেছিলেন; তাই মশা দমনের দেশীয় পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন সে সময়ে। প্রাউডলক ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮৫ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।
প্রাউডলকের ল্যান্ডস্কেপিংয়ে ঢাকা কীভাবে বদলে গিয়েছিল, তার মুগ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুর স্মৃতিকথায়, ‘স্থাপত্যে কোনো একঘেয়েমি নেই, সরণি ও উদ্যান রচনায় নয়া দিল্লির জ্যামিতিক দুঃস্বপ্ন স্থান পায়নি। …সর্বত্র প্রচুর স্থান, ঘেঁষাঘেঁষি ঠেলাঠেলির কোনো কথাই ওঠে না।’ প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক প্রতুলচন্দ্র রক্ষিত ১৯৩০-এর দশকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁর ‘পেরিয়ে এলাম’ গ্রন্থের ‘রমনা’ অধ্যায়ে উঠে এসেছে সে সময়ের রমনার বিস্তারিত স্মৃতিকথা। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গভঙ্গের পর লর্ড কার্জন এই প্রান্তরে গড়ে তুললেন তাঁর নতুন প্রদেশের রাজধানী। দীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ হল, অ্যাভিনিউ হল, দুদিকে সারি সারি গাছ। …প্রচুর দোতলা চকমিলানো বাড়ি উঠল বড় বড় ইংরেজ অফিসারদের জন্য। প্রত্যেকটি বাড়ির চারদিকে চার-পাঁচ বিঘে জমি, সামনে সবুজ লন আর পেছনে বাগান। …এক রমণীয় শহর গড়ে তোলা হল, এর নাম হল রমনা।’
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, গত শতকের সত্তর দশকের শেষভাগে ব্যাপক বৃক্ষনিধনের ফলে নিসর্গশোভার প্রায় সবটুকুই হারায় ঢাকা। এর পর কেটে গেছে আরও চার দশক। কখনো রাস্তা বড় করা, কখনো নতুন ভবন তৈরি, আবার কখনো নিরাপত্তার অজুহাতে কুড়ালের কবলে পড়েছে একের পর এক শতাব্দীপ্রাচীন বৃক্ষ। দুষ্প্রাপ্য থেকে বিলুপ্তির খাতায় নাম লেখানো উদ্ভিদরাজির সংখ্যাও কম নয়। গ্রীষ্মের দীর্ঘ দুপুরে শীতল ছায়া দেওয়া বৃক্ষের এখন বড় অভাব, শীতের ঝরে পড়া পাতার দেখা মেলাও এ শহরে ভার। উজ্জ্বল নীল আকাশটাকে ধুলায় ধূসরিত করে ফেলেছে এই শহর। আর ওদিকে নিষ্প্রাণ রমনার বিচ্ছিন্ন প্রান্তে প্রাউডলকের রোপণ করা অল্প কয়টি গাছ গুনছে তাদের জীবনের শেষ দিনগুলি।
সহায়ক সূত্র:
১. দ্য জার্নাল অব দ্য কিউ গিল্ড, জুন, ১৯৩৬
২. শ্যামলী নিসর্গ, দ্বিজেন শর্মা, বাংলা একাডেমি, ১৯৮০
লেখক: অধ্যাপক, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের লাল রঙের বাড়িগুলো অনেকটা বিলেতি কটেজের মতো। কিন্তু বাড়িগুলোর আশপাশের পথঘাট তখনো সুবিন্যস্ত হয়নি। রমনার এই শহরতলিকে কার্যকর ও নান্দনিক নগরের রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন নতুন গভর্নর হেয়ার। তাঁর অনুরোধে ১৯০৯ সালের জুলাই মাসে পূর্ববঙ্গের উদ্যানতাত্ত্বিক উপদেষ্টা হিসেবে ঢাকা পৌঁছালেন রবার্ট লুইস প্রাউডলক।
প্রাউডলকের জন্ম ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যাণ্ডে, ১৮৬২ সালে। স্থানীয় একটি নার্সারিতে কিছুদিন কাজ শেখার পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য তিনি চলে যান এডিনবার্গ। ১৮৮৬ সালে শিক্ষানবিশ রূপে তিনি যোগ দিলেন লন্ডনের কিউ উদ্যানে। দুবছর হাতে-কলমে শিখলেন উদ্যানতত্ত্বের নানা বিষয়। এর পর প্রাউডলক রওনা হলেন ভারতের পথে; কর্মজীবন শুরু করলেন কলকাতার রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেনের সহযোগী কিউরেটর পদে।
শীতপ্রধান দেশ ছেড়ে উষ্ণ মণ্ডলে এসে উদ্যান রচনা ছিল তাঁর জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং এক কাজ। স্বাভাবিকভাবে এই অঞ্চলের জন্য জুতসই গাছপালা সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ল। তৎকালীন বার্মা থেকে সংগ্রহ করলেন নানা প্রজাতির পাঁচ শ গাছের নমুনা। তবে কলকাতার উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া, আর ঘন ঘন ম্যালেরিয়া ও উদরাময়ে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে পড়ল। কলকাতা ছেড়ে তিনি চলে গেলেন বম্বে। সেখানে রাবার চাষের দেখাশোনা করলেন কিছুদিন। এর পর কিছুদিন কাটালেন দক্ষিণ ভারতের নীলগিরিতে।
এ সময় রেঙ্গুন নগরের ল্যান্ডস্কেপিংয়ের কাজ পেলেন প্রাউডলক। প্রায় নয় মাস রেঙ্গুনে তাঁর কর্মব্যস্ত সময় কাটল। ল্যান্ডস্কেপিংয়ের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় প্রথম প্রয়োগের সুযোগ তিনি পেলেন রেঙ্গুনে। সেখানে থাকতেই চিঠি এল, গভর্নর হেয়ার তাঁকে ডেকেছেন ঢাকায়। নবগঠিত প্রদেশের সিভিল স্টেশন রমনাকে সাজানোর দায়িত্ব পড়েছে তাঁর ওপর।
রমনাকে কেন্দ্র করে প্রথম বাগানের পত্তন করা হয় মুঘল আমলে। পুরোনো হাইকোর্ট ভবন থেকে বর্তমান সড়ক ভবন পর্যন্ত এলাকায় তৈরি সে বাগানের নাম ছিল ‘বাগ-ই-বাদশাহী’। ইংরেজ আমলের শুরুর দিকে এলাকাটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে। ১৮২৫ সালে জেলের কয়েদিদের নিয়ে রমনার জঙ্গল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন ঢাকার তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ড’স। তিনি কাঠের রেলিং দিয়ে ঘিরে ডিম্বাকার একটি অংশে চালু করেন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। বুড়িগঙ্গার ধারের মূল শহরের সঙ্গে ঘোড়দৌড়ের মাঠকে যুক্ত করতে তৈরি হয় নতুন সড়ক, বর্তমানে যা কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ নামে পরিচিত।
ড’স সে সময় নেপাল থেকে ক্যাসুরিনা গাছের চারা আনিয়ে নতুন সড়কের দুধারে রোপণ করেন। ড’সের ঢাকা ত্যাগের পর গোটা রমনাকে ঘিরে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়নকাজের নজির পাওয়া যায় না। তবে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকার নওয়াব আব্দুল গনি ও তাঁর উত্তরসূরিদের হাত ধরে রমনার পশ্চিমাংশ এক নতুন রূপ পায়। নওয়াবদের তৈরি বাগানবাড়ি, দরবার কক্ষ, চিড়িয়াখানা আর মনোরম বাগানে রমনার একাংশ সজ্জিত হয়ে ওঠে।
১৯০৯ সালে ঢাকার কাজে যোগ দিলেন প্রাউডলক। রমনাকে নিয়ে তখন তাঁর নানা স্বপ্ন। এলাকাটাকে তিনি গড়ে তুলতে চান প্যারিসের মতো করে। গভর্নর তাঁকে দিলেন পূর্ণ স্বাধীনতা। রমনাকে প্রাউডলক পরিণত করলেন রমনা গ্রিনে, যার বিস্তার বর্তমান সেক্রেটারিয়েট থেকে শুরু করে নীলক্ষেত পর্যন্ত। পৃথিবীর অন্য উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল থেকে সুদর্শন সব বৃক্ষের চারা আনিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় সেগুলো রোপণ করলেন ঢাকায়। স্থানীয় নমুনা সংগ্রহের জন্য নিজে ছুটে গেলেন চট্টগ্রাম, খুলনা থেকে শিলং, দার্জিলিং পর্যন্ত। সেসব কাজে তাঁর নিত্যসঙ্গী তখন অখিল চন্দ্র চক্রবর্তী। দেশি-বিদেশি বৃক্ষের সমাবেশে এমন এক ঢাকা গড়ে তুলতে চাইলেন প্রাউডলক, যেখানে বছরের বারো মাসই ফুল ফুটবে। কেমন ছিল প্রাউডলকের সেই পরিকল্পনা? এর কিছুটা দেখেছেন ঢাকার প্রবীণ নাগরিকেরা।
প্রাউডলকের পরিকল্পনায় রমনাজুড়ে দেশি-বিদেশি দুধরনের শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষেরই চমৎকার এক সমাবেশ ঘটে। দেশি কৃষ্ণচূড়া, জারুল, নাগলিঙ্গম, তাল, তেঁতুলের পাশাপাশি নগরের বুকে জায়গা করে নেয় বিদেশি সিলভার ওক, ব্ল্যাকবিন, গ্লিরিসিডিয়া প্রভৃতি বৃক্ষ। নিসর্গী দ্বিজেন শর্মা এ নগরের প্রকৃতি ও বৃক্ষসম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি যখন ঢাকার পথতরু নিয়ে তাঁর ‘শ্যামলী নিসর্গ’ বইটি লেখা শুরু করেন, তখন প্রাউডলকের রোপণ করা চারাগুলো পরিণত হয়ে ছায়া দিচ্ছে ঢাকাবাসীকে।
কার্জন হলের সামনের সড়কে সিলভার লিফ ওক, ফুলার রোডে জারুলের সারি, সেক্রেটারিয়েট ঘিরে পাদাউকের সারি, ঢাকা ক্লাব থেকে সড়ক ভবন পর্যন্ত সেগুনের বীথি, নিউমার্কেটের পশ্চিমে বটবীথি, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের রাস্তায় গ্লিরিসিডিয়ার দীর্ঘ সারি, শাহবাগে কৃষ্ণচূড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে গগন শিরীষ—এ রকম অনেক উদাহরণ উল্লেখ করেছেন তিনি, যার অধিকাংশ রোপণ করেছিলেন প্রাউডলক ও তাঁর সহযোগী অখিল বাবু।
বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে প্রাউডলক তাঁর পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ঢাকায় আট বছর আট মাসের কর্মজীবন শেষে তিনি ভারতবর্ষ ছেড়ে ফিরে যান বিলেতে। তবে ঢাকাকে তিনি কখনো ভুলতে পারেননি। স্বপ্নের মতো সাজাতে চেয়েছিলেন যে শহরকে, সে শহরে তিনি ফিরে এসেছেন বারবার। ১৯২৯ সালে স্ত্রী রোসেটাকে নিয়ে এসেছিলেন ঢাকা, থেকেছিলেন প্রায় ছয় মাস। ব্যক্তিজীবনে ম্যালেরিয়ায় বড্ড ভুগেছিলেন; তাই মশা দমনের দেশীয় পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন সে সময়ে। প্রাউডলক ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮৫ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।
প্রাউডলকের ল্যান্ডস্কেপিংয়ে ঢাকা কীভাবে বদলে গিয়েছিল, তার মুগ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুর স্মৃতিকথায়, ‘স্থাপত্যে কোনো একঘেয়েমি নেই, সরণি ও উদ্যান রচনায় নয়া দিল্লির জ্যামিতিক দুঃস্বপ্ন স্থান পায়নি। …সর্বত্র প্রচুর স্থান, ঘেঁষাঘেঁষি ঠেলাঠেলির কোনো কথাই ওঠে না।’ প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক প্রতুলচন্দ্র রক্ষিত ১৯৩০-এর দশকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁর ‘পেরিয়ে এলাম’ গ্রন্থের ‘রমনা’ অধ্যায়ে উঠে এসেছে সে সময়ের রমনার বিস্তারিত স্মৃতিকথা। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গভঙ্গের পর লর্ড কার্জন এই প্রান্তরে গড়ে তুললেন তাঁর নতুন প্রদেশের রাজধানী। দীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ হল, অ্যাভিনিউ হল, দুদিকে সারি সারি গাছ। …প্রচুর দোতলা চকমিলানো বাড়ি উঠল বড় বড় ইংরেজ অফিসারদের জন্য। প্রত্যেকটি বাড়ির চারদিকে চার-পাঁচ বিঘে জমি, সামনে সবুজ লন আর পেছনে বাগান। …এক রমণীয় শহর গড়ে তোলা হল, এর নাম হল রমনা।’
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, গত শতকের সত্তর দশকের শেষভাগে ব্যাপক বৃক্ষনিধনের ফলে নিসর্গশোভার প্রায় সবটুকুই হারায় ঢাকা। এর পর কেটে গেছে আরও চার দশক। কখনো রাস্তা বড় করা, কখনো নতুন ভবন তৈরি, আবার কখনো নিরাপত্তার অজুহাতে কুড়ালের কবলে পড়েছে একের পর এক শতাব্দীপ্রাচীন বৃক্ষ। দুষ্প্রাপ্য থেকে বিলুপ্তির খাতায় নাম লেখানো উদ্ভিদরাজির সংখ্যাও কম নয়। গ্রীষ্মের দীর্ঘ দুপুরে শীতল ছায়া দেওয়া বৃক্ষের এখন বড় অভাব, শীতের ঝরে পড়া পাতার দেখা মেলাও এ শহরে ভার। উজ্জ্বল নীল আকাশটাকে ধুলায় ধূসরিত করে ফেলেছে এই শহর। আর ওদিকে নিষ্প্রাণ রমনার বিচ্ছিন্ন প্রান্তে প্রাউডলকের রোপণ করা অল্প কয়টি গাছ গুনছে তাদের জীবনের শেষ দিনগুলি।
সহায়ক সূত্র:
১. দ্য জার্নাল অব দ্য কিউ গিল্ড, জুন, ১৯৩৬
২. শ্যামলী নিসর্গ, দ্বিজেন শর্মা, বাংলা একাডেমি, ১৯৮০
লেখক: অধ্যাপক, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের
১৫ জানুয়ারি ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশের রাজধানী হলো ঢাকা। প্রশাসনিক কারণে তখন প্রয়োজন অনেক অনেক নতুন দালানকোঠা। নতুন সেসব কাঠামো নির্মাণের জন্য ইংরেজ সরকার বেছে নিল মূল শহরের উত্তরে রমনার খোলা প্রান্তরকে। একটি-দুটি করে গড়ে উঠতে শুরু করল ইংরেজ আমলাদের বসবাসের জন্য দোতলা সব বাড়ি। ঢালু ছাদের
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে