Ajker Patrika

রাইট ভাইদ্বয় প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান এই দিনে

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ৪৮
রাইট ভাইদ্বয় প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান এই দিনে

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে। 

১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের একটি উড়োজাহাজ বানান রাইট ভাইয়েরা। কাঠের প্রপেলারের উড়োজাহাজটি একটি পেট্রল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনচালতি ছিল। 

কয়েক সপ্তাহের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ডানার দৃঢ়তা বাড়ান তাঁরা এর। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে। দিনটি ছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। অবতরণের আগে ১২০ ফুট অতিক্রম করে উড়োজাহাজটি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়োজাহাজ কাজ করেছে! অরভিল ও উইলবার রাইটের আনন্দ যেন আর শেষ হয় না। সেদিন আরও কয়েকবার উড়োজাহাজটি ওড়ালেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেলেন দুই ভাই। বিশ্বে প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিন বা যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ ওড়ালেন তাঁরা। 

অরভিল রাইট। ছবি: উইকিপিডিয়াউত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের যুগান্তকরী সাফল্যের পর রাইটরা তাঁদের উড়োজাহাজের নকশা পরিবর্তন করেন এবং গঠন আরও নিখুঁত করে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে থাকেন। এর মাধ্যমে আধুনিক উড়োজাহাজ চালনার যুগের সূচনা করেন তাঁরা, যা ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ নিয়ে আগ্রহী দুঃসাহসিক মানুষদের নতুন সব উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করে। 

রাইট ভাইয়েরা শুধু প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়াননি, তারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি দুয়ার খুলে দেন। 

 ১৯০৩ সালের ডিসেম্বরের একটি শীতল ও মৃদু বাতাসের দিন। উইলবার রাইট উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হকের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার ওপরে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে তাঁর ভাই অরভিল, তিনি বিশ্বের প্রথম সফল ইঞ্জিনচালিত ফ্লাইটটির মাঝামাঝি অবস্থানে তখন। 

আজ রাইট ভাইদের উদ্ভাবনী প্রকৌশলী হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ফ্লাইট অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও। 

উইলবার রাইট। ছবি: উইকিপিডিয়াবালক বয়স থেকেই উড়োজাহাজে চেপে আকাশে ওড়ার আগ্রহ মাথাচাড়া দেয় রাইটদের। ওহাইয়োর ডেইটনে বেড়ে ওঠা ভাইদের শিশু বয়সে প্রিয় খেলনা ছিল ছোট হেলিকপ্টার-সদৃশ একটি বস্তু। এর ডানা দুটি ঘোরাতে সাহায্য করত একটি রাবার ব্যান্ড। খেলনাটি এবং এর কারিগরি দিকে মুগ্ধ ভাইয়েরা স্বপ্ন দেখতেন এক দিন তাঁদের উভয়ের ভার বহন করার মতো ও আকারের একটি উড়ন্ত যান তৈরি করার। 

তরুণ বয়সে রাইটরা ব্যবসায় নামেন একসঙ্গে। প্রথমে একটি ছাপাখানা চালাতেন। তারপর দেন একটি সাইকেল মেরামতের দোকান। অবশেষে তাঁরা নিজেদের নকশায় তৈরি সাইকেল বিক্রি করতে শুরু করেন। 

কিন্তু উড়ার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। সেই সময়ে, অন্যান্য আকাশ যান যেমন গ্লাইডার বা ইঞ্জিনবিহীন উড়োজাহাজের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু রাইটরা নতুন একটি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রাইটরা নিজস্ব উড়োজাহাজ তৈরির পরীক্ষা শুরু করেন।

১৯০০ সালে ওহাইয়ো থেকে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে হাজির হন উড়োজাহাজ নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। কিটি হকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সব সময়ই মৃদু বাতাস থাকত। এখানকার নরম, বালুকাময় জমি উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য চমৎকার। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি ছিল তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদর্শ। 

গ্লাইডার নিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাইট ভাইয়েরা প্রথমে ঘুড়ি দিয়ে পরীক্ষা চালান। অরভিল ও উইলবার পরীক্ষার সময় পৃথকভাবে গ্লাইডার ওড়ান।

১৯০৪ সালের নভেম্বরে উড়োজাহাজ নিয়ে উইলবার রাইটের আকাশে ওড়ার দৃশ্য। ছবি: উইকিপিডিয়াতারপর ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের উড়োজাহাজটি তৈরি করেন। আর এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে আসে সেই দিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর। যেদিন প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়ান।

 ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে অরভিল ১২ সেকেন্ড আকাশে ওড়ান উড়োজাহাজ। সেদিন আরও তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। উইলবার ও অরভিল পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজ উড়িয়েছিলেন। উইলবার শেষ ফ্লাইটটিতে ৫৯ সেকেন্ডে ৮৫২ ফুট অতিক্রম করেন। 

পরবর্তী কয়েক বছরে, রাইট ভাইয়েরা তাদের উড়োজাহাজ আরও উন্নত করেছিলেন। ১৯০৫ সালের দিকে এসে দেখা যায় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারছে তাঁদের উড়োজাহাজ। ১৯০৮ সালে তাঁরা ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন এবং সাধারণ যাত্রীসহ প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান, যা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। ১৯০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পস শাখা একটি বিশেষভাবে নির্মিত বিমান কেনে তাঁদের থেকে এবং ভাইয়েরা উড়োজাহাজ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য রাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলবার রাইট ১৯১২ সালে টাইফয়েড জ্বরে মারা যান, তবে অরভিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। 

 ১৯০৩ সালে আকাশে ওড়া রাইট ভাইদের সেই ঐতিহাসিক উড়োজাহাজ ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। 

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, হিস্ট্রি ডট কম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বধ্যভূমি ৭১

সম্পাদকীয়
বধ্যভূমি ৭১

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রহনপুর গণকবর

সম্পাদকীয়
রহনপুর গণকবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

সম্পাদকীয়
ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।

আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।

বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।

তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।

সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।

তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত