
উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের একটি উড়োজাহাজ বানান রাইট ভাইয়েরা। কাঠের প্রপেলারের উড়োজাহাজটি একটি পেট্রল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনচালতি ছিল।
কয়েক সপ্তাহের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ডানার দৃঢ়তা বাড়ান তাঁরা এর। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে। দিনটি ছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। অবতরণের আগে ১২০ ফুট অতিক্রম করে উড়োজাহাজটি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়োজাহাজ কাজ করেছে! অরভিল ও উইলবার রাইটের আনন্দ যেন আর শেষ হয় না। সেদিন আরও কয়েকবার উড়োজাহাজটি ওড়ালেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেলেন দুই ভাই। বিশ্বে প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিন বা যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ ওড়ালেন তাঁরা।
উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের যুগান্তকরী সাফল্যের পর রাইটরা তাঁদের উড়োজাহাজের নকশা পরিবর্তন করেন এবং গঠন আরও নিখুঁত করে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে থাকেন। এর মাধ্যমে আধুনিক উড়োজাহাজ চালনার যুগের সূচনা করেন তাঁরা, যা ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ নিয়ে আগ্রহী দুঃসাহসিক মানুষদের নতুন সব উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করে।
রাইট ভাইয়েরা শুধু প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়াননি, তারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি দুয়ার খুলে দেন।
১৯০৩ সালের ডিসেম্বরের একটি শীতল ও মৃদু বাতাসের দিন। উইলবার রাইট উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হকের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার ওপরে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে তাঁর ভাই অরভিল, তিনি বিশ্বের প্রথম সফল ইঞ্জিনচালিত ফ্লাইটটির মাঝামাঝি অবস্থানে তখন।
আজ রাইট ভাইদের উদ্ভাবনী প্রকৌশলী হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ফ্লাইট অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও।
বালক বয়স থেকেই উড়োজাহাজে চেপে আকাশে ওড়ার আগ্রহ মাথাচাড়া দেয় রাইটদের। ওহাইয়োর ডেইটনে বেড়ে ওঠা ভাইদের শিশু বয়সে প্রিয় খেলনা ছিল ছোট হেলিকপ্টার-সদৃশ একটি বস্তু। এর ডানা দুটি ঘোরাতে সাহায্য করত একটি রাবার ব্যান্ড। খেলনাটি এবং এর কারিগরি দিকে মুগ্ধ ভাইয়েরা স্বপ্ন দেখতেন এক দিন তাঁদের উভয়ের ভার বহন করার মতো ও আকারের একটি উড়ন্ত যান তৈরি করার।
তরুণ বয়সে রাইটরা ব্যবসায় নামেন একসঙ্গে। প্রথমে একটি ছাপাখানা চালাতেন। তারপর দেন একটি সাইকেল মেরামতের দোকান। অবশেষে তাঁরা নিজেদের নকশায় তৈরি সাইকেল বিক্রি করতে শুরু করেন।
কিন্তু উড়ার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। সেই সময়ে, অন্যান্য আকাশ যান যেমন গ্লাইডার বা ইঞ্জিনবিহীন উড়োজাহাজের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু রাইটরা নতুন একটি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রাইটরা নিজস্ব উড়োজাহাজ তৈরির পরীক্ষা শুরু করেন।
১৯০০ সালে ওহাইয়ো থেকে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে হাজির হন উড়োজাহাজ নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। কিটি হকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সব সময়ই মৃদু বাতাস থাকত। এখানকার নরম, বালুকাময় জমি উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য চমৎকার। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি ছিল তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদর্শ।
গ্লাইডার নিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাইট ভাইয়েরা প্রথমে ঘুড়ি দিয়ে পরীক্ষা চালান। অরভিল ও উইলবার পরীক্ষার সময় পৃথকভাবে গ্লাইডার ওড়ান।
তারপর ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের উড়োজাহাজটি তৈরি করেন। আর এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে আসে সেই দিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর। যেদিন প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়ান।
১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে অরভিল ১২ সেকেন্ড আকাশে ওড়ান উড়োজাহাজ। সেদিন আরও তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। উইলবার ও অরভিল পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজ উড়িয়েছিলেন। উইলবার শেষ ফ্লাইটটিতে ৫৯ সেকেন্ডে ৮৫২ ফুট অতিক্রম করেন।
পরবর্তী কয়েক বছরে, রাইট ভাইয়েরা তাদের উড়োজাহাজ আরও উন্নত করেছিলেন। ১৯০৫ সালের দিকে এসে দেখা যায় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারছে তাঁদের উড়োজাহাজ। ১৯০৮ সালে তাঁরা ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন এবং সাধারণ যাত্রীসহ প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান, যা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। ১৯০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পস শাখা একটি বিশেষভাবে নির্মিত বিমান কেনে তাঁদের থেকে এবং ভাইয়েরা উড়োজাহাজ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য রাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলবার রাইট ১৯১২ সালে টাইফয়েড জ্বরে মারা যান, তবে অরভিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
১৯০৩ সালে আকাশে ওড়া রাইট ভাইদের সেই ঐতিহাসিক উড়োজাহাজ ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, হিস্ট্রি ডট কম

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের একটি উড়োজাহাজ বানান রাইট ভাইয়েরা। কাঠের প্রপেলারের উড়োজাহাজটি একটি পেট্রল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনচালতি ছিল।
কয়েক সপ্তাহের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ডানার দৃঢ়তা বাড়ান তাঁরা এর। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে। দিনটি ছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। অবতরণের আগে ১২০ ফুট অতিক্রম করে উড়োজাহাজটি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়োজাহাজ কাজ করেছে! অরভিল ও উইলবার রাইটের আনন্দ যেন আর শেষ হয় না। সেদিন আরও কয়েকবার উড়োজাহাজটি ওড়ালেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেলেন দুই ভাই। বিশ্বে প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিন বা যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ ওড়ালেন তাঁরা।
উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের যুগান্তকরী সাফল্যের পর রাইটরা তাঁদের উড়োজাহাজের নকশা পরিবর্তন করেন এবং গঠন আরও নিখুঁত করে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে থাকেন। এর মাধ্যমে আধুনিক উড়োজাহাজ চালনার যুগের সূচনা করেন তাঁরা, যা ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ নিয়ে আগ্রহী দুঃসাহসিক মানুষদের নতুন সব উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করে।
রাইট ভাইয়েরা শুধু প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়াননি, তারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি দুয়ার খুলে দেন।
১৯০৩ সালের ডিসেম্বরের একটি শীতল ও মৃদু বাতাসের দিন। উইলবার রাইট উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হকের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার ওপরে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে তাঁর ভাই অরভিল, তিনি বিশ্বের প্রথম সফল ইঞ্জিনচালিত ফ্লাইটটির মাঝামাঝি অবস্থানে তখন।
আজ রাইট ভাইদের উদ্ভাবনী প্রকৌশলী হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ফ্লাইট অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও।
বালক বয়স থেকেই উড়োজাহাজে চেপে আকাশে ওড়ার আগ্রহ মাথাচাড়া দেয় রাইটদের। ওহাইয়োর ডেইটনে বেড়ে ওঠা ভাইদের শিশু বয়সে প্রিয় খেলনা ছিল ছোট হেলিকপ্টার-সদৃশ একটি বস্তু। এর ডানা দুটি ঘোরাতে সাহায্য করত একটি রাবার ব্যান্ড। খেলনাটি এবং এর কারিগরি দিকে মুগ্ধ ভাইয়েরা স্বপ্ন দেখতেন এক দিন তাঁদের উভয়ের ভার বহন করার মতো ও আকারের একটি উড়ন্ত যান তৈরি করার।
তরুণ বয়সে রাইটরা ব্যবসায় নামেন একসঙ্গে। প্রথমে একটি ছাপাখানা চালাতেন। তারপর দেন একটি সাইকেল মেরামতের দোকান। অবশেষে তাঁরা নিজেদের নকশায় তৈরি সাইকেল বিক্রি করতে শুরু করেন।
কিন্তু উড়ার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। সেই সময়ে, অন্যান্য আকাশ যান যেমন গ্লাইডার বা ইঞ্জিনবিহীন উড়োজাহাজের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু রাইটরা নতুন একটি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রাইটরা নিজস্ব উড়োজাহাজ তৈরির পরীক্ষা শুরু করেন।
১৯০০ সালে ওহাইয়ো থেকে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে হাজির হন উড়োজাহাজ নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। কিটি হকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সব সময়ই মৃদু বাতাস থাকত। এখানকার নরম, বালুকাময় জমি উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য চমৎকার। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি ছিল তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদর্শ।
গ্লাইডার নিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাইট ভাইয়েরা প্রথমে ঘুড়ি দিয়ে পরীক্ষা চালান। অরভিল ও উইলবার পরীক্ষার সময় পৃথকভাবে গ্লাইডার ওড়ান।
তারপর ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের উড়োজাহাজটি তৈরি করেন। আর এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে আসে সেই দিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর। যেদিন প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়ান।
১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে অরভিল ১২ সেকেন্ড আকাশে ওড়ান উড়োজাহাজ। সেদিন আরও তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। উইলবার ও অরভিল পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজ উড়িয়েছিলেন। উইলবার শেষ ফ্লাইটটিতে ৫৯ সেকেন্ডে ৮৫২ ফুট অতিক্রম করেন।
পরবর্তী কয়েক বছরে, রাইট ভাইয়েরা তাদের উড়োজাহাজ আরও উন্নত করেছিলেন। ১৯০৫ সালের দিকে এসে দেখা যায় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারছে তাঁদের উড়োজাহাজ। ১৯০৮ সালে তাঁরা ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন এবং সাধারণ যাত্রীসহ প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান, যা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। ১৯০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পস শাখা একটি বিশেষভাবে নির্মিত বিমান কেনে তাঁদের থেকে এবং ভাইয়েরা উড়োজাহাজ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য রাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলবার রাইট ১৯১২ সালে টাইফয়েড জ্বরে মারা যান, তবে অরভিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
১৯০৩ সালে আকাশে ওড়া রাইট ভাইদের সেই ঐতিহাসিক উড়োজাহাজ ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, হিস্ট্রি ডট কম

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের একটি উড়োজাহাজ বানান রাইট ভাইয়েরা। কাঠের প্রপেলারের উড়োজাহাজটি একটি পেট্রল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনচালতি ছিল।
কয়েক সপ্তাহের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ডানার দৃঢ়তা বাড়ান তাঁরা এর। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে। দিনটি ছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। অবতরণের আগে ১২০ ফুট অতিক্রম করে উড়োজাহাজটি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়োজাহাজ কাজ করেছে! অরভিল ও উইলবার রাইটের আনন্দ যেন আর শেষ হয় না। সেদিন আরও কয়েকবার উড়োজাহাজটি ওড়ালেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেলেন দুই ভাই। বিশ্বে প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিন বা যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ ওড়ালেন তাঁরা।
উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের যুগান্তকরী সাফল্যের পর রাইটরা তাঁদের উড়োজাহাজের নকশা পরিবর্তন করেন এবং গঠন আরও নিখুঁত করে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে থাকেন। এর মাধ্যমে আধুনিক উড়োজাহাজ চালনার যুগের সূচনা করেন তাঁরা, যা ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ নিয়ে আগ্রহী দুঃসাহসিক মানুষদের নতুন সব উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করে।
রাইট ভাইয়েরা শুধু প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়াননি, তারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি দুয়ার খুলে দেন।
১৯০৩ সালের ডিসেম্বরের একটি শীতল ও মৃদু বাতাসের দিন। উইলবার রাইট উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হকের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার ওপরে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে তাঁর ভাই অরভিল, তিনি বিশ্বের প্রথম সফল ইঞ্জিনচালিত ফ্লাইটটির মাঝামাঝি অবস্থানে তখন।
আজ রাইট ভাইদের উদ্ভাবনী প্রকৌশলী হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ফ্লাইট অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও।
বালক বয়স থেকেই উড়োজাহাজে চেপে আকাশে ওড়ার আগ্রহ মাথাচাড়া দেয় রাইটদের। ওহাইয়োর ডেইটনে বেড়ে ওঠা ভাইদের শিশু বয়সে প্রিয় খেলনা ছিল ছোট হেলিকপ্টার-সদৃশ একটি বস্তু। এর ডানা দুটি ঘোরাতে সাহায্য করত একটি রাবার ব্যান্ড। খেলনাটি এবং এর কারিগরি দিকে মুগ্ধ ভাইয়েরা স্বপ্ন দেখতেন এক দিন তাঁদের উভয়ের ভার বহন করার মতো ও আকারের একটি উড়ন্ত যান তৈরি করার।
তরুণ বয়সে রাইটরা ব্যবসায় নামেন একসঙ্গে। প্রথমে একটি ছাপাখানা চালাতেন। তারপর দেন একটি সাইকেল মেরামতের দোকান। অবশেষে তাঁরা নিজেদের নকশায় তৈরি সাইকেল বিক্রি করতে শুরু করেন।
কিন্তু উড়ার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। সেই সময়ে, অন্যান্য আকাশ যান যেমন গ্লাইডার বা ইঞ্জিনবিহীন উড়োজাহাজের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু রাইটরা নতুন একটি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রাইটরা নিজস্ব উড়োজাহাজ তৈরির পরীক্ষা শুরু করেন।
১৯০০ সালে ওহাইয়ো থেকে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে হাজির হন উড়োজাহাজ নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। কিটি হকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সব সময়ই মৃদু বাতাস থাকত। এখানকার নরম, বালুকাময় জমি উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য চমৎকার। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি ছিল তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদর্শ।
গ্লাইডার নিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাইট ভাইয়েরা প্রথমে ঘুড়ি দিয়ে পরীক্ষা চালান। অরভিল ও উইলবার পরীক্ষার সময় পৃথকভাবে গ্লাইডার ওড়ান।
তারপর ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের উড়োজাহাজটি তৈরি করেন। আর এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে আসে সেই দিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর। যেদিন প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়ান।
১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে অরভিল ১২ সেকেন্ড আকাশে ওড়ান উড়োজাহাজ। সেদিন আরও তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। উইলবার ও অরভিল পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজ উড়িয়েছিলেন। উইলবার শেষ ফ্লাইটটিতে ৫৯ সেকেন্ডে ৮৫২ ফুট অতিক্রম করেন।
পরবর্তী কয়েক বছরে, রাইট ভাইয়েরা তাদের উড়োজাহাজ আরও উন্নত করেছিলেন। ১৯০৫ সালের দিকে এসে দেখা যায় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারছে তাঁদের উড়োজাহাজ। ১৯০৮ সালে তাঁরা ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন এবং সাধারণ যাত্রীসহ প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান, যা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। ১৯০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পস শাখা একটি বিশেষভাবে নির্মিত বিমান কেনে তাঁদের থেকে এবং ভাইয়েরা উড়োজাহাজ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য রাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলবার রাইট ১৯১২ সালে টাইফয়েড জ্বরে মারা যান, তবে অরভিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
১৯০৩ সালে আকাশে ওড়া রাইট ভাইদের সেই ঐতিহাসিক উড়োজাহাজ ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, হিস্ট্রি ডট কম

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের একটি উড়োজাহাজ বানান রাইট ভাইয়েরা। কাঠের প্রপেলারের উড়োজাহাজটি একটি পেট্রল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনচালতি ছিল।
কয়েক সপ্তাহের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ডানার দৃঢ়তা বাড়ান তাঁরা এর। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে। দিনটি ছিল ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। অবতরণের আগে ১২০ ফুট অতিক্রম করে উড়োজাহাজটি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের উড়োজাহাজ কাজ করেছে! অরভিল ও উইলবার রাইটের আনন্দ যেন আর শেষ হয় না। সেদিন আরও কয়েকবার উড়োজাহাজটি ওড়ালেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেলেন দুই ভাই। বিশ্বে প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিন বা যন্ত্রচালিত উড়োজাহাজ ওড়ালেন তাঁরা।
উত্তর ক্যারোলিনায় তাঁদের যুগান্তকরী সাফল্যের পর রাইটরা তাঁদের উড়োজাহাজের নকশা পরিবর্তন করেন এবং গঠন আরও নিখুঁত করে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করতে থাকেন। এর মাধ্যমে আধুনিক উড়োজাহাজ চালনার যুগের সূচনা করেন তাঁরা, যা ভবিষ্যতের উড়োজাহাজ নিয়ে আগ্রহী দুঃসাহসিক মানুষদের নতুন সব উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত করে।
রাইট ভাইয়েরা শুধু প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়াননি, তারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াবার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নতুন একটি দুয়ার খুলে দেন।
১৯০৩ সালের ডিসেম্বরের একটি শীতল ও মৃদু বাতাসের দিন। উইলবার রাইট উত্তর ক্যারোলিনার কিটি হকের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে তাঁর ওপরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার ওপরে উড়তে থাকা উড়োজাহাজটিতে তাঁর ভাই অরভিল, তিনি বিশ্বের প্রথম সফল ইঞ্জিনচালিত ফ্লাইটটির মাঝামাঝি অবস্থানে তখন।
আজ রাইট ভাইদের উদ্ভাবনী প্রকৌশলী হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাঁদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ফ্লাইট অনুপ্রাণিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও।
বালক বয়স থেকেই উড়োজাহাজে চেপে আকাশে ওড়ার আগ্রহ মাথাচাড়া দেয় রাইটদের। ওহাইয়োর ডেইটনে বেড়ে ওঠা ভাইদের শিশু বয়সে প্রিয় খেলনা ছিল ছোট হেলিকপ্টার-সদৃশ একটি বস্তু। এর ডানা দুটি ঘোরাতে সাহায্য করত একটি রাবার ব্যান্ড। খেলনাটি এবং এর কারিগরি দিকে মুগ্ধ ভাইয়েরা স্বপ্ন দেখতেন এক দিন তাঁদের উভয়ের ভার বহন করার মতো ও আকারের একটি উড়ন্ত যান তৈরি করার।
তরুণ বয়সে রাইটরা ব্যবসায় নামেন একসঙ্গে। প্রথমে একটি ছাপাখানা চালাতেন। তারপর দেন একটি সাইকেল মেরামতের দোকান। অবশেষে তাঁরা নিজেদের নকশায় তৈরি সাইকেল বিক্রি করতে শুরু করেন।
কিন্তু উড়ার প্রতি ভালোবাসা কমেনি একটুও। সেই সময়ে, অন্যান্য আকাশ যান যেমন গ্লাইডার বা ইঞ্জিনবিহীন উড়োজাহাজের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু রাইটরা নতুন একটি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রাইটরা নিজস্ব উড়োজাহাজ তৈরির পরীক্ষা শুরু করেন।
১৯০০ সালে ওহাইয়ো থেকে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে হাজির হন উড়োজাহাজ নিয়ে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে। কিটি হকের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় সব সময়ই মৃদু বাতাস থাকত। এখানকার নরম, বালুকাময় জমি উড়োজাহাজ অবতরণের জন্য চমৎকার। সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি ছিল তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদর্শ।
গ্লাইডার নিয়ে পরীক্ষা করার আগে রাইট ভাইয়েরা প্রথমে ঘুড়ি দিয়ে পরীক্ষা চালান। অরভিল ও উইলবার পরীক্ষার সময় পৃথকভাবে গ্লাইডার ওড়ান।
তারপর ১৯০৩ সালে রাইট ফ্লেয়ার ওয়ান নামের উড়োজাহাজটি তৈরি করেন। আর এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে আসে সেই দিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর। যেদিন প্রথম সফলভাবে ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ ওড়ান।
১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে অরভিল ১২ সেকেন্ড আকাশে ওড়ান উড়োজাহাজ। সেদিন আরও তিনটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। উইলবার ও অরভিল পর্যায়ক্রমে উড়োজাহাজ উড়িয়েছিলেন। উইলবার শেষ ফ্লাইটটিতে ৫৯ সেকেন্ডে ৮৫২ ফুট অতিক্রম করেন।
পরবর্তী কয়েক বছরে, রাইট ভাইয়েরা তাদের উড়োজাহাজ আরও উন্নত করেছিলেন। ১৯০৫ সালের দিকে এসে দেখা যায় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারছে তাঁদের উড়োজাহাজ। ১৯০৮ সালে তাঁরা ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন এবং সাধারণ যাত্রীসহ প্রথম উড়োজাহাজ ওড়ান, যা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ তৈরি করে। ১৯০৯ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কর্পস শাখা একটি বিশেষভাবে নির্মিত বিমান কেনে তাঁদের থেকে এবং ভাইয়েরা উড়োজাহাজ তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য রাইট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উইলবার রাইট ১৯১২ সালে টাইফয়েড জ্বরে মারা যান, তবে অরভিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
১৯০৩ সালে আকাশে ওড়া রাইট ভাইদের সেই ঐতিহাসিক উড়োজাহাজ ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিডস, হিস্ট্রি ডট কম

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১০ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১০ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১০ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে যে দুটি নাম সবার আগে চলে আসবে, তা অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট। আজ থেকে ১২০ বছর আগের এই দিনে, মানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ প্রথম সফলভাবে উড়োজাহাজ ওড়ান এ দুই ভাই। তাঁরা এই কাণ্ড করেন মার্কিন মুল্লুকের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিটি হকে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১০ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে