শিপ্ত বড়ুয়া

‘পড়, পড় এবং পড়’-মাও সেতুং, রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো’। দেকার্তের মতে, ‘ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা।’ আর ‘আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই’—ফ্রাঞ্জ কাফকা।
এমন সব দারুণ উক্তি রয়েছে বই পড়াকে কেন্দ্র করে। বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন উন্মুক্ত চিন্তা এবং পাঠক পড়ে যাবে তাঁর ইচ্ছে মতো যতটুকু দরকার। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়া নিয়ে আছে বিরক্তি, আছে গ্লানি। বইয়ের কথা শুনলেই অনেকে পালাতে চায়। কিন্তু বই পড়া মানে, নিজের সঙ্গে সভ্যতার সাঁকো আরও বেশি মজবুত করে জুড়ে নেওয়া।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো—আপনি কিছু জানার জন্য বই পড়ছেন তা ভুলে যেতে হবে, ভাবতে হবে মনের আনন্দে বই পড়ছেন, কোনো তাড়া নেই আপনার।
বই পড়ার নেশা কীভাবে আমাকে পেয়ে বসেছিল তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। তখন আমি ক্লাস নাইনে, আমার কাকার প্রেমিকা তাঁকে কাজী নজরুল ইসলামের ‘ব্যথার দান’ বইটি উপহার দিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে বইটি আমার নজর কাড়ে এবং পড়তে বসে যাই। বইটির ‘রাজবন্দীর চিঠি’ গল্পে সেদিন যেন আমি আমাকেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। সে থেকেই অদ্ভুত এক নেশা চেপে গেল মাথায়। আপনাদের অনেকেরই হয়তো এমন মধুর স্মৃতি রয়েছে বই পড়ার নেশা নিয়ে। তারপরও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার কিছু সহায়ক পদ্ধতি নিচে আলোচনা করলাম।
নিয়মিত বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিতে ঘুরতে যান
কত সময়ই তো আমরা অনর্থক নষ্ট করি। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে না হয় একটু সময় ব্যয় করে আপনার পাশের বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে ঢুঁ মারা। নিয়ম করে এসব জায়গার গেলে বইয়ের প্রতি একটা সহানুভূতি তৈরি হবে। নিয়মিত গেলে একদিন না একদিন কোনো একটি বই হয়তো আপনার নজর কাড়বে যা আপনি পড়তে এবং সংগ্রহ করতে চাইবেন। আর যদি সংগ্রহ এবং পড়া হয়েই যায় তাহলে তো হলোই। আপনার যাত্রা শুরু।
আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন
বই পড়ায় আগ্রহ আনতে হলে আগে জানতে হবে নিজের আগ্রহের জায়গা কোনটি। সে অনুযায়ী আপনি বই কিনতে পারেন কিংবা পাশের লাইব্রেরি থাকলে সেখান থেকে সংগ্রহও করতে পারেন। শুধু বই পড়া কেন? পৃথিবীর সকল কাজেই নিজ আগ্রহের জায়গায় থাকলে সবচেয়ে ভালোভাবে শুরু করা যায়। বই পড়ার ক্ষেত্রেও আপনার আগ্রহ আপনাকে প্রেরণা জোগাবে সব সময়।
যেমন আপনার হয়তো ইতিহাস কিংবা বিজ্ঞান ভালো লাগে, সে ক্ষেত্রে আপনি ইতিহাসের কিংবা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই সংগ্রহ করা এবং পড়া শুরু করতে পারেন। এভাবে আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে আপনার অধিক আগ্রহ এবং এ জন্য ভাবুন সময় নিয়ে।
নিয়ম করে বই সংগ্রহ করা ও পড়া
নিয়মিত বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিতে গেলে আপনার বইয়ের প্রতি একটা ভালোবাসা কাজ করবে নিঃসন্দেহে। আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা হয়ে গেলে এবার নিয়ম করে সে বিষয়ের ওপর বই সংগ্রহ করা শুরু করুন এবং আস্তে আস্তে পড়তে থাকুন।
বই সংগ্রহ করেই যে পড়া শুরু করে দিতে হবে এমন নয়, আপনার বিছানার পাশে বইগুলোকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে পারেন অথবা এমন কোন জায়গায় রাখতে পারেন যেখানে আপনার চোখ পড়ে সব সময়। যখন ইচ্ছে বই খুলে বসে যেতে পারেন এবং যতটুকু ইচ্ছে পড়ে ফেলতে পারেন। এভাবে বই দেখতে দেখতে এবং পড়তে গিয়ে আপনার অজান্তেই আপনার মধ্যে হয়তো গড়ে উঠতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
একবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে এর সঙ্গে আরও অনেকগুলো অভ্যাস আপনাআপনিই গড়ে উঠবে, যেমন ভ্রমণ, সিনেমা দেখা, ইন্টেলেকচুয়ালদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। বই পড়ার উপকার নিয়ে কথা বললে বোধ হয় শেষ হবে না। তার চেয়ে বরং আপনি নিজে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে দেখুন, এই জগৎ আপনাকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া, বই রিভিউ পড়া কিংবা বই পড়ে আপনার এমন কোনো বন্ধুর সঙ্গে বই নিয়ে আলোচনা করলে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।
বলে রাখা ভালো, সাধারণত শিশু-কিশোর বয়সেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ এই বয়সে তাদের মেজাজ খুবই ইতিবাচক এবং দুশ্চিন্তাহীন থাকে। তবে এমন নয় যে, এই বয়স পার করে আসলে বই পড়ার অভ্যাস আর গড়ে তোলা যাবে না। আপনার চেষ্টা আপনাকে পৃথিবীর বাইরেও নিয়ে যেতে পারে।
আরেকটি বিষয় বলা জরুরি, বর্তমানে বই পড়ুয়াদের বড় একটি অংশ কিন্ডল বুক কিংবা পিডিএফ বই পড়ার দিকে ঝুঁকেছেন। বইয়ের হার্ড কপি অনেকের ক্ষেত্রে কেনা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে অনেক ফ্রি পিডিএফ বইয়ের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে সহজেই বই ডাউনলোড করে পড়া যায়। তবে পিডিএফ পড়ে মূল বইয়ের আনন্দ কখনোই পাওয়া যায় না। তবে বই কিনতে বা সংগ্রহ করতে অপারগ হলে এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
সবশেষে, আপনার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা। মনের অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে আলোর মশাল জ্বালার একটিই রাস্তা–বই এবং বই।

‘পড়, পড় এবং পড়’-মাও সেতুং, রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো’। দেকার্তের মতে, ‘ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা।’ আর ‘আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই’—ফ্রাঞ্জ কাফকা।
এমন সব দারুণ উক্তি রয়েছে বই পড়াকে কেন্দ্র করে। বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন উন্মুক্ত চিন্তা এবং পাঠক পড়ে যাবে তাঁর ইচ্ছে মতো যতটুকু দরকার। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়া নিয়ে আছে বিরক্তি, আছে গ্লানি। বইয়ের কথা শুনলেই অনেকে পালাতে চায়। কিন্তু বই পড়া মানে, নিজের সঙ্গে সভ্যতার সাঁকো আরও বেশি মজবুত করে জুড়ে নেওয়া।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো—আপনি কিছু জানার জন্য বই পড়ছেন তা ভুলে যেতে হবে, ভাবতে হবে মনের আনন্দে বই পড়ছেন, কোনো তাড়া নেই আপনার।
বই পড়ার নেশা কীভাবে আমাকে পেয়ে বসেছিল তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। তখন আমি ক্লাস নাইনে, আমার কাকার প্রেমিকা তাঁকে কাজী নজরুল ইসলামের ‘ব্যথার দান’ বইটি উপহার দিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে বইটি আমার নজর কাড়ে এবং পড়তে বসে যাই। বইটির ‘রাজবন্দীর চিঠি’ গল্পে সেদিন যেন আমি আমাকেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম। সে থেকেই অদ্ভুত এক নেশা চেপে গেল মাথায়। আপনাদের অনেকেরই হয়তো এমন মধুর স্মৃতি রয়েছে বই পড়ার নেশা নিয়ে। তারপরও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার কিছু সহায়ক পদ্ধতি নিচে আলোচনা করলাম।
নিয়মিত বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিতে ঘুরতে যান
কত সময়ই তো আমরা অনর্থক নষ্ট করি। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে না হয় একটু সময় ব্যয় করে আপনার পাশের বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে ঢুঁ মারা। নিয়ম করে এসব জায়গার গেলে বইয়ের প্রতি একটা সহানুভূতি তৈরি হবে। নিয়মিত গেলে একদিন না একদিন কোনো একটি বই হয়তো আপনার নজর কাড়বে যা আপনি পড়তে এবং সংগ্রহ করতে চাইবেন। আর যদি সংগ্রহ এবং পড়া হয়েই যায় তাহলে তো হলোই। আপনার যাত্রা শুরু।
আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন
বই পড়ায় আগ্রহ আনতে হলে আগে জানতে হবে নিজের আগ্রহের জায়গা কোনটি। সে অনুযায়ী আপনি বই কিনতে পারেন কিংবা পাশের লাইব্রেরি থাকলে সেখান থেকে সংগ্রহও করতে পারেন। শুধু বই পড়া কেন? পৃথিবীর সকল কাজেই নিজ আগ্রহের জায়গায় থাকলে সবচেয়ে ভালোভাবে শুরু করা যায়। বই পড়ার ক্ষেত্রেও আপনার আগ্রহ আপনাকে প্রেরণা জোগাবে সব সময়।
যেমন আপনার হয়তো ইতিহাস কিংবা বিজ্ঞান ভালো লাগে, সে ক্ষেত্রে আপনি ইতিহাসের কিংবা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই সংগ্রহ করা এবং পড়া শুরু করতে পারেন। এভাবে আগে নির্ধারণ করুন কোন বিষয়ে আপনার অধিক আগ্রহ এবং এ জন্য ভাবুন সময় নিয়ে।
নিয়ম করে বই সংগ্রহ করা ও পড়া
নিয়মিত বুক স্টোর কিংবা পাবলিক লাইব্রেরিতে গেলে আপনার বইয়ের প্রতি একটা ভালোবাসা কাজ করবে নিঃসন্দেহে। আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা হয়ে গেলে এবার নিয়ম করে সে বিষয়ের ওপর বই সংগ্রহ করা শুরু করুন এবং আস্তে আস্তে পড়তে থাকুন।
বই সংগ্রহ করেই যে পড়া শুরু করে দিতে হবে এমন নয়, আপনার বিছানার পাশে বইগুলোকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে পারেন অথবা এমন কোন জায়গায় রাখতে পারেন যেখানে আপনার চোখ পড়ে সব সময়। যখন ইচ্ছে বই খুলে বসে যেতে পারেন এবং যতটুকু ইচ্ছে পড়ে ফেলতে পারেন। এভাবে বই দেখতে দেখতে এবং পড়তে গিয়ে আপনার অজান্তেই আপনার মধ্যে হয়তো গড়ে উঠতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
একবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে এর সঙ্গে আরও অনেকগুলো অভ্যাস আপনাআপনিই গড়ে উঠবে, যেমন ভ্রমণ, সিনেমা দেখা, ইন্টেলেকচুয়ালদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। বই পড়ার উপকার নিয়ে কথা বললে বোধ হয় শেষ হবে না। তার চেয়ে বরং আপনি নিজে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে দেখুন, এই জগৎ আপনাকে কতটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া, বই রিভিউ পড়া কিংবা বই পড়ে আপনার এমন কোনো বন্ধুর সঙ্গে বই নিয়ে আলোচনা করলে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।
বলে রাখা ভালো, সাধারণত শিশু-কিশোর বয়সেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ এই বয়সে তাদের মেজাজ খুবই ইতিবাচক এবং দুশ্চিন্তাহীন থাকে। তবে এমন নয় যে, এই বয়স পার করে আসলে বই পড়ার অভ্যাস আর গড়ে তোলা যাবে না। আপনার চেষ্টা আপনাকে পৃথিবীর বাইরেও নিয়ে যেতে পারে।
আরেকটি বিষয় বলা জরুরি, বর্তমানে বই পড়ুয়াদের বড় একটি অংশ কিন্ডল বুক কিংবা পিডিএফ বই পড়ার দিকে ঝুঁকেছেন। বইয়ের হার্ড কপি অনেকের ক্ষেত্রে কেনা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে অনেক ফ্রি পিডিএফ বইয়ের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে সহজেই বই ডাউনলোড করে পড়া যায়। তবে পিডিএফ পড়ে মূল বইয়ের আনন্দ কখনোই পাওয়া যায় না। তবে বই কিনতে বা সংগ্রহ করতে অপারগ হলে এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
সবশেষে, আপনার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা। মনের অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে আলোর মশাল জ্বালার একটিই রাস্তা–বই এবং বই।

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১৬ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৩ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন...
০৬ মে ২০২২
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৩ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন...
০৬ মে ২০২২
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১৬ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৩ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন...
০৬ মে ২০২২
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১৬ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন...
০৬ মে ২০২২
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
১৬ ঘণ্টা আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৩ দিন আগে