উপল বড়ুয়া, ঢাকা

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!
উপল বড়ুয়া, ঢাকা

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
গত মাসে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর ৬ থেকে ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এক মাসের ব্যবধানে তাঁদের ব্যাটে এমন মরচে ধরল, র্যাঙ্কিংয়েও হলো অবনমন। কানপুরে সর্বসাকল্যে দুই দিন হওয়া টেস্টে বাজেভাবে হেরে সাত নম্বরে গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশের পিঠ। তার সপ্তাহখানেক আগে গলে সিরিজ জেতা শ্রীলঙ্কাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে পাঁচে গিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।
সেখানেও বেশি দিন ঠাঁই হলো না শান্তদের। দুই ধাপ উঠে এক মাসের মধ্যে যেভাবে তিন ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ—এখন দেখার বিষয় বছর শেষে আর কত নামতে পারে। এই নামার জন্য কি কোনো তিরস্কারের ব্যবস্থা আছে? জিতলে যদি কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়, হারলে কেন ঠিক বিপরীত কোনো ব্যবস্থা থাকবে না? সব পেশাতেই ভালো কাজের পুরস্কার যেমন আছে, ব্যর্থতার তিরস্কারও আছে। তাহলে পেশাদার ক্রিকেটে কেন বাজেভাবে হারের পর থাকবে না?
গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার বোনাস তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ম্যাচ বা সিরিজ জিতলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য উইনিং বোনাস পাওয়া নতুন নয়। কিন্তু এত এত বোনাস-পুরস্কার দেওয়ার পরও যে শান্তদের উজ্জীবিত বা অনুপ্রাণিত করা যাচ্ছে না! তাতে জয়ের ধারাবাহিকতাও থাকছে না।
এই এক ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে বুক ফুল উঠে তো পরের দিনই সেই বিশ্বাসের বেলুন ফুটো হয়ে যায়! সমস্যাটা কোথায়, সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁরাও বোধ হয় সমস্যা ধরতে পারেননি। শান্ত-লিটনরাও নিজেরা কি তাঁদের সমস্যা ধরতে পেরেছেন? বা চেষ্টা করেছেন সমস্যা সমাধানের? নয়তো কানপুরে অমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং কেন! দেখে মনে হলো, যেন পাড়ার মাঠে ভরদুপুরে খেলতে আসা ছেলেকে মাছ মাখা ভাত খেতে মা ডাকতেই ব্যাটিং ছেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেছেন শান্ত-লিটনরা।
অথচ প্রতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যে আসুক, একটি মুখস্থ কথা বলতেই শোনা যায়, ‘এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার এত দিন পরও যেন সেই শিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না! অবশ্য শেখাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে হবে—‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই যে শিক্ষা’। বাংলাদেশের তবে আরেকটি শিক্ষাসফর (টেস্টে) শেষ হলো! প্রাপ্তি কী?
সেই হিসেব-নিকেশ না হয় আপনারাই করুন। তার আগে কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ দিনে এক সেশন বাকি থাকতেই যেভাবে হারল—সেই করুণ হার নিয়ে কিছু বলুন। আপনারা না বললেও সামাজিক মাধ্যমে বলতে ছাড়ছেন না ভারত দলের সমর্থকেরা। কানপুরে শেষ দিনে বাংলাদেশের ড্রয়ের চিন্তা করা নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো ট্রলই করছেন ভারতীয়রা। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের শিরোনামটা দেখুন, ‘৩০ ঘণ্টার টেস্ট ১৪ ঘণ্টায় জিতে নিল ভারত! দুই রবির স্পিনে ৭ উইকেটে হার বাংলাদেশের’। প্রতিপক্ষ হারলে জয়ী দলের সমর্থকেরা একটু মজা করবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটারকেই এখন চিন্তা করতে হবে, হাসির পাত্র হয়ে থাকবে নাকি একটু সিরিয়াস হয়ে উঠবে। এই সিরিয়াসনেস ব্যক্তিগত জীবনে নয়, দেখাতে হবে মাঠের লড়াইয়ে।
ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখনো বাকি আছে। এই সিরিজকে প্রতিশোধের মঞ্চ বানিয়ে জিততে পারলে হারানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবারও দেশে ফিরে শান্তরা ফুলেল শুভেচ্ছা পাবেন বৈক ! হ্যাঁ, ক্রিকেট শুধুই খেলা। খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু বেশির ভাগ দল যখন খেলায় হারের চেয়ে জয় পেতে বেশি উন্মুখ থাকে, সেখানে বাংলাদেশ না হয় একটু বেশিই হারল—এটা একটু নাহয় মেনেই নিন!

কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
৬ ঘণ্টা আগে
আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
৯ ঘণ্টা আগে
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
আগামী বছরের ২৭ মার্চ হবে ফিনালিসিমা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়বে স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামেই ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।
দীর্ঘদিন হিমাগারে থাকা ইউরো ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসে ২০২২ সালে। সেবার ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ২০২৪ সালেও কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখে তারা। একই বছর ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে স্পেন।
এর আগে প্রতিযোগিতাটি ‘আরতেমিও ফ্রাঙ্কি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৫ সালে উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে ফ্রান্স আর ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে হারিয়ে ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা। এবারের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লিওনেল মেসি ও লামিনে ইয়ামাল। সব ঠিক থাকলে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা।
স্পেন ও আর্জেন্টিনা এনিয় ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দুই দলই সমানভাবে ৬টি ম্যাচ জিতেছে।

কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
আগামী বছরের ২৭ মার্চ হবে ফিনালিসিমা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়বে স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামেই ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।
দীর্ঘদিন হিমাগারে থাকা ইউরো ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসে ২০২২ সালে। সেবার ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ২০২৪ সালেও কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখে তারা। একই বছর ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে স্পেন।
এর আগে প্রতিযোগিতাটি ‘আরতেমিও ফ্রাঙ্কি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৫ সালে উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে ফ্রান্স আর ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে হারিয়ে ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা। এবারের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লিওনেল মেসি ও লামিনে ইয়ামাল। সব ঠিক থাকলে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা।
স্পেন ও আর্জেন্টিনা এনিয় ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দুই দলই সমানভাবে ৬টি ম্যাচ জিতেছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
০১ অক্টোবর ২০২৪
আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
৯ ঘণ্টা আগে
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
গতকাল কোকাকোলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘কোকা-কোলার উদ্যোগে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার—মূল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাবেন।’
বিশ্ব ভ্রমণে ৩০টি দেশ, ১৫০ দিনে ৭৫টি স্থানে হাজির হবে বিশ্বকাপ ট্রফির মূল ট্রফি। যা স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে আসবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
গতকাল কোকাকোলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘কোকা-কোলার উদ্যোগে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার—মূল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাবেন।’
বিশ্ব ভ্রমণে ৩০টি দেশ, ১৫০ দিনে ৭৫টি স্থানে হাজির হবে বিশ্বকাপ ট্রফির মূল ট্রফি। যা স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে আসবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
০১ অক্টোবর ২০২৪
কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
৬ ঘণ্টা আগে
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
১০ ঘণ্টা আগে
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে শুরু হচ্ছে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) মূল ম্যাচের সূচি দিলেও প্রস্তুতি পর্বের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন দলের বিপক্ষে খেলে লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় যে যাঁর মতো সময়টা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে তাঁদের ব্যস্ত সময়। সিলেট পর্বে ১২তম বিপিএল শুরু হয়ে শেষটা হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। বিপিএল শেষ না হতেই লিটন, তানজিদ, তাসকিন আহমেদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বিশ্বকাপে। মূল পর্বে নামার আগে ঘরের মাঠে ক্যাম্প করবেন লিটনরা। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘‘বিপিএল শেষে দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে যাবে দল। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা।’
৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে বিপিএল থাকলেও মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে নিচ্ছি। বিপিএলে যেসব দলের ম্যাচ আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে উঠতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়—তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় নিয়ে আনতে চাই আমরা।’
বিপিএল শেষেই যেহেতু বিশ্বকাপের জন্য লিটন-তানজিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, সেজন্য তাঁদের ধকল কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল দেখভাল করবেন। জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে জিপিএসের মাধ্যমে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোনো ক্রিকেটার রেড জোনে থাকে, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে হবে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে শুরু হচ্ছে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) মূল ম্যাচের সূচি দিলেও প্রস্তুতি পর্বের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন দলের বিপক্ষে খেলে লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় যে যাঁর মতো সময়টা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে তাঁদের ব্যস্ত সময়। সিলেট পর্বে ১২তম বিপিএল শুরু হয়ে শেষটা হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। বিপিএল শেষ না হতেই লিটন, তানজিদ, তাসকিন আহমেদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বিশ্বকাপে। মূল পর্বে নামার আগে ঘরের মাঠে ক্যাম্প করবেন লিটনরা। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘‘বিপিএল শেষে দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে যাবে দল। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা।’
৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে বিপিএল থাকলেও মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে নিচ্ছি। বিপিএলে যেসব দলের ম্যাচ আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে উঠতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়—তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় নিয়ে আনতে চাই আমরা।’
বিপিএল শেষেই যেহেতু বিশ্বকাপের জন্য লিটন-তানজিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, সেজন্য তাঁদের ধকল কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল দেখভাল করবেন। জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে জিপিএসের মাধ্যমে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোনো ক্রিকেটার রেড জোনে থাকে, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে হবে।’

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
০১ অক্টোবর ২০২৪
কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
৬ ঘণ্টা আগে
আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
৯ ঘণ্টা আগে
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা মাঠ পর্যবেক্ষণ করেও ইতিবাচক কিছু না পাওয়ায় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন কেএন অনন্তপদ্মনবন, রোহান পন্ডিত এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বীরেন্দর শর্মা ও জয়ারামান মদনগোপাল। ম্যাচ শেষে জিওস্টারে ডেল স্টেইন বলেন, ‘কোনো এক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো লাগত। মাঝেমধ্যে শোনা গেছে, তাঁরা রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু আমি জানি না কোন নিয়ম নিয়ে তাঁরা ভাবছিলেন। তারা কী ভাবছিলেন আর কী মূল্যায়ন করছিলেন, সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি তাঁরা বারবার সামনে দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে এই ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা অবশ্যই জানতে চাইবেন।ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে শুধু খেলতে হবে। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কিছু নিয়মকানুন তো অবশ্যই আছে। এটা আমার জানা নেই।’
ম্যাচ কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে খেলা চালানোর মতো অবস্থা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন চলছে শীতকাল। ঘন কুয়াশা তাই বলে অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌর বায়ুর গুণগত সূচক (একিউআই) ৪০০-এর বেশি ছিল বলে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। বাজে আবহাওয়ার মধ্যেও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছিল না দেখে অসন্তুষ্ট ছিলেন রবিন উথাপ্পা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের টস করাই সম্ভব হয়নি।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা মাঠ পর্যবেক্ষণ করেও ইতিবাচক কিছু না পাওয়ায় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন কেএন অনন্তপদ্মনবন, রোহান পন্ডিত এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বীরেন্দর শর্মা ও জয়ারামান মদনগোপাল। ম্যাচ শেষে জিওস্টারে ডেল স্টেইন বলেন, ‘কোনো এক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো লাগত। মাঝেমধ্যে শোনা গেছে, তাঁরা রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু আমি জানি না কোন নিয়ম নিয়ে তাঁরা ভাবছিলেন। তারা কী ভাবছিলেন আর কী মূল্যায়ন করছিলেন, সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি তাঁরা বারবার সামনে দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে এই ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা অবশ্যই জানতে চাইবেন।ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে শুধু খেলতে হবে। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কিছু নিয়মকানুন তো অবশ্যই আছে। এটা আমার জানা নেই।’
ম্যাচ কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে খেলা চালানোর মতো অবস্থা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন চলছে শীতকাল। ঘন কুয়াশা তাই বলে অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌর বায়ুর গুণগত সূচক (একিউআই) ৪০০-এর বেশি ছিল বলে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। বাজে আবহাওয়ার মধ্যেও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছিল না দেখে অসন্তুষ্ট ছিলেন রবিন উথাপ্পা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের টস করাই সম্ভব হয়নি।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধাপ এগোয় তো পেছায় দুই ধাপ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
০১ অক্টোবর ২০২৪
কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।
৬ ঘণ্টা আগে
আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।
৯ ঘণ্টা আগে
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
১০ ঘণ্টা আগে