Ajker Patrika

চরম অস্থিরতার মধ্যেও মুখ ফেরায়নি পোশাক খাতের অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতা: জরিপ  

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ১১
চরম অস্থিরতার মধ্যেও মুখ ফেরায়নি পোশাক খাতের অধিকাংশ বিদেশি ক্রেতা: জরিপ  

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ক্রয়াদেশ বা বায়না বাতিল করেনি বিশ্বের অধিকাংশ পোশাক ক্রেতা। মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টারের (বিএইচআরআরসি) জরিপ অনুসারে, ২০টি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টি আন্তর্জাতিক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয় অব্যাহত রেখেছে। 

শীর্ষ ১৫ আন্তর্জাতিক ক্রেতার পাশাপাশি পাঁচটি স্ট্র্যাটেজিক কোম্পানির কাছে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে ২০টি ব্র্যান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানটি। এগুলোর মধ্যে ১১টি ব্র্যান্ড ও দুটি কোম্পানি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে সাতটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। 

এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এবং বিএইচআরআরসিকে জানিয়েছে, অস্থিরতার সময়ে বাংলাদেশে থেকে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করেনি তারা। ওই সময়ে কোনো ব্র্যান্ড বা কোম্পানি জরিমানাও করেনি কারখানার মালিকদের। আর একটি প্রতিষ্ঠান সব প্রশ্নের জবাব দিলেও স্থানান্তরসংক্রান্ত কোনো তথ্য দেয়নি। 

এসব ব্র্যান্ড হলো অ্যাডিডাস, আসডা, সিঅ্যান্ডএ, এইচঅ্যান্ডএম, ইনডিটেক্স, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, নেক্সট, পুমা, পিভিএইচ কর্প, টেসকো, প্রিমার্ক এবং ওয়ালমার্ট। 

কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে বাংলাদেশে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করছে, ক্রয়বাজারে দায়িত্বশীলতা বজায় রেখেছিল, সরবরাহকারী এবং ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্টস কর্মীদের সহায়তা করেছে, সে সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল বিএইচআরআরসি। 

জবাবে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড ক্রয়বাজারে দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রমিক কল্যাণের ওপর বিক্ষোভের প্রভাব সম্পর্কে তথ্য দিতে অনিচ্ছুক ছিল। তবে জরিপ করা ১৩টি ব্র্যান্ড জানিয়েছে, আন্দোলনের কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে তারা বিলম্বে পণ্য পৌঁছানোর জন্য জরিমানা আরোপ করেনি। 

রিসোর্স সেন্টার শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ওপর ব্র্যান্ডগুলোর নজরদারির পদ্ধতি এবং জুলাই-আগস্টে সময়মতো পূর্ণাঙ্গ মজুরি প্রদান সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছে। এতে দেখা গেছে, সাত ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান—গ্যাপ, পুমা, পিভিএইচ, প্রিমার্ক, টেসকো, নেক্সট এবং এইচঅ্যান্ডএম জুলাই মাসের পূর্ণ বেতন সময়মতো প্রদানের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। অপরদিকে অ্যাডিডাস, আসডা এবং এমঅ্যান্ডএস জুলাই-আগস্টের মজুরি দেওয়া নিয়ে রূপরেখা দিয়েছে। কিন্তু তারা নিশ্চিত করেনি, সময়মতো পূর্ণ মজুরি দেওয়া হয়েছে কি না। আর সিঅ্যান্ডএ, ইনডিটেক্স এবং ওয়ালমার্ট এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। 

আন্দোলনের সময় আসডা একটি বিকল্প সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স অফার করেছে। এমঅ্যান্ডএস নগদ প্রবাহের সমস্যাগুলো সহজ করার জন্য ভেন্ডর ফাইন্যান্স ও লেটার অব ক্রেডিটের মতো বিকল্প সুবিধা দিয়েছে। সিঅ্যান্ডএ সরবরাহকারীদের কম-সুদ বা বিনা সুদে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে এবং ডেলিভারির চ্যালেঞ্জগুলো প্রশমিত করতে বিমান চালানের খরচও দিয়েছে। 

প্রাইমার্ক সরবরাহকারীদের উৎপাদন ব্যাঘাত কাটিয়ে উঠতে উৎপাদন এবং ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেরিতে পণ্য সরবরাহের জন্য জরিমানাও করেনি এবং বিভিন্ন অনার্থিক সহায়তা দিয়েছে। 

পোশাকশিল্প বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, পরোক্ষ ক্ষতি আরও বেশি; কারণ, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। ব্যয়বহুল বিমান চালানের কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে ক্রেতারা। 

শ্রমিকদের ওপর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ওভারটাইম করানো হয়েছে। আর্থিক ক্ষতি পূরণ করতে বা অর্ডার বাতিল এড়াতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। কারখানায় পৌঁছানোর জন্য শ্রমিকদের পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং মজুরি না দেওয়া বা দেরিতেও দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বিএইচআরআরসিকে জানিয়েছিলেন, পণ্য সরবরাহে দেরি হওয়ার কারণে বেশ কিছু ব্র্যান্ড মূল্যছাড় দাবি করেছে, যা মিটিয়েছেন উৎপাদকেরা। যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। আবার সরবরাহের সময় ঠিক রাখার জন্য বাড়তি পরিবহন খরচ, জরুরিভাবে পণ্য পাঠানোর জন্য উচ্চ বিমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে উৎপাদকদের। অন্যদিকে কারখানার মালিকেরা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছেন, যাতে পণ্য সরবরাহে দেরির জন্য জরিমানা করা না হয়। 

ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘বড় ব্র্যান্ডগুলো খুবই কৌশলী। তারা ঘোষণা দিয়ে অর্ডার বাতিল করবে না। কাঁচামাল ক্রয়, উৎপাদন পর্যায় এবং চালানের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণেও দ্রুত অর্ডার বাতিল না হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বিমান চালানে ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক কারখানা সম্প্রতি সমস্যায় পড়েছে।’ 

তিনি বলেন, প্রতি কেজিতে বিমানভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬-৭ ডলার, এক মাস আগেও এটি মাত্র আড়াই ডলার ছিল। 

তিনি আরও বলেছেন, ‘গত মাসে অর্ডার প্লেসমেন্ট ধীরগতির ছিল। ছোট কারখানা থেকে ছোট ক্রেতারা বায়না বাতিল করায় এমনটি হতে পারে। একবার ছোট কারখানাগুলো কোনো ক্রেতা হারিয়ে ফেললে তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন।’ 

মজুরি বকেয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কিছু কারখানা এখনো মজুরি পরিশোধ করতে পারেনি; কারণ, তারা আকারে ছোট এবং নতুন ক্রয়াদেশ পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আর এখন কোনো ব্যাংকও ঋণসহায়তা দিচ্ছে না।’ 

বাংলাদেশের শিল্প পুলিশের সূত্রের বরাত দিয়ে বিএইচআরআরসি জানিয়েছে, তাদের আওতাধীন প্রায় ৭০টি কারখানা রয়েছে, যারা জুলাই মাসের মজুরি পরিশোধ করেনি। আর গত বুধবার পর্যন্ত আগস্টের মজুরি পরিশোধ করেনি ৯৩ শতাংশ কারখানা। 

আইপি সূত্র এবং শ্রমিকনেতাদের মতে, বেশির ভাগ শ্রমিক ২৯ আগস্ট থেকে মজুরি বকেয়া, উপস্থিতি, টিফিন, রাতের বিলসহ বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছেন। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তাঁরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি যুক্ত করেছেন। 

অন্যদিকে, কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে হওয়া ক্ষতি পোষাতে সরকারের কাছে এক বছরের জন্য ‘সফট লোন’ চেয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।

সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্‌যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।

আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এক ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৩
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।

এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।

রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।

করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।

আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আসামি গৃহকর্মী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত