ইলিয়াস শান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায় কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমে যা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা এমন অসন্তোষ থেকে তারা এবার অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ‘সাত কলেজ সংস্কার চাই’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে তারা কলেজগুলোর সমস্যার চিত্র তুলে ধরছেন। গ্রুপের কিছু কিছু পোস্টে দেখা গেছে, সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সমাধানের রোডম্যাপও উল্লেখ করছেন। সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী ওই গ্রুপে সরাসরি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, অধিভুক্তি বাতিলের পর সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রান্ত নামে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাবি নিজেদের অধিভুক্ত করলেও তারা সাত কলেজকে বিবেচনা করেছে সবসময়ই অর্থ উপর্জানের মাধ্যম হিসেবে। শিক্ষাগত মানোন্নয়ন তো ঘটেইনি, বরং নিত্য নতুন প্রতিবন্ধকতা আর ভুতুড়ে নিয়মনীতির ভেতর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কলেজগুলোতে। অধিভুক্তকরণের সাত বছরে এসে ঢাবির অর্জন বলতে বিস্তর বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না।’
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান অসন্তোষ নিয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অডিটোরিয়ামে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে কলেজটির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রান্ত বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে যখন বৈষম্যমুক্ত করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তখন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজেও সংস্কার প্রয়োজন। সাত সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সাত কলেজের সংস্কার’ বিষয়ক ওই মতবিনিময় সভায় সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উঠে আসে সাত কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতার কথা।’
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা কলেজগুলোকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে একমত হন।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাতটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, টেক্সটাইল এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ১৩৪টি কলেজের মতোই চলার কথা ছিল নতুন যুক্ত হওয়া অধিভুক্ত সাত কলেজের। অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের মতো নতুন সংযোজিত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট। তবে সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে অধিভুক্ত স্ব-স্ব কলেজের ও বিভাগের নাম। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে হল ও বিভাগের নাম উল্লেখ থাকে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্তির পরিচয় মিললেও বস্তুত তারা অধিকারহীন। তারা বৈষম্যের শিকার।
সাত কলেজে অসন্তোষ কী নিয়ে
ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় রয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরাসরি পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাচ্ছেন, সেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকই পাচ্ছেন না। ঢাবি শিক্ষার্থীরা গবেষণার অফুরন্ত সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাত কলেজে শ্রেণিকক্ষেরই তীব্র সংকট। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সাত কলেজের সুনির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই।
অসন্তোষের দীর্ঘ চিত্র তুলে ধরে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির ২০২২-২৩ সেশনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে হয়ত ফলও প্রকাশ হবে। অথচ সাত কলেজের ২২-২৩ সেশনের এখনো পরীক্ষায়ই হয়নি। প্রত্যেক সেশনের একই অবস্থা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সিলেবাস কভার করার মতো পর্যাপ্ত ক্লাস পায়নি। সাত কলেজে ক্লাস নেয় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষক। আর প্রশ্ন করেন ঢাবির পিএইচডির শিক্ষক, খাতাও তারা দেখেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যায়ন যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সাত কলেজে কোনোরকম পরীক্ষা হলেও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। বিগত বছরগুলোতে দেখা, গেছে ঢাবি ৬-৭ মাস পর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোয় চরম দৈন্যদশা অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস করার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই।
সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের প্রস্তাব
শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বড় বড় ৭টি কলেজ এবং আরও কিছু কলেজ নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বা পশ্চিমবাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে একটি collegiate university-তে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এই ৭টি কলেজের আরও কয়েকটি কলেজে নিয়ে এর একটিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন হিসাবে বানিয়ে বাকি কলেজগুলোকে এর অনুমোদিত কলেজে পরিণত করা। কলেজগুলোতে কেবল ৩-৪ বছরের অনার্স পড়াবে। সেখানে থাকবে না উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিগ্রি পাসকোর্স। এই অনুমোদিত কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মত।
শিক্ষকের যোগ্যতা ও কলেজগুলোর ডিগ্রি নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা হবে পিএইচডি। যেখানে এই অনুমোদিত কলেজের শিক্ষকদের সবারও ন্যূনতম পিএইচডি থাকা উচিত। ৪ বছরের অনার্সই হবে টার্মিনাল ডিগ্রি। এরপর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লিমিটেড সিটের জন্য ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাস্টার্সে ভর্তি হবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কেবল ৭ কলেজের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ক্যাম্পাসেই মাস্টার্স পড়ানো হবে।
তীব্র অসন্তোষ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশের উচ্চশিক্ষার সূচনালগ্নে অবদান রাখা সরকারি সাত কলেজ সংস্কারের অভিপ্রায়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি।’ আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। সরকারের পতনের সঙ্গে অন্যান্য খাতের মতো ভেঙে পড়েছে শিক্ষাখাতও। প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হয়েছে ভিসি-প্রোভিসি, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজে সে ধারাবাহিকতায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ঢাবির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের এক অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তারা এখনো চিঠি না পেলেও মুখে মুখে এ বৈঠকের কথা শুনেছেন। ঢাবির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রশাসন কী বলছে
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া না জানালেও পরে তিনি ক্ষুদেবার্তায় তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে আমাদের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। চাইলেই একেবারে সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য আলোচনা করতে হবে। দুপক্ষকে কথা বলতে হবে, পক্ষগুলোকে একে অপরের কথা শুনতে হবে। আমরা শুনেছি, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন, তারা তাদের কথাগুলো বলুক। আমরা তাদের কথা শুনতে চাই। এরপর প্রয়োজনে আমরা নিজেরা আবার আলোচনা করে সমস্যাগুলোর কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায় কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমে যা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা এমন অসন্তোষ থেকে তারা এবার অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ‘সাত কলেজ সংস্কার চাই’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে তারা কলেজগুলোর সমস্যার চিত্র তুলে ধরছেন। গ্রুপের কিছু কিছু পোস্টে দেখা গেছে, সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সমাধানের রোডম্যাপও উল্লেখ করছেন। সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী ওই গ্রুপে সরাসরি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, অধিভুক্তি বাতিলের পর সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রান্ত নামে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাবি নিজেদের অধিভুক্ত করলেও তারা সাত কলেজকে বিবেচনা করেছে সবসময়ই অর্থ উপর্জানের মাধ্যম হিসেবে। শিক্ষাগত মানোন্নয়ন তো ঘটেইনি, বরং নিত্য নতুন প্রতিবন্ধকতা আর ভুতুড়ে নিয়মনীতির ভেতর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কলেজগুলোতে। অধিভুক্তকরণের সাত বছরে এসে ঢাবির অর্জন বলতে বিস্তর বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না।’
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান অসন্তোষ নিয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অডিটোরিয়ামে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে কলেজটির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রান্ত বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে যখন বৈষম্যমুক্ত করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তখন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজেও সংস্কার প্রয়োজন। সাত সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সাত কলেজের সংস্কার’ বিষয়ক ওই মতবিনিময় সভায় সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উঠে আসে সাত কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতার কথা।’
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা কলেজগুলোকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে একমত হন।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাতটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, টেক্সটাইল এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ১৩৪টি কলেজের মতোই চলার কথা ছিল নতুন যুক্ত হওয়া অধিভুক্ত সাত কলেজের। অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের মতো নতুন সংযোজিত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট। তবে সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে অধিভুক্ত স্ব-স্ব কলেজের ও বিভাগের নাম। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে হল ও বিভাগের নাম উল্লেখ থাকে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্তির পরিচয় মিললেও বস্তুত তারা অধিকারহীন। তারা বৈষম্যের শিকার।
সাত কলেজে অসন্তোষ কী নিয়ে
ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় রয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরাসরি পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাচ্ছেন, সেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকই পাচ্ছেন না। ঢাবি শিক্ষার্থীরা গবেষণার অফুরন্ত সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাত কলেজে শ্রেণিকক্ষেরই তীব্র সংকট। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সাত কলেজের সুনির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই।
অসন্তোষের দীর্ঘ চিত্র তুলে ধরে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির ২০২২-২৩ সেশনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে হয়ত ফলও প্রকাশ হবে। অথচ সাত কলেজের ২২-২৩ সেশনের এখনো পরীক্ষায়ই হয়নি। প্রত্যেক সেশনের একই অবস্থা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সিলেবাস কভার করার মতো পর্যাপ্ত ক্লাস পায়নি। সাত কলেজে ক্লাস নেয় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষক। আর প্রশ্ন করেন ঢাবির পিএইচডির শিক্ষক, খাতাও তারা দেখেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যায়ন যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সাত কলেজে কোনোরকম পরীক্ষা হলেও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। বিগত বছরগুলোতে দেখা, গেছে ঢাবি ৬-৭ মাস পর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোয় চরম দৈন্যদশা অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস করার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই।
সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের প্রস্তাব
শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বড় বড় ৭টি কলেজ এবং আরও কিছু কলেজ নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বা পশ্চিমবাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে একটি collegiate university-তে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এই ৭টি কলেজের আরও কয়েকটি কলেজে নিয়ে এর একটিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন হিসাবে বানিয়ে বাকি কলেজগুলোকে এর অনুমোদিত কলেজে পরিণত করা। কলেজগুলোতে কেবল ৩-৪ বছরের অনার্স পড়াবে। সেখানে থাকবে না উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিগ্রি পাসকোর্স। এই অনুমোদিত কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মত।
শিক্ষকের যোগ্যতা ও কলেজগুলোর ডিগ্রি নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা হবে পিএইচডি। যেখানে এই অনুমোদিত কলেজের শিক্ষকদের সবারও ন্যূনতম পিএইচডি থাকা উচিত। ৪ বছরের অনার্সই হবে টার্মিনাল ডিগ্রি। এরপর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লিমিটেড সিটের জন্য ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাস্টার্সে ভর্তি হবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কেবল ৭ কলেজের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ক্যাম্পাসেই মাস্টার্স পড়ানো হবে।
তীব্র অসন্তোষ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশের উচ্চশিক্ষার সূচনালগ্নে অবদান রাখা সরকারি সাত কলেজ সংস্কারের অভিপ্রায়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি।’ আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। সরকারের পতনের সঙ্গে অন্যান্য খাতের মতো ভেঙে পড়েছে শিক্ষাখাতও। প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হয়েছে ভিসি-প্রোভিসি, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজে সে ধারাবাহিকতায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ঢাবির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের এক অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তারা এখনো চিঠি না পেলেও মুখে মুখে এ বৈঠকের কথা শুনেছেন। ঢাবির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রশাসন কী বলছে
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া না জানালেও পরে তিনি ক্ষুদেবার্তায় তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে আমাদের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। চাইলেই একেবারে সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য আলোচনা করতে হবে। দুপক্ষকে কথা বলতে হবে, পক্ষগুলোকে একে অপরের কথা শুনতে হবে। আমরা শুনেছি, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন, তারা তাদের কথাগুলো বলুক। আমরা তাদের কথা শুনতে চাই। এরপর প্রয়োজনে আমরা নিজেরা আবার আলোচনা করে সমস্যাগুলোর কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করবো।

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা...
১০ ঘণ্টা আগে
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘গুরুত্বসহকারে একটি কথা উল্লেখ করছি। আমরা সবাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি চাই। আমরা কেউই তার বিরোধিতা করছি না। আমরা বিরোধিতা করছি স্কুলিং কাঠামোর।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষকেরা ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সাতটি কলেজের দেড় হাজার পদ ক্যাডারের বাইরে চলে যাবে বলে শঙ্কায় আছেন। পদ খালি থাকার শর্তে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষা ক্যাডারে দেড় হাজার পদ একেবার বের হয়ে গেলে পদোন্নতি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
নতুন হতে যাওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে যখন এমন পরিস্থিতি, তখন অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জনের বার্তা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও মন্ত্রণালয় বলছে, অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা ‘সময়সাপেক্ষ’।
অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবনাগুলোর সমালোচনা করে সানজিদা আক্তার বলেন, খসড়ায় উল্লেখ ছিল রাজধানীর স্বনামধন্য সাতটি কলেজের স্বতন্ত্র অবস্থা বিলীন করে দিয়ে একেকটি কলেজকে একটি একটি করে স্কুল তৈরি করে দেওয়া হবে এবং কলেজগুলোর বিভাগ সংখ্যা হ্রাস করা হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষা তুলে নেওয়া হবে। অর্থাৎ কলেজগুলোকে করা হবে হাইব্রিড সিস্টেমের কলেজ।
সানজিদা আক্তার আরও বলেন, ‘খসড়ার বিরুদ্ধে তিতুমীরসহ অন্য ছয়টি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আমরা কৃতিত্বের সঙ্গে প্রমাণ করে এসেছি, আমরা স্কুলিং কাঠামো মেনে নেব না এবং এই স্কুলিং কাঠামোর বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এতে করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়াটি আটকে যায়। পরে শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রতিটি কলেজের স্ব্যতন্ত্র্য রক্ষার, বিভাগ সংখ্যা না কমানো এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা না কমানোর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।’
সাতটি কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই চাই তিতুমীরসহ বাকি ৬টি কলেজকে স্বতন্ত্র অবস্থায় রেখে আপনারা নতুন কাঠামো প্রণয়ন করে ২৪-২৫ সেশনকে দ্রুত থেকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’
তিনি পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো তিতুমীর কলেজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা, কলেজের কোনো বিভাগ বিলুপ্ত না করা, শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস না করা, তিতুমীর কলেজের একাডেমিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশটি বাতিল, নিরপেক্ষ এবং বাস্তব জ্ঞানসম্পূর্ণ শিক্ষাবিদ ও অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রূপরেখা তৈরি।

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘গুরুত্বসহকারে একটি কথা উল্লেখ করছি। আমরা সবাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি চাই। আমরা কেউই তার বিরোধিতা করছি না। আমরা বিরোধিতা করছি স্কুলিং কাঠামোর।’
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষকেরা ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সাতটি কলেজের দেড় হাজার পদ ক্যাডারের বাইরে চলে যাবে বলে শঙ্কায় আছেন। পদ খালি থাকার শর্তে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষা ক্যাডারে দেড় হাজার পদ একেবার বের হয়ে গেলে পদোন্নতি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
নতুন হতে যাওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে যখন এমন পরিস্থিতি, তখন অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জনের বার্তা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও মন্ত্রণালয় বলছে, অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা ‘সময়সাপেক্ষ’।
অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবনাগুলোর সমালোচনা করে সানজিদা আক্তার বলেন, খসড়ায় উল্লেখ ছিল রাজধানীর স্বনামধন্য সাতটি কলেজের স্বতন্ত্র অবস্থা বিলীন করে দিয়ে একেকটি কলেজকে একটি একটি করে স্কুল তৈরি করে দেওয়া হবে এবং কলেজগুলোর বিভাগ সংখ্যা হ্রাস করা হবে এবং ধর্মীয় শিক্ষা তুলে নেওয়া হবে। অর্থাৎ কলেজগুলোকে করা হবে হাইব্রিড সিস্টেমের কলেজ।
সানজিদা আক্তার আরও বলেন, ‘খসড়ার বিরুদ্ধে তিতুমীরসহ অন্য ছয়টি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আমরা কৃতিত্বের সঙ্গে প্রমাণ করে এসেছি, আমরা স্কুলিং কাঠামো মেনে নেব না এবং এই স্কুলিং কাঠামোর বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এতে করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়াটি আটকে যায়। পরে শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রতিটি কলেজের স্ব্যতন্ত্র্য রক্ষার, বিভাগ সংখ্যা না কমানো এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা না কমানোর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।’
সাতটি কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই চাই তিতুমীরসহ বাকি ৬টি কলেজকে স্বতন্ত্র অবস্থায় রেখে আপনারা নতুন কাঠামো প্রণয়ন করে ২৪-২৫ সেশনকে দ্রুত থেকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।’
তিনি পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো তিতুমীর কলেজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা, কলেজের কোনো বিভাগ বিলুপ্ত না করা, শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস না করা, তিতুমীর কলেজের একাডেমিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশটি বাতিল, নিরপেক্ষ এবং বাস্তব জ্ঞানসম্পূর্ণ শিক্ষাবিদ ও অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রূপরেখা তৈরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা...
১০ ঘণ্টা আগে
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেসামিহা সিরাজী লাজ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা সবার জন্যই ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অন্যান্য অংশের পাশাপাশি লিখিত অংশে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলা
পাঠ্যবইয়ের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দাও (বিশেষত, কবি পরিচিতি, সাল, জন্মতারিখ, শব্দের অর্থ, লেখকের নাটক, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ)। বাংলায় মুখস্থ অংশের ওপর নজর দাও। সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা—এগুলোয় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সলভ করো বেশি পরিমাণে। দৈনিক রুটিন মেনে পড়ার পাশাপাশি বিগত বছরের বাংলা প্রশ্নমালা এবং টপিকগুলো যাচাই করে নিতে পার।
বহুনির্বাচনী প্রশ্নের পাশাপাশি লিখিত বাংলা অংশে ভালো করতে বাসায় লেখার এবং সময়মাফিক লেখা শেষ করার গুরুত্ব অপরিসীম, যা তোমাকে ভর্তিযুদ্ধে বাকিদের থেকে বহুগুণ এগিয়ে রাখবে। প্রচলিত গাইডবই থেকে বেরিয়ে সৃজশীলতা কাজে লাগাও। প্রতিদিন লেখার চর্চা অব্যাহত রাখতে পার; অনলাইন-অফলাইন বিভিন্ন কোচিংয়ে শেষ সময়ের পরীক্ষা এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
ইংরেজি
পাঠ্যবইয়ে প্রতি চ্যাপ্টারের সব টপিকের ওপর গুরুত্ব দাও। সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাঠ্যবই ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে। গ্রামার অংশের জন্য ভালো মানের বই থেকে প্রশ্ন সলভ করো। মুখস্থ অংশের রিভিশন প্রতিদিন দিতে হবে। এ ছাড়াও, সামারি রাইটিং, থিম রাইটিং, কবিতার ভাবার্থ—এগুলো লেখার অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ।
লিখিত ইংরেজি অংশের জন্য ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় পার্ট বরাবরই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন সময় মেনে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং প্র্যাকটিস করা জরুরি। সমসাময়িক যেকোনো বিষয়ের ওপর প্যারাগ্রাফ, বাক্যগঠন শিখতে হবে। সময়মতো লেখা শেষ করা এবং সহজ-সাবলীল লেখা পরীক্ষার খাতায় মার্ক বেশি পাওয়ার হাতিয়ার।
সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানের (ইতিহাস, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল, রাজনীতি, খেলাধুলা, সমসাময়িক, নোবেল পুরস্কার, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, দেশ-বিদেশের অ্যাওয়ার্ড, জুলাই অভ্যুত্থান) বিভিন্ন টপিকের মধ্যে এ বছরের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর ওপর পূর্ণ মনোযোগ দাও। দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জনপদ, পটভূমি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠন, কার্যাবলি, চুক্তি, প্রণালি, সভ্যতা, মহাদেশ, নদ-নদী—এগুলো শেষ সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি এটুকু মনে রাখতে হবে, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনাই পারে তোমাদেরকে আকাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে। সামান্য ভুল তোমাকে নিয়ে যেতে পারে শত শত পরীক্ষার্থীদের পেছনে। তাই সময় নিয়ে পরীক্ষার জন্য বের হও, আগের রাতে প্রবেশপত্রসহ দরকারি সবকিছু গুছিয়ে রাখ, নিজেকে সুস্থ রাখ এবং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকে করো আরও শাণিত ও সুশৃঙ্খল। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পূর্ণ উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাও।
এক্সাম হলে ঘড়ির দিকে লক্ষ রেখ, সঠিক বিষয়ে প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করো। বিজয়ের গৌরবে তোমাদের সবার সঙ্গে দেখা হোক ঢাবির এই বিশাল ক্যাম্পাসে—শুভকামনা রইল তোমাদের জন্য।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা সবার জন্যই ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অন্যান্য অংশের পাশাপাশি লিখিত অংশে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলা
পাঠ্যবইয়ের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দাও (বিশেষত, কবি পরিচিতি, সাল, জন্মতারিখ, শব্দের অর্থ, লেখকের নাটক, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ)। বাংলায় মুখস্থ অংশের ওপর নজর দাও। সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা—এগুলোয় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সলভ করো বেশি পরিমাণে। দৈনিক রুটিন মেনে পড়ার পাশাপাশি বিগত বছরের বাংলা প্রশ্নমালা এবং টপিকগুলো যাচাই করে নিতে পার।
বহুনির্বাচনী প্রশ্নের পাশাপাশি লিখিত বাংলা অংশে ভালো করতে বাসায় লেখার এবং সময়মাফিক লেখা শেষ করার গুরুত্ব অপরিসীম, যা তোমাকে ভর্তিযুদ্ধে বাকিদের থেকে বহুগুণ এগিয়ে রাখবে। প্রচলিত গাইডবই থেকে বেরিয়ে সৃজশীলতা কাজে লাগাও। প্রতিদিন লেখার চর্চা অব্যাহত রাখতে পার; অনলাইন-অফলাইন বিভিন্ন কোচিংয়ে শেষ সময়ের পরীক্ষা এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
ইংরেজি
পাঠ্যবইয়ে প্রতি চ্যাপ্টারের সব টপিকের ওপর গুরুত্ব দাও। সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাঠ্যবই ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে। গ্রামার অংশের জন্য ভালো মানের বই থেকে প্রশ্ন সলভ করো। মুখস্থ অংশের রিভিশন প্রতিদিন দিতে হবে। এ ছাড়াও, সামারি রাইটিং, থিম রাইটিং, কবিতার ভাবার্থ—এগুলো লেখার অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ।
লিখিত ইংরেজি অংশের জন্য ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় পার্ট বরাবরই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন সময় মেনে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং প্র্যাকটিস করা জরুরি। সমসাময়িক যেকোনো বিষয়ের ওপর প্যারাগ্রাফ, বাক্যগঠন শিখতে হবে। সময়মতো লেখা শেষ করা এবং সহজ-সাবলীল লেখা পরীক্ষার খাতায় মার্ক বেশি পাওয়ার হাতিয়ার।
সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানের (ইতিহাস, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল, রাজনীতি, খেলাধুলা, সমসাময়িক, নোবেল পুরস্কার, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, দেশ-বিদেশের অ্যাওয়ার্ড, জুলাই অভ্যুত্থান) বিভিন্ন টপিকের মধ্যে এ বছরের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর ওপর পূর্ণ মনোযোগ দাও। দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জনপদ, পটভূমি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠন, কার্যাবলি, চুক্তি, প্রণালি, সভ্যতা, মহাদেশ, নদ-নদী—এগুলো শেষ সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি এটুকু মনে রাখতে হবে, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনাই পারে তোমাদেরকে আকাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে। সামান্য ভুল তোমাকে নিয়ে যেতে পারে শত শত পরীক্ষার্থীদের পেছনে। তাই সময় নিয়ে পরীক্ষার জন্য বের হও, আগের রাতে প্রবেশপত্রসহ দরকারি সবকিছু গুছিয়ে রাখ, নিজেকে সুস্থ রাখ এবং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকে করো আরও শাণিত ও সুশৃঙ্খল। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পূর্ণ উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যাও।
এক্সাম হলে ঘড়ির দিকে লক্ষ রেখ, সঠিক বিষয়ে প্রশ্নের বৃত্ত ভরাট করো। বিজয়ের গৌরবে তোমাদের সবার সঙ্গে দেখা হোক ঢাবির এই বিশাল ক্যাম্পাসে—শুভকামনা রইল তোমাদের জন্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তিটি ২০২৬ সালের জন্য প্রযোজ্য।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা কাতারের রাজধানী দোহার উত্তরাংশে অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আধুনিক গবেষণাগার, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুতই বিশ্বের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কোর্সের সম্পূর্ণ টিউশন ফি থেকে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা, পাঠ্যবইয়ের ফি মওকুফ এবং বছরে একবার দেশে যাতায়াতের রাউন্ড-ট্রিপ বিমান টিকিটের সুবিধা পাবেন। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বৃত্তি চালু রয়েছে। পাশাপাশি নন-কম্পিটিটিভ বৃত্তির আওতায় রয়েছে জিসিসি রাষ্ট্রগুলোর দূতাবাস বৃত্তি, জিসিসি কাতারি সার্টিফিকেট স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতার শর্ত তুলনামূলকভাবে সহজ। এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে জাতীয়তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আবেদনকারীর অবশ্যই স্বীকৃত কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এমন যোগ্যতাসম্পন্ন বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত।
পিএইচডিতে আবেদনের যোগ্যতা
পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য কাতার বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট ও মানসম্পন্ন ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে। আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা তার ঊর্ধ্বতন ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ-৩ থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত সব পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য জিআরই, জিম্যাটের মতো আন্তর্জাতিক মানের মানসম্মত টেস্ট স্কোর বাধ্যতামূলক।
স্নাতকোত্তরে আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রেও কাতার বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করেছে সুস্পষ্ট ও প্রতিযোগিতামূলক কিছু শর্ত। আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা তার ঊর্ধ্বতন ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং ন্যূনতম সিজিপিএ-২.৮ থাকতে হবে। তবে বিভাগ ও কলেজভেদে ভিন্ন ভিন্ন অতিরিক্ত যোগ্যতা ও শর্ত থাকতে পারে, যা প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট অনুষদ বা বিভাগের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার পরিসর বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, কলেজ অব এডুকেশন, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব ল, কলেজ অব মেডিসিন, কলেজ অব ফার্মেসি, কলেজ অব শরিয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেসের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাধিক অনুষদ।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বৃত্তিটি ২০২৬ সালের জন্য প্রযোজ্য।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা কাতারের রাজধানী দোহার উত্তরাংশে অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আধুনিক গবেষণাগার, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুতই বিশ্বের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা কোর্সের সম্পূর্ণ টিউশন ফি থেকে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা, পাঠ্যবইয়ের ফি মওকুফ এবং বছরে একবার দেশে যাতায়াতের রাউন্ড-ট্রিপ বিমান টিকিটের সুবিধা পাবেন। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বৃত্তি চালু রয়েছে। পাশাপাশি নন-কম্পিটিটিভ বৃত্তির আওতায় রয়েছে জিসিসি রাষ্ট্রগুলোর দূতাবাস বৃত্তি, জিসিসি কাতারি সার্টিফিকেট স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত যোগ্যতার শর্ত তুলনামূলকভাবে সহজ। এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে জাতীয়তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আবেদনকারীর অবশ্যই স্বীকৃত কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এমন যোগ্যতাসম্পন্ন বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত।
পিএইচডিতে আবেদনের যোগ্যতা
পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য কাতার বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট ও মানসম্পন্ন ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে। আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা তার ঊর্ধ্বতন ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ-৩ থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত সব পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য জিআরই, জিম্যাটের মতো আন্তর্জাতিক মানের মানসম্মত টেস্ট স্কোর বাধ্যতামূলক।
স্নাতকোত্তরে আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রেও কাতার বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করেছে সুস্পষ্ট ও প্রতিযোগিতামূলক কিছু শর্ত। আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা তার ঊর্ধ্বতন ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং ন্যূনতম সিজিপিএ-২.৮ থাকতে হবে। তবে বিভাগ ও কলেজভেদে ভিন্ন ভিন্ন অতিরিক্ত যোগ্যতা ও শর্ত থাকতে পারে, যা প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট অনুষদ বা বিভাগের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার পরিসর বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, কলেজ অব এডুকেশন, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব ল, কলেজ অব মেডিসিন, কলেজ অব ফার্মেসি, কলেজ অব শরিয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেসের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাধিক অনুষদ।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা...
১০ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দুটি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তিন নেতাসহ ৪৩ সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা হয়রানিমূলক বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, রেওয়াজ না থাকলেও হয়রানি করতে নিজ জেলার বাইরে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৩ সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
খায়রুন নাহার বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ (কারণ দর্শানো) ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে। কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না, তাঁদেরও বদলি করা হয়েছে।’
দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দেওয়া আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অনুসারীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। এর আগে সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন।
১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। পাশাপাশি তাঁরা আগামীকাল রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দুটি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক নেতারা জানান, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তিন নেতাসহ ৪৩ সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা হয়রানিমূলক বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, রেওয়াজ না থাকলেও হয়রানি করতে নিজ জেলার বাইরে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৩ সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
খায়রুন নাহার বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ (কারণ দর্শানো) ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে। কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না, তাঁদেরও বদলি করা হয়েছে।’
দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দেওয়া আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অনুসারীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। এর আগে সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন।
১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ। একই সঙ্গে কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি তাদের। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুনদের কলতানে মুখর হবে ঢাবি। প্রিয় ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে ভর্তি-ইচ্ছুকদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। তবে যার যতটুকুই প্রস্তুতি হয়েছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটা...
১০ ঘণ্টা আগে
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কোর্স ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে