
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল, যারা মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান ভারতের প্রতি। তিনি বলেন, গত দশকে বাংলাদেশে যে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলোই জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ এবং ভারত এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘সক্রিয়’ ভূমিকা পালন করেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ইকোসিস্টেমটি এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে যে হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাবে। হাসিনা না থাকলে ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ভারতকে এই ইকোসিস্টেম ও মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাউথ ব্লকের জেগে ওঠে নতুন পরিস্থিতি উপলব্ধি করা উচিত।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের শেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশ যে রক্তপাত ঘটেছে, তা পুরোপুরি এড়ানো যেত—যদি চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো।’ যে দ্রুততার সঙ্গে ভারত জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন এবং সেই নির্বাচনকে ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেন।
বিএনপি ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিএনপির দাবি এবং তা পূরণ না করতে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অচলাবস্থার তৈরি করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায়। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে লবিং করেন এবং তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন—যেখানে সবাই জানত যে এই নির্বাচন হবে বানোয়াট এবং এতে চুরি করা হবে—এমন পরিস্থিতিতে (ভারতকে) আমরা সক্ষমকারী (এনাব্লার) না বলে আর কী বলতে পারি? তিনি (সুজাতা সিং) এরশাদকে—যিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন—প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা পছন্দ করেনি।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভারত ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমি আমার কথাগুলোকে মোটেও খাটো করে বলছি না।’ এ সময় তিনি বলেন, এই তিনটি নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর খোলামেলা মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘কঠিন বাস্তবতা’।
আমীর খসরু আরও স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তিনি যে ইকোসিস্টেমকে দোষারোপ করেছিলেন, যা একদল শক্তিশালী আমলা, অবসরপ্রাপ্ত কূটনৈতিক যারা নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা এই ইকোসিস্টেম থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবানও হলেও বাংলাদেশের মানসিকতা বোঝার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলাকালে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন আমীর খসরু। এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতে আত্মসমালোচনা শুরু হয়েছে বলে যে বিষয়টি তিনি শুনতে পেয়েছেন, তা সন্তোষজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল, যারা মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান ভারতের প্রতি। তিনি বলেন, গত দশকে বাংলাদেশে যে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলোই জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ এবং ভারত এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘সক্রিয়’ ভূমিকা পালন করেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ইকোসিস্টেমটি এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে যে হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাবে। হাসিনা না থাকলে ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ভারতকে এই ইকোসিস্টেম ও মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাউথ ব্লকের জেগে ওঠে নতুন পরিস্থিতি উপলব্ধি করা উচিত।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের শেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশ যে রক্তপাত ঘটেছে, তা পুরোপুরি এড়ানো যেত—যদি চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো।’ যে দ্রুততার সঙ্গে ভারত জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন এবং সেই নির্বাচনকে ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেন।
বিএনপি ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিএনপির দাবি এবং তা পূরণ না করতে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অচলাবস্থার তৈরি করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায়। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে লবিং করেন এবং তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন—যেখানে সবাই জানত যে এই নির্বাচন হবে বানোয়াট এবং এতে চুরি করা হবে—এমন পরিস্থিতিতে (ভারতকে) আমরা সক্ষমকারী (এনাব্লার) না বলে আর কী বলতে পারি? তিনি (সুজাতা সিং) এরশাদকে—যিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন—প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা পছন্দ করেনি।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভারত ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমি আমার কথাগুলোকে মোটেও খাটো করে বলছি না।’ এ সময় তিনি বলেন, এই তিনটি নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর খোলামেলা মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘কঠিন বাস্তবতা’।
আমীর খসরু আরও স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তিনি যে ইকোসিস্টেমকে দোষারোপ করেছিলেন, যা একদল শক্তিশালী আমলা, অবসরপ্রাপ্ত কূটনৈতিক যারা নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা এই ইকোসিস্টেম থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবানও হলেও বাংলাদেশের মানসিকতা বোঝার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলাকালে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন আমীর খসরু। এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতে আত্মসমালোচনা শুরু হয়েছে বলে যে বিষয়টি তিনি শুনতে পেয়েছেন, তা সন্তোষজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল, যারা মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান ভারতের প্রতি। তিনি বলেন, গত দশকে বাংলাদেশে যে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলোই জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ এবং ভারত এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘সক্রিয়’ ভূমিকা পালন করেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ইকোসিস্টেমটি এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে যে হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাবে। হাসিনা না থাকলে ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ভারতকে এই ইকোসিস্টেম ও মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাউথ ব্লকের জেগে ওঠে নতুন পরিস্থিতি উপলব্ধি করা উচিত।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের শেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশ যে রক্তপাত ঘটেছে, তা পুরোপুরি এড়ানো যেত—যদি চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো।’ যে দ্রুততার সঙ্গে ভারত জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন এবং সেই নির্বাচনকে ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেন।
বিএনপি ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিএনপির দাবি এবং তা পূরণ না করতে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অচলাবস্থার তৈরি করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায়। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে লবিং করেন এবং তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন—যেখানে সবাই জানত যে এই নির্বাচন হবে বানোয়াট এবং এতে চুরি করা হবে—এমন পরিস্থিতিতে (ভারতকে) আমরা সক্ষমকারী (এনাব্লার) না বলে আর কী বলতে পারি? তিনি (সুজাতা সিং) এরশাদকে—যিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন—প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা পছন্দ করেনি।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভারত ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমি আমার কথাগুলোকে মোটেও খাটো করে বলছি না।’ এ সময় তিনি বলেন, এই তিনটি নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর খোলামেলা মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘কঠিন বাস্তবতা’।
আমীর খসরু আরও স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তিনি যে ইকোসিস্টেমকে দোষারোপ করেছিলেন, যা একদল শক্তিশালী আমলা, অবসরপ্রাপ্ত কূটনৈতিক যারা নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা এই ইকোসিস্টেম থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবানও হলেও বাংলাদেশের মানসিকতা বোঝার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলাকালে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন আমীর খসরু। এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতে আত্মসমালোচনা শুরু হয়েছে বলে যে বিষয়টি তিনি শুনতে পেয়েছেন, তা সন্তোষজনক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল, যারা মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার আহ্বান জানান ভারতের প্রতি। তিনি বলেন, গত দশকে বাংলাদেশে যে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবগুলোই জালিয়াতিতে পরিপূর্ণ এবং ভারত এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ‘সক্রিয়’ ভূমিকা পালন করেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ইকোসিস্টেমটি এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে যে হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাবে। হাসিনা না থাকলে ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ভারতকে এই ইকোসিস্টেম ও মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাউথ ব্লকের জেগে ওঠে নতুন পরিস্থিতি উপলব্ধি করা উচিত।’ এ সময় বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের শেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশ যে রক্তপাত ঘটেছে, তা পুরোপুরি এড়ানো যেত—যদি চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতো।’ যে দ্রুততার সঙ্গে ভারত জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাতে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন এবং সেই নির্বাচনকে ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতিপূর্ণ’ বলে আখ্যা দেন।
বিএনপি ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যায়। অবশ্য এর আগে থেকেই দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিএনপির দাবি এবং তা পূরণ না করতে আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অচলাবস্থার তৈরি করে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায়। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনও বয়কট করে বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় এসে শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে লবিং করেন এবং তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন—যেখানে সবাই জানত যে এই নির্বাচন হবে বানোয়াট এবং এতে চুরি করা হবে—এমন পরিস্থিতিতে (ভারতকে) আমরা সক্ষমকারী (এনাব্লার) না বলে আর কী বলতে পারি? তিনি (সুজাতা সিং) এরশাদকে—যিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন—প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করে ২০১৪ সালের নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা পছন্দ করেনি।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভারত ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে বারবার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমি আমার কথাগুলোকে মোটেও খাটো করে বলছি না।’ এ সময় তিনি বলেন, এই তিনটি নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর খোলামেলা মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘কঠিন বাস্তবতা’।
আমীর খসরু আরও স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তিনি যে ইকোসিস্টেমকে দোষারোপ করেছিলেন, যা একদল শক্তিশালী আমলা, অবসরপ্রাপ্ত কূটনৈতিক যারা নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা এই ইকোসিস্টেম থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবানও হলেও বাংলাদেশের মানসিকতা বোঝার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলাকালে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন আমীর খসরু। এ সময় তিনি জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতে আত্মসমালোচনা শুরু হয়েছে বলে যে বিষয়টি তিনি শুনতে পেয়েছেন, তা সন্তোষজনক।

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
গতকাল জুমার নামাজের পর শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এরপর বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিলেও তা বাতিল করে এনসিপি অফিসের সামনে ছোট পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এনসিপির নেতারা বলছেন, ওসমান হাদির হত্যা এবং ধর্মকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হওয়া এড়াতেই দুটি কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যেসব হামলা হয়েছে, তাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। আরেকটি বিষয় হলো, কাল (শনিবার) ওসমান হাদির জানাজা হবে। তখন জনগণ যদি রাস্তায় নামে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু এটাকে বিভিন্ন দূতাবাসে হামলার কথা বলা হচ্ছে, আমরা এটার পক্ষে না। কারণ, দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এনসিপি। তবে সেটা হবে অহিংস আন্দোলন। কোনো সহিংসতায় জড়াবে না এনসিপি।
ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ আসার পর বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন। এরপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম, ছায়ানট এবং আরও কিছু জায়গায় হামলা হয়। সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এনসিপির নেতারা জানান, এই সহিংসতাকারীদের আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির নেতারা তাঁদের নাম জড়াতে চাইছেন না। এ জন্য দলের নেতারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। শাহবাগে আন্দোলনে গেলে সেখান থেকে যদি কোনো পক্ষ গিয়ে কোথাও হামলা চালায়, তাহলে এনসিপিকেও তাদের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী করা হতে পারে। আবার বিকেলে এনসিপি বিক্ষোভ মিছিল করলে সেই মিছিলে উগ্রপন্থীরা অনুপ্রবেশ করে কোথাও হামলা চালাতে পারে। এসব আশঙ্কা থেকে দুটি কর্মসূচি বাতিল করে দলটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে যেসব ঘটনা ঘটল, এরপর আমরা সচেতনভাবেই ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ‘তৌহিদি জনতা’র সঙ্গে এনসিপিকে যে ফ্রেমিং করা হয়, সেটা এড়াতে চাইছি। আমরা জামায়াত-শিবিরের বি টিম হতে চাই না। জামায়াত-শিবির এনসিপিতে ঢুকে তাদের কিছু স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছি।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেলের কো-লিড আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, যারা জঙ্গিবাদী অথবা যারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র করতে চায়, তারা কিছু পরিকল্পনা করছে। এনসিপি সেই রাজনীতি করে না। কোনো দূতাবাসে হামলা করে অথবা অন্য কোনোভাবে দেশকে অস্থিতিশীল যারা করতে চায়, এনসিপি কোনোভাবেই তাদের সুযোগ দিতে চায় না।
এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন শুক্রবার এক বার্তায় বলেন, ‘বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনোভাবে বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রতিবাদী বক্তব্য হবে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে, এমন কোনো বিষয়ে এনগেজড হওয়া যাবে না।’

উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
গতকাল জুমার নামাজের পর শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এরপর বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিলেও তা বাতিল করে এনসিপি অফিসের সামনে ছোট পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এনসিপির নেতারা বলছেন, ওসমান হাদির হত্যা এবং ধর্মকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী হওয়া এড়াতেই দুটি কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যেসব হামলা হয়েছে, তাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। আরেকটি বিষয় হলো, কাল (শনিবার) ওসমান হাদির জানাজা হবে। তখন জনগণ যদি রাস্তায় নামে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু এটাকে বিভিন্ন দূতাবাসে হামলার কথা বলা হচ্ছে, আমরা এটার পক্ষে না। কারণ, দূতাবাস আক্রান্ত হলে বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এনসিপি। তবে সেটা হবে অহিংস আন্দোলন। কোনো সহিংসতায় জড়াবে না এনসিপি।
ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ আসার পর বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন। এরপরই দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম, ছায়ানট এবং আরও কিছু জায়গায় হামলা হয়। সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এনসিপির নেতারা জানান, এই সহিংসতাকারীদের আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপির নেতারা তাঁদের নাম জড়াতে চাইছেন না। এ জন্য দলের নেতারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। শাহবাগে আন্দোলনে গেলে সেখান থেকে যদি কোনো পক্ষ গিয়ে কোথাও হামলা চালায়, তাহলে এনসিপিকেও তাদের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দী করা হতে পারে। আবার বিকেলে এনসিপি বিক্ষোভ মিছিল করলে সেই মিছিলে উগ্রপন্থীরা অনুপ্রবেশ করে কোথাও হামলা চালাতে পারে। এসব আশঙ্কা থেকে দুটি কর্মসূচি বাতিল করে দলটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে যেসব ঘটনা ঘটল, এরপর আমরা সচেতনভাবেই ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং ‘তৌহিদি জনতা’র সঙ্গে এনসিপিকে যে ফ্রেমিং করা হয়, সেটা এড়াতে চাইছি। আমরা জামায়াত-শিবিরের বি টিম হতে চাই না। জামায়াত-শিবির এনসিপিতে ঢুকে তাদের কিছু স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছি।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেলের কো-লিড আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, যারা জঙ্গিবাদী অথবা যারা বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র করতে চায়, তারা কিছু পরিকল্পনা করছে। এনসিপি সেই রাজনীতি করে না। কোনো দূতাবাসে হামলা করে অথবা অন্য কোনোভাবে দেশকে অস্থিতিশীল যারা করতে চায়, এনসিপি কোনোভাবেই তাদের সুযোগ দিতে চায় না।
এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন শুক্রবার এক বার্তায় বলেন, ‘বিক্ষোভ চলবে কিন্তু কোনোভাবে বিশৃঙ্খলায় জড়ানো যাবে না। আন্দোলনে নানা ধরনের হঠকারী গ্রুপ অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করার পরিকল্পনায় আছে। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রতিবাদী বক্তব্য হবে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে, এমন কোনো বিষয়ে এনগেজড হওয়া যাবে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল যারা মাঠ পর্য
২৪ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টটিতে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘শহীদ হাদির জানাজায় শরিক হতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি গিয়েছি শহীদ ওসমান হাদিকে এক নজর দেখার জন্য। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু এমন শোকের মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। মহান আল্লাহ এই পরিবারকে এবং দেশবাসী সবাইকে সবরে জামিল দান করুন।’
‘শহীদ ওসমান হাদি কোনো দল বা মতের নন’—মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আজ তাঁর জানাজায় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন। দেশের এই বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো আমাদের সবার দায়িত্ব। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়ভারও আমাদের সবার।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টটিতে জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘শহীদ হাদির জানাজায় শরিক হতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি গিয়েছি শহীদ ওসমান হাদিকে এক নজর দেখার জন্য। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে; কিন্তু এমন শোকের মুহূর্তে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। মহান আল্লাহ এই পরিবারকে এবং দেশবাসী সবাইকে সবরে জামিল দান করুন।’
‘শহীদ ওসমান হাদি কোনো দল বা মতের নন’—মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই, আজ তাঁর জানাজায় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন। দেশের এই বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো আমাদের সবার দায়িত্ব। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়ভারও আমাদের সবার।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল যারা মাঠ পর্য
২৪ আগস্ট ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল যারা মাঠ পর্য
২৪ আগস্ট ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অফিশিয়াল নীতিমালা ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’ হয়েছে। তাঁর মতে, ভারতের এই নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়েছে কতিপয় শক্তিশালী আমলা, পক্ষপাতদুষ্ট সাবেক কূটনৈতিক, তাত্ত্বিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এমন একটি ‘ইকোসিস্টেম’ গড়ে তুলেছিল যারা মাঠ পর্য
২৪ আগস্ট ২০২৪
উগ্রপন্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যে মব ও সহিংসতা চলছে, সেখান থেকে নিজেদের আলাদা করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য গতকাল শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচিতে বদল আনে দলটি।
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে লন্ডন সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার সকালে ঢাকায় ফিরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১১ ঘণ্টা আগে